কাবুলিওয়ালা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

কাবুলিওয়ালা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

কাবুলিওয়ালা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর: ভিন্ন সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠলেও মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ ভালোবাসার অনুভূতি অনেকাংশেই এক। ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আফগানিস্তানের মরু পর্বতের রুক্ষ প্রকৃতিতে গড়ে ওঠা একজন পিতা এবং নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার একজন বাঙালি পিতার ভিতরের স্নেহপ্রবণ মনের ঐক্য সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন।

কাবুলিওয়ালা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১। “আমাকে পয়সা দিবেন না।”- কে, কেন এ কথা বলেছে?
উত্তর: রহমত মিনির বাবাকে এ কথাটি বলেছে। রহমত জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মিনির জন্য কিশমিশ, বাদাম নিয়ে মিনিকে দেখতে আসে। মিনির বাবা সেগুলোর দাম দিতে চাইলে রহমত তার হাত চেপে ধরে তাকে পয়সা দিতে নিষেধ করে। কারণ সে মিনিকে ভালোবেসেই এগুলো এনেছে, ব্যবসায় করতে নয়।

প্রশ্ন ২। কাবুলিওয়ালাকে জেলে যেতে হয়েছিল কেন?
উত্তর: মিনিদের এক প্রতিবেশীকে সাংঘাতিক আঘাত করার অপরাধে কাবুলিওয়ালাকে জেলে যেতে হয়েছিল এক লোক রহমতের কাছে সামান্য ঋণগ্রস্ত ছিল। কিন্তু সে তা অস্বীকার করে এবং এ নিয়ে রহমতের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রহমত তার গায়ে ছুরি বসিয়ে দেয়। এই অপরাধে কাবুলিওয়ালাকে জেলে যেতে হয়।

প্রশ্ন ৩। “আমি তো সওদা করতে আসি না।”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: রহমত মিনির বাবাকে এ কথাটি বলে। মিনিকে রহমত নিজ কন্যার মতোই স্নেহ করত। তাই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তাকে দেখতে আসার সময় তার জন্য কিছু বাদাম, কিশমিশ এনেছিল। মিনির বাবা সেগুলোর মূল্য দিতে গেলে রহমত তার হাত চেপে ধরে। বলে মিনির কাছে সে সওদা করতে আসে না, আসে স্নেহের টানে।

প্রশ্ন ৪। মিনি কাবুলিওয়ালাকে দেখে ভয় পেয়েছিল কেন?
উত্তর: কাবুলিওয়ালার অদ্ভুত সাজ-পোশাক দেখে মিনি ভয় পেয়েছিল। কাবুলিওয়ালার পরনে ময়লা ঢিলা কাপড়, মাথায় পাগড়ি, ঘাড়ে ঝুলি আর হাতে গোটা দুই-চার আঙুরের বাক্স। তার ঝুলিটার প্রতিই ছিল মিনির ভয়। তার মনের মধ্যে একটা অন্ধবিশ্বাস ছিল যে, কাবুলিওয়ালার সেই ঝুলির মধ্যে তার মতো দু-চারটা জীবিত মানবসন্তান আছে। তাদের মতো বুঝি কাবুলিওয়ালা তাকেও ধরে নিয়ে যাবে। তাই সে ভয় পেয়েছিল।

প্রশ্ন ৫। “প্রথম পরিচয়টা এমনি ভাবে গেল।”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মিনির সঙ্গে কাবুলিওয়ালার প্রথম পরিচয়ের ঘটনার কথা এখানে বলা হয়েছে। কাবুলিওয়ালাকে ডেকে আনলেও তার ঝুলি দেখেই মিনি দৌড়ে ঘরের ভেতর চলে যায়। মিনির বাবা মিনির অমূলক ভয় ভাঙিয়ে তাকে অন্তঃপুর থেকে ডেকে আনলেন। সে বাবার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে। কাবুলিওয়ালা তাকে বাদাম-কিশমিশ দিতে গেলে সে দ্বিগুণ সন্দেহে বাবার হাঁটুসংলগ্ন হয়ে থাকে। এই ভয় আর সন্দেহের মধ্য দিয়েই কাবুলিওয়ালার সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় ঘটে।

প্রশ্ন ৬। কাবুলিওয়ালা কীভাবে মিনির ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু অধিকার করে নিয়েছিল?
উত্তর: পেস্তা বাদাম ঘুষ দিয়ে কাবুলিওয়ালা মিনির ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু জয় করে নিয়েছিল। প্রথম পরিচয়ের দিন মিনি কাবুলিওয়ালাকে দেখে ভয় পেলেও ধীরে ধীরে তার ভয় কেটে যায়। ছোট্ট মিনির মন জয় করা খুব সহজ ছিল। সে সামান্য পেস্তা বাদাম পেয়েই খুশি। কাবুলিওয়ালা সামান্য পেস্তা বাদাম দিয়েই তার ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু অধিকার করে নিয়েছিল।

প্রশ্ন ৭। মিনির মা কাবুলিওয়ালার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে বলেছিলেন কেন?
উত্তর: মিনির মা কাবুলিওয়ালাকে বিশ্বাস করতে পারেননি বলে তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে বলেছিলেন। রাস্তার এক অপরিচিত কাবুলিওয়ালাকে বিশ্বাস না করাটাই স্বাভাবিক। মিনির মাও তাই তাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে পারেননি। তিনি সন্তানের জন্য শঙ্কিত ছিলেন। কাবুলিওয়ালা লোকটা মন্দও হতে পারে- এ কথা ডেবে তিনি মিনির বাবাকে বলেছিলেন তার ওপর বিশেষ দৃষ্টি রাখতে।

প্রশ্ন ৮। “সে যেন কিছু ক্ষুণ্ন হইল।”— কে, কেন? বুঝিয়ে বল।
উত্তর: মিনির সঙ্গে দেখা হবে না মিনির বাবা রহমতকে এ কথা বললে রহমত যেন কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়। জেল থেকে দীর্ঘদিন পর ছাড়া পেয়ে কাবুলিওয়ালা চলে আসে মিনিদের বাড়িতে মিনিকে দেখার জন্য। সেদিন মিনির বিয়ে, তাই মিনির বাবা চাইলেন না এই শুভ দিনে তার সঙ্গে মিনির দেখা হোক। তাই তিনি কাবুলিওয়ালাকে বলেছেন যে, আজ কারও সঙ্গে দেখা হবে না। এ কথা শুনে রহমত কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়।


🔆🔆 আরও দেখুন: কাবুলিওয়ালা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: কাবুলিওয়ালা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: কাবুলিওয়ালা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদের সাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।