৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ১ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ১ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজে নানা প্রয়োজনে আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলি। এক্ষেত্রে পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোন থেকে শুরু করে নিকট আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সমবয়সী, শিক্ষক, দোকানদার, অপরিচিত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। এই যোগাযোগের ধরন এক রকমের হয় না। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মর্যাদা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করে থাকি। যেমন- বাবা-মা, ভাই-বোন, নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলার সময় আমরা তুমি, তোমার, তোমাদের ইত্যাদি সর্বনাম ব্যবহার করি।

সমবয়সী বন্ধু, সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তুই, তোরা, তোদের ইত্যাদি সর্বনাম ব্যবহার করি। সম্মানিত ব্যক্তি, অপরিচিত ব্যক্তি, বয়সে বড়ো মানুষদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা সাধারণত আপনি, আপনার, আপনাদের, তাঁকে, তাঁর ইত্যাদি সর্বনাম ব্যবহার করি। মর্যাদা অনুযায়ী সর্বনামের যেমন পরিবর্তন হয়, ক্রিয়ারও তেমনই পরিবর্তন হয়। যেমন- তুই ভিতরে আয়। আপনি ভিতরে আসুন ইত্যাদি। পাশাপাশি যোগাযোগের উপায় হিসেবে রেডিও শুনে, বই পড়ে, ছবি ও সংকেত, হাতের ও চোখের ইশারা ব্যবহার করেও যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি।


৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ১ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। তুমি, আপনি, তুই, সে তিনি ও এগুলো কী শব্দ? এর প্রকারভেদ লেখো।

উত্তর: তুমি, আপনি, তুই, সে, তিনি, ও— এগুলো সর্বনাম শব্দ। সর্বনাম শব্দ নামের বদলে বসে। সর্বনাম মূলত তিন ধরনের:

১. সাধারণ সর্বনাম,
২. মানী সর্বনাম ও
৩. ঘনিষ্ঠ সর্বনাম।

তুমি বলা যায় ভাই-বোনকে, ঘনিষ্ঠজনকে, বাবা-মাকে, বন্ধুকে। এগুলো সাধারণ সর্বনাম। আপনি করে বলতে হয় শিক্ষককে, বয়সে বড়ো আত্মীয়-স্বজনকে, অপরিচিত লোককে। এগুলো মানী সর্বনাম। কারো সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠতা থাকলে অথবা কাউকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে তুই বলা হয়। এগুলো ঘনিষ্ঠ সর্বনাম। মূলত সর্বনাম অনুযায়ী ক্রিয়ার ব্যবহার হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ২। তুমি তোমার ছোটো ভাইকে পাশের দোকান থেকে একটি কলম কিনে আনতে বললে, তাকে কিছু উপদেশ দাও, যেন সে মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করতে পারে।

উত্তর : দোকানদারের সাথে মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগের জন্য ছোটো ভাইয়ের প্রতি আমার উপদেশ-

১. দোকানদারকে সালাম দেবে।
২. বিনয়ের সাথে জানতে চাইবে ‘কলম আছে কিনা?
৩. আদবের সাথে দাম জিজ্ঞেস করবে।
৪. দোকানে ভিড় থাকলে তাড়াহুড়া করে আগে কিনতে চাইবে না।
৫. দোকানদার কলম দিলে দাম পরিশোধ করবে।
৬. সালাম দিয়ে বিদায় নেবে।

প্রশ্ন ৩। তোমার একজন বন্ধু একজন রিকশাচালককে ‘তুমি’ বলে ডাক দিল। তুমি লক্ষ করলে রিকশাচালক মন খারাপ করে তোমাদের দিকে তাকাল। তিনি কেন মন খারাপ করলেন? এক্ষেত্রে তোমাদের করণীয় কী?

উত্তর : আমার বন্ধু রিকশাচালকের চেয়ে বয়সে অনেক ছোটো হয়েও তাকে ‘তুমি’ সম্বোধন করায় রিকশাচালক কষ্ট পেয়েছেন এবং আমাদের দিকে মন খারাপ করে তাকিয়েছেন। আমাদের উচিত কারও পেশাকে ছোটো করে না দেখে সকল পেশার মানুষকে সম্মান করা এবং মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করা। রিকশাচালক, মুচি, জেলে, দিনমজুর সবাইকে যথাযথ সম্মান দিয়ে ‘আপনি’ সম্বোধন করে যোগাযোগ করা।

প্রশ্ন ৪। তুমি বাইসাইকেলে কোথাও যাচ্ছিলে। রাস্তায় তোমার একজন শিক্ষকের সাথে দেখা হলো, যিনি হেঁটে আসছেন? এমতাবস্থায় তোমার করণীয় কী?

উত্তর: এমতাবস্থায় আমি নিরাপদে সাইকেল থামিয়ে সাইকেল থেকে নেমে যাব এবং স্যারকে সালাম দেব। স্যার কিছু জিজ্ঞাসা করলে আদবের সাথে জবাব দেব। সাইকেল থেকে নামলে যদি দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। যেমন— সামনে বা পেছন থেকে একটি গাড়ি আসছে, নিরাপদে নামা সম্ভব হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে স্যারকে সালাম দিয়ে চলে যাব। কোনো অবস্থাতেই আদবের খেলাফ হয় এমন আচরণ করব না।

প্রশ্ন ৫। ভাষিক যোগাযোগ কাকে বলে?

উত্তর : ভাষিক যোগাযোগ : ভাষিক যোগাযোগের প্রধান রূপ চারটি— শোনা, বলা, পড়া ও লেখা। এগুলোর মধ্যে বলা ও শোনার কাজে মুখ ও কানের ভূমিকা প্রধান। যন্ত্র থেকে তৈরি শব্দও আমরা কান দিয়ে শুনে থাকি। অন্যদিকে লেখা ও পড়ার কাজে হাত ও চোখ প্রধান ভূমিকা রাখে। যন্ত্রে লেখা শব্দও আমরা চোখ দিয়ে পড়তে পারি। কথা বলা, বই পড়া, ফোনে আলাপ করা ও বার্তা পাঠানো রেডিও- টেলিভিশন শোনা ও দেখা, কাগজে লেখা বা কম্পিউটারে টাইপ করা ইত্যাদি ভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ।

প্রশ্ন ৬। সবাই কি নিজেদের মা-বাবা, ভাইবোনকে তুমি ডেকে সম্বোধন করি, নাকি কেউ কেউ তুই বা আপনি ডেকেও সম্বোধন করি?

উত্তর: কেউ কেউ নিজের বাবা-মা ও ভাইবোনকে আপনি বলে সম্বোধন করে, কেউ তুমি করে বলে, কেউ তুই করেও বলে। এটি নির্ভর করে তার পরিবার ও সমাজে প্রচলিত অভ্যাস ও রীতিনীতির ওপর।

প্রশ্ন ৭। আমরা কি শুধু কথা বলেই মনের কথা প্রকাশ করি, নাকি অন্য কোনোভাবেও প্রকাশ করি? কী কী উপায়ে আমরা তা প্রকাশ করি?

উত্তর: আমরা শুধু মুখের ভাষার মাধ্যমেই মনের ভাব প্রকাশ করি না। বরং এর পাশাপাশি লেখা, ইশারা-ইঙ্গিত ও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি। আমাদের প্রাত্যহিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সম্মানজনক শারীরিক ভাষার ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ৮। কার সাথে আমরা কীভাবে কথা বলি অনুচ্ছেদ লিখে দেখাও।

উত্তর : তুমি/তোমরা: করিম সাহেব ক্লাসে প্রবেশ করেই আব্দুল্লাহকে বলতে শুরু করলেন। “জ্ঞানী হবি, তবে অহংকারী হবি না। ইবাদত কর, তবে লোকদেখানো ইবাদত করিস না। সদা সত্য কথা বলবি। কখনো মিথ্যা বলবি না।
উত্তর: করিম সাহেব ক্লাসে প্রবেশ করেই আব্দুল্লাহকে বলতে শুরু করলেন, “জ্ঞানী হও, তবে অংহকারী হয়ো না। ইবাদত করো, তবে লোকদেখানো ইবাদত করো না। সদা সত্য কথা বলো। কখনো মিথ্যা বলো না।

তুই/তোর: সোহান দুপুর বেলা প্রখর রৌদ্রে খেলে বাসায় ফিরলে তার বাবা তাকে বললেন- আপনি এই ভর দুপুরে কোথা থেকে এসেছেন। আপনি কি জানেন না, এই প্রখর রৌদ্রে খেললে আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে?
উত্তর: সোহান দুপুর বেলা প্রখর রৌদ্রে খেলে বাসায় ফিরলে তার বাবা তাকে বললেন— তুই এই ভর দুপুরে কোথা থেকে এসেছিস? তুই কি জানিস না, এই প্রখর রোদ্রে খেললে তোর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে।

ANSWER SHEET


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণির প্রশ্নোত্তর ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানেক্ট থাকতে পারেন।

About মেরাজুল ইসলাম

আমি মেরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাশাপাশি একজন ব্লগার। এডুকেশন এর প্রতি ভালোবাসাও অনলাইল শিক্ষার পরিসর বাড়ানোর জন্য এডুকেশন ব্লগের পথচলা। ব্লগিং এর পাশাপাশি আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কাস্টমাইজ সহ ওয়েব রিলেটেড সকল কাজ করি।

View all posts by মেরাজুল ইসলাম →