৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৮ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 

৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৮ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৮ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর: সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকা আটটি গ্রহ ও তাদের উপগ্রহগুলো নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত। পৃথিবী সৌরজগতের একটি গ্রহ। সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘুরে আসার কারণে রাত-দিন হয়, হয় ঋতুর পরিবর্তন। তেমনি চাঁদের পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার মাধ্যমে হয় অমাবস্যা, পূর্ণিমা।

৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৮ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন-১ রাতের আকাশে খালি চোখে রাকিব অসংখ্য উজ্জ্বল বস্তু দেখতে পায়। এগুলো কী?
উত্তর: রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া অসংখ্য উজ্জ্বল বস্তু হলো তারা বা নক্ষত্র।

প্রশ্ন-২. আমাদের নিকটতম নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘুরছে। মহাকাশের এই নক্ষত্রটির নাম কী?
উত্তর: আমাদের নিকটতম নক্ষত্রটির নাম সূর্য।

প্রশ্ন-৩. সূর্য আমাদের কাছে পরিচিত একটি নক্ষত্র। এরকম অনেকগুলো নক্ষত্র মিলে কী তৈরি হয়?
উত্তর: অনেকগুলো নক্ষত্র মিলে গ্যালাক্সি তৈরি হয়।

প্রশ্ন-৪. বিজ্ঞানীরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। বিভিন্ন প্রযুক্তির মধ্যে একটি প্রযুক্তির নাম লেখো।
উত্তর: মহাকাশ নিয়ে গবেষণার জন্য একটি প্রযুক্তি হলো দূরবীক্ষণ যন্ত্র ।

প্রশ্ন-৫. মহাকাশের গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যে মিল্কিওয়ে একটি গ্যালাক্সি। এরকম বিপুল সংখ্যক গ্যালাক্সি এবং এদের মধ্যবর্তী স্থান মিলে কী গঠিত হয়?
উত্তর: বিপুল সংখ্যক গ্যালাক্সি এবং এদের মধ্যবর্তী স্থান মিলে মহাবিশ্ব গঠিত হয়।

প্রশ্ন-৬. পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮৪,৪০০ কি. মি। আলো প্রতি সেকেন্ডে ৩,০০,০০০ কি. মি বেগে চললে চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আলো পৌছাতে কত সময় লাগে?
উত্তর: চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আলো পৌছাতে ১.৩ সেকেন্ড সময় লাগে।

প্রশ্ন-৭. দিনের বেলা কোনো বস্তু দেখতে সূর্যের আলো প্রয়োজন হয়। এই আলো পৃথিবীতে এসে পৌছাতে কত সময় লাগে?
উত্তর: সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌছাতে প্রায় ৮ মিনিট সময় লাগে।

প্রশ্ন-৮. আলোর গতিতে চললে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে যেতে একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করা লাগবে। এই সময়টি কত?
উত্তর : আলোর গতিতে চললে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে যেতে ১,৩০,০০০ বছর সময় লাগবে।

প্রশ্ন-৯. মিমি তার ছোট ভাইকে লাটিম ঘুরাতে দেখে বলল, সৌরজগতে সূর্যের চারদিকে আমাদের গ্রহটিও এই লাটিমের মতো ঘুরছে। এই গ্রহটির নাম কী?
উত্তর: এই গ্রহটির নাম পৃথিবী।

প্রশ্ন-১০. রাজন জানে পৃথিবীর একটি উপগ্রহ আছে। উপগ্রহটি কী নামে পরিচিত?
উত্তর: পৃথিবীর উপগ্রহটি চাঁদ নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-১১, নাসার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। এটি তাদের কী কাজে লাগবে?
উত্তর: নতুন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র তাদের মহাকাশ পর্যবেক্ষণের কাজে লাগবে।

প্রশ্ন-১২. পৃথিবী নিজ অক্ষে এবং সূর্যের চারদিকে অনবরত ঘুরছে। পৃথিবীর এ গতি কী কী?
উত্তর: পৃথিবীর গতি দুইটি যথা আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি।

প্রশ্ন-১৩. তুমি মহাকাশে কোনো বস্তু দেখতে চাও। এক্ষেত্রে তোমার কোন যন্ত্রটি দরকার হবে?
উত্তর: মহাকাশের কোনো বস্তু দেখতে আমার টেলিস্কোপ যন্ত্রটি দরকার হবে।

প্রশ্ন-১৪, নিজ অক্ষের উপর পৃথিবী লাটিমের মতো ঘূর্ণায়মান। এই গতিকে কী বলে?
উত্তর: নিজ অক্ষের উপর পৃথিবী যে গতিতে ঘূর্ণায়মান তাকে আহ্নিক গতি বলে।

প্রশ্ন-১৫. তোমার ছোট ভাইকে লাটিম ঘুরাতে দেখলে। এর সাথে তুমি পৃথিবীর ঘূর্ণনের কোন গতির মিল খুঁজে পাও?
উত্তর: এক্ষেত্রে আমি আহ্নিক গতির মিল খুঁজে পাই।

প্রশ্ন-১৬. পৃথিবীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার দিন ও একবার রাত হয়। এটি কেন হয়?
উত্তর: পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে দিন ও রাত হয়।

প্রশ্ন-১৭. অস্ট্রেলিয়ায় যখন দিন লন্ডনে তখন রাত। এই পার্থক্য কোন গতির ফলে ঘটে?
উত্তর: পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে দিন-রাতের পার্থক্য ঘটে। প্রশ্ন-১৮. পৃথিবীর যে দিকটা সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে সেই দিকটায় কী ঘটে? উত্তর: সেই দিকটায় দিন হয়।

প্রশ্ন-১৯. পৃথিবীর যে দিকটা সূর্যের বিপরীত দিকে মুখ করে থাকে সেই দিকটায় কী ঘটে?
উত্তর: সেই দিকটায় রাত হয়।

প্রশ্ন-২০. যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সে অংশে কোন ঋতু থাকে?
উত্তর: সে অংশে তখন গ্রীষ্ম ঋতু থাকে।

প্রশ্ন-২১. পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য বছরে আমরা বিভিন্ন ধরনের ঋতু দেখতে পাই। বাংলাদেশে এরকম ঋতুর সংখ্যা কয়টি?
উত্তর: বাংলাদেশে ঋতুর সংখ্যা ৬টি।

প্রশ্ন-২২. গ্রীষ্মকালে সূর্য আকাশের অপেক্ষাকৃত উঁচুতে অবস্থান করে উত্তর গোলার্ধে খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে কোনটি ঘটে?
উত্তর: গ্রীষ্মকালে সূর্য উত্তর গোলার্ধে খাড়াভাবে কিরণ দিলে সেখানে দিনের সময়কাল দীর্ঘ হয় এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন-২৩; মে থেকে জুন মাস বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল। এ সময় পৃথিবীর কোন গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে?
উত্তর: মে থেকে জুন মাসে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে।

প্রশ্ন-২৪. আমাদের দেশে মে থেকে জুন মাস গ্রীষ্মকাল। এ সময় উত্তর গোলার্ধে সূর্য কীভাবে কিরণ দেয়?
উত্তর: গ্রীষ্মকালে উত্তর গোলার্ধে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়।

প্রশ্ন-২৫. আমরা কখনও চাঁদের আলোকিত অংশ ‘সম্পূর্ণ গোলাকার দেখতে পাই আবার কখনও চাঁদের আলোকিত অংশ একেবারেই দেখতে পাই না। এ দুটি অবস্থাকে কী বলে?
উত্তর: চাঁদের এ দুটি অবস্থাকে যথাক্রমে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা বলে।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।