মাদার তেরেসা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন 

(PDF উত্তরসহ) মাদার তেরেসা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

মাদার তেরেসা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন: মাদার তেরেসা ছিলেন একজন অসাধারণ ও চিরস্মরণীয় মানবসেবী। তাঁর সেবার কাজ কোনো এক দেশ বা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না; বলা যায়, বিশ্বব্যাপী ছিল তাঁর মানবসেবার কার্যক্রম। আমাদের বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পৃথিবীজুড়েই তাঁর সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

যেখানে রোগ, দুঃখ, দারিদ্র্য, অসহায়ত্ব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সেখানেই ‘মাদার তেরেসা তাঁর সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেবার ব্রত নিয়েই তিনি সারাজীবন ব্যস্ত থেকেছেন। বাংলার মানুষের জন্য তাঁর বিশেষ দরদ ছিল বলে বহু সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তিনি বাঙালির জীবন থেকে দুঃখ-দুর্দশা দূর করে শান্তিতে ভরিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। শান্তির এ সাধককে সমস্ত পৃথিবী শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

নোবেল পুরস্কারের মতো বড় পুরস্কার দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানো হয়েছে। জীবনের যত পুরস্কার তিনি পেয়েছেন তাঁর সমস্ত অর্থই খরচ করেছেন মানবসেবার কাজে। মানুষকে ভালোবেসে তিনি নিজেও হয়েছেন মানুষের ভালোবাসার পাত্রী। ‘মাদার তেরেসা’ শুধু একটি নাম নয়, তিনি দুঃখী জনতার ভালোবাসার প্রতীক।


মাদার তেরেসা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। রহিমা খাতুন নিজের বাসগৃহে প্রতিবেশী নিরক্ষর মহিলাদের, অক্ষরজ্ঞান দিতে শুরু করেন। বেতন ছাড়াই তিনি এ কাজ করেন। ঈদের কেনাকাটা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে রহিমা সবচেয়ে গরিব ও লেখাপড়ায় আগ্রহী মহিলাকে পুরস্কার দেন। এতে উৎসাহী হয়ে শিক্ষার্থী বাড়তে থাকে। নিজের ছোট গণ্ডির মধ্যে দায়িত্ববোধ ও মানবসেবার লক্ষ্যে তিনি এই মহৎ কাজ চালিয়ে যান।

ক. সেবা কাজের জন্য মাদার তেরেসার প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ সম্মাননা কোনটি?
খ. মাদার তেরেসা গাউন ছেড়ে শাড়ি পরেছিলেন কেন?
গ. উদ্দীপকের রহিমা খাতুনের টাকা বাঁচানোর কাজটিতে মাদার তেরেসার যে ঘটনার প্রতিফলন ঘটেছে তা বর্ণনা দাও।
ঘ. “উদ্দীপকের রহিমা খাতুনের চেয়ে মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজের পরিধি ছিল ব্যাপক কিন্তু তাদের লক্ষ্য অভিন্ন।”— কথাটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. সেবা কাজের জন্য মাদার তেরেসার প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ সম্মাননা হলো নোবেল পুরষ্কার।

খ. বাংলার মানুষের প্রতি মাদার তেরেসার বিশেষ দরদ ছিল বলেই তিনি গাউন ছেড়ে বাঙালি নারীর পোশাক শাড়ি পরেছিলেন।

বাংলার মানুষের জন্য মাদার তেরেসার বিশেষ দরদ ছিল। বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা মোচন ও তাদের সেবায় কাজ করার জন্য তিনি মনে মনে তাগিদ অনুভব করছিলেন। তাই বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তিনি বাঙালির জীবনকে শান্তিতে ভরিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন। বাংলার মানুষের জন্য তাঁর এ বিশেষ দরদ থেকেই তিনি গাউন ছেড়ে বাঙালি নারীর পোশাক শাড়ি পরেছিলেন।

গ. উদ্দীপকের রহিমা খাতুনের টাকা বাঁচানোর কাজটিতে মাদার তেরেসা নোবেল পুরস্কারের অর্থ ক্ষুধার্ত মানুষকে দেওয়ার ঘটনার প্রতিফলন ঘটেছে।

মানুষের মহত্ত্ব আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাঁদের অনুসরণে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রসর হই। সমাজে নিগৃহীত মানুষের প্রতি সবাই সাহায্যের হাত বাড়াই।

‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধে মাদার তেরেসার মহত্ত্বের কথা বলা হয়েছে। সেবা কাজের সম্মাননাস্বরূপ প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থ তিনি দান করেছেন গরিব-দুঃখীদের সেবার জন্য। আর নোবেল পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে যে ভোজসভার আয়োজন করা হয়েছিল সেটা বাতিল করে ক্ষুধার্ত মানুষকে সেই অর্থ দেওয়া হয়। উদ্দীপকের রহিমা খাতুন তার নিজের ঈদের কেনাকাটা থেকে টাকা বাঁচিয়ে সবচেয়ে গরিব ও লেখাপড়ায় আগ্রহী মহিলাকে পুরস্কার দেন। উদ্দীপকের রহিমা খাতুনের টাকা বাঁচানো তাই মাদার তেরেসার ঘটনার প্রতিফলন মনে হয়।

ঘ. “উদ্দীপকের রহিমা খাতুনের চেয়ে মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজের পরিধি ছিল ব্যাপক কিন্তু তাদের লক্ষ্য অভিন্ন।” কথাটি যথার্থ হয়েছে।

ছোট ছোট উদ্যোগ থেকেই মানুষের কাজের পরিধি আরও ব্যাপক ও ‘বিস্তৃত হয়। মহৎ মানুষেরা কালে কালে দেশে দেশে এর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

উদ্দীপকের রহিমা খাতুন প্রতিবেশী নিরক্ষর মহিলাদের অক্ষরজ্ঞান দিতে শুরু করেন। বেতন ছাড়াই তিনি এ কাজ করেন। এছাড়া ঈদের কেনাকাটা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে গরিব ও লেখাপড়ায় আগ্রহী মহিলাদের পুরস্কার দেন। ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসা সেবার ব্রত নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁর সেবা কোনো দেশ বা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পৃথিবীজুড়েই তাঁর সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

উদ্দীপকের রহিমা খাতুনের চেয়ে মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজের পরিধি ব্যাপক হলেও উভয়ের লক্ষ্য ছিল অভিন্ন। অতএব বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

নিজে করো,

প্রশ্ন ২। আবদুল মজিদ মাস্টারের অর্থসম্পদ তেমন নেই। কিন্তু অন্যের উপকার করে তিনি খুব আনন্দ পান। এলাকার গরিবদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য মজিদ মাস্টার নিজে কিছু টাকা দিয়ে এবং অন্যদের সহযোগিতায় একটি ফান্ড গঠন করেন। এতে হতদরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে পড়াশোনার খরচ ও দাফন-কাফনের কাজও চলতে থাকে।

ক. শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য মাদার তেরেসা কর্তৃক স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটির নাম কী?
খ. “ধর্মের ফারাক, দেশের ভিন্নতা, জাতির পার্থক্য মাদার তেরেসা কখনও বিবেচনায় নেননি।”- কেন?
গ. উদ্দীপকের আবদুল মজিদ মাস্টারের মধ্যে মাদার তেরেসার কাজের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তার ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. ‘আবদুল মজিদ মাস্টার ও মাদার তেরেসার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করলে মানবজীবন শান্তিময় হয়ে উঠবে। এ বাক্যের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

প্রশ্ন ৩। চন্দ্রমশায়ের সর্বাঙ্গে কুণ্ঠব্যাধির নিষ্ঠুর আক্রমণ। নাক মোটা হইয়া ফুলিয়া বাঁকিয়া গিয়াছে; চোখের পাতা দুইটি কেমন ঝুলিয়া উলটাইয়া পড়িয়াছে, সে পাতার ভিতরের বিবর্ণ রক্তিমা সর্বদা ক্লেদসিক্ত, সমস্ত শরীর বন্ধুর ধারায় ফুলিয়াছে। সাদাকালো দাগে দেহচর্ম ছাইয়া গিয়াছে।… পদ্ম অসিয়া নিষ্ঠার সহিত স্বামীসেবা আরম্ভ করিল, সত্যই তাহার তুলনা হয় না।

ক. ‘প্রেমনিবাস’ কী?
খ. বাংলার মানুষের জন্য মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজ কী ছিল? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের পদ্মর সঙ্গে ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের কার সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের সামগ্রিক বিষয় প্রকাশ করে না— মন্তব্যটি কতটুকু যথার্থ?

প্রশ্ন ৪। বাংলাদেশ আজ মুক্ত। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। বুঝতে অসুবিধা হয় না, এই অর্জন খুব সহজে ঘটেনি। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা দেশমাতৃকাকে মুক্ত করেছি। বীরের পূত-পবিত্র রক্তস্রোত আর মাতার অশ্রুধারায় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের।

ক. মাদার তেরেসার মায়ের নাম কী?
খ. মাদার তেরেসা কেন বাংলা ভাষা রপ্ত করেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শহিদদের মাঝে ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসার কোন বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের ঘটনাটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হলেও পরোক্ষভাবে ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের দিকটিকেই উপস্থাপিত করেছে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৬। রোকেয়া বাঙালি মুসলমান মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য শুধু স্কুলই প্রতিষ্ঠা করেননি, ঘরে ঘরে গিয়ে মেয়েদেরকে স্কুলে জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন। এই কাজে তিনি ছিলেন নিরলস পরিশ্রমী কর্মী। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে নারীশিক্ষার অগ্রগতি সূচিত হয়। মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলোর দিকে এগোতে।

ক. মাদার তেরেসা কোথায় দাগ কেটে শিশুদের বর্ণমালা শেখাতেন?
খ. স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মাদার তেরেসা সেবার থাকে। আগ্রহ জাগাতেন কেন?
গ. উদ্দীপকের রোকেয়ার মাঝে ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রোকেয়া এবং মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসা উভয় মহীয়সী নারীই মানবতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৭। মানব সেবার ইতিহাসে ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল’ এক অনন্য নাম। ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা না ভেবে সারা জীবন তিনি অসুস্থ মানুষের সেবা করে ‘Lady with the lamp’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর এ নিঃস্বার্থ সেবাব্রতী তাঁকে অমর করে রেখেছে।

ক. মাদার তেরেসার পারিবারিক নাম কী?
খ. মাদার তেরেসা কীভাবে কুষ্ঠরোগীদের সেবা করতেন।
গ. উদ্দীপকের সেবাপরায়ণতার দিকটির সাথে ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. “মহৎ কাজ মানুষকে চিরদিন অমর করে রাখে”— উদ্দীপক ও ‘মাদার তেরেসা’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।