(PDF উত্তরসহ) সততার পুরস্কার গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

সততার পুরস্কার গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

সততার পুরস্কার গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন: সাধুরীতিতে রচিত এই গল্পে হাদিসের কাহিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। এ গল্পের মূল বাণী হচ্ছে আল্লাহ্ মানুষকে পরীক্ষা করেন এবং সৎ লোককে যথাযথ পুরস্কার দেন।

আরব দেশের তিন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ্ একজন ফেরেশতাকে পাঠান। এক জন কুণ্ঠরোগী, এক জন টাকওয়ালা এবং এক জন অন্ধ। ফেরেশতার অনুগ্রহে তারা শারীরিক রোগ ও ত্রুটি দূর হলো।

তারা আল্লাহর কৃপায় সুন্দর চেহারা, অনেক উট, গাভী ও ছাগলের মালিক হয়। কিছুদিন পর পুনরায় পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ ফেরেশতাকে গরিব বিদেশির ছদ্মবেশে তাদের কাছে পাঠালেন।

ফেরেশতা এক-একজনের কাছে গিয়ে তাদের আগের দুরবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাঁকে কিছু সাহায্য করতে বলেন। প্রথম দুজন তাদের আগের অবস্থার কথা অস্বীকার করে ছদ্মবেশী ফেরেশতাকে খালি হাতে বিদায় দেয়।

কিন্তু তৃতীয়জন নির্দ্বিধায় আল্লাহর দান স্বীকার করে ফেরেশতাকে তাঁর ইচ্ছামতো সবকিছু দিতে রাজি হয়। এতে আল্লাহ্ তার ওপর খুশি হন এবং তার সম্পদ বজায় রাখেন। কিন্তু প্রথম দুজনের ব্যবহারে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হয়ে তাদের অবস্থা আগের মতো হয়ে গেল। তারা তাদের অকৃতজ্ঞতার কারণে শাস্তি পেল।

সততার পুরস্কার গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল ০১: শেয়ালদা স্টেশনে আসিয়া খাম খুলিয়া নোটগুলি কী ভাবিয়া একবার দেখিয়া লইতে গিয়া হরিপদ মাথা ঘুরিয়া সেখানে বসিয়া পড়িল।… সর্বনাশ! সব কখানাই একশো টাকার নোট, সর্বসুদ্ধ এগারো খানা। চল্লিশ টাকার জায়গায় এগারশো টাকা। টাকা ফেরত দেওয়ার একটা প্রধান বাধা দাঁড়াইয়াছে হরিপদর স্ত্রী। সে যেদিন হইতে শুনিয়াছে স্বামী টাকা ফেরত দেওয়ার সংকল্প করিতেছে, সেদিন হইতে সে কাঁদিয়া কাটিয়া অনর্থ বাধাইয়াছে। হরিপদ তাহাকে বুঝাইয়া বলিল— দ্যাখো, ফাঁকির টাকা তো… ওটা তাদের দিয়েই আসি।

ক. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে কৃতজ্ঞ ব্যক্তি কে?
খ. ‘সকলে যে আমাকে বড় ঘৃণা করে’- কথাটি কেন বলে?
গ. উদ্দীপকের হরিপদ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কোন লোকটিকে নির্দেশ করে?
ঘ. হরিপদর স্ত্রী ও আলোচ্য গল্পের অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা একে অন্যের পরিপূরক— মন্তব্যটি বিচার কর।

১ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে কৃতজ্ঞ ব্যক্তি অন্ধ লোকটি।

খ. ধবলরোগী ফেরেশতার কাছে তার রোগের কথা বলতে গিয়ে উক্ত কথাটি বলে। আল্লাহর হুকুমে ফেরেশতা বলরোগীর কাছে গিয়ে জানতে চান সে কী সবচেয়ে ভালোবাসে। জবাবে সে বলে তার গায়ের ধবল রোগ যদি ভালো হয় তবে সে সবচেয়ে সুখী হবে। কারণ এই রোগকে সবাই খুব ঘৃণা করে।

গ. উদ্দীপকের হরিপদ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ সৎ লোকটিকে নির্দেশ করে। মানুষের অন্যতম গুণগুলোর মধ্যে একটি হলো সততা। সৎ ব্যক্তিকে সকলে ভালোবাসে। সৎ ব্যক্তি কখনো কারও সঙ্গে অন্যায় করে না।

উদ্দীপকের হরিপদ একজন দরিদ্র ব্যক্তি। কোনো এক অফিস থেকে সে তার প্রাপ্য টাকা পায়। টাকাটি তারা খামে ভরে হরিপদকে দেয়। স্টেশনে এসে হরিপদ খাম খুলে দেখে তার পাওনা চল্লিশ টাকা নয়। খামে রয়েছে এগারোশ টাকা। সে টাকাটি ফেরত দিতে চায়। কারণ এত টাকার মালিক সে নয়। স্ত্রী বাধা দিলে হরিপদ তাকে বোঝাতে চেষ্টা করে।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ লোকটিও সৎ। অন্ধ লোকটি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণে রেখেছে এবং ফেরেশতাকে সাহায্য করেছে। তাই বলা যায় যে, সৎ হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের হরিপদ আলোচ্য গল্পের অন্ধ সৎ লোকটিকে নির্দেশ করে।

ঘ. হরিপদর স্ত্রী ও আলোচ্য গল্পের অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা একে অন্যের পরিপূরক মন্তব্যটি যথার্থ।

অসৎ ব্যক্তি দেশ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। সে শুধু তার নিজের কথাই চিন্তা করে। নিজের লাভের জন্য অন্যের ক্ষতি করতেও সে পিছপা হয় না।

উদ্দীপকে হরিপদর সততার কথা প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে প্রকাশ পেয়েছে তার স্ত্রীর অসৎ আচরণ হরিপদ তার প্রাপ্য চল্লিশ টাকার জায়গায় এগারোশ টাকা পেলে সে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে চায়। কিন্তু তার স্ত্রী তা দিতে নারাজ। তার স্ত্রী চায় সেই টাকা তাদের কাছে থাকুক। অন্যদিকে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে এমনই দুজন অসৎ ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে যারা আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করেও তা অস্বীকার করেছে। ধবলরোগী ও টাকওয়ালা ব্যক্তি দুজন অসৎ ও অকৃতজ্ঞ।

উদ্দীপকের হরিপদের স্ত্রী এবং ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালা অসৎ ও লোভী। এরা স্বার্থপর ও স্বার্থান্ধ। নিজেদের স্বার্থ ছাড়া এরা অন্যের কথা চিন্তা করে না। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল ০২: বিষণ্ণ মনে আলী আবার নাজিমের কাছে গিয়ে মোহরগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল। নাজিম বিস্ময়ের ভান করে বলল, সে কী বন্ধু। তুমি আমার কাছে জলপাই রেখে গেলে। এখন মোহর চাচ্ছ, ব্যাপার কী? আলী তখন বন্ধুর নিকট পুরো ঘটনা খুলে বলল এবং মোহরগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার তাকে অনুরোধ করল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। বহু অনুনয় করা সত্ত্বেও মোহরগুলো ফিরিয়ে দিতে নাজিম রাজি হলো না। অগত্যা আলী কাজির দরবারে গিয়ে নালিশ জানাল। কাজির তলবে নাজিম বিচারালয়ে হাজির হলো। কাজি প্রশ্ন করলেন, তুমি আলীর গচ্ছিত কলসিটি ফিরিয়ে দিলে, ওর ভিতরের মোহরগুলো দিচ্ছ না।

ক. ফেরেশতা কিসের রূপ ধরে এসেছিলেন?
খ. “তবে তুমি যেমন ছিলে আল্লাহ আবার তোমাকে তাহাই করিবেন”– একথা কেন বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের নাজিমের সঙ্গে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কোন চরিত্রের বৈসাদৃশ্য রয়েছে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবের ধারক নয়।”— মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ফেরেশতা মানুষের রূপ ধরে এসেছিলেন।

খ. স্বর্গীয় দূত পুনরায় এলে যখন তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তখন দূত প্রশ্নোক্ত মন্তব্য করেছেন। স্বর্গীয় আরব দেশে তিনজন লোক ছিল। যাদের মধ্যে একজন ছিল ধবলরোগী, একজন টাকওয়ালা, আর একজন অন্ধ। একদিন আল্লাহর আদেশে ফেরেশতা তাদের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যা দূর করে দেন এবং ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রথম জনকে উট, দ্বিতীয় জনকে গাভি এবং তৃতীয় জনকে ছাগল দেন। অনেকদিন পরে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ফেরেশতা আবার তাদের কাছে ফিরে যান, তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। তখন ধবলরোগী ও টাকওয়ালা তাঁকে ফিরিয়ে দিলে তিনি এমন মন্তব্য করেন। কারণ তারা দুজন তাদের অতীত ভুলে গিয়ে বর্তমান জীবন নিয়ে অহংকারী।

গ. উদ্দীপকের নাজিমের সঙ্গে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তিটির বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

মানুষের মহৎ গুণগুলোর মধ্যে সততা অন্যতম প্রধান গুণ। সৎ ব্যক্তিকে সবাই বিশ্বাস করে, ভালোবাসে। তাই সৎ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে স্বার কাছে। আর যারা অসৎ, তাদের মানুষ ঘৃণার চোখে দেখে।

উদ্দীপকের নাজিম একজন অসৎ ব্যক্তি। সে বন্ধুর গচ্ছিত আমানত ফেরত না দিয়ে অসততার পরিচয় দিয়েছে। অনেক অনুরোধ করার পরও সে বন্ধুর আমানত ফিরিয়ে দেয়নি। অন্যদিকে ‘সততার পুরষ্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তিটি মানুষরূপী ফেরেশতার কাছে আল্লাহর দয়ার কথা স্বীকার করেছে। এখানে আল্লাহর প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে অতীত অবদানের কথা ভুলে না গিয়ে সে ফেরেশতাকে সাহায্য করতে চেয়েছে। উদ্দীপকের নাজিম ছিল অসৎ আর ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তিটি ছিল সৎ। এ কারণেই উদ্দীপকের নাজিমের সঙ্গে আলোচ্য গল্পের নাজিমের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবের ধারক নয়।”— মন্তব্যটি যথার্থ।

সৎ ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে। সৎ ব্যক্তির সঙ্গে সৌভাগ্য এবং আল্লাহর করুণা থাকে। অন্যদিকে অসৎ ব্যক্তিকে প্রত্যেক মানুষই ঘৃণা করে, তারা কখনই জীবনে উন্নতি করতে পারে না।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে লেখক সৎ ও অসৎ ব্যক্তির উদাহরণ দিয়ে উভয় কাজের পুরস্কার ও পরিণতি বর্ণনা করেছেন। ধবলরোগী ও টাকওয়ালা আল্লাহ্র দানের কথা অস্বীকার করে অকৃতজ্ঞতা ও অসততার পরিচয় দিয়েছে। তাদের অসৎ আচরণের জন্য তারা শাস্তি পেয়েছে। অন্যদিকে সততার পরিচয় দিয়ে অন্ধ লোকটি পুরস্কার পেয়েছে। কারণ অন্ধ লোকটি কৃতজ্ঞচিত্তে আল্লাহর দানের কথা, স্বীকার করেছে এবং অসহায়কে সাহায্য করেছে। অপরদিকে উদ্দীপকের নাজিম তার বন্ধুকে গচ্ছিত আমানত ফেরত না দিয়ে অসৎ আচরণের পরিচয় দিয়েছে। অনেক অনুরোধ করার পরও সে মোহরগুলো ফিরিয়ে দেয়নি।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে লেখক সৎ এবং অসৎ ব্যক্তির উদাহরণ দিয়ে সততার শিক্ষণীয় বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। আর উদ্দীপকে নাজিমের আচরণে অসততার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে, যা ধবলরোগী ও টাকওয়ালার অসৎ আচরণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। উদ্দীপকটি তাই আলোচ্য গল্পের মূলভাবের ধারক হয়ে উঠতে পারেনি। এসব বিচারে বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

নিজে করো,

সৃজনশীল ০৩: খলিফা মামুনের সময়কালে দামেস্কের জনৈক শাসনকর্তা পদচ্যুত হন । নতুন শাসনকর্তা মামুনের একজন প্রিয়পাত্র ছিলেন আলী ইবনে আব্বাস। তিনি স্থানীয় একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির কাছে আশ্রয় লাভ করে জীবন রক্ষা করেন। পরবর্তীকালে আলী ইবনে আব্বাসের আশ্রয়দাতা ঐ সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিটি খলিফা মামুনের সৈন্যদল কর্তৃক বন্দি হন এবং খলিফার নির্দেশে আলী ইবনে আব্বাসের গৃহে তাকে অন্তরীণ করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। আলী ইবনে আব্বাস বন্দি ব্যক্তির সঠিক পরিচয় জানতে পেরে উপকারীর উপকারের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ করেন এবং খলিফার কাছে তার মুক্তির জন্য সুপারিশ করেন।

ক. স্বর্গীয় দূত সবশেষে কার কাছে গিয়েছিলেন?
খ. স্বর্গীয় দূত কেন পুনরায় তাদের কাছে গিয়েছিলেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কোন দিকটির মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট আলাদা।”- তোমার মতামত ব্যক্ত কর।

সৃজনশীল ০৪: এক তাঁতির একটি কাপড়ের দোকান ছিল। একদিন জরুরি কাজে তিনি দোকানের বাইরে গেলেন, দোকানের দায়িত্ব দিয়ে গেলেন করিম বখ্শ নামের এক ছেলেকে। নানা দুর্বিপাকে পড়ে দোকানি দীর্ঘদিন ফিরে আসতে পারলেন না। করিম সততার সাথে কাজ করে দোকানের অনেক উন্নতি করল। ক্রসে এক দোকানের পরিবর্তে তিনটি দোকান স্থাপিত হল। প্রায় সাত বছর পরে হঠাৎ দোকানি ফিলে এলেন। করিম সাদরে তাঁকে বরণ করে দোকানের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিতে আগ্রহী হল। করিমের মহৎপ্রাণের পরিচয় পেয়ে বৃদ্ধ দোকানি অভিভূত হলেন। নিজের জন্য একটা মাসিক বন্দোবস্ত করে, করিমের হাতেই দোকান বুঝিয়ে দিয়ে তিনি তীর্থে চলে গেলেন । বালক তার সততার পুরস্কার পেল।

ক. ফেরেশতারা কার হুকুমে কাজ করেন?
খ. ফেরেশতা টাকওয়ালার মাথায় কেন হাত বুলিয়ে দিলেন?
গ. উদ্দীপকের করিমের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কার সাদৃশ রয়েছে?
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবের ধারক।”— মন্তব্যটি যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল ০৫: খলিফা হারুন-অর-রশীদের শাসনকালে বাগদাদে আলী কোজাই নামে এক বণিক বাস করত। সে হজব্রত পালনের জন্য মক্কায় যাওয়ার সময় তার সারাজীবনের সঞ্চয় একটি কলসিতে লুকিয়ে তার বন্ধু নাজিমের কাছে রেখে যায়। কলসির নিচে মোহর লুকিয়ে উপরে জলপাই দিয়ে তা ঢেকে রাখে এবং বন্ধুকে জলপাই কলসি বলেই উল্লেখ করে। অনেকদিন হয় বন্ধু ফিরে না আসায় নাজিম খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে। এর মধ্যে একদিন তার স্ত্রী জলপাই খেতে চাইলে সে বন্ধুর কলসি থেকে জলপাই এনে দিতে যায় এবং ভাবে পরে নতুন জলপাই কিনে কলসিতে রেখে দিবে। জলপাই আনতে গিয়ে সে দেখে কলসির নিচে সোনার মোহর। তার মাথায় দুষ্টুবুদ্ধি আসল। সে সব সোনার মোহর নিয়ে সিন্দুকে লুকিয়ে রাখল এবং কলসি নতুন জলপাই দিয়ে ভরে রাখল। কয়েকদিন পর আলী কোজাই ফিরে এসে নাজিমের কাছ থেকে কলসি নিয়ে গেল। বাড়িতে গিয়ে সে দেখে সোনার মোহর নেই। সে নাজিমকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে মোহরের ব্যাপারে কিছুই জানে না।

ক. টাকওয়ালা ফেরেশতার কাছে কী চাইল?
খ. ফেরেশতা ধবলরোগীর কাছে উট চাইলেন কেন?
গ. উদ্দীপকের নাজিমের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ধবলরোগীর সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের একটি বিশেষ দিকের প্রতি ইঙ্গিত করেছে সম্পূর্ণ ভাবের ধারক হতে পারেনি- মন্তব্যটি বিচার কর।

সৃজনশীল ০৬: রফিক সাহেবের অনেক ধনসম্পদ থাকলেও তিনি সুখী নন। কারণ তার একমাত্র ছেলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। যেকোনো সময় তার মৃত্যু ঘটতে পারে। কিন্তু এক ফকিরের দোয়ায় তার সন্তান অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। কিছুদিন পর সেই ফকির এসে তার কাছে সাহায্য চাইলে রফিক সাহেব তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। এর কয়েকদিন পর তার ছেলে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ক. ফেরেশতা কাকে গাভিন ছাগল দিলেন?
খ. টাকওয়ালা কেন মানুষরূপী ফেরেশতাকে গাভী দিল না?
গ. উদ্দীপকের ফকিরের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কার সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. “উদ্দীপকের রফিক সাহেব ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ধবলরোগীর প্রতিরূপ।”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।

About মেরাজুল ইসলাম

আমি মেরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাশাপাশি একজন ব্লগার। এডুকেশন এর প্রতি ভালোবাসাও অনলাইল শিক্ষার পরিসর বাড়ানোর জন্য এডুকেশন ব্লগের পথচলা। ব্লগিং এর পাশাপাশি আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কাস্টমাইজ সহ ওয়েব রিলেটেড সকল কাজ করি।

View all posts by মেরাজুল ইসলাম →