ছবির রং রচনার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

ছবির রং রচনার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

ছবির রং রচনার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর: আমরা চারপাশে গাছপালা, লতাপাতা, ফুল-ফল, মাঠ, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি দেখি। তাদের রূপ আছে, রং আছে। সেই রূপকে নানা রঙে নিজের মতো যাঁরা আঁকেন তাঁদের আমরা চিত্রশিল্পী বলি।

বিভিন্ন ঋতুতে আমাদের চারপাশের পরিবেশের রূপ ও রং বদলে যায়। চিত্রশিল্পীরা তা-ও তাঁদের ছবিতে রঙে-রেখায় ফুটিয়ে তোলেন। ছবির সেই নানা রং ও রঙের বৈচিত্র্যের কথাই লেখক হাশেম খান তাঁর ‘ছবির রং’ রচনাটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।


ছবির রং রচনার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১। কোন তিনটি রং থাকলে নানা রঙে ভরা পরিপূর্ণ রঙিন ছবি আঁকা যায়? বর্ণনা কর।
উত্তর: হলুদ, নীল ও লাল— এ তিনটি রং থাকলেই নানা রঙে ভরা পরিপূর্ণ ছবি আঁকা যায়। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে ‘মৌলিক রং বা আসল রং হলো তিনটি; যথা- লাল, নীল ও হলুদ। যেকোনো ছবি আঁকার ক্ষেত্রে এ তিনটি রংই যথেষ্ট। কারণ এ তিনটি রং মিশিয়ে অনেক ধরনের রং তৈরি করা সম্ভব। তাই এই তিন রং থাকলে নানা রঙে ভরা পরিপূর্ণ রঙিন ছবি আঁকা যায়।

প্রশ্ন ২। গ্রীষ্মকালের বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর।
উত্তর: বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ— এই দুই মাসকে বলা হয় গ্রীষ্মকাল। ষড়ঋতুর এ বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের আবহাওয়া শুষ্ক ও গরম। খাল- বিল, নদী-নালা শুকিয়ে যায়। মাঝে মাঝে আকাশে কালো মেঘ জমে। ঝড়-বৃষ্টি হয় এবং প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। আম, জাম, কলা, লিচু, তরমুজ প্রভৃতি গ্রীষ্ম ঋতুর ফল।

প্রশ্ন ৩। ‘সাদা ও স্বচ্ছ নীলের ছড়াছড়ি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: শরৎকালে প্রকৃতি ঝকঝকে সুন্দর ও শুভ্র থাকে । ‘সাদা ও স্বচ্ছ নীলের ছড়াছড়ি’ বলতে এ রূপটিকে বোঝানো হয়েছে। বর্ষাকালের দিনভর বৃষ্টির স্যাঁতসেঁতে কাদাময় অবস্থার পর শরৎকালে বৃষ্টি কমে যায়। আকাশের অপরূপ নীলের মধ্যে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। এ সময় প্রকৃতির সবকিছুই থাকে ঝকঝকে। শরৎকালের কাশফুল, শাপলার নরম-সুন্দর রূপ মনকে নাচিয়ে তোলে। তাই এ সময়ের প্রাকৃতির বর্ণনা প্রসঙ্গ বলা হয়েছে- সাদা ও স্বচ্ছ নীলের ছড়াছড়ি।

প্রশ্ন ৪। অতিথি পাখি বলা হয় কাকে? বর্ণনা কর।
উত্তর: শীতকালে পৃথিবীর শীতপ্রধান দেশ থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া পাখিগুলোকে অতিথি পাখি বলা হয়। ষড়ঋতুর এ দেশে পৌষ ও মাঘ দুই মাস শীতকাল। এ সময় শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য আমাদের দেশে নানা জাতের অতিথি পাখি আসে। এ পাখিগুলো অতিরিক্ত ঠান্ডা ও বরফ থেকে বাঁচার জন্যই বাংলাদেশে আসে। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে এসব রংবেরঙের পাখি আশ্রয় নেয় এদেশের খাল-বিল ও নদী-নালায়। শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে এরা আবার ফিরে যায় নিজ দেশে।

প্রশ্ন ৫। ‘বসন্ত ঋতু হলো রঙের ঋতু।’— কেন?
উত্তর: বসন্তকালে প্রকৃতির সব উপাদান রঙে রঙে সজ্জিত হয় বলে এ ঋতুকে রঙের ঋতু বলা হয়। বসন্ত ঋতুতে সতেজ, সুন্দর রংবেরঙের ফুল ফোটে। নানা রঙের পালকে ছোট-বড় পাখিরা ফুলে ফুলে মধু খেয়ে বেড়ায়, রঙিন প্রজাপতি ওড়ে। তাই এই ঋতুকে রঙের ঋতু বলা হয়।

প্রশ্ন ৬। বাংলাদেশের ষড়ঋতু বাঙালির মনকে কীভাবে প্রভাবিত করে? আলোচনা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের ষড়ঋতুর রূপ ও বৈচিত্র্য মানসিক ও পারিপার্শ্বিক উভয় দিক থেকে বাঙালির মনকে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর রূপবৈচিত্র্য ও নিসর্গে উজ্জ্বল নানা রঙের সমাবেশ বাঙালির মনকে প্রভাবিত করে। তারা বাংলা প্রকৃতির অপরূপ রংগুলোকে লোকশিল্প, তাঁতশিল্প, চিত্রশিল্প প্রভৃতি নানা কাজে ব্যবহার করে।


🔆🔆 আরও দেখুন: ছবির রং রচনার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: ছবির রং রচনার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: ছবির রং রচনার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদের সাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।