আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন 

(PDF উত্তরসহ) আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন: এক সময় আকাশকে মানুষের মাথার উপরে বিশাল একটি ঢাকনা বলে মনে করা হতো। আসলে আকাশ কোনো ঢাকনা নয়। এ হচ্ছে বায়ুর বিশাল স্তর। এখানে প্রায় বিশটি বর্ণহীন গ্যাস মিশে আছে। বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন গ্যাসের অণু ছড়িয়ে আছে বলে আকাশ নীল দেখায়।

সকাল বা সন্ধ্যায় মেঘ ও বাতাসের ধুলোকণার মধ্যে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে পারে শুধু সূর্যের লাল আলো। তাই এ সময় মেঘ লাল দেখায়। ঘন বৃষ্টি ও মেঘে ছেয়ে ফেললে আকাশ দেখায় কালো। শূন্যে মহাকাশযান পাঠিয়ে বিজ্ঞানীরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।

পৃথিবীর অন্তত কয়েকশ মাইল উপর দিয়ে পাঠানো মহাকাশযান থেকে প্রেরিত অসংখ্য ফটো বা ভিডিও থেকে মানুষ আবহাওয়ার খবর পাচ্ছে। একই কারণে টেলিভিশন, ফোন, মোবাইল ফোন ইত্যাদিতে সংকেত পাঠিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত করা সম্ভব হয়েছে।


আকাশ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল ০১: আগেকার দিনে মানুষ জানত না যে, গাছেরও প্রাণ আছে। বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা করে প্রমাণ করেন যে, গাছের প্রাণ আছে। তিনি দেখিয়েছেন যে, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের মাঝে অনেক মিল বিদ্যমান। তার আবিষ্কারের মধ্যে গাছ বেড়ে ওঠা মাপার যন্ত্র ক্রেস্কোগ্রাফ এবং গাছের দেহের উত্তেজনার বেগ মাপার সমতল তরুলিপি যন্ত্র অন্যতম।

ক. ছোট মাপের ঢেউগুলোকে আমরা কী হিসেবে দেখি?
খ. দূরদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রতিনিধিত্ব করছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক উভয়েই সত্য উদ্ঘাটনের ক্ষেত্রে যৌক্তিক প্রমাণ উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্লেষণ কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ছোট মাপের ঢেউগুলোকে আমরা নীল রং হিসেবে দেখতে পাই।

খ. মহাকাশ যান ও উপগ্রহ থেকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন তথ্য ও সংকেত; তাই দূরদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে।

আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞান অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। আগেকার দিনে মানুষের কাছে যা ছিল কল্পনাতীত, বিজ্ঞান আজ তা বাস্তবে পরিণত করছে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে যোগাযোগ করতে আগের দিনে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় হতো, কিন্তু বর্তমানে এটা মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার। আর এই বিষয়টি সম্ভব হয়েছে মহাকাশ যান থেকে পাঠানো তথ্য ও উপগ্রহের সংকেতের মাধ্যমে।

গ. উদ্দীপকের বিজ্ঞানমনস্কতার দিকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রতিনিধিত্ব করছে ।

আগেকার দিনে মানুষ কুসংস্কার ও নানান ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে থাকত। কিন্তু ক্রমে বিজ্ঞানের উন্নতি হওয়ায় মানুষ ভুল ও সঠিকের পার্থক্যটা বুঝতে শিখেছে। যার ফলে সমাজ ক্রমশই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

উদ্দীপকে গাছের প্রাণ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আগেকার দিনের মানুষের গাছ সম্পর্কে যে ভ্রান্ত ধারণা ছিল তা দূর হয়ে গেছে। বিজ্ঞানের কল্যাণে জগদীশচন্দ্র বসু প্রমাণ করতে পেরেছেন গছেরও প্রাণ রয়েছে। উদ্দীপকে বিজ্ঞানমনস্কতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। ‘আকাশ’ প্রবন্ধেও দেখা যায় আকাশ সম্পর্ক আগে মানুষের নানা রকমের ভুল ধারণা ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বৈজ্ঞানিকভাবে আকাশ সম্পর্কে মানুষের সেই ভুল ধারণা দূর করা সম্ভব হয়েছে। প্রবন্ধেও ফুটে উঠেছে বিজ্ঞানের প্রসার। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের বিজ্ঞানমনস্কতার দিকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রতিনিধিত্ব করছে।

ঘ. বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক উভয়েই সত্য উদ্ঘাটনের ক্ষেত্রে যৌক্তিক প্রমাণ উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছেন।– মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল ০১: মানুষ অনেক সময়ই নিজের অনুমান থেকে অনেক রকমের ভুল ধারণা করে থাকে। তাই কোনোকিছু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না হওয়া পর্যন্ত তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। জেনে-বুঝে তবেই মন্তব্য করা উচতি।

উদ্দীপকে বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর গাছের প্রাণ আবিষ্কারের বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষের ধারণা ভুল প্রমাণিত করতে পেরেছেন। তিনি গাছের বেড়ে ওঠা মাপার যন্ত্র এবং গাছের দেহের উত্তেজনার বেগ মাপার সমতল তরুলিপি যন্ত্র আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে তাঁর চিন্তার যৌক্তিকতা দেখিয়েছেন। ‘আকাশ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে আকাশের নানান উপাদানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আসলে আকাশ পৃথিবীর উপরকার কোনো ঢাকনা নয়। বরং তা নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড এমন সব গ্যাসের মিশেলে তৈরি একটি ফাঁকা জায়গা। যার ফলে আকাশ সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত ধারণাগুলো বদলানো সম্ভব হয়েছে।

উদ্দীপকে বিজ্ঞানের যৌক্তিকতা দিয়ে গাছের প্রাণের অস্তিত্বের কথা উঠে এসেছে। ‘আকাশ’ প্রবন্ধে আকাশের উপাদান, আকাশ কেন বিভিন্ন রং ধারণ করে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞানের আলোকে। উদ্দীপকে যেমন গাছ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব হয়েছে, তেমনই আলোচ্য প্রবন্ধে আকাশ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করা সম্ভব হয়েছে। তাই বলা যায়, বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক উভয়ই সত্য উদ্ঘাটনের ক্ষেত্রে যৌক্তিক প্রমাণ উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছেন।

নিজে করো,

সৃজনশীল ০২: ২০১৬ সালে নাসার একটি মহাকাশযান বৃহস্পতি গ্রহে পৌছায়। গ্রহটির অসাধারণ কিছু ছবি পৃথিবীতে ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে সেটি। নাসা এই অভিযানে বেশ কিছু বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কার করতে পেরেছে।

ক. আকাশ সচরাচর কেমন?
খ. সন্ধ্যায় আকাশে লাল আলোর বন্যা নামে কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে নির্দেশ করে?
ঘ. উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের খণ্ডাংশমাত্র- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

সৃজনশীল ০৩: গ্রামের বিস্তৃত কালো মাঠে দাঁড়িয়ে কখনো কি তাকিয়ে দেখেছ ওই সুদূর আকাশ পানে? আকাশের এ মাথা থেকে ওমাথা গুচ্ছ গুচ্ছ আলোর এক স্বর্গীয় পথ যেন। পৌরাণিক কাহিনিতে আছে গ্রিক দেবতা জিউস যখন তাঁর মানবসন্তান হারকিউলিসকে নম্বর পৃথিবী থেকে স্বর্গীয় মহলে নিয়ে আসেন তখন বাচ্চা হারকিউলিসকে দুধ খাওয়ানোর জন্য তিনি তাকে ঘুমন্ত দেবী হেরার বুকের কাছে রেখে যান। এ দিকে সকালে ঘুম থেকে উঠে হৈরা যখন দেখল তাঁর বুকের দুধ পান করছে অন্য একটা অপরিচিত শিশু, তখন সে শিশুটিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার ফলে দুধের কিছু অংশ ছড়িয়ে পড়ে আকাশে এবং সৃষ্টি হয় এই দুগ্ধরূপী শুভ্রপথের। এ জন্যই এর নাম রাখা হয় মিল্কিওয়ে।

ক. পৃথিবীর উপরের অংশকে কী বলে?
খ. পৃথিবী থেকে আকাশকে নীল দেখায় কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়টি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের মূলভাব ধারণ করে না।”— মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

সৃজনশীল ০৪: মহাশূন্য সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষের কৌতূহলের বিষয়। প্রত্যেক সভ্যতা ও মানুষ সবসময় মহাকাশকে কৌতূহলের দৃষ্টিতে দেখেছে। প্রাচীন সভ্যতাসমূহ ও মানুষেরা মহাশূন্যের ব্যাপারে নানা কাল্পনিক ব্যাখ্যা দিত। যথা : হাতির উপর উল্টানো’ থালা, বিশাল চাদর, পবিত্র আত্মা ও দেবতাদের বাসস্থান ইত্যাদি। প্রাচীন গ্রিক, রোমান, মিশরীয়, বেবিলনীয়, ভারতীয়, চীনা, মায়া ইত্যাদি সভ্যতা মহাশূন্যকে ভিন্ন ভিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। কিন্তু সব সভ্যতাই মহাকাশকে বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে কম-বেশি গ্রহণ করেছিল।

ক. মহাকাশযান থেকে দিন-রাত কিসের ছবি তোলা হচ্ছে?
খ. আকাশ কেন নীল দেখায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি উঠে এসেছে?
ঘ. “উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের একটি ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে মাত্র, সামগ্রিকতা নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ০৫: পরাশর ডাক্তার বলতে লাগলেন, ‘গাধাও তোমার চেয়ে বুদ্ধিমান।….. ইলেকট্রিক শক খেয়ে বুঝতে পারো না কীসে শক লাগল, তুমি কোনদেশি ছেলে? আমি তো শক খাওয়া মাত্র টের পেয়ে গিয়েছিলাম তোমার মামার ছবিতে কোন প্রেতাত্মা ভর করেছেন।’ নগেন উদ্ভ্রান্তের মতো বলল, ….. ‘মামার শ্রাদ্ধের দিন মামিমা ফ্রেমটা বার করে মামার ছবিটা বাঁধিয়েছিলেন। আলো দুটো লাগিয়েছে আমার মামাতো ভাই পরেশ।’

ক. পৃথিবীর উপরের অংশ কী নামে পরিচিত?
খ. “আকাশটা পরতে পরতে ভাগ”- বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের নগেনের মাঝে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের পরাশর ডাক্তার ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের মতো কুসংস্কার বর্জনে চেষ্টা করেছেন।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ০৬: জগদীশচন্দ্র বসু নানা বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তবে তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন ‘গাছের প্রাণ আছে’ এই সত্য প্রমাণ করে। তিনি দেখিয়েছেন যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে গাছ বেড়ে ওঠা মাপার যন্ত্র ক্রেস্কোগ্রাফ এবং গাছের দেহের উত্তেজনার বেগ মাপার সমতল তরুলিপিযন্ত্র অন্যতম।

ক. সাদা মেঘে কী জমে পানির অসংখ্য কণা তৈরি হয়?
খ. “আকাশ আসলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঢাকনা।” ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কোন দিকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রতিনিধিত্ব করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের জগদীশচন্দ্র বসু এবং ‘আকাশ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক দুজনই সত্য ঘটনা উদ্ঘাটনে যৌক্তিক প্রমাণ দিয়েছেন।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ০৭: আদিম যুগের মানুষ অনেক কিছুই জানত না। তারা পায়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত। চাকা আবিষ্কারের সাথে সাথে মানুষের সভ্যতাও এগিয়ে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত অগ্রগতির ফলে মানুষ এখন পৃথিবী থেকে মহাশূন্যেও অতিদ্রুত যেতে পারছে। মূলত বিজ্ঞানের অগ্রগতিই এই অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করেছে।

ক. ‘সংকেত’ শব্দের অর্থ কী?
খ. প্রবন্ধটির নাম ‘আকাশ’ রাখার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপক ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আলোচনাগত ভিন্নতা থাকলেও উদ্দীপকটির বিষয়বস্তু ‘আকাশ’ প্রবন্ধের মূলভাবকে সমর্থন করে- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।