সাহিত্যের রুপ ও রীতি প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

SSC: সাহিত্যের রুপ ও রীতি প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সাহিত্যের রুপ ও রীতি প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেছেন। তিনি সাহিত্যের বিশাল পরিধির মধ্য থেকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে এ প্রবন্ধে আলোচনা করেছেন।

সাহিত্যের বিস্তৃতি ও গভীরতার দিকটি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি উপ-শিরোনামে কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কবিতার প্রধান রূপভেদ, গীতিকবিতা ও মহাকাব্য বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় গীতিকবিতার উৎসমূল এবং বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ মহাকাব্যের কথা তুলে ধরেছেন।

বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীন সাহিত্য নাটক যে ‘দৃশ্যকাব্য ও শ্ৰব্যকাব্য’ সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে নাটকের অঙ্ক, শ্রেণিবিন্যাস, কমেডির সংজ্ঞা প্রভৃতি তুলে ধরেছেন। ছোটগল্পের প্রকৃতি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের প্রামাণ্য সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ তুলে ধরে বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

উপন্যাস কী, উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য, আখ্যানভাগের প্রয়োজনীয়তা, বাংলা সাহিত্যে সার্থক উপন্যাসের নাম, স্রষ্টা, শ্রেষ্ঠ উপন্যাস রচয়িতার নাম প্রভৃতি তিনি তুলে ধরেছেন। তাঁর প্রবন্ধের উপ-শিরোনামে প্রবন্ধের প্রধান দুটি রূপ — তন্ময় ও মন্ময়, প্রবন্ধের সংজ্ঞা, প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

তিনি রাজা রামমোহন রায় থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত প্রবন্ধের প্রবহমানতা নির্দেশ করেছেন। এভাবে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত অথচ প্রাণবন্ত উপস্থাপন লক্ষ করা যায়।


এসএসসি বাংলা ১ম পত্রের সকল গদ্য ও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সুভা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বইপড়া
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আম আঁটির ভেঁপু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ)
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: নিমগাছ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: প্রবাস বন্ধু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মমতাদি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সাহিত্যের রুপ ও রীতি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: একাত্তরের দিনগুলি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বঙ্গবানী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: কপোতাক্ষ নদ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: জীবন-সঙ্গীত
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: পল্লিজননী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: রানার
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আমার পরিচয়
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: স্বাধীনতা এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো


সাহিত্যের রুপ ও রীতি প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল ০১: শোভন ও সোহান বিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেই লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ে। শোভনের আগ্রহ সেই ধরনের বইয়ে যা দ্বারা সে অনেক অজানা তথ্য জানবে এবং সৃজনশীলতা অর্জন করবে। কিন্তু সোহান পছন্দ করে পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কিত বই, যাতে নায়ক- নায়িকাদের বীরত্ব ও জয়-পরাজয়ের দীর্ঘ কাহিনি থাকবে।

ক. গীতিকবিতা সম্পর্কিত বঙ্কিমচন্দ্রের দেওয়া সংজ্ঞাটি লেখ।
খ. ট্র্যাজেডি’ বলতে কী বুঝায়?
গ. উদ্দীপকের শোভনের আগ্রহে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের যে শাখাকে নির্দেশ করে, তার আলোকপাত কর।
ঘ. উদ্দীপকের সোহানের আকাঙ্ক্ষায় কাব্য সাহিত্যের এক বিশেষ অংশের ছায়াপাত ঘটেছে।”— ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। গীতিকবিতা সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্রের দেওয়া সংজ্ঞাটি হলো— ‘বক্তার ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটন মাত্র যাহার উদ্দেশ্য, সেই কাব্যই ‘ গীতিকাব্য।’

খ। এককথায় ট্র্যাজেডি বলতে বিয়োগান্ত নাটককে বোঝায়।

কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির দিক থেকে বিচার করলে নাটককে যে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলোর একটি হলো ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত নাটক। ট্র্যাজেডির ভেতরে দুটি অংশ ক্রিয়াশীল থাকে : প্লট, চরিত্রসৃষ্টি, সংলাপ, চিন্তা বা জীবনদর্শনের পরিস্ফুটন, মঞ্চায়ন, সমস্ত কিছুর সমন্বয়ে সুরসংগতি। গ্রিক দার্শনিক ও সাহিত্যবেত্তা এরিস্টোটল বলেছেন— ‘রঙ্গমঞে নায়ক বা নায়িকার জীবনকাহিনির দৃশ্যপরম্পরা উপস্থাপনের মাধ্যমে যে নাটক দর্শকের হৃদয়ের ভয় ও করুণা প্রশমিত করে তার মনে করুণ রসের সৃষ্টি করে, তাই হলো ট্র্যাজেডি।

গ। উদ্দীপকের শোভনের আগ্রহে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের প্রবন্ধ শাখাকে নির্দেশ করে।

সাহিত্যে মানবজীবনের বিভিন্ন বিষয় প্রতিফলিত হয়। এর শাখা-প্রশাখা ব্যাপক ও বিস্তৃত। সৃজনশীলতা উৎকৃষ্ট সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

উদ্দীপকে দুই বন্ধুর বই পড়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে শোভন পড়তে পছন্দ করে এমন বই, যা থেকে সে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবে। এ ধরনের বই পড়ে সে সৃজনশীলতা অর্জন করতে চায়। তার আগ্রহ আলোচ্য প্রবন্ধের প্রবন্ধ শাখাকে নির্দেশ করে। কারণ এ শাখা সাহিত্যে সৃজনশীলতা থাকে। এ সাহিত্য কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখা হয়। এ সাহিত্য থেকে মানুষ জ্ঞান লাভ করবে, তথ্য জানতে পারবে। উদ্দীপকের শোভনের আগ্রহে সাহিত্যের যে শাখার বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে তাতে প্রবন্ধ সাহিত্যের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ায় আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকে শোভনের আগ্রহে আলোচ্য প্রবন্ধের প্রবন্ধ শাখাকে নির্দেশ করে

ঘ। “উদ্দীপকের সোহানের আকাঙ্ক্ষায় কাব্য সাহিত্যের এক বিশেষ অংশের ছায়াপাত ঘটেছে।”— মন্তব্যটি যথার্থ। সাহিত্যের পরিধি বিশাল। আমরা সামিগ্রকভাবে সাহিত্য বললেও বিভিন্ন শাখায় এটি বিভিক্ত। মানবজীবনের দৃঢ় সত্য উন্মোচন করা সাহিত্যের কাজ।

উদ্দীপকের সোহান পছন্দ করে পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কিত বই, যাতে নায়ক-নায়িকাদের বীরত্বের ও জয়-পরাজয়ের দীর্ঘ কাহিনি বর্ণিত হয়। উদ্দীপকের সোহানের আকাঙ্ক্ষিত বইয়ে যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে তা আলোচ্য প্রবন্ধের কবিতা শাখায় বর্ণিত মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রবন্ধে মহাকাব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তা পৌরাণিক কাহিনি নিয়ে রচিত হয়।

যাতে যুদ্ধ-বিগ্রহের কাহিনি থাকে। নায়কের বীরত্ব বর্ণিত হয়। এছাড়াও ছন্দোবদ্ধ ভাষায় রচিত হয় দীর্ঘ এ কাব্য সাহিত্য। ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, মহাকাব্য কাব্য সাহিত্যের একটি বিশেষ অংশ। উদ্দীপকের সোহানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি যে, সে মহাকাব্য পড়তে পছন্দ করে। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল ০২: বাংলা শিক্ষক শ্রেণিতে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধটি পড়াতে গিয়ে সাহিত্যের একটি নবীন শাখা নিয়ে কথা বলছিলেন। এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “এতে সকল প্রকার বাহুল্য বর্জন করা হয়। একজন আলঙ্কারিক এটিকে একটি ফুলের সাথে তুলনা করেছেন, যাতে পাতা বা কাঁটার কোনো স্থান নেই।”

ক. মহাকাব্য কোন কাহিনি অবলম্বনে রচিত হয়?
খ. নাটককে দৃশ্যকাব্য বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে সাহিত্যের যে শাখার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত সাহিত্য শাখার সঙ্গে পাঠক সমাজে সর্বাধিক বহুল পঠিত ও জনপ্রিয় শাখাটির তুলনামূলক আলোচনা কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। মহাকাব্য যুদ্ধবিগ্রহের কাহিনি অবলম্বনে রচিত হয়।

খ। নাটক একই সঙ্গে পড়া ও দেখা যায়, এ কারণে নাটককে দৃশ্যকাব্য বলা হয়।

বিশ্বসাহিত্যে নাটক সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। নাটকের লক্ষ্য হচ্ছে দর্শকসমাজ। সাহিত্যের অন্য সব শাখার মধ্যে এটিই একমাত্র মাধ্যম যা সরাসরি সমাজকে ও পাঠকগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়। নাটকের অভিনয় মানুষজনকে না দেখাতে পারলে এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় বা সার্থকতা পায় না। তাই সংস্কৃত আলংকারিকগণ নাটককে দৃশ্যকাব্য বলে অভিহিত করেছেন। কারণ এ কাব্য পড়া ও দেখার জন্য রচিত

গ। উদ্দীপকে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের সাহিত্যের সর্বকনিষ্ঠ শাখা ছোটগল্পের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। সাহিত্যে মানুষের সামগ্রিক জীবন প্রতিফলিত হয়। সাহিত্যে মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-ভালোবাসা, যুদ্ধ- বিগ্রহ, জয়-পরাজয়, বীরত্ব-ভীরুতা সবকিছুই স্থান লাভ করে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, মানুষের জীবনধারণ, ইতিহাস, ঐতিহ্যের সমন্বয়ে সেগুলো গড়ে উঠেছে।

উদ্দীপকে বাংলা শিক্ষক সাহিত্যের যে নবীন শাখা নিয়ে কথা বলেছেন তা বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বর্ণিত ছোটগল্পের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এর কারণ প্রবন্ধে বর্ণিত ছোটগল্পের যে বৈশিষ্ট্য তা ‘সকল বাহুল্য বর্জন’ কথার মূলভাবের সঙ্গে মিলে যায়। উদ্দীপকে আলংকারিক এটিকে ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যে ফুলে কাঁটা ও পাতা নেই অর্থাৎ নিটোল একটি বিষয়কে নির্দেশ করা হয়েছে। অন্যদিকে আলোচ্য প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে যেখানে তিনি ছোটগল্পকে সহজ, সরল, ছোট প্রাণ, ছোট ব্যথার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি জীবনসাগরের অজস্র ঢেউয়ের মধ্যে দু-একটা অশ্রুফোঁটার সঙ্গে ছোটগল্পের তুলনা করেছেন। যেখানে কোনো তত্ত্বউপদেশ থাকবে না। শেষ হলেও মনে অতৃপ্তি থেকে যাবে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে আলোচ্য প্রবন্ধের সাহিত্যের সর্বকনিষ্ঠ শাখার প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

ঘ। উদ্দীপকে প্রতিফলিত সাহিত্য শাখা ছোটগল্পের সঙ্গে পাঠক সমাজে সর্বাধিক বহুল পঠিত ও জনপ্রিয় শাখা উপন্যাসের তুলনামূলক আলোচনা করা হলো। সাহিত্য একটি বহুমাত্রিক বিষয়। সাহিত্যের শাখা-প্রশাখা ব্যাপক ও বিস্তৃত। সময়ের আবর্তনে এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নানা মাত্রা। প্রাচীন ধারার সাহিত্যের সঙ্গে আধুনিক ধারার সাহিত্যের তুলনায় এ বিষয়টি সহজেই বোধগম্য হয়। কোনো একটি বিশেষ শাখা নয়, ক্রমশ সাহিত্যের সব শাখাই সমৃদ্ধ হচ্ছে।

উদ্দীপকে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে আলোচিত সাহিত্যের অন্যতম শাখা ছোটগল্পের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ বিষয়টি পাঠক সমাজে সর্বাধিক পঠিত ও জনপ্রিয় শাখা উপন্যাসের সঙ্গে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। মিলের দিকটি হচ্ছে উভয় শাখাতেই মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা প্রকাশ পায়। উভয় ক্ষেত্রেই ঘটনা, কাহিনি ও চরিত্র বিদ্যমান। আর অমিলের দিকটি হলো ছোটগল্প ছোট ছোট দুঃখকথার বন্ধনে তৈরি কাহিনি। এখানে ঘটনা আছে একমুখী, বহু ঘটনার সমাবেশ নেই, যা আছে উপন্যাসে। ছোটগল্পের কাহিনির শাখা-প্রশাখা নেই। কিন্তু উপন্যাসে এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য হলো প্লট। গল্প ও বিভিন্ন চরিত্রের সমন্বয়ে উপন্যাসের প্লট ও আখ্যান গড়ে ওঠে। যার পরিণতি ও পূর্ণতা আগে থেকেই বোঝা যায়। কিন্তু ছোটগল্পের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। ছোটগল্প একটি বিশেষ দিকের ইঙ্গিত করে নাটকীয়ভাবে শেষ হয়। সেখানে যেন আরও কথা বলার আছে বলে মনে হয়। উভয় সাহিত্য শাখাতেই গদ্য ভাষা ব্যবহত হয়।

নিজে করো,

সৃজনশীল ০৩: বাংলা সাহিত্যের রয়েছে এক বিশাল ভাণ্ডার। এক শ্রেণির সাহিত্যে ছন্দোবদ্ধ ভাষায় অতীত দিনের কাহিনি কিংবা পৌরাণিক কাহিনির রসমধুর বর্ণনা পাওয়া যায় । আরেক শ্রেণির সাহিত্য জীবনের খণ্ডাংশ নিয়ে গদ্যে রচিত হয়ে এক ভিন্নধর্মী রসব্যঞ্জনার সৃষ্টি করে। উদ্ভবের দিক থেকেও উভয় শ্রেণির সাহিত্যে রয়েছে বিশাল ব্যবধান।

ক. সাহিত্যের প্রধান ধারা কয়টি?
খ. উপন্যাস বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ছন্দোবদ্ধ ভাষায় রচিত সাহিত্যের পরিচয় দাও।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত উভয় শ্রেণির সাহিত্যের মধ্যকার পার্থক্য আলোচনা কর।

সৃজনশীল ০৪: মানিক পত্রিকায় একটি লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়। কত অল্প কথায় জীবনের ছোট দুঃখকথাকে তুলে ধরা হয়েছে লেখাটিতে। লেখাটি পড়ে মানিক কল্পনায় এর পরিণতি উপলব্ধি করে তৃপ্তি লাভ করে।

ক. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক কে?
খ. নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে সাহিত্যের যে শাখাটির ইঙ্গিত করা হয়েছে তা সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত সাহিত্যের শাখাটির বৈশিষ্ট্যের সাথে পাঠকপ্রিয় শাখাটির বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক আলোচনা কর।

উত্তর পিডিএফ


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।