সেই ছেলেটি নাটিকার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

সেই ছেলেটি নাটিকার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

সেই ছেলেটি নাটিকার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর: নাট্যকার মামুনুর রশীদ রচিত ‘সেই ছেলেটি’ একটি নাটিকা। এ নাটিকাটিতে একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। একই সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে শিশুর প্রতি বড়দের মমত্ববোধ।

আরজু, সোমেন ও সাবু তিন বন্ধু একই বিদ্যালয়ে একই শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু বিদ্যালয়ে হেঁটে আসতে আরজুর খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে তার পা অবশ হয়ে আসে। বন্ধুদের সাথে সমান তালে চলতে পারে না। কখনো কখনো বসে পড়ে। বন্ধুরা আরজুর জন্য আস্তে আস্তে হাঁটে। তাতে বিদ্যালয়ে যেতে দেরি হয়ে যায় এবং ওরা শিক্ষকের কাছে বকুনি খায়।


সেই ছেলেটি নাটিকার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১। আরজু পথে বসে পড়ল কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অসুস্থতার কারণে আরজু স্কুলে যাওয়ার পথে বসে পড়ল। সোমেন, সাবু ও আরজু তিন বন্ধু গান গাইতে গাইতে স্কুলে যাচ্ছিল। বেশ তাড়াতাড়ি যাচ্ছে ওরা। হঠাৎ আরজু পথিমধ্যে থেমে যায়। কারণ আরজুর পায়ে ব্যথা। ছোটবেলায় কী একটা রোগ হয়ে ওর পা চিকন হয়ে যায়। বেশিক্ষণ হাঁটতে পারে না। হাঁটতে না পারায় স্কুলে যাওয়ার সময় তাই আরজু পথে বসে পড়ল।

প্রশ্ন ২। স্কুলে ফাঁকি দেওয়া খুব খারাপ কেন?
উত্তর: স্কুলে ফাঁকি দিলে ঠিকমতো পড়া হয় না। ফলে পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয় না এবং জীবনের উন্নতি হয় না। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নির্ধারিত পাঠটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিয়ে নির্দিষ্টভাবে অধ্যায়ভিত্তিক পাঠদান করেন। ছাত্রছাত্রীরা কোনো বিষয়ে বুঝতে না পারলে তাঁরা তা বুঝিয়ে দেন এবং সেই সঙ্গে নিজেদের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের করণীয় বিষয়ে উপদেশ ও আদেশ দেন। বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রী তা কখনই জানতে বা বুঝতে পারবে না। ফলে ঐ ছাত্র/ছাত্রীর শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যায় এবং সে পরীক্ষায় ভালো ফল লাভ করতে পারে না। তাই স্কুল ফাঁকি দেওয়া খুব খারাপ।

প্রশ্ন ৩। ‘পাখি, একটু নিচে নাম না। তোমার সাথে কথা কই।’- ব্যাখ্যা কর। অথবা, আরজু পাখির সঙ্গে কথা বলতে চাইল কেন?
উত্তর: আরজু স্কুলে যেতে না পেরে আমবাগানের পাশে বসে থেকে থেকে মনের কষ্টে পাখির সঙ্গে কথা বলতে চাইল । আরজু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অর্থাৎ প্রতিবন্ধী একটি ছেলে। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার পথে ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। স্যারদের বকুনির ভয়ে বন্ধুরা তাকে ছেড়ে স্কুলে চলে যায়। ফলে তাকে একাকী ওখানে বসে থাকতে হয়। আইসক্রিমওয়ালা, হাওয়াই মিঠাইওয়ালা, মিঠু চলে গেলে আরজু গাছের ডালে বসা পাখির সঙ্গে কথা বলতে যায়। আরজু পাখির ডানায় ভর করে স্কুলে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করে। বলে, ‘পাখি, একটু নিচে নাম না! তোমার সাথে কথা কই।’

প্রশ্ন ৪। ‘দেখি তোমার চিকিৎসার জন্য আমরা কী করতে পারি। ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রশ্নোক্ত কথাটির মধ্য দিয়ে আরজুর প্রতি লতিফ স্যারের সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। নাট্যকার মামুনুর রশীদের ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রতি স্নেহপ্রবণ দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। আরজু শারীরিক সমস্যার কারণে সময়মতো স্কুলে উপস্থিত হতে পারে না। পথেও ভোগান্তির শিকার হয়। একদিন ওর অনুপস্থিতিতে লতিফ স্যার খোঁজ নিয়ে আরজুর অসুস্থতার কথা জানতে পারেন। এরপর ওর সুগ্ধতার আশ্বাস দিয়ে বললেন, ‘দেখি তোমার চিকিৎসার জন্য আমরা কী করতে পারি।’

প্রশ্ন ৫। “মেঘ আমায় নিয়ে যাও না।” কোথায় যাওয়ার জন্য আরজুর এই আকুতি? বর্ণনা কর।
উত্তর: স্কুলে যাওয়ার জন্য আরজুর এ আকুতি। আরজুর পায়ে সমস্যা তাই সে দ্রুত হাঁটতে পারে না। এদিকে প্রতিদিন স্কুলে যেতে দেরি হয় বলে বকা খেতে হয় আরজুর বন্ধুদের। তাই আরজুর বন্ধুরা তাকে ফেলে স্কুলে চলে যায়। আরজু আমবাগানে বসে থাকে। সে তখন, মেঘকে বলে তাকে স্কুলে পৌছে দেওয়ার কথা। সে মেঘের কোলে বসে স্কুলে যেতে চায়।

প্রশ্ন ৬। আরজুর পায়ে ব্যথার কারণ কী? বর্ণনা কর।
উত্তর: পা সরু হয়ে যাওয়ার কারণে হাঁটতে গেলে আরজুর পা এখন ব্যথা করে। আরজুর পায়ের ব্যথার কারণ হচ্ছে ছোটবেলায় ভীষণ অসুখে পড়ে তার পা সরু হয়ে যায়। তাই বেশি হাঁটলে তার পা অবশ হয়ে আসে। অর্থাৎ আরজুর পায়ে ব্যথার কারণ হলো তার ছোটবেলার অসুস্থতা।


🔆🔆 আরও দেখুন: সেই ছেলেটি নাটিকার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: সেই ছেলেটি নাটিকার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: সেই ছেলেটি নাটিকার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদের সাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।