পাখি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

পাখি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

পাখি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর: ‘পাখি’ গল্পটি লীলা মজুমদারের ‘চিরকালের সেরা’ গল্প সংকলন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। গল্পের কিশোরী কুমু অসুস্থ হলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার। সহপাঠীরা সবাই উপরের ক্লাসে, উঠে যাবে, কুমু নিচের ক্লাসে পড়ে থাকবে- এ নিয়ে কুমুর ভাবনার শেষ নেই।


পাখি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১। কুমুর চোখ ঝাপসা হয়ে আসে কেন?
উত্তর: কুমুর বান্ধবীরা সবাই উপরের ক্লাসে উঠবে, শুধু সে-ই নিচের ক্লাসে পড়ে থাকবে- এ কথা ভাবতেই কুমুর চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। কুমু লেখাপড়ায় খুব ভালো। কিন্তু পায়ে সমস্যার কারণে তাকে তিন মাস শুয়ে শুয়ে কাটাতে হয়েছে। আরও তিন মাস গেছে পায়ে লোহার ফ্রেম বেঁধে হাঁটতে শিখে। আরও তিন মাস দিদিমার বাড়িতে থাকতে হবে শুনে তার কান্না পায়। কারণ এতদিন অসুস্থতার কারণে তার কিছু পড়া হয়নি। তাই সে যখন ভাবে সে তার বান্ধবীদের চেয়ে নিচের ক্লাসে পড়ে থাকবে, তখনই তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।

প্রশ্ন ২। “অমন সুন্দর পাখিও মারতে ইচ্ছে করে।”— ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কুমু এ কথাটি লাটুকে বলেছে। বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসেছে। শিকারিরা সুযোগমতো এয়ারগান দিয়ে সুন্দর পাখিগুলো শিকার করছে নিষ্ঠুরভাবে। শিকারিদের আনন্দ লাটুকেও পাখি শিকারে উদ্বুদ্ধ করেছে। তার এয়ারগান নেই বলে সে আফসোস করলে কুমু তাকে আলোচ্য কথাটি বলেছে।

প্রশ্ন ৩। “সমস্ত শরীরটা থরথর করে কাঁপছে।”- কার শরীর, কেন কাঁপছে?
উত্তর: বুনো হাঁসটার শরীর থরথর করে কাঁপছে। শিকারি গুলি ছুড়লে একটা গুলি এসে লাগে বুনো হাঁসটার ডানায়। আহত হয়ে ভয়ে সে লেবু গাছের পাতার আড়ালে লুকায়। তার একদিকের ডানা একটু ঝুলে আছে। ব্যথায় আর ভয়ে অসহায় হাঁসটার শরীর কাঁপছে থরথর করে।

প্রশ্ন ৪। “তোমার কোনো ভয় নেই, কোনো ভয় নেই” – কে, কেন এ কথা বলেছে?
উত্তর: কুমু বুনো হাঁসকে উদ্দেশ করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছে। শিকারির গুলিতে আহত হয়ে একটি বুনো হাঁস কুমুর জানালার পাশে লেবুর কেঁপে এসে লুকায়। ভয় আর ব্যথায় তার সমস্ত শরীর কাঁপতে থাকে। পাখিটাকে দেখে কষ্টে কুমুর গলার ভেতরে টনটন করতে থাকে। পাখিটাকে অভয় দিতে সে পাখিকে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।

প্রশ্ন ৫। লাটু পাখিটাকে ঝুড়িতে করে লেবু গাছের ডালে রেখে এসেছিল কেন?
উত্তর: পাখিটা যেন নিজেই নিজের খাবার খেতে পারে, সেজন্য লাটু তাকে ঝুড়িতে করে লেবু গাছের ডালে রেখে আসে। লাটু আর কুমু আহত পাখিটাকে সুস্থ করে তোলার জন্য প্রথমে তার ডানায় মলম লাগিয়ে দেয়। কিন্তু পাখিটা কোথায় থাকবে, খাবে কী— এসব নিয়ে তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে লাটু বুদ্ধি বের করে যে, ঝুড়িতে করে পাখিটাকে লেবু গাছের ডালে রেখে এলে সে নিজেই পোকামাকড় ধরে খেতে পারবে। তাই সে তাকে ঝুড়িতে করে লেবু গাছের ডালে রেখে আসে।

প্রশ্ন ৬। গাছের ডালে পাখির নড়ার শব্দে কুমু ভয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: দিম্মার ভয়ে গাছের ডালে পাখির নড়ার শব্দে কুমু ভয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল। কুমুর ধারণা, তার দিম্মা বুনো হাঁস, পাখি এসব পছন্দ করেন না। তাই সে আর লাটু যে বুনো পাখিটার সেবা করছে, যদি দিম্মা তা জানতে পারেন তাহলে পাখিটাকে ফেলে দেবেন। তার মনে হয়েছে, দিম্মা বলতে পারেন এসব নোংরা জিনিস ঘরে আনতে নেই। তাই পাখি নড়ে উঠলে দিম্মার ভয়ে কুমু কাঠ হয়ে যায়।

প্রশ্ন ৭। পাখিটা লাটুকে ঠোকর দিয়েছিল কেন?
উত্তর: পাখিটা ভয়ে লাটুকে ঠোকর দিয়েছিল। পাখিটাকে ঝুড়িতে করে লেবু গাছে তুলে দিতে গেলে পাখিটা লাটুকে ঠোকর দেয়। কারণ মানুষের দ্বারাই সে আহত হয়েছে, তাই মানুষকেই তার ভয়। সে হয়তো ভেবেছে লাটুও তাকে আঘাত করবে। তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য সে ঠোকর দিয়েছে লাটুর হাতে।


🔆🔆 আরও দেখুন: পাখি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: পাখি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: পাখি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদের সাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।