সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১ম অধ্যায় সৃজনশীল 

সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১ম অধ্যায় সৃজনশীল: আপনি কি একাদশ শ্রেণিতে পড়েন? সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর খুজতেছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেল টি আপনার জন্য। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।


সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ১ম অধ্যায় সৃজনশীল

প্রশ্ন ০১: মারুফ অনেকের মতো সমাজে বাস করে। সে মনে করে, মানব সমাজে বাস করতে হলে সামাজিক আইন-কানুন ও আচার-আচরণের জ্ঞান আবশ্যক। একথা প্রসঙ্গে মুহসীন বলল, আমাদের ন্যায় উন্নয়নশীল দেশের সামাজিক সমস্যা উপলব্ধি করার জন্য সমাজ সম্পর্কিত একটি বিষয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ । মারুফ এ বিষয়টিকে একটি মানবতাবাদী বিজ্ঞান হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।

ক. কাকে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়?
খ. সমাজ গবেষণায় নিরপেক্ষতা আবশ্যক ব্যাখ্যা কর।
গ. মারুফের উল্লিখিত বিষয়টির চর্চার পটভূমি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মুহসীনের বক্তব্যটি মারুফের উল্লিখিত বিষয়টির গুরুত্বের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ— তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? বিশ্লেষণ কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী অগাস্ট কোঁতকে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

খ। সমাজের যেকোনো সমস্যার কারণ উদ্ঘাটন এবং তার যথাযথ প্রতিকারের জন্য প্রয়োজন গবেষণা। গবেষণার মাধ্যমে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় এবং প্রাপ্ত তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। এ জন্য গবেষণায় নিরপেক্ষতা আবশ্যক। তা না হলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে না। আর সঠিক তথ্য না পেলে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবমুখী হবে না। এ জন্য বাস্তবমুখী ও কার্যকরী পদক্ষেপের জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ সামাজিক গবেষণা।

গ। উদ্দীপকে মারুফ সামাজিক আইন-কানুন ও আচার-আচরণের জ্ঞান সম্পর্কিত একটি বিষয়ের কথা বলে। সে এ বিষয়টিকে মানবতাবাদী বিজ্ঞান হিসেবেও উল্লেখ করে। পাঠ্যবইয়ের তথ্যানুযায়ী সমাজবিজ্ঞান হলো সামাজিক আইন-কানুন ও আচার- আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান। তাছাড়া এটিকে মানবতাবাদী বিজ্ঞান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অতএব বলা যায় মারুফ সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞানের কথা বলেছে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সমাজবিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত হয়।

১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ দখলকারী ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্তি অর্জনের আগে চল্লিশের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী লেখক রাধাকমল মুখার্জি, ডি এন মজুমদার, নির্মল কুমার বসু ও বিনয় কুমার সরকার বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সে সময় কয়েকজন মার্ক্সবাদী বাঙালি সমাজবিজ্ঞানীদের লেখা পাওয়া যায়।

তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন এম এন রায়, মোজাফফর আহমদ, সুশোভন সরকার, গোপাল হালদার ও বিণয় ঘোষ। এসব সমাজচিন্তাবিদ বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক অনেক আলোচনা সমালোচনা করেছেন এবং সমাজ পরিবর্তনের কথা বলেছেন। এসব সমাজচিন্তাবিদদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পটভূমি নির্মিত হয়েছে।

ঘ। ‘আমাদের ন্যায় উন্নয়নশীল দেশের সামাজিক সমস্যা উপলব্ধি করার জন্য সমাজবিজ্ঞান অতীব গুরুত্বপূর্ণ।’ মুহসীনের এ বক্তব্যটি মারুফের উল্লিখিত বিষয়টির গুরুত্বের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আমি বক্তব্যটির সাথে একমত। কেননা অধিক জনসংখ্যা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সামাজিক সমস্যা।

এ সমস্যাগুলোর কিছু ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করছে, আবার কিছু হ্রাস পাচ্ছে। সমাজবিজ্ঞান এসব সামাজিক সমস্যার কারণ, প্রভাব ও প্রতিকার বিষয়ক বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা ও গবেষণা করে। সমাজবিজ্ঞানের গবেষণালব্ধ এ জ্ঞান সামাজিক সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। সমাজ ও রাজনীতি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। সমাজ থেকেই রাজনীতির উদ্ভব হয়। তাই সমাজ রাজনীতিকে প্রভাবিত করে, আবার রাজনীতি সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে।

কিন্তু যদি সমাজ ও রাজনীতি বিপরীতমুখী হয়, তবে মানুষের জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়। দীর্ঘদিনের চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং নোংরামি বাংলাদেশের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারা থমকে আছে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রশ্ন ০২: ‘ক’ সমাজবিজ্ঞানের একটি কনিষ্ঠতম শাখা। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের সমাজ যতই উন্নত, আধুনিক হচ্ছে সমাজ ততই জটিল হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সামাজিক সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত সমাধানে আমাদের দেশে ‘ক’ বিষয়টি পাঠের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ক. ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থের লেখক কে?
খ. কোনো পরিকল্পনায় গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সমাজবিজ্ঞানে জ্ঞানের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
গ. বাংলাদেশে ‘ক’ বিষয়টি চর্চার পটভূমি বর্ণনা করো।
ঘ. বাংলাদেশে উক্ত বিষয়টির বিকাশধারা বিশ্লেষণ করো।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থের লেখক কৌটিল্য।

খ। কোনো পরিকল্পনা কাদের জন্য করা হবে, সমাজের কোন কোন শ্রেণির মানুষ এতে কতটা উপকৃত হবে এসব পরিকল্পনা মানব আচরণ তথা সামাজিক সম্পর্কের ওপর গভীর প্রভাব রাখে। তাছাড়া উন্নয়নের পরিকল্পনা কতটা, কীভাবে ফলপ্রসূ করা যাবে; অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতাগুলো কী কী; কীভাবে তা দূর করে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যায় তা সমাজবিজ্ঞান আলোচনা করে থাকে। তাই যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ। উদ্দীপকে ‘ক’ বিষয়টি দ্বারা সমাজবিজ্ঞানকে বোঝানো হয়েছে। কারণ সমাজবিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞানের একটি কনিষ্ঠতম শাখা। এছাড়া রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সামাজিক সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত সমাধানে সমাজবিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পটভূমি নিচে আলোচনা করা হলো- ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক সমাজবিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত হয়।

১৯২৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজকে কেন্দ্র করে একটি ক্ষুদ্র মধ্যবিত্ত শ্রেণিভুক্ত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠীর বিকাশ ঘটে, যারা শিক্ষাগোষ্ঠী নামে পরিচিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে দখলকারী ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্তি অর্জনের আগে চল্লিশের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী লেখক রাধাকমল মুখার্জি, ডি এন মজুমদার, নির্মল কুমার বসু ও বিনয় কুমার সরকার বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সেসময় কয়েকজন মার্ক্সবাদী বাঙালি সমাজবিজ্ঞানীদের লেখা পাওয়া যায়।

তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন এমএন রায়, মোজাফফর আহমদ, সুশোভন সরকার, গোপাল হালদারও বিনয় ঘোষ। এসব সমাজচিন্তাবিদ বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক অনেক আলোচনা সমালোচনা করেছেন এবং সমাজ পরিবর্তনের কথা বলেছেন। এসব সমাজচিন্তাবিদদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের চর্চার পটভূমি প্রথিতযশা হয়েছে।

ঘ। বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানে বিকাশধারা নিচে বিশ্লেষণ করা হলো একটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানকে প্রতিষ্ঠার পটভূমি প্রস্তুত করতে ১৯২১ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্তএ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বহু জ্ঞানী শিক্ষক ও অন্যান্য বিদ্বান ব্যক্তির সমাজচিন্তামূলক অনেক মূল্যবান নিবন্ধ ও পুস্তক প্রকাশনা এবং বিভিন্ন সেমিনারে বিভিন্ন মননশীল প্রবন্ধ পাঠ এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

১৯৫০ সালে প্রখ্যাত ফরাসি প্রফেসর লেভী স্ট্রস বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, পঠন- পাঠনে সম্ভাব্যতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিদর্শন করেন। তার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অজিত কুমার সেন ও নাজমুল করিম দেখা করেন এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর সাহায্য সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৫৭-৫৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান একটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে।

ইউনেস্কো বিশেষজ্ঞ ফরাসি সামাজিক নৃবিজ্ঞানী ড. পেরী বেসাইনী প্রথম বিভাগের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ আত্মপ্রকাশ করে এবং ১৯৭০ সালে সম্মান কোর্স শুরু হয়। ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব একটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে বহু সমাজতাত্ত্বিক গবেষণা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছেন।

সমাজবিজ্ঞানের বিকাশের জন্য বিভিন্ন কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি এবং ডিগ্রি কোর্সে সমাজবিজ্ঞান চালু হয়। ১৯৮৬ সালে প্রথম জগন্নাথ কলেজে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সমাজবিজ্ঞান চালু হয়। বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে সমাজবিজ্ঞান স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং সমাজবিজ্ঞানের পরিচর্যা চলছে।


🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১য় অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৫ম অধ্যায়


নিজে করো,

প্রশ্ন ০৩: সম্প্রতি সমাজবিজ্ঞানীরা এক গবেষণা সমীক্ষায় প্রমাণ করেছেন যে, সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ দায়ী হলো পথচারীরা। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা এক প্রচারাভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে। ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় তারা পথচারীদের পারাপারে করণীয় দিকগুলো সম্পর্কে অবহিত করে।

ক. কত সালে বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা শুরু হয়?
খ. বাংলাদেশে কীভাবে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পটভূমি নির্মিত হয়?
গ. উদ্দীপকে সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়নের গুরুত্বের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয় ছাড়া সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়নের আরও যেসব গুরুত্ব রয়েছে তা যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্ন ০৪: কৌটিল্য তার অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে তৎকালীন সমাজব্যবস্থার ধারণা দিতে গিয়ে বলেছিলেন- ব্রাহ্মণরা শিক্ষা অর্জন, শিক্ষা দান, যজ্ঞ করা, অন্যের যজ্ঞ পরিচালনা, দান গ্রহণ এবং সম্প্রদান কর্ম করতেন। ক্ষত্রীয়রা শিক্ষা অর্জন, যজ্ঞে অংশগ্রহণ, দান করা, সৈনিক পেশা এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধান করতেন। বৈশ্যরা শিক্ষা অর্জন, যজ্ঞে অংশগ্রহণ, দান দেওয়া, কৃষিকাজ, পশু পালন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। শুদ্ররা দ্বিজদের সেবা, কৃষিকাজ, পশু পালন এবং জীবনধারণের নিমিত্তে অন্যান্য কর্ম, শিল্পকর্ম করতেন।

ক. কত সালে জগন্নাথ কলেজে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সমাজবিজ্ঞান চালু হয়?
খ. উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সমাজতাত্ত্বিক প্রয়োজনীয়তা কীরূপ? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত গ্রন্থের বর্ণনাটিকে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজতাত্ত্বিক বলে আখ্যায়িত করা যাবে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টি এদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পটভূমি রচনা করলেও পূর্ণতা দিতে পারেনি— বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্ন ০৫: ভারতীয় উপমহাদেশে “X” বিষয়টি চিন্তার ইতিহাস প্রায় দু’হাজার বছরের পুরোনো হলেও মূলত কলকাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই উপমহাদেশে “X” বিষয়টির পাঠের পথ সুগম হয়। অধ্যাপক এ. কে. নাজমুল করিম, অজিত কুমার সেনসহ অনেক মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় “X” বিষয়টির পাঠ বাংলাদেশে স্বতন্ত্রভাবে শুরু হয়।

ক. ক্লদ লেভি স্ট্রস কে ছিলেন?
খ. সমাজবিজ্ঞানকে মানবতাবাদী বিজ্ঞান বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে “X” দ্বারা যে বিষয়টিকে নির্দেশ করে বাংলাদেশে তার চর্চার পটভূমি বর্ণনা কর।
ঘ. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে এ. কে. নাজমুল করিমের অবদান সবচাইতে বেশি— তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

প্রশ্ন ০৬। মি. ‘ক’ বাংলাদেশের সমাজ গবেষণার ইতিহাসে চিরভাস্বর। এ দেশের সমাজ গবেষণায় তার অবদান মূল্যায়ন করে তাকে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। ছাত্রজীবনে তিনি ‘ভূগোল ও ভগবান’ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখে সুধীমহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশের সমাজকাঠামো ও মুসলিম সামাাাজিক স্তরবিন্যাস নিয়ে তার মৌলিক আলোচনা বর্তমান প্রজন্মের কাছে আজও গুরুত্বের দাবিদার।

ক. ক্লদ লেভি স্ট্রস কোন দেশের নৃবিজ্ঞানী ছিলেন?
খ. ‘সমাজবিজ্ঞান একটি মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান’— ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে মি. ক-এর মাধ্যমে যে সমাজ গবেষকের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে মূলত তিনি একজন মানবতাবাদী সমাজবিজ্ঞানী— ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিষ্ঠায় উক্ত সমাজ গবেষকের অবদান বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্ন ০৭: সম্প্রতি সমাজবিজ্ঞানীরা এক গবেষণা সমীক্ষায় প্রমাণ করেছেন যে, সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ দায়ী হলো পথচারীরা। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা এক প্রচারাভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে। ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় তারা পথচারীদের পারাপারে করণীয় দিকগুলো সম্পর্কে অবহিত করে।

ক. কত সালে বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা শুরু হয়?
খ. বাংলাদেশে কীভাবে সমাজবিজ্ঞান চর্চার পটভূমি নির্মিত হয়?
গ. উদ্দীপকে সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়নের গুরুত্বের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয় ছাড়া সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়নের আরও যেসব গুরুত্ব রয়েছে তা যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

About মেরাজুল ইসলাম

আমি মেরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাশাপাশি একজন ব্লগার। এডুকেশন এর প্রতি ভালোবাসাও অনলাইল শিক্ষার পরিসর বাড়ানোর জন্য এডুকেশন ব্লগের পথচলা। ব্লগিং এর পাশাপাশি আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কাস্টমাইজ সহ ওয়েব রিলেটেড সকল কাজ করি।

View all posts by মেরাজুল ইসলাম →