নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

SSC: নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: ‘নিমগাছ’ বনফুলের একটি প্রতীকী গল্প। এতে সাধারণ অর্থে নিমগাছের ঔষধি গুণ ও উপকারী দিক তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ অর্থে গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্মী বউয়ের ওপর নিষ্ঠুর আচরণের দিকটি বর্ণিত হয়েছে।

গল্পে মাটির গভীরে শেকড় প্রবেশ করে গাছটির চারদিকে বিস্তৃত হওয়ার সাথে লক্ষ্মী বউয়ের চারদিকে সংসারের জালে আবদ্ধ হওয়াকে বোঝানো হয়েছে। নিমগাছের পাতা, বাকল, ছায়া বাহ্যিক উপকারিতা কবিতার মতো করে গল্পে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কবিরাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই তাদের নিত্য প্রয়োজনে নিমগাছ ব্যবহার করে থাকে। অথচ তার পরিচর্যায় কেউ এগিয়ে আসে না; বরং পাতা ছিঁড়ে, ছাল তুলে, কচি ডাল ভেঙে নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেয়।

এ রকম অবস্থায় একজন কবি তার রূপ-গুণের প্রশংসা করলে সে মুগ্ধ হয়ে কবির সঙ্গে চলে যেতে চায়। কিন্তু শেকড়ের মাটির বাঁধন আলগা করে যেতে পারে না।

নিমগাছের মতো বাড়ির লক্ষ্মী বউটিও শত অবহেলা, নিষ্ঠুরতা থেকে মুক্তি নিয়ে যেতে পারে না সংসারের জাল ছিঁড়ে। এই লক্ষ্মী বউয়ের জীবনের ট্র্যাজেড়িই ‘নিমগাছ’ গল্পের মূল উপজীব্য।


এসএসসি বাংলা ১ম পত্রের সকল গদ্য ও কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সুভা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বইপড়া
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আম আঁটির ভেঁপু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ)
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: নিমগাছ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: প্রবাস বন্ধু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মমতাদি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সাহিত্যের রুপ ও রীতি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: একাত্তরের দিনগুলি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বঙ্গবানী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: কপোতাক্ষ নদ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: জীবন-সঙ্গীত
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: পল্লিজননী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: রানার
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আমার পরিচয়
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: স্বাধীনতা এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো


নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল ০১: মিতু বাবা-মাকে হারিয়ে ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সে কথা বলতে না পারলেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে । ফুফার অফিসে যাওয়ার সময় খাবার দেয়া, ফুফাতো ভাই-বোনের স্কুলে যাওয়ার সময় সাহায্য করা, ফুফুকে ঔষধ খাওয়ানোসহ কোনো কিছুই তার কাজ থেকে বাদ যায় না। এসব করে নিজেকে ক্লান্ত মনে হয়, এখান থেকে সে চলে যেতে চায়। কিন্তু কোথাও যেতে পারে না বৃদ্ধ ফুফুর মায়ায় ।

ক. কারা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ?
খ. নিমগাছটি কেন নতুন লোকটির সাথে চলে যেতে চাইল? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের ফুফুর পরিবারের লোকজন ‘নিমগাছ’ গল্পের কাদের প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের মিতুই ‘নিমগাছ’ গল্পের মূল প্রতিপাদ্য”—উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

খ। অনাদর ও অবহেলা থেকে মুক্তি পেতে কবির মতো একজন সৌন্দর্যপিয়াসী লোকের প্রশংসায় মুগ্ধ হয়ে নিমগাছটির তা সঙ্গে চলে যেতে চাইল। ‘নিমগাছ’ গল্পে সাধারণ অর্থে নিমগাছ ভেষজ গুণসম্পন্ন একটি গাছ। এর ছাল, পাতা, ডাল নানাভাবে মানুষের রোগ উপশম করে। অথচ কেউ এই গাছের সামান্যতম যত্ন নেয় না।

একজন কবি একদিন নিমগাছের রূপ ও গুণের প্রশংসা করেন। এই সৌন্দর্যপিয়াসী কবির প্রশংসায় নিমগাছটি মুগ্ধ হয় এবং তার সঙ্গে চলে যেতে চায়। লোকটির সঙ্গে নিমগাছটির চলে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণের মধ্য দিয়ে লেখক গৃহকর্ম-নিপুণা একজন গৃহবধূর নিগৃহীত ও অবহেলিত জীবনের মুক্তির বাসনা প্রকাশ করেছেন ।

গ। উদ্দীপকের ফুফুর পরিবারের লোকজন ‘নিমগাছ’ গল্পের গৃহকর্ম-নিপুণা গৃহবধূর পরিবারের লোকজনের প্রতিনিধি।

সাম্যের দৃষ্টিতে পৃথিবীতে সব মানুষ সমান। নারী-পুরুষ বলে পার্থক্য করা উচিত নয়। অথচ পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা নানাভাবে অবহেলা ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার। পুরুষরা নারীদের সেবাদাসী করে রাখতে চায়। শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূরা নানাভাবে অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার হয় । উদ্দীপকে ফুফুর পরিবারে আশ্রয় নেওয়া পিতৃ-মাতৃহীন মিতুর জীবন-যন্ত্রণা তুলে ধরা হয়েছে।

মিতু কথা বলতে না পারলেও ফুফুর পরিবারের যাবতীয় কাজকর্ম করে এবং সবার খেয়াল রাখে। অফিসে যাওয়ার সময় ফুফার খাবার দেওয়া, ফুফাতো ভাই-বোনদের স্কুলে যাওয়ার সময় নানা কিছু করে দেওয়া, অসুস্থ ফুফুকে ওষুধ খাওয়ানো ইত্যাদি কাজ করে সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ফুফুর মায়ায় সে যেতে পারে না। কারণ সে বাড়ির সবার খেয়াল রাখলেও কেউ তার খেয়াল রাখে না। একইভাবে ‘নিমগাছ’ গল্পের নিমগাছের মতো উপকারী বউটি সংসারে সবার খেয়াল রাখে।

সবার সব কাজে তাকে প্রয়োজন হয়। অথচ বাড়ির কেউ তার প্রতিও খেয়াল রাখে না। এভাবে অবহেলা করার দিক থেকে উদ্দীপকের ফুফুর পরিবারের লোকজন ‘নিমগাছ’ গল্পের গৃহলক্ষ্মী বউটির পরিবারের লোকজনের প্রতিনিধিত্ব করে।

ঘ। “উদ্দীপকের মিতুই ‘নিমগাছ’ গল্পের মূল প্রতিপাদ্য”— মন্তব্যটি যথার্থ।

সংসারের বেড়াজালে একবার আটকে গেলে একজন নারীর পক্ষে সেই জাল ছিন্ন করে বের হয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ে। সংসারে নানা দায়দায়িত্ব পালন করে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হলেও কেউ তার খেয়াল রাখে না। বরং সে নানাভাবে অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার হয়। ‘নিমগাছ’ গল্পে নিমগাছের প্রতীকে লেখক গৃহকর্ম-নিপুণা এক লক্ষ্মীবউয়ের জীবন-যন্ত্রণাকে নির্দেশ করেছেন। সেই বউ শ্বশুরবাড়িতে সবার জন্য নিবেদিতপ্রাণ, অথচ তার প্রতি কেউ সদয় নয়। মুক্তি চাইলেও সে নিমগাছের মতো সংসারের জালরূপ শিকড় ছিন্ন করে আসতে পারে না।

উদ্দীপকেও এই বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে। এখানে মিঠু তার ফুফুর পরিবারে সবার যত্ন নিলেও সেই পরিবারে সে অবহেলার শিকার। সেই পরিবার ছেড়ে তার চলে যেতে ইচ্ছে করলেও বৃদ্ধ ফুফুর মায়ায় যেতে পারে না। গল্পের গৃহবধূ ও উদ্দীপকের মিতু উভয়েই সংসারের মায়া জালে আটকা পড়ে মুক্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত। ‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের সঙ্গে লক্ষ্মীবউটির তুলনা করে সমাজে নারীর অবস্থান তুলে ধরেছেন।

উদ্দীপকেও সংসারে নারী যে অবহেলার শিকার সেই দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। কথা বলতে না পারলেও মিতু সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে। সে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও কেউ তার প্রতি সহানুভূতি দেখায় না। ‘নিমগাছ’ গল্পের গৃহলক্ষ্মী বউটিও অনুরূপ অবহেলার শিকার। লক্ষ্মীবউটি সবার খেয়াল রাখলেও কেউ তার খেয়াল রাখে না। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল ০২: জরিনা ৭০ বছরের বৃদ্ধা। অসুস্থতার কারণে সবাই তাকে সংসারের বোঝা মনে করে। অথচ ১৯ বছর বয়সে বিবাহ হওয়ার পর থেকে সংসারের বেড়াজালে সে বাঁধা ছিল। অবজ্ঞার কথা ভেবে সংসার ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু স্বামী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজনের মায়া ত্যাগ করতে পারে না।

ক. নিমের কচি পাতাগুলো অনেকে খায় কেন?
খ. কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। নিমের কচি পাতাগুলো অনেকে খায় কারণ তা যকৃতের পক্ষে ভারি উপকারী ।

খ।ঔষধি গুণের কারণে কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নিমগাছ ঔষধি গাছ। নিমপাতা চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ। খোস-পাঁচড়া, দাদ, হাজা, চুলকানিতে নিমপাতা ও নিমগাছের ছাল অত্যন্ত উপকারী। নিমের কচিপাতা যকৃতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিমের কচি ডাল চিবালে দাঁত ভালো থাকে। আর এসব ঔষধি গুণের কারণে কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

গ। উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্য হলো সংসারে গৃহবধূর অবদান ও অবস্থানের বর্ণনায়।

এই পৃথিবী নারী-পুরুষের সম্মিলিত শ্রমে ও অবদানে টিকে রয়েছে। অথচ আমাদের সমাজ নারীর এই অবদান স্বীকার করে না। তাদের অবহেলা করে দূরে সরিয়ে রাখে।

উদ্দীপকে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা জরিনার সংসারে নিঃস্বার্থ অবদানের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার পর থেকে সে সংসারের বেড়াজালে বন্দি হয়ে আছে। শত অবজ্ঞা ও অবহেলায়ও স্বামী-সন্তানদের সে ত্যাগ করতে পারেনি। অথচ অসুস্থতার কারণে আজ সবাই তাকে সংসারের বোঝা মনে করে। ‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের বিভিন্ন উপকারী দিক বর্ণনার মধ্য দিয়ে একজন গৃহবধূর নিঃস্বার্থ অবদানের দিকটি তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে পরিবারের কঠিন দায়িত্ব পালন করার পরও গৃহলক্ষ্মী বউটির প্রতি সবার অবহেলা ও অবজ্ঞার বিষয়টিও গল্পে উঠে এসেছে। উদ্দীপকের সঙ্গে নিমগাছ গল্পের সাদৃশ্য হলো সংসারে গৃহবধূর ‘অবদান ও অবস্থানের বর্ণনায়।

ঘ। না, উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে না। সমাজে নানা রকম মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যে এমন মানুষও আছেন যারা নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে পরের হিতের জন্য কাজ করেন। আবার অন্যের জন্য অনেক কিছু করার পরও তারা অবহেলিত থাকেন। তারা সমাজে উপেক্ষিত হন। আমাদের সংসারের গৃহবধূরা এমনই উপেক্ষিত মানুষ।

‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের প্রতীকে গৃহকর্ম-নিপুণা এক লক্ষ্মীবউয়ের জীবন-যন্ত্রণাকে নির্দেশ করেছেন। সংসারে সবার অবহেলায় গৃহবধূর জীবনের সব সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। সেই সংসারে তার গণ্ডিবদ্ধ জীবন উপেক্ষিত, অথচ তাকে ছাড়া সংসারের অন্যরা অচল। একদিন এক কবি সেই নিমগাছের সৌন্দর্য আবিষ্কার করে, সংসারের সঙ্গে তার শেকড় এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে, কবির ডাকে সাড়া দেওয়ার উপায় নেই।

অনুরূপভাবে উদ্দীপকের গৃহবধূও ১৯ বছর বয়স থেকে সংসারের প্রয়োজনে নিয়োজিত ছিল। তার বিনিময়ে শেষ বয়সে সে চরম অবহেলার শিকার। শেষ জীবনে এসে অসুস্থতার জন্য সে সবার কাছে বোঝা হয়ে গেছে। ‘নিমগাছ’ গল্পে এক গৃহবধূর সংসারে অবদানের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে অবহেলিত হওয়ার দিকটি।

‘নিমগাছ’ গল্পে একজন কবি নিমগাছের সাধারণ উপকারী দিকের বাইরে গিয়ে তার সৌন্দর্য আবিষ্কার করেছেন। উদ্দীপকের জরিনার ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি। সে আজীবন সংসারে সবার দ্বারা উপেক্ষিত হয়েছে। সংসারের মায়ায় সে সংসার ছেড়ে যেতেও পারেনি। অথচ আজ তাকে সবাই বোঝা মনে করে। এখানে তার সৌন্দর্য ও তা প্রকাশের কোনো বিষয় ফুটে ওঠেনি। এসব দিক বিচারে বলা যায়, মিল থাকলেও উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সমগ্র ভাব ধারণ করে না।

নিজে করো,

সৃজনশীল ০৩:
(i) একটি ভাঙ্গা কুলার আত্মকথন: “আজ সমাদর না থাকলেও একদিন আমার কদর ছিল। সকলে আমাকে দিয়ে নানান কাজ করত। চাল পরিষ্কার, ধান থেকে চিটাগুলোকে আলাদা করা, আরও কত কী! কিন্তু এখন আমি বুড়ো হয়েছি। আজ চুলোর পাশে অনাদরে পড়ে আছি।”
(ii) ‘গাইবান্ধার নাকাইহাট এলাকায় শওকত আলী নামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাড়িতে গড়ে তুলেছেন বিলুপ্ত ও দুর্লভ প্রজাতির প্রায় এক হাজার ঔষধি ও ফলদ গাছের বাগান। সেই সঙ্গে বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ গাছের প্রজাতি ধরে রাখতে গাছের চারা দিচ্ছেন বিনামূল্যে।

ক. ‘নিমগাছ’ গল্পের ম্যাজিক বাক্যটি কী?
খ. নিমগাছটা লোকটার সঙ্গে চলে যেতে পারে না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপক (ii) এর সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক (i) এর আত্মকথনই যেন নিমগাছ গল্পের মূল সুর”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রতিপন্ন কর ।

সৃজনশীল ০৪: স্বামীর মৃত্যুর পর খোদেজা অনেক কষ্ট ও যত্নে একমাত্র ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করলেন। ছেলে ভালো একটা চাকরি পেয়ে সচ্ছল পরিবারের শিক্ষিত সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে স্থায়ী হয়ে গেল। সবকিছু উজাড় করে দিয়ে নিঃস্ব খোদেজা নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে লাগলেন ।

ক. নিমগাছের থোকা থোকা ফুল দেখতে কেমন?
খ. শান দিয়ে বাঁধিয়ে দেয় কেউ- সে আর এক আবর্জনা।’ ব্যাখ্যা কর।
গ. খোদেজার সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের কোনো চরিত্রের সাদৃশ্য আছে কি? আলোচনা কর।
ঘ. নিজেকে অন্যের জন্য উৎসর্গ করে নিঃম্ব হওয়ার চিরাচরিত সত্য অঙ্কিত হয়েছে। উদ্দীপক ও ‘নিমগাছ’ গল্পের আলোকে মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল ০৫: যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্পশকট চলে, বাবু সাব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।

ক. ‘নিমগাছ’ কোন ধরনের গল্প?
খ. নতুন লোকটা মুগ্ধ দৃষ্টিতে নিমগাছের দিকে চেয়ে রইল কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের যে দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ভাবনায় মিল থাকলেও উদ্দীপক ও পঠিত গল্পের মূল চেতনা ভিন্ন”— মূল্যায়ন কর।

উত্তর পিডিএফ


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।