(PDF উত্তরসহ) নীল নদ আর পিরামিডের দেশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

নীল নদ আর পিরামিডের দেশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন 

নীল নদ আর পিরামিডের দেশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন: বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মিশর। মিশরের আবহাওয়া শুষ্ক, তাই প্রাচীনকাল যুগ থেকে মিশরীয় সভ্যতার অনেক নিদর্শন এখনও কালের কবলে হারিয়ে যায়নি।

মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি বিশেষ করে কায়রো শহরের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে আলোচ্য রচনায়। আলোচ্য প্রবন্ধটি সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘জলে ডাঙ্গায়’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এ রচনায় এসেছে চারদিকে মরুভূমি ঘেরা ঐতিহাসিক কায়রো শহর, কায়রোর অদূরে গিজে নামক স্থানে অবস্থিত পিরামিড ও মিশরের ডুবনবিখ্যাত মসজিদের প্রসঙ্গ।

এসবের আকর্ষণে সারা বিশ্বের পর্যটকরা ছুটে যায় কায়রো অভিমুখে। কায়রো শহর আলোয় ভরে যায় রাতের বেলায়। রেস্তোরাঁগুলো থেকে ভেসে আসা নানা রকম খাবার-দাবারের সুগন্ধ বাড়িয়ে দেয় পথচারীদের ক্ষুধা।

অদূরেই গিজে শহরে রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার আকর্ষণ ও পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম তিনটি পিরামিড। পিরামিড নির্মিত হয়েছিল মিশরের প্রাচীন সম্রাট ফারাওদের মৃতদেহ মমি হিসেবে কবরস্থ করে রাখার জন্য।

পাথরের টুকরা দিয়ে তৈরি বিশালাকার সমাধি স্তম্ভ এটি। নীল নদ আর পিরামিডের পরেই মিশরের অতুলনীয় আকর্ষণ হচ্ছে সেখানকার ডুবনবিখ্যাত অপূর্ব সৌন্দর্যময় মসজিদগুলো। এসবের টানেই সমঝদার আর ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছুটে যায় মিশরে। বস্তুত মিশরকেই নীল নদ আর পিরামিডের দেশ বলা হয়েছে।


নীল নদ আর পিরামিডের দেশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল ০১: আহার সম্বন্ধে এদের মোগলাই রুচি, গোপালের মতো যা পায় তা খায় না, রন্ধনশিল্প ইউরোপের কোথাও থাকে যদি তা পারীতে। এত দুনিয়ার সব দেশের খানার এরা সমঝদার, সেই জন্য যেকোনো রেস্তোরাঁয় সব নেশনের খাদ্যের একটা না একটা নমুনা পাওয়া যাবেই। সবচেয়ে আশ্চর্য এই যে, পারীতে অল্প খরচে অনেকখানি তৃপ্তির সাথে খেতে পারা যায়। রান্নাটা উঁচুদের তো বটেই, রান্নাটা টাকা। শাকসবজি ও মাংসের জন্য ইংল্যান্ড অন্য দেশের মুখাপেক্ষী, ফ্রান্স তেমন নয়।

ক. কোন শহরকে নিশাচর বলা হয়েছে?
খ. মিশরে গিয়ে লেখকের প্রাণ কেন কাঁদছিল?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার কোন বিষয়ের সাদৃশ্য বিদ্যমান?
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার একটি বিশেষ অংশ উপস্থাপন করেছে মাত্র, সম্পূর্ণ বিষয় নয়।”— মন্তব্যটি যাচাই কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. কায়রো শহরকে নিশাচর বলা হয়েছে।

খ. বাঙালি খাবারের জন্য মিশরে গিয়ে লেখকের প্রাণ কেঁদেছিল। মিশর ভ্রমণকালে লেখক সেখানকার এক রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে যান। সেখানে মুরগি মুসল্লম, শিক কাবাব, শামি কাবাব ইত্যাদি খাবারসাজানো দেখেন। তখন লেখকের প্রাণ বাঙালি খাবার অর্থাৎ আতপ চালের ভাত, উচ্ছে ভাজা, সোনা মুগের ডাল, পটোলভাজা আর মাছের ঝোলের জন্য কেঁদে উঠেছিল।

গ. ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার রান্না ও খাবারের বৈচিত্র্যময় আয়োজনের সাথে উদ্দীপকের বিষয়টির সাদৃশ্য রয়েছে।

বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি হয়। অন্যান্য বিষয়ের মতো খাবার বা রান্নাবান্না সেদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরে।

উদ্দীপকে ফ্রান্সের পারী নগরীর রন্ধনশিল্পের বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে। এ বিষয়টি ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায়ও লক্ষ করা যায়। এখানে মিশরীয় রান্না সম্পর্কে আলোচনা করেছেন লেখক। তাঁর মতে মিশরীয় রান্না ভারতীয় রান্নার মামাতো বোন। উদ্দীপকেও পারী নগরীর রান্নার কথা, স্বল্প খরচে খাদ্য প্রাপ্তির কথা বলা হয়েছে। আর এখানেই উভয়ের সাদৃশ্য বিদ্যমান।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় একটি বিশেষ অংশ উপস্থাপন করেছে মাত্র, সম্পূর্ণ বিষয় নয়।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

ভ্রমণ জ্ঞানার্জনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এর মাধ্যমে নানা দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। বিভিন্ন দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ধরন উপলব্ধি করা যায়।

উদ্দীপকে ফ্রান্সের পারী নগরীর রন্ধনশিল্প তথা রান্না-বান্না খাওয়া- দাওয়া সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এ বিষয়টি ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার একটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছে মাত্র। কারণ আলোচ্য রচনায় উক্ত বিষয় ছাড়াও মিশরের বিভিন্ন দিক লেখক তুলে ধরেছেন।

লেখক মিশর ভ্রমণাভিজ্ঞতা নিয়ে রচনা করেছেন ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ ভ্রমণকাহিনিটি। এ রচনায় তিনি মিশরের ভূপ্রকৃতি, সেদেশের জনগণ, রান্না, খাওয়াদাওয়া, পিরামিড, ইতিহাস, ঐতিহ্য প্রভৃতি বিষয় উপস্থাপন করেছেন, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।

নিজে করো,

সৃজনশীল ০২: কত দেশের কত রকমের লোক পণ্যবাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে চলেছে। কত ঢঙের টুপি, কত রঙের পাগড়ি, কত যুগের অস্ত্র- গাদাবন্দুক থেকে আরম্ভ করে আধুনিকতম জর্মন মাউজার। দামেস্কের বিখ্যাত সুদর্শন তরবারি, সুপারি কাটার জাতির মতো ‘জামধর’ মোগল ছবিতে দেখেছিলুম, বাস্তবে দেখলুম হুবহু সেই রকম গোলাপি সিল্কের কোমরবন্ধে গোঁজা। কারো হাতে কানজোখা পেতলে বাঁধানো লাঠি, কারো হাতে লম্বা ঝকঝকে বর্শা। উটের পিঠে পশমে রেশমে বোনা কত রঙের কার্পেট, কত আকারের সামোভার। বস্তা বস্তা পেস্তা বাদাম আখরোট কিসমিস আলুখারা চলেছে হিন্দুস্থানের বিরিয়ানি পোলাওয়ের জৌলুস বাড়াবার জন্য। আরও চলেছে, শুনতে পেলুম, কোমরবন্ধের নিচে, ইজেরের ভাঁজে, পুস্তিনের লাইনিংয়ের ভিতরে আফিং আর হাসিস না ককেনই, না আরও কিছু।

ক. মিশর কোন নদীর তীরে গড়ে উঠেছে?
খ. “ঝিনুকের মতো দাঁত আর কালো চামড়ার কী অসীম সৌন্দর্য।”— লেখক কোন প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার কোন বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করতে পারেনি।”— মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল ০৩: আধুনিক কায়রো শহরের নিকটবর্তী গীজে নামক স্থানে যে তিনটি অতিকায় পিরামিড বর্তমান, এ তিনজন সম্রাটই এগুলোর নির্মাতা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং প্রথম নির্মিত হয়েছে খুফুর পিরামিড। তেইশ লক্ষ অতিকায় চুনাপাথর দিয়ে এটি নির্মিত হয়েছে। প্রতিটি খণ্ডের ওজন আড়াই টনের কম নয়। ফারাওদের সম্পূর্ণ সমাধি কক্ষ গ্রানাইট পাথরে তৈরি। প্রায় এক লক্ষ লোক বিশ বছর পরিশ্রম করে এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত করে। ভূমি হতে এ পিরামিডের চূড়ার উচ্চতা ৪৮১ ফুট, ভূমিতে অবস্থিত এক একটি দিক ৭৫৫ ফুট লম্বা।

ক.ভূমধ্যসাগর থেকে কত মাইল পেরিয়ে মন্দমধুর ঠান্ডা হাওয়া আসছিল?
খ. সবাই নিকটতম রেস্তোরাঁয় কেন হুড়মুড় করে ঢুকেছিল? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার সাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের আলোচ্য দিকটিই ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার একমাত্র বিষয় নয়।”- মন্তব্যটি যাচাই কর।

সৃজনশীল ০৪: সেখানে একবার একটি পাহাড় দেখিয়া চমৎকৃত হইয়াছিলাম। সেটি একশিলা, সমুদয়ে একখানি প্রস্তর। তাহাতে একেবারে কোথাও কণামাত্র মৃত্তিকা নাই, সমুদয় পরিষ্কার ঝরঝর করিতেছে। তাহার একস্থান অনেক দূর পর্যন্ত ফাটিয়া গিয়াছে, সেই ফাটার উপর বৃহৎ এক অশ্বত্থ গাছ জন্মিয়াছে। তখন মনে হইয়াছিল, অশ্বত্থ বৃক্ষ বড় রসিক, এই নীরস পাষাণ হইতেও রসগ্রহণ করিতেছে। কিছুকাল পরে আর একদিন এই অশ্বত্থ গাছ আমার মনে পড়িয়াছিল, তখন ভাবিয়াছিলাম বৃক্ষটি বড় শোষক, ইহার নিকট নীরস পাষাণেরও নিস্তার নাই।

ক. মিশরীয় রান্না ভারতীয় রান্নার কী হয়?
খ. “কিন্তু আহা, ওদের সর্বাঙ্গ দিয়ে যেন তেল ঝরছে”- লেখক কেন মন্তব্যটি করেছেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার সাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা কর।
ঘ. “ভ্রমণই উদ্দীপক এবং ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ রচনার মূল বিষয় ।”— মন্তব্যটি যাচাই কর।

সৃজনশীল ০৫: রামগড়ের পর ১০/১২ মাইল পথ অত্যন্ত বিপদ-সঙ্কুল। রাস্তা হেয়ার-পিনের মতো এঁকেবেঁকে উপরের দিকে উঠেছে। রাস্তার মুখেই একটি সাইন বোর্ডে লেখা আছে, ‘রাস্তা বড় বিপদসঙ্কুল – মোটরের গতি পাঁচ মাইলের বেশি না হয়। আমরা সকলে সাবধান হয়ে বসলুম। সমশের আলি পাহাড়ের পথ দিয়ে মোটর চালাতে সিদ্ধহস্ত। শিলংয়ের রাস্তায় সে যথেষ্ট মোটর চালিয়েছে। এখানে মোটর চালাবার ভার সে-ই গ্রহণ করল। অবিরামভাবে হর্ন বাজাতে বাজাতে এঁকেবেঁকে আমরা সেই পার্বত্য পথে আরোহণ করতে লাগলাম। সৌন্দর্যের হিসাবে এই পথটা শিলং গৌহাটি রোডের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। একদিকে উচ্চ জঙ্গল-সমাকীর্ণ পাহাড়, আর অপর দিকে সুগভীর খাদ তার পাদদেশে সুদূর সমতল ভূমি— তাকে বেষ্টিত করে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য শৈলশ্রেণি। স্থানটি যেন প্রকৃতির লীলাক্ষেত্র।

ক. সন্ধ্যের দিকে জাহাজ কোন বন্দরে পৌছল?
খ. ‘সে দৃশ্য বাংলাদেশের সবুজ শ্যামলিমার মাঝখানে দেখা যায় না’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার কোন বিষয়ের বৈসাদৃশ্য চোখে পড়ে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার সমগ্র বিষয়কে উপস্থাপন করেছে।”- মন্তব্যটি সম্পর্কে তোমার মতামত উপস্থাপন কর।

সৃজনশীল ০৬: ফ্রান্সকে বলা হয় ছবি ও কবিতার দেশ। এদেশের নগরীর রূপসৌন্দর্য অতুলনীয়। এর মোহে বহু পর্যটক ভিড় করে সেখানে। রাজধানী প্যারিসকে অর্ধেক নগরী ও অর্ধেক কল্পনার শহর বলা হয়। শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অন্যতম পাদপীঠ এ প্যারিস নগরী। এখানের রেস্তোরাঁগুলোতে স্বল্পমূল্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেওয়া যায়। সুগন্ধি শিল্পের জন্যও প্যারিসের সুনাম জগৎজোড়া।

ক. ‘গণ্ডা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘মমি’ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’ ভ্রমণকাহিনির মিল দেখাও।
ঘ. “রূপসৌন্দর্যের কারণে ফ্রান্স ও মিশরে পর্যটকরা ভিড় করে”— মতামত দাও।

সৃজনশীল উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।

About মেরাজুল ইসলাম

আমি মেরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাশাপাশি একজন ব্লগার। এডুকেশন এর প্রতি ভালোবাসাও অনলাইল শিক্ষার পরিসর বাড়ানোর জন্য এডুকেশন ব্লগের পথচলা। ব্লগিং এর পাশাপাশি আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কাস্টমাইজ সহ ওয়েব রিলেটেড সকল কাজ করি।

View all posts by মেরাজুল ইসলাম →