আবেদনপত্র লেখার নিয়ম

আবেদনপত্র লেখার নিয়ম – আবেদন পত্রের নমুনা

আবেদনপত্র লেখার নিয়ম: আবেদনপত্র বা দরখাস্ত শব্দের সাথে পরিচিত নয় এমন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুব কম। প্রথম শ্রেণি থেকে ছাত্র ছাত্রীরা আবেদনপত্র বা দরখাস্ত লেখা শুরু করে। বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদনপত্র, ছুটির জন্য আবেদন পত্র, জরিমানা মওকুফ এর জন্য আবেদন পত্র ইত্যাদি।

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? পিডিএফ মেলার আজকের আর্টিকেলে আবেদনপত্র লেখার নিয়ম, আবেদন পত্রের নমুনা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু আবেদন পত্র শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

আবেদনপত্র বা দরখাস্ত কি? বা কাকে বলে?

কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্তির জন্যে বা ছুটি, বদলি, সাহায্য চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যে আনুষ্ঠানিক পত্র লেখা হয়, তাকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলে। আবেদনপত্র শুদ্ধ, সুলিখিত এবং তথ্য সংবলিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। অসম্পূর্ণ এবং ভাষাগত ত্রুটিময় আবেদনপত্র অনেক সময় মূল উদ্দেশ্যের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

পক্ষান্তরে সুন্দর, নির্ভুল, সুলিখিত দরখাস্ত প্রার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা, শিক্ষা ও রুচি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের অনুকূল দৃষ্টি লাভে ও উচ্চ ধারণা পোষণে সাহায্য করে। তাই যে-কোনো আবেদনপত্র বা দরখাস্তে প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকা দরকার।

আবেদনপত্র লেখার নিয়ম

আবেদন পত্র লেখার অনেক নিয়ম রয়েছে, তবে আবেদন পত্র লেখার সময় নিম্নলিখিত দিকগুলোর প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে:

১. প্রাপকের নাম-ঠিকানা: প্রাপকের অংশে নিয়োগকর্তার নাম, পদ বা নিয়োগকারী সংস্থার নামের বানান সঠিক এবং ঠিকানা নির্ভুল হতে হবে। অনেক সময় ঝামেলা এড়াতে বা গোপনীয়তা রক্ষা করতে পোস্টবক্স কিংবা কোনো পত্রিকার মাধ্যমে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়।
যেমন:
বিজ্ঞাপন দাতা
পোস্ট বক্স নং ০৬৫
প্রযত্নে: দৈনিক ইত্তেফাক ঢাকা।

২. বিষয়: এ অংশে কাঙ্ক্ষিত বিষয় বা পদের কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। আবেদনের মূল বিষয়টি যেন কর্তৃপক্ষ সহজে অনুধাবন করতে পারে সে জন্য সরল ভাষায় তার উল্লেখ প্রয়োজন।
৩. সম্বোধন : আনুষ্ঠানিক সম্বোধন হবে : মহোদয়, মহাত্মন ইত্যাদি।

৪. আবেদনের সূত্র: সাধারণত পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চাকরির নিয়োগের কথা জানা যায়। তাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখসহ সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে অথবা বিশ্বস্ত সূত্রের কথা জানিয়ে আবেদনপত্রের বক্তব্য শুরু করতে হয়।

৫. আবশ্যিক তথ্য: আবেদনপত্রে আবেদনকারীর পূর্ণ নাম, বাবা-মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, জন্মতারিখ, নাগরিকত্ব, শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ ইত্যাদি যথাযথভাবে সন্নিবেশ করতে হবে।

৬. অতিরিক্ত তথ্য: কোনো উচ্চতর ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ কোর্স বা সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তাও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন।

৭. সংযুক্তি: দরখাস্তের শেষে আবেদনে বর্ণিত তথ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে যা কিছু সংযুক্ত করা হয়, যেমন: বিভিন্ন পরীক্ষা পাসের সনদ, প্রাপ্ত নম্বরপত্র, প্রশংসাপত্র, নাগরিকত্বের সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, সত্যায়িত করা ছবি ইত্যাদির উল্লেখ করতে হয়। কী কী প্রামাণ্য কাগজ দেওয়া হলো, তা ক্রমানুসারে উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়।

৮. মার্জিন: আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় মার্জিন থাকতে হয়। পৃষ্ঠার উপরে এবং বামে প্রয়োজনীয় মার্জিন রেখে দরখাস্ত লিখতে হবে।

আবেদন পত্রের নমুনা

১. ‘প্রশংসাপত্র’ চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত।

২৩ জুন, ২০২০
প্রধান শিক্ষক
রংপুর জিলা স্কুল
রংপুর।

বিষয়: প্রশংসাপত্রের জন্য আবেদন।

জনাব, সবিনয়ে নিবেদন এই যে, আমি আপনার স্কুলের একজন নিয়মিত ছাত্রী। ২০২০ সালে দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় আমি জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। স্কুলে গত পাঁচ বছর অধ্যয়নকালে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আমি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। কোনো আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। আমি কলেজে উচ্চ-মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক। তাই আপনার স্বাক্ষরিত একটি প্রশংসাপত্র অত্যন্ত প্রয়োজন।

অতএব অনুগ্রহপূর্বক আমাকে চারিত্রিক ও শিক্ষাবিষয়ক প্রশংসাপত্র প্রদান করে বাধিত করবেন।

বিনীত
আপনার একান্ত অনুগত
মেরাজুল ইসলাম
ক্লাস রোল: ০৭
বিজ্ঞান শাখা
রংপুর জিলা স্কুল


🔰🔰 আরও দেখুন: চারিত্রিক সনদপত্র লেখার নিয়ম (Word+PDF ফাইল)


২. ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন পত্র।

২৩ জুন, ২০২০
প্রধান শিক্ষক
রংপুর জিলা স্কুল
রংপুর।

বিষয়: ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন।

মহোদয়, আমি আপনার স্কুলের নবম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। পাঁচ বছর যাবৎ আমি এ স্কুলে পড়ালেখা করছি। গত বার্ষিক পরীক্ষায়ও আমি প্রথম স্থান অধিকার করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি আর্থিক অনটনে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমার বাবা একজন কৃষক। গত কয়েক মাস যাবৎ তিনি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে শয্যাশায়ী। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ দরকার। এ বিপদে সাহায্য করবে এরকম আত্মীয়স্বজনও তেমন নেই। ভাইবোনের লেখাপড়া, ভরণপোষণ, বাবার চিকিৎসার ব্যয়, সব মিলিয়ে আমাদের পরিবারের অবস্থা বিপন্ন। তাই নিরুপায় হয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। পারিবারিক দুরবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ এবং ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক কিছু সাহায্য প্রদান করলে বিশেষভাবে উপকৃত হব। না হয় আমার পড়ালেখা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে আমার জীবনে নেমে আসবে গভীর অন্ধকার।

অতএব বিনীত প্রার্থনা, আমাকে বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে এককালীন কিছু অর্থ অনুদানের ব্যবস্থা করে বাধিত করবেন।

বিনীত
আপনার একান্ত অনুগত
মেরাজুল ইসলাম
ক্লাস রোল: ০৭
নবম শ্রেণি
বিজ্ঞান শাখা
রংপুর জিলা স্কুল

৩. স্কুলের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধান শিক্ষকের সমীপে দরখাস্ত।

২৩ জুন, ২০২০
প্রধান শিক্ষক
রংপুর জিলা স্কুল
রংপুর।

বিষয়: স্কুলের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের আবেদন।

মহোদয়, বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের অনাবাসিক ছাত্রছাত্রী। প্রতিদিন আমরা অনেক দূরদূরান্ত থেকে স্কুলে আসি। নানা কারণে অনেকের পক্ষে প্রতিদিন টিফিন আনা সম্ভব হয় না। স্কুলের টিফিন পিরিয়ডের স্বল্পতম সময়ে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে টিফিন কিনে আনা ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভেতরে একটা ক্যান্টিন স্থাপন করা হলে ছাত্রছাত্রীদের এ সমস্যা নিরসন হতে পারে।

অতএব মহোদয়ের কাছে প্রার্থনা যে, ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে স্কুল ক্যাম্পাসে একটি ক্যান্টিন স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা বিশেষভাবে বাধিত হব।

বিনীত
আপনার একান্ত অনুগত
মেরাজুল ইসলাম
ক্লাস রোল: ০৭
নবম শ্রেণি
বিজ্ঞান শাখা
রংপুর জিলা স্কুল

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদের জন্য আবেদনপত্র।

তারিখ: ২৪.৭.২০১৯
মাননীয় মহাপরিচালক
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
মিরপুর, ঢাকা।

বিষয় : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন।

মহোদয়, সবিনয়ে নিবেদন এই যে, গত ১৬ই জুন ২০১৯ তারিখে দৈনিক ‘জনকণ্ঠ’ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করছি। নিম্নে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ করা হলো:

১. নাম: ফাল্গুনী আহমেদ দীপিকা
২. পিতার নাম: কাজী শামসুদ্দিন আহমেদ
৩. মাতার নাম: বেগম হাফিজা সুলতানা
৪. স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা: ফজলুল হক মুন্সী বাড়ি, গ্রাম: ডুমুরখালি, পোস্ট : ঝিকরগাছা, জেলা: যশোর।
৫. জন্ম তারিখ: ২৮শে মে, ১৯৯২
৬. জাতীয়তা: বাংলাদেশি
৭. ধর্ম: ইসলাম
৮. শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ: ছক করে দিবেন

অতএব, উপর্যুক্ত তথ্যাবলির আলোকে অনুগ্রহপূর্বক আমাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করলে বাধিত হব।

বিনীত নিবেদক
ফাল্গুনী আহমেদ দীপিকা

সংযুক্তি:
১. সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি- ৩ কপি
২. নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ- ২ কপি
৩. সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজ ছবি- ৩ কপি।

৫. শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করে বিদ্যালয়ের প্রধানের কাছে আবেদনপত্র।

২৩ জুন, ২০২০
প্রধান শিক্ষক
রংপুর জিলা স্কুল
রংপুর।

বিষয় : শিক্ষাসফরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় অর্থ ও অনুমতির জন্য আবেদন।

মহাত্মন, বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা শিক্ষাসফরে যেতে আগ্রহী। শ্রেণিকক্ষের সীমাবদ্ধ পাঠ্যসূচির বাইরে ব্যবহারিক জীবনের জ্ঞান অর্জনের জন্য এই শিক্ষাসফর সহায়ক হবে বলে মনে করি। আমরা ইতিহাসখ্যাত কুমিল্লার ময়নামতি যেতে চাই। ময়নামতি সম্পর্কে আমরা পাঠ্যবইতে অনেক পড়েছি, বাস্তবে তা প্রত্যক্ষ করে আমাদের জানার পরিধি আরো বাড়াতে চাই।

অতএব মহাত্মনের নিকট আমাদের বিনীত নিবেদন, আমাদের শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।

বিনীত—
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে,
নিরু চাকমা মনিকা মারমা ও সাদিয়া

৬. আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন।

তারিখ : ১১.০১.২০১৯
মাননীয়
পৌরসভা চেয়ারম্যান
ফুলবাড়িয়া পৌরসভা
ময়মনসিংহ।

বিষয়: আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের আবেদন।

জনাব, সবিনয়ে নিবেদন এই যে, আমরা ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের অধিবাসী। এই এলাকা খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। কয়েকটি গার্মেন্টস, পৌর-বাণিজ্যবিতানসহ বেশ কয়েকটি কারখানা থাকায় এই এলাকা ফুলবাড়িয়া পৌরসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জরিপ চালিয়ে এলাকার অধিকাংশ চাপাকলের পানিতে ভয়াবহ আর্সেনিকের দূষণ আছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন। আর্সেনিকযুক্ত চাপাকলগুলোতে লাল রং দিয়ে শনাক্ত করে এগুলোর পানি পান না করার জন্য এলাকার মানুষদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তবু অজ্ঞতাবশত অনেক মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। এলাকায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র অভাব বিরাজ করছে। তাই অতিসত্বর আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ করা দরকার।

অতএব মহোদয়ের সমীপে বিনীত আবেদন, আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করবেন। এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয়। তাই জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ।

বিনীত-
ফুলবাড়িয়া পৌরবাসীর পক্ষে,
মো. সোহরাব পাশা
ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।

৭. কর্মস্থলে / অফিসে / স্কুলে / কলেজে উপস্থিত হতে না পারায় তিন দিনের নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave) প্রার্থনা করে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদনপত্র লেখ।

তারিখ : ১৩ আগস্ট,
২০০৮ বরাবর
অধ্যক্ষ,
সরকারি কলেজ,
যশোর।

বিষয়: নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন।

মহোদয়, বিনীত নিবেদন এই যে, ব্যক্তিগত বিশেষ প্রয়োজনে আমি বিগত ১০/০৮/২০০৬ থেকে ১২/০৮/২০০৬ পর্যন্ত কর্মবলে হাজির হতে পারি নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে উক্ত তিনদিনের নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।

বিনীত
“খ”
হিসাবরক্ষক

৮. বিনা বেতনে পড়ার অনুমতি চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে একখানি আবেদন পত্র লেখ।

তারিখ: ১০ জুন, ২০১০
বরাবর অধ্যক্ষ,
…..কলেজ,
বরিশাল।

বিষয়: বিনাবেতনে পড়ার জন্যে আবেদন।

মহোদয়, বিনীত নিবেদন এই যে, উল্লিখিত বিষয়ে সহানুভূতিশীল বিবেচনার জন্যে আমি নিম্নলিখিত বক্তব্যের প্রতি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

১. আমার বাবা একজন স্বল্প বেতনভোগী সরকারি কর্মকর্তা। আমাদের চার ভাইবোনের লেখাপড়া চালানো আমার বাবার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। কেননা তাঁর মাসিক বেতন মাত্র ৪৫০০/- টাকা।
২. আমি বিগত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এ-গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছি।
৩. আমি ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকি এবং সবকটি শ্রেণিপরীক্ষায় সর্বাধিক নম্বর অর্জন করেছি।

অতএব এ-অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ দান করে আমার জীবন গঠনে সহায়তা করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিনীত
আপনার অনুগত ছাত্র
“ক”
একাদশ শ্রেণি,
বিজ্ঞান শাখা,
রোল নং ০৯
….কলেজ, বরিশাল।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। এছাড়াও নিত্য নতুন প্রশ্নের উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।