সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল

সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল: আপনি কি একাদশ শ্রেণিতে পড়েন? সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর খুজতেছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেল টি আপনার জন্য। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।


সমাজবিজ্ঞান ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল

প্রশ্ন ১: কাজল তার বন্ধুদের সাথে পাকিস্তান শাসনামলের একটি নির্বাচন সম্পর্কে আলোচনা করার সময় জানায় যে, সে নির্বাচনে জয়ী হয়ে একজন নেতা কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনের পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন পূর্ব বাংলার নাগরিকদের রাজনৈতিক চেতনাকে আরও বৃদ্ধি করে।

ক. মুসলিম লীগ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
খ. সংস্কৃতি হচ্ছে শিক্ষালব্ধ বিষয়—ব্যাখ্যা কর।
গ. কাজল যে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছিল সে নির্বাচনে উদ্দীপকে বর্ণিত কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর, এই ধরনের নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জনের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল? মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক) মুসলিম লীগ ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

খ) প্রকৃতিগত দিক থেকে সংস্কৃতি হচ্ছে শিক্ষালব্ধ বিষয়। আমরা জানি, সংস্কৃতি জৈবিকভাবে মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয় না। এটি সামাজিকভাবে শিখতে হয়। মানুষ প্রতিনিয়ত ভাষা, রীতি-নীতি, আচার-আচরণ, মূল্যবোধ, ধ্যান-ধারণা, বিশ্বাস, প্রথাসহ শিক্ষা গ্রহণ করে। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি নতুন নতুন সংস্কৃতি গ্রহণ করে যুগের পর যুগ সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখে। আর এজন্যই সংস্কৃতিকে শিক্ষালব্ধ বিষয় বলা হয়।

গ) কাজল ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছিল । উদ্দীপকে বর্ণিত কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনিই কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন । ১৯৫২-এর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে জেল থেকে মুক্তি লাভের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন একজন কোটিপতি মুসলিম লীগ নেতার বিরুদ্ধে তিনি ১৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। ১৯৫৪ সালে শেখ মুজিব কেন্দ্রীয় গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ১৯৫৪ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙালিদের জাতীয়তাবোধ আরও সুদৃঢ় হয়। ফলে তারা স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখতে থাকে যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

ঘ) হ্যাঁ, আমি মনে করি, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জনের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। পাকিস্তান সরকারের পাহাড়সম ষড়যন্ত্র বাঙালিদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। এর অন্যতম উদাহরণ হলো ১৯৬২ সালের শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ইংরেজি পাঠ বাধ্যতামূলক, উর্দুকে জনগণের ভাষায় পরিণত করা এবং একই সাথে জাতীয় ভাষার জন্য একটি সাধারণ বর্ণমালা প্রবর্তনের চেষ্টা ইত্যাদি।

এসব বিষয়াবলির বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলনে নামে। বাংলার ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিবিদসহ সাধারণ লোকজন ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের অর্জিত আস্থার প্রতি বিশ্বাসী হতে শুরু করে। এই নির্বাচনে পূর্ব বাংলার জনগণ পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতায় পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃত্ব ও প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার রায় প্রদান করে। পূর্ব বাংলায় বাঙালিদের শাসন দেখতে তারা যে আগ্রহী তা প্রকাশিত হয় এবং চূড়ান্তভাবে অনেকেই দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন দেখতে থাকে। ফলে দিন দিন আন্দোলন বৃদ্ধি পায় এবং একসময় দেশ স্বাধীন হয়।

উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি প্রমাণ করে যে, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস যা তাদের স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতিতে পরিণত করে।

প্রশ্ন ২: ‘ক’ গ্রামে দখলদার গোষ্ঠী দীর্ঘ ২৩ বছর যাবৎ অন্যায়ভাবে শোষণ ও লুণ্ঠন করে আসছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য গ্রামের সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেতৃস্থানীয় আদনান সাহেবকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেন এবং তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলেও দখলদার গোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর ফলে নেতৃস্থানীয় আদনান সাহেব পুরো গ্রামকে একটি ক্রিকেট টিমে যতজন সদস্য থাকে ততভাগে বণ্টন করে অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং অবশেষে গ্রামটি শত্রুমুক্ত হয়।

ক. কখন পূর্ববঙ্গ প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়?
খ. ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের নতুন অধ্যায়- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে কোন নির্বাচনের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরো।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক) ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়।

খ) ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের নতুন অধ্যায়। ১৯৬৬ সালে লাহোরে বিরোধীদলীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান অধিকার বঞ্চিত বাঙালির পক্ষে যে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন তার গুরুত্ব অপরিসীম। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে এ আন্দোলনের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এর মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের সূচনা হয়েছিল।

গ) উদ্দীপকে অবিভক্ত পাকিস্তানের ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রতিফলন ঘটেছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচন ছিল অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম ও শেষ সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুব খানের পতন হয়। ইয়াহিয়া খান দেশের প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন।

রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে তিনি ১৯৭০ সালে দেশে সাধারণত নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ২৩ বছরের শাসনামলে এটিই ছিল প্রথম সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। কিন্তু ক্ষমতাসীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়। ‘ক’ গ্রামে ও অনুরূপ নির্বাচনেরই ইঙ্গিত রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে তৎকালীন পাকিস্তানের ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রতিফলন ঘটেছে।

ঘ) উদ্দীপক দ্বারা ইঙ্গিকৃত নির্বাচন তথা ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনি ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন এবং বাকি ২টি আসনের মধ্যে একটিতে জয়লাভ করেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ পার্টির প্রধান নুরুল আমিন এবং অপরটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজা ত্রিদিব রায়।

এছাড়া জাতীয় পরিষদের পূর্ব পাকিস্তানের জন্য সংরক্ষিত ৭টি মহিলা আসনের সব কটিতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। সর্বমোট ৩১৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬৭টি। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

প্রাদেশিক পরিষদের মোট ৩০০টি এলাকাভিত্তিক আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসন লাভ করে। অপরদিকে, জাতীয় পরিষদে পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩৮টি এলাকাভিত্তিক আসনের মধ্যে ৮৩টি আসনে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি জয়লাভ করে। তার দল মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৪২.২ ভাগ পায়। বাকি ৫৫টি আসনের ৪২টিতে অন্যান্য দল এবং ১৩টিতে নির্দলীয় প্রার্থীগণ জয়লাভ করে। উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, পূর্ব বাংলার জনগণের স্বায়ত্তশাসনের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে।

নিজে করো, 

প্রশ্ন ৩: নাবিলা বানু বর্তমানে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। তার দেশে যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ চলছিল তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এখন তার বয়স ৫৪ বছর। অতীতের স্মৃতির মধ্যে তার মনে আছে, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব বছরে দেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। সে নির্বাচনের গুরুত্ব দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামে অপরিসীম। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করেও দেশের এক মহান নেতা ক্ষমতায় বসতে পারেননি। ষড়যন্ত্র করে তার দেশের জনগণকে ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়েছিল।

ক. কারা বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল?
খ. ১৯৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের নাবিলা বানুর স্মৃতিতে যে নির্বাচনের তথ্য রয়েছে তার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে যে মহান নেতার কথা বলা হয়েছে তিনিই বাঙালি জাতির মুখপাত্র — মূল্যায়ন কর।


🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১য় অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৫ম অধ্যায়


প্রশ্ন ৪: রিপনের দাদু তার নাতনিদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গল্প বলছিলেন। কিছু ঘটনা বলার পর রিপনের পাঠ্যবিষয়ের সাথে মিলে যাওয়ায় সে মনোযোগ দিয়ে শুনতে শুরু করল। দাদু বললেন, তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির জন্যে এমন কিছু কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন যার জন্যে তাকে দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। কিন্তু বাঙালির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কাছে পাকিস্তানিদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল।

ক. ১৯৬৯ সালের কত তারিখে আইয়ুব খান শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন?
খ. উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচিসমূহের বিবরণ দাও।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মামলার উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্ন ৫: সাজেদা রহমান শত সমস্যার মধ্যেও দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন। তার অতীত অভিজ্ঞতা তাকে স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করে। তিনি মনে করেন এমন এক সময় ছিল যখন দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র-জনতা মাতৃভাষায় কথা বলার জন্যে প্রাণ বিসর্জনেও রাজি ছিল। ভঙ্গ করেছিল ১৪৪ ধারা। গঠন করেছিল সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ, প্রাণ হারিয়ে মায়ের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এই জাতির উন্নয়ন নিশ্চিত বলে মনে করেন আশি বছর বয়সী সাজেদা রহমান।

ক. কত সালে জেনারেল আইয়ুব খান তার মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ ঘোষণা করেন?
খ. ভাষা আন্দোলনে নারী সমাজের ভূমিকা উল্লেখ করো।
গ. সাজেদা রহমান যে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে অনুপ্রেরণা পান তার ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আন্দোলনের মর্যাদা ও সম্মান শুধু জাতীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত— বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্ন ৬: ফেব্রুয়ারি মাস এলেই অশীতিপর আরমান সাহেবের বুক একটি আন্দোলনকে মনে করে গর্বে ভরে ওঠে। তার মানসপটে পুরনো দিনের অনেক ঘটনা ভেসে ওঠে। যেমন- ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ। সেদিন তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় ঘোষণা করেন, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’। তবে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর এই অন্যায় আচরণ মাথা পেতে মেনে নেয়নি।

ক. তদানীন্তন পাকিস্তানের শতকরা কত ভাগ লোকের ভাষা বাংলা ছিল?
খ. ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় কেন?
গ. আরমান সাহেব কোন আন্দোলনকে মনে করে গর্ববোধ করেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত আন্দোলনের গুরুত্ব পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

About মেরাজুল ইসলাম

আমি মেরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাশাপাশি একজন ব্লগার। এডুকেশন এর প্রতি ভালোবাসাও অনলাইল শিক্ষার পরিসর বাড়ানোর জন্য এডুকেশন ব্লগের পথচলা। ব্লগিং এর পাশাপাশি আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কাস্টমাইজ সহ ওয়েব রিলেটেড সকল কাজ করি।

View all posts by মেরাজুল ইসলাম →