শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর: প্রবন্ধ সাহিত্যের নানা রূপের মধ্যে একটি হচ্ছে কবিতা। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধটিতে কবিতার শিল্পরূপ ও তার বৈশিষ্ট্য চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে। কবিতা কাকে বলে? লেখকের মতে— যা পড়লে মনের ভিতর স্বপ্ন জেগে ওঠে, ছবি ভেসে ওঠে তা-ই কবিতা।


শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১। ছন্দ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যেভাবে পদবিন্যাস করলে বাক্য শ্রুতিমধুর হয় এবং মনে রসের সঞ্চার হয় তাকে ছন্দ বলে। বাক্যস্থিত পদগুলোকে যেভাবে সাজালে বাক্যটি শ্রুতিমধুর হয় ও তার মধ্যে ভাবগত ও ধ্বনিগত সুষমা বজায় থাকে, পদ সাজানোর সেই পদ্ধতিকে ছন্দ বলে। কবিতার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

প্রশ্ন ২। স্বপ্ন থাকলে মনে আসে নতুন ভাবনা’— কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: স্বপ্নই মানুষের মনে নতুন নতুন ভাবনার সৃষ্টি করে বলে সে হয়ে ওঠে মহৎ ব্যক্তি। যে মানুষ স্বপ্ন দেখতে জানে না তার পক্ষে জীবনে বড় হওয়া সম্ভব নয়। স্বপ্নই জীবনের বড় হওয়ার অনুপ্রেরণা। স্বপ্নই মানুষকে বেঁচে থাকার নান্দনিক ভাবনা তৈরি করে দেয়। মনে স্বপ্ন থাকলে ছন্দ আর শব্দ নেচে নেচে আসে। মানুষ সবকিছু করতে পারে মনে স্বপ্ন থাকলে প্রতিনিয়ত মানুষের মনে নতুন ভাবনার সৃষ্টি করে স্বপ্নের মাধ্যমে। প্রশ্নোক্ত বাক্যে এ ভাবই প্রকাশ পেয়েছে।

প্রশ্ন ৩। কবিতা বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: কবিতা বলতে লেখক বুঝিয়েছেন যা পড়লে ভোলা যায় না এবং মনের ভেতর যা নাচতে থাকে। কবিতা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে একটি শাখা। যে লেখাগুলো পড়লে মন নেচে ওঠে, গান গেয়ে উঠতে ইচ্ছে করে, চোখে ও বুকে রংবেরঙের স্বপ্ন ও আশা এসে জমা হয় তা-ই কবিতা।

প্রশ্ন ৪। ‘যার চোখে স্বপ্ন নেই সে কবি হতে পারে না’- কেন?
উত্তর: কবি হতে হলে যেসব গুণের প্রয়োজন সেগুলোর বিবরণ দিতে গিয়ে লেখক এ কথা বলেছেন। কবিতায় শব্দের মাধ্যমে হাসি-কান্না-রাগ প্রভৃতি নানা ধরনের ডাব ফুটিয়ে তোলা যায়। তবে এ ডাবগুলো ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই মৌলিকত্ব থাকতে হবে। নানা রকম স্বপ্ন লেখকের মনে নিয়ে আসে নতুন ভাবনা, ছন্দ ও রূপ। তাই লেখক মনে করেন ‘যার চোখে স্বপ্ন নেই সে কবি হতে পারে না।’

প্রশ্ন ৫ কবিতার জন্য শব্দের প্রয়োজনীয়তা কীরূপ?
উত্তর: কবিতা লেখার জন্য প্রথমে জানতে হবে শব্দ। তাই কবিতা লেখার জন্য শব্দের প্রয়োজনীয়তা অনেক। বাংলা ভাষার শব্দসম্ভার হাজার বছরের সংযোজন-বিয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্তমান রূপ লাভ করেছে। হরেক রকম শব্দ রয়েছে এ ভাষায়। রং, গন্ধ, বর্ণ, সুর, ছন্দে রয়েছে এর বিভিন্নতা। এগুলোর কোনো কোনোটির গায়ে রয়েছে হলুদ-সবুজ-লাল-নীল-বাদামি-খয়েরি রং। কোনো কোনো শব্দে বাঁশি, হাসি, বেহালার সুর, আবার কোনো কোনো শব্দে শুকনো পাতার খসখসে আওয়াজ, নূপুরের ধ্বনি বেজে ওঠে, কোনোটির শরীর থেকে আসে গোলাপের গন্ধ, কাঁঠালচাপার ঘ্রাণ, বাতাবি লেবুর সুবাস। লেখক মনে করেন কবিতা লিখতে হলে প্রথমে এইসব শব্দ জানতে হবে, শিখতে হবে। কারণ শব্দের পর শব্দ বসিয়েই কবিতা হয়।

প্রশ্ন ৬। কবিতা লিখতে গেলে কেন শব্দ জানতে হবে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কবিতা লিখতে গেলে শব্দ জানতে হবে। কারণ শব্দ দিয়েই কবিতা বানাতে হয়। কবিরা একটি শব্দের পাশে আরেকটি শব্দ বসিয়ে, মিলিয়ে কবিতা লেখেন। চোখে-বুকে স্বপ্ন আর শব্দের প্রতি ভালোবাসা তাঁদের কবিতা লিখতে অনুপ্রেরণা জোগায়। কবিতা লিখতে হলে শব্দের বর্ণ, গন্ধ, সুর, ছন্দ, রূপ, রং চিনতে ও জানতে হয়। কারণ শব্দের পর শব্দ বসিয়েই বানাতে হয় কবিতা। তাই কবিতা লিখতে হলে প্রথমেই জানতে হবে নানা রকমের শব্দ।

প্রশ্ন ৭। শব্দ থেকে কবিতা’ রচনাটি পাঠের উদ্দেশ্য কী? বর্ণনা কর।
উত্তর: ‘শব্দ থেকে কবিতা রচনাটি পাঠের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল হতে অনুপ্রাণিত করা। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ রচনায় কবিতার রূপ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনার পাশাপাশি এর রচনাকৌশল সম্পর্কে লেখক বর্ণনা করেছেন। লেখক বলেন, কবিতা লিখতে হলে দেখতে হবে স্বপ্ন, জানতে হবে শব্দভাণ্ডারকে। মৌলিক কিছু সৃষ্টি করার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এক কথায়, সৃষ্টিশীল হতে হবে। এটাই ‘শব্দ থেকে কবিতা’ রচনাটি পাঠের উদ্দেশ্য।

প্রশ্ন ৮। ছোট বয়সে বুকের মধ্যে শব্দ, রং আর সুর জমানো উচিত কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কবিতা লেখার জন্য ছোট বয়সে বুকের মধ্যে শব্দ, রং আর সুর জমানো উচিত। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ রচনায় লেখক বলেন, শৈশব থেকে কবিতা লেখা উচিত নয়, ছোট বয়সে উচিত কেবল পড়া আর পড়া। চারিদিকের ছবি দেখা এবং বুকের মধ্যে এসব জমিয়ে রাখা, যাতে বড় হয়ে এসব ছবিকে কবিতায় রূপ দেওয়া যায়।

প্রশ্ন ৯। “তুমি যদি দেখতে পাও শব্দের শরীরের রং, শুনতে পাও শব্দের সুর, টের পাও শব্দের সুগন্ধি, তাহলেই তুমি পারবে কবি হতে”— লেখক কেন একথা বলেছেন?
উত্তর: কবিতা লিখতে হলে অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শক্তির প্রয়োজন হয়, যার মধ্য দিয়ে কবি শব্দের এই রূপসৌন্দর্য অনুভব করতে পারেন— এ কথা কবি এখানে বলেছেন। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে কবি হওয়ার ও কবিতা লেখার কলাকৌশল সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে লেখক বলেছেন, বাংলা শব্দভাণ্ডারে এমন অনেক শব্দ রয়েছে যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে; একেক শব্দ থেকে বের হয় একেক ধরনের সুর। তাঁরাই কবি হতে পারেন যাঁদের শব্দের এই সুরগুলোকে বোঝার এবং এগুলোকে অর্থ-উপযোগী করে ব্যবহার করার ক্ষমতা রয়েছে।


🔆🔆 আরও দেখুন: শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদের সাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।