SSC: একাত্তরের দিনগুলি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

একাত্তরের দিনগুলি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 

একাত্তরের দিনগুলি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ শহিদ জননী জাহানারা ইমামের স্মৃতিচারণমূলক রচনা। এতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কয়েক দিনের ঘটনাপঞ্জি স্থান পেয়েছে।

সেই দিনগুলোর মধ্যে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানাদি, মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দানে চরমপত্রের ভূমিকা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শিল্পীদের নাম, তাঁদের সঙ্গে পরিচয়, মতিয়ুরের পারিবারিক অবস্থা, ঢাকা শহর ছেড়ে মানুষের পলায়ন, এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ; ছাত্রাবাসের দুরবস্থা, নদীর ঘাটে মানুষের লাশ, মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ, গেরিলা আক্রমণ, শত্রুর হাতে ধরা পড়া, গুলিবিদ্ধ হওয়া ইত্যাদি নানা বিষয় প্রসঙ্গক্রমে তুলে ধরা হয়েছে।

পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় প্রথমেই ঢাকার নগরজীবন বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছিল। শিশু-কিশোররা স্কুলে যাবে না। কিন্তু হানাদার বাহিনী জোর করে স্কুল-কলেজ খোলা রাখবে।

বিখ্যাত ব্যক্তিদের দিয়ে জোর করে রেডিও-টিভিতে বিবৃতি প্রদান আর হত্যা-লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগসহ ঢাকার সেই দুর্বিষহ অবস্থার মর্মন্তুদ বিবরণ পাওয়া যায় এই স্মৃতিচারণে। বিশেষ করে নিজ সন্তান রুমীকে বাঁচানোর জন্য হানাদার বাহিনীর কাছে ‘মার্সি পিটিশন’ না করে যে আত্মমর্যাদা ও স্বাধিকার চেতনার পরিচয় দেন তা তুলনারহিত।


এসএসসি বাংলা ১ম পত্রের সকল গদ্য ও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সুভা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বইপড়া
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আম আঁটির ভেঁপু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ)
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: নিমগাছ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: প্রবাস বন্ধু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মমতাদি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সাহিত্যের রুপ ও রীতি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: একাত্তরের দিনগুলি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বঙ্গবানী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: কপোতাক্ষ নদ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: জীবন-সঙ্গীত
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: পল্লিজননী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: রানার
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আমার পরিচয়
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: স্বাধীনতা এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো


একাত্তরের দিনগুলি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল ০১: একটি বিদেশি কোম্পানি বকুলপুর গ্রামে কৃষি জমি গ্রহণ করে ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে চায়। নিজের স্বার্থের জন্য ফ্যাক্টরি স্থাপনের কাজে এগিয়ে আসে মাতবর রহিম মোল্লা। ফ্যাক্টরি স্থাপন করলে দরিদ্র কৃষকেরা জীবিকা হারাবে। তাই গ্রামের শিক্ষক সালাম স্যার গ্রামবাসীদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পিতা।

ক. ‘কথিকা’ কী?
খ. ‘ধরণী দ্বিধা হও’— কেন একথাটি বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে শিক্ষক সালাম স্যারের কর্মকাণ্ডে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? তা তুলে ধর ।
ঘ. উদ্দীপকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সম্পূর্ণ ভাব ফুটে ওঠেনি- তোমার মতামত সহকারে বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। ‘কথিকা’ হলো নির্দিষ্ট ও ক্ষুদ্র পরিসরে বর্ণনাত্মক রচনা।

খ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার এদেশের বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের যে বিবৃতি দিতে বাধ্য করেছিল তা শুনে লেখিকার মনে হয় এই ভাষণ শুনে সবাই বলবে ‘ধরণী দ্বিধা হও’।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার রেডিও-টিভিতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে অনুষ্ঠান করাত এসব অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ছিল অত্যাচারী পাকিস্তান সরকারের গুণকীর্তন করা। সরকার যখন দেখল এতে সুবিধা হচ্ছে না তখন খবরের কাগজে বিবৃতি প্রকাশ করতে শুরু করল। তাতে বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। সেই বিবৃতি দেখে লেখিকার মনে হয় এত নির্লজ্জ মিথ্যা ভাষণ গোয়েবলসও লিখতে পারতেন না এবং যারা এই বিবৃতি পড়বে তাদের মনে হবে ‘ধরণী দ্বিধা হও’।

গ। উদ্দীপকের সালাম স্যারের কর্মকাণ্ডে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার মুক্তিবাহিনীর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের দিকটি ফুটে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির অহংকার। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাতে থাকে। অত্যাচারের সীমা অতিক্রান্ত হলে এদেশের মানুষ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে তারা চরম আঘাত হানে। বাংলা মুক্তিপাগল মানুষও জীবন বাজি রেখে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হয় এবং বিজয় অর্জন করে। উদ্দীপকের সালাম স্যারের কর্মকাণ্ডে তাঁর সংগ্রামী চেতনা প্রকাশ পেয়েছে। গ্রামে বিদেশি কোম্পানি ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে চাইলে কৃষকদের জীবিকা হারানোর কথা ভেবে তিনি এর বিরোধিতা করেন। গ্রামবাসীকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায়ও দেশ ও জাতির কথা ভেবে দখলদার হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের চিত্র উঠে এসেছে মুক্তিবাহিনীর কর্মকাণ্ডে। ১৯৭১ সালের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে লেখিকা এখানে অবরুদ্ধ ঢাকা শহরে মুক্তিবাহিনীর উপস্থিতি এবং তাদের তৎপরতা ও প্রতিরোধের দিকটি তুলে ধরেছেন। রচনার এ দিকটিই উদ্দীপকের সালাম স্যারের কর্মকাণ্ডে ফুটে উঠেছে।

ঘ। উদ্দীপকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সম্পূর্ণ ভাব ফুটে ওঠেনি- মন্তব্যটি সম্পর্কে আমি একমত।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সীমাহীন অত্যাচার ও শোষণে বাঙালি জাতির জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত ও বিধ্বস্ত। বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার থেকেও বাঙালিকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। বাঙালি জাতি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করলে হানাদাররা চরম আঘাত হানে। বাঙালি জাতিও সর্বশক্তি দিয়ে সেই আক্রমণ রুখে দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে।

উদ্দীপকে দেখা যায় বকুলপুর গ্রামে বিদেশি কোম্পানি ফ্যাক্টরি করতে চাইলে গ্রামের রহিম মোল্লা তাদের সহযোগিতা করতে যায়। কিন্তু সালাম স্যার কৃষকদের জীবিকার কথা ভেবে এই কাজের বিরোধিতা করেন এবং গ্রামবাসীকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন। উদ্দীপকের এই বিষয়টি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের দিকটিকে উপস্থাপন করলেও এখানে সামগ্রিক ভাব ফুটে ওঠেনি।

‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে অবরুদ্ধ ঢাকার জনজীবনের বিশৃঙ্খল অবস্থা, পাকিস্তানি হানাদারদের বীভৎস অত্যাচার ও নৃশংসতার চিত্র, তাদের মিথ্যাচার, মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া আপন সন্তান মুক্তিযোদ্ধা রুমীকে বাঁচানোর জন্য হানাদারদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা না করে লেখিকার আত্মমর্যাদা ও স্বাধিকার চেতনা এই রচনায় উঠে এসেছে, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলতে পারি উদ্দীপকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সম্পূর্ণ ভাব ফুটে ওঠেনি।

সৃজনশীল ০২: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলিতে এদেশের অনেকেই মা-মাটির সাথে চরম বেইমানি করে হানাদার পাকিস্তানিদের পক্ষ নেয়। কিন্তু এদেশের মুক্তিপাগল বীর যোদ্ধারা অন্যায়ের কাছে কোনোরূপ আপস করেনি; এমনকি নিজেদের আপনজনকে বাঁচাতেও হানাদারদের সামনে মাথা নত করেনি।

ক. জেনারেল নিয়াজি কতজন সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন?
খ. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা ছদ্মনাম ব্যবহার করত কেন?
গ. উদ্দীপকের মুক্তিযোদ্ধাদরে সাথে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার শরীফ সাহেবের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সমগ্র ভাবকে ধারণ করে কি? যুক্তি দাও।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। জেনারেল নিয়াজি নব্বই হাজার পাকিস্তানি সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

খ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।

‘একাত্তরের দিনগুলি’ শহিদ জননী জাহানারা ইমামের স্মৃতিচারণমূলক রচনা। এখানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের ছদ্মনামে অনুষ্ঠান পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। সেখানে শিল্পী-কলাকুশলীদের ছদ্মনাম ব্যবহারের বিষয়টি লক্ষ করা যায়। পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসররা যাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের চিনতে না পারে সেজন্য তারা ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।

গ। উদ্দীপকের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার শরীফ সাহেবের সাদৃশ্য হলো আপসহীন মনোভাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ। জীবনের পরোয়া না করে মুক্তিযোদ্ধারা নির্ভীকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। উদ্দীপকের যোদ্ধারা স্বদেশের মুক্তির জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

তাঁদের আচরণে অন্যায়ের কাছে আপস করার মনোভাব প্রকাশিত হয়নি। আত্মস্বার্থকে বড় করে দেখে অন্যান্য বেইমানের মতো মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে মাথা নত করেননি। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মুক্তিযোদ্ধা রুমীর বাবা শরীফ সাহেব রুমীর প্রাণভিক্ষা চেয়ে মার্সি পিটিশন করেননি। আপসহীন · মনোভাবের দিক থেকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার শরীফ সাহেব উদ্দীপকের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ। উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না। অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হিংস্র থাবা থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন। হানাদারদের আক্রমণে সোনার বাংলা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল । উদ্দীপকে মুক্তিযোদ্ধাদের আপসহীন মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে।

দেশকে স্বাধীন করার প্রত্যয়ে তারা শত্রুর কাছে মাথানত করেনি। তারা নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে পাকিস্তানিদের পক্ষ নেয়নি। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার শরীফ সাহেবের মধ্যে আপসহীন মনোভাব এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া রুমীর জন্য লেখিকার আকুলতা পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভয়ে মানুষের পালিয়ে যাওয়া, দেশের সর্বত্র তাদের আক্রমণ, দেশের মানুষের অসহায়ত্বের চিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা, স্কুল-কলেজের অবস্থা ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে। এসবের বর্ণনা উদ্দীপকে নেই।

উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তিযোদ্ধাদের আপসহীন মনোভাব ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার শরীফ সাহেবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ স্মৃতিচারণমূলক রচনায় আলোচিত মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য বিষয় ও প্রসঙ্গ উদ্দীপকে অনুপস্থিত। এসব দিক বিবেচনায় দেখা যায় যে— উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না।

নিজে করো, 

সৃজনশীল ০৩: ডায়েরির পাতা উল্টাতে গিয়ে এক জায়গায় চোখ আটকে যায় ক্যাম্প কমান্ডারের। গেরিলাদের প্রশ্ন করেন, তোমরা যুদ্ধ করছ কেন? সমস্বরে উত্তর ভেসে আসে— মাকে বাঁচাতে ‘দেশের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য’। কমান্ডারের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রক্তমাখা কিশোর যোদ্ধার মুখ, যে শত অত্যাচারেও মাথা নত করেনি।

ক. গোয়েবলস রাজনীতিতে কী রটনার প্রবর্তক?
খ. জামী স্কুলে যাচ্ছে না কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার যে দিক প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার জাহানারা ইমাম ও শরীফ ইমামের মতকে সমর্থন করেছে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ০৪: ১৯৭১ সাল, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ছিল খান সেনাদের’ অপ্রতিরোধ্য অবস্থান। পুরো এলাকার মানুষ ঘর ছেড়ে বের হবার সাহস পায়নি। একদিন ইস্পাহানি কোম্পানির কয়েকজন কর্মচারী নিজেদের তৈরি বোমা ফাটিয়ে খান সেনাদের তিনটি জিপ উড়িয়ে দেয়। নিহত হয় ১৪ জন সেনা। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকে গেরিলা হামলা।

ক. ঢাকার কতটি জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছিল?
খ. “প্রতিঘাতের ছোট ছোট স্ফুলিঙ্গ”- বলতে লেখিকা কী বুঝিয়েছেন?
গ. “উদ্দীপকের কর্মচারীদের সাহসী ভূমিকার সাথে ‘একাত্তরের দিনগুলি’-এর একটি বিশেষ সাদৃশ্য রয়েছে”— ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার সমগ্র ভাবকে ধারণ করেনি”- ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর।

উত্তর পিডিএফ


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।

About মেরাজুল ইসলাম

আমি মেরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাশাপাশি একজন ব্লগার। এডুকেশন এর প্রতি ভালোবাসাও অনলাইল শিক্ষার পরিসর বাড়ানোর জন্য এডুকেশন ব্লগের পথচলা। ব্লগিং এর পাশাপাশি আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কাস্টমাইজ সহ ওয়েব রিলেটেড সকল কাজ করি।

View all posts by মেরাজুল ইসলাম →