মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 

SSC: মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের মুসলমান লেখকদের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী অগ্রগণ্যদের একজন। তিনি মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবিক গুণাবলি বিশ্লেষণ করেছেন।

হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন মানুষ এবং মানুষের নবি। তাই মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় তিনি তারই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি বিপুল ঐশ্বর্য, অসীম ক্ষমতা লাভ, মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মধ্যে থেকেও একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে গেছেন।

ক্ষমা ও মহত্ত্ব, প্রেম ও দয়া তাঁর অজস্র চারিত্রিক গুণের মধ্যে প্রধান। তাঁর সারাজীবন মানবজাতির কল্যাণে নিয়োজিত ছিল। মানুষের শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে তিনি তাঁর জীবন রূপায়িত করে তুলেছিলেন।

তাঁর সাধনা, ত্যাগ, কল্যাণচিন্তা ছিল বিশ্বের সমগ্র মানুষের জন্য অনুকরণীয়। হযরত মুহম্মদ (স.)- এর মৃত্যুর পর তাঁর অনুসারীদের মধ্যে যে বেদনা ও হতাশা দেখা দিয়েছিল তা প্রশমন করার জন্য হযরত আবুবকর (রা) মহানবি (স.)-এর জীবনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে শোকাগ্রস্ত মানুষদের শান্ত করেন।

মানুষ হিসেবে হযরত মুহম্মদ (স.). বৈশিষ্ট্য আলোচনাই মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয়।


এসএসসি বাংলা ১ম পত্রের সকল গদ্য ও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সুভা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বইপড়া
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আম আঁটির ভেঁপু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ)
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: নিমগাছ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: প্রবাস বন্ধু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মমতাদি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সাহিত্যের রুপ ও রীতি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: একাত্তরের দিনগুলি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বঙ্গবানী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: কপোতাক্ষ নদ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: জীবন-সঙ্গীত
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: পল্লিজননী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: রানার
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আমার পরিচয়
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: স্বাধীনতা এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো


মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল ০১: হযরত আবুবকর (রা.) হযরতের মহান বাণী শুনিয়ে শোকে মর্মাহত বিহ্বলিত মুসলমানদের বুঝিয়ে দিলেন তিনিও মানুষ, তিনিও মৃত্যুর অধীন।

ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘স্থিতধী’ বলা হয়েছে কাকে?
খ. “কেহবা পাগলের মতো কাণ্ড শুরু করে”- কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধটির কোন সময় ও দিক নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ভাবার্থে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের মূলভাব প্রতিফলিত হয়নি— বিশ্লেষণ কর ।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত আবুবকর (রা.)-কে ‘স্থিতধী’ বলা হয়েছে।

খ। “কেহবা পাগলের মতো কাণ্ড শুরু করে”- হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর কথা শুনে।

হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যু সংবাদ যখন মদিনায় ছড়িয়ে পড়ে তখন সমগ্র মদিনায় যেন অন্ধকার নেমে আসে। সবাই এক রকম নীরব ও নিস্তব্ধ হয়ে যায়। আবার কেউ পাগলের মতো আচরণ করতে শুরু করে। প্রসঙ্গত হযরতের অসুস্থতার খবর শুনতে অনেক মানুষ একত্রে জমায়েত হয়েছিল। এমন সময় কেউ একজন তাঁর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে। মূলত হযরতের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পর সমবেত জনতার মনে এক মর্মান্তিক শোকাবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সময় তাঁর শোকে তাদের কেউ কেউ পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল। একথা বোঝাতে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করা হয়েছে।

গ। উদ্দীপকটি ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যু সংবাদ ও তৎপরবর্তী সময়কে নির্দেশ করেছে।

মানুষ মরণশীল। ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, মহাপুরুষ, উত্তম-অধম সব মানুষকেই মৃত্যুবরণ করতে হবে। এ সত্য জানা সত্ত্বেও ক্ষমতাবান ও উচ্চাভিলাষী মানুষ অনেক সময় সৃষ্টির এই অমোঘ বিধানকে তাচ্ছিল্য করতে চায় ।

উদ্দীপকে দেখা যায়, হযরত আবুবকর (রা.) হযরতের মহান বাণী শুনিয়ে শোকে মর্মাহত ও বিহ্বল মুসলমানদের বুঝিয়েছিলেন তিনিও মানুষ, তিনিও মৃত্যুর অধীন। একইভাবে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধেও হযরতের অসুস্থতার খবর শুনতে মদিনায় আসা জমায়েত লোকদেরকে শান্ত করেছিলেন। মহানবি (স.)-এর মৃত্যু হয়েছে। খবর শুনে হযরত ওমর (রা.) বলেন যে, যে বলবে হযরত মারা গেছেন তার মাথা যাবে। মৃত্যুর খবর শুনে সমবেত জনতাও অস্থির হয়ে ওঠে। তখন মদিনার সমবেত জনতাকে শান্ত করতে হযরত আবুবকর (রা.) বলেন, যারা হযরতের অনুসারী তারা জানুক তিনি মারা গেছেন। সেই সাথে তিনি আল্লাহর সুস্পষ্ট বাণীর কথা উল্লেখ করেন— মুহম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল ছাড়া আর কেউ নন, তাঁর পূর্বে অনেক রাসুল মারা গেছেন।

উদ্দীপকেও ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের হযরতের মৃত্যু ও তার পরবর্তী সময়ের দিকটি নির্দেশ করা হয়েছে। + সারকক্ষেত্রে মানুষ মুহআবু বকর (রা.)-এর দায়িত্বশীলু ব এবং দৃঢ়তা প্রকভূমিকা আছে।

ঘ। উদ্দীপকের ভাবার্থে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের মূলভাব প্রতিফলিত হয়নি— উক্তিটি যথার্থ। মহৎ মানুষের শারীরিক মৃত্যু হলেও কাজের মধ্য দিয়ে তাঁরা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন। তাঁদের আদর্শ, চেতনা, মূল্যবোধ মানুষকে যুগ যুগ ধরে প্রেরণা জোগায়, সত্যের পথে আহ্বান করে। এমনই একজন মহাপুরুষ ছিলেন মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)।

‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন, হযরতের মৃত্যু সংবাদ মদিনায় প্রচারিত হলে মদিনায় সমবেত জনতা তা মানতে পারেনি। এমনকি হযরত ওমর (রা.) আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এমন সময় সমবেত জনতার উদ্দেশে হযরত আবুবকর (রা.) বলেন, যারা রাসুলের অনুসারী তারা জানুক হযরত মারা গেছেন। আল্লাহর বাণী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মুহম্মদ (স.) একজন রাসুল মাত্র।

এরকম রাসুল আগেও এসেছেন এবং মারা গেছেন। তিনি বলেন, মুহম্মদ (স.) চলে গেছেন কিন্তু তিনি পৃথিবীতে যে সত্য রেখে গেছেন তা কি তোমরা মাথা পেতে নেবে না? এরপর ওমরসহ সমবেত জনতা শান্ত হয়। এ প্রবন্ধে লেখক মুহম্মদ (স.)-এর কর্মজীবন ও তাঁর নানা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নানা দিক তুলে ধরেছেন। মুহম্মদ (স.) চরিত্রের ত্যাগ, তিতিক্ষা, ক্ষমা, ইসলাম প্রচারসহ আরও নানা দিক এ প্রবন্ধে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি অত্যাচারিত হয়ে মদিনায় হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর কাফেরদের মাফ করে দেন— এসব এ প্রবন্ধে প্রতিফলিত হয়েছে।

কিন্তু উদ্দীপকে কেবল মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুর পর অশান্ত জনতাকে আবুবকর (রা) কীভাবে আল্লাহর বাণী শুনিয়ে শান্ত করেছেন সে কথাই উঠে এসেছে। . উদ্দীপক ও ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের তুলনায় দেখা যায়, উদ্দীপকে যে কয়টি বিষয়ের অবতারণা হয়েছে তা প্রবন্ধের খণ্ডাংশ মাত্র। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ভাবার্থে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মূলভাব প্রতিফলিত হয়নি।

সৃজনশীল ০২: সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকের ভয়াবহ ব্যবহার দেখে কলেজ পড়ুয়া তিন যুবক আরমান, শফিক ও জব্বার যুবসমাজকে এর হাত থেকে বাঁচাতে সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। কিছু ক্ষেত্রে তারা সফলতা পেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদেরকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি শারীরিক নির্যাতনসহ অপমানিতও হতে হয়। তবুও তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যত বাধাই আসুক এ আন্দোলন তারা চালিয়ে যাবেই।

ক. তায়েফের অবস্থান কোথায়?
খ. খাদিজা (রহ.)-এর হযরত মুহম্মদ (স) কে পছন্দ করার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধের কোন ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যুবকদের কর্মকাণ্ডে মুহম্মদ (স.) চরিত্রের মানবীয় গুণাবলির সকল দিক চিত্রিত হয়েছে কি? যৌক্তিক মতামত দাও।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। তায়েফের অবস্থান সৌদি আরবের দক্ষিণে।

খ। খাদিজা (রহ.)-এর হযরত মুহম্মদ (স.)-কে পছন্দ করার কারণ হযরত মুহম্মদ (স.)-এর সৎ গুণাবলি। হযরত মুহম্মদ (স.) জনমদুঃখী হয়েই এই বিশ্বসংসারে এসেছিলেন। তাঁর জীবনের সেই বেদনা তাঁর শারীরিক সৌন্দর্য ও চারিত্রিক গুণাবলির সঙ্গে মিশে তাঁকে সবার একান্ত প্রিয় করে তুলেছিল। হযরত মুহম্মদ (স.)-এর যোগ্যতা, বুদ্ধি, বিচারশক্তি, বিচক্ষণতা, মানুষের প্রতি প্রেম প্রভৃতি দেখে মানুষ মুগ্ধ হতো। তাঁর এসব গুণই বিবি খাদিজাকে আকৃষ্ট করেছিল।

গ। উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের তায়েফে সত্য প্রচার করতে গিয়ে শত্রু দ্বারা মহানবি (স.)-এর নির্যাতিত হওয়ার এবং পুনরায় দ্বিগুণ উৎসাহে সত্য প্রচারে ব্রতী হওয়ার ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে।

সততা, সহনশীলতা, ক্ষমাশীলতা মানুষের পরম গুণ। এসব গুণ মানুষকে মহৎ করে তোলে। মানুষ মিথ্যা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এসব গুণের সমাবেশ ঘটলেই মানুষ সত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। উদ্দীপকের কলেজ পড়ুয়া যুবকরা যুবসমাজকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে আন্দোলন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিছুটা সফলতা পেলেও তারা শারীরিক নির্যাতনসহ প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়। তবুও তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, মহানবি (স.) যখন তায়েফে সত্য প্রচার করতে যান তখন শত্রুর পাথরের আঘাতে তিনি অবসন্ন হয়ে পড়েন। রক্তে রক্তে তাঁর সমস্ত কাপড় ভিজে যায়। শরীর বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ে তবুও তিনি থেমে থাকেন না, দ্বিগুণ উৎসাহে চলতে থাকেন। কারণ সত্য প্রকাশে তিনি বদ্ধপরিকর। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের তায়েফে সত্য প্রচার করতে গিয়ে শত্রু দ্বারা মহানবি (স.)-এর নির্যাতিত হওয়ার ও পুনরায় দ্বিগুণ উৎসাহে সত্য প্রচারে ব্রতী হওয়ার ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ। না, উদ্দীপকে উল্লিখিত যুবকদের কর্মকাণ্ডে মুহম্মদ (স.) চরিত্রের মানবীয় গুণাবলির সব দিক চিত্রিত হয়নি।

মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। জন্মগ্রহণ করলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ তখনই মানুষ হয়ে ওঠে যখন সে মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করে এবং তার মধ্যে মানবীয় গুণাবলির বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

উদ্দীপকের তিন যুবক আরমান, শফিক ও জব্বার তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বেশকিছু মানবীয় গুণের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এই তিন যুবকের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, সহিষ্ণুতা, ক্ষমাশীলতা, উদারতা ইত্যাদি। অন্যদিকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স:)’ প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছে ক্ষমাশীলতা, মহত্ত্ব, প্রেম, সহিষ্ণুতা, দয়া, কল্যাণচিন্তা ও ত্যাগী মনোভাব, সত্যবাদিতা, বিশ্বস্ততা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং অসাধারণ বিচারশক্তি।

উদ্দীপকের যুবকরা কঠিন মনোবল, সহিষ্ণুতা ও ক্ষমাশীলতা দিয়ে চেয়েছেন সমাজ পরিবর্তন করতে। অন্যদিকে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর আদর্শ জীবন ও বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। যুবকদের কর্মকাণ্ডে মুহম্মদ (স.) চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে মাত্র। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত যুবকদের কর্মকাণ্ডে মুহম্মদ (স.) চরিত্রের মানবীয় গুণাবলির সব দিক চিত্রিত হয়নি।

নিজে করো,

সৃজনশীল ০৩: বৃদ্ধ রজব আলির বাড়ির চাকর শহিদুল। একদিন মনিবের টাকা চুরি করে সে ছেলেকে বিদেশে পাঠায়। রজব আলির মৃত্যুশয্যায় শহিদুল অনুতপ্ত হয়ে তাঁর নিকট সব কথা খুলে বললে রজব আলি শহিদুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেরেছ, এতেই আমি খুশি।

ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
খ. ‘মানুষের একজন হইয়াও তিনি দুর্লভ’— কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের রজব আলি চরিত্রে ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মহানবি (স.)-এর কোন গুণটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা গুণটির বাইরে মহানবি (স.)-এর আরও গুণের সমাবেশ পঠিত প্রবন্ধে রয়েছে। বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল ০৪: শত্রুর প্রলোভনে পড়ে ইমাম হাসান (রঃ)-কে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী জায়েদা বিষ প্রয়োগ করেন। মৃত্যুপথযাত্রী ইমাম হাসান (রঃ) বিষয়টি জানতে পেরেও তা গোপন রাখেন। তাঁর অনুজ বিষদাতার নাম জানতে চাইলে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান এবং ভবিষ্যতে জানতে পারলেও তাকে ক্ষমা করতে বলেন।

ক. ছাত্রজীবনে মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন?
খ. মানুষের একজন হইয়াও মুহম্মদ (স.) দুর্লভ’- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে ইমাম হাসান (রঃ)-এর চরিত্রে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর যে মহৎ গুণের প্রভাব পড়েছে তা ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের প্রতিফলিত গুণটি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর পরিপূর্ণ গুণের অংশবিশেষ।”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল ০৫: অর্ধ পৃথিবী করেছ শাসন ধুলার তখতে বসি খেজুর পাতার প্রাসাদ তোমার বারে বারে গেছে খসি সাইমুম ঝড়ে পড়েছে কুটির, তুমি পড়নি ক’ নুয়ে, ঊর্ধ্বের যারা পড়েছে তাহারা, তুমি ছিলে খাড়া ভূঁয়ে । শত প্রলোভন বিলাস বাসনা ঐশ্বর্যের মদ করেছে সালাম দূর হতে সব ছুঁইতে পারেনি পদ।

ক. ‘পুলকদীপ্তি’ অর্থ কী?
খ. মানুষের একজন হইয়াও হযরত মুহম্মদ (স) দুর্লভ কেন?
গ. ‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের চেয়ে মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধের ভাব অধিকতর গভীর ও ব্যাপক”- মন্তব্যটির সাথে তুমি কি একমত? যুক্তিসহ লেখ।

উত্তর পিডিএফ


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।