৮ম শ্রেণি: তৈলচিত্রের ভূত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

তৈলচিত্রের ভূত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

তৈলচিত্রের ভূত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ ছোটগল্পটি অতিপ্রাকৃত ঘটনার আশ্রয়ে রচনা করেছেন। এটি কিশোর-উপযোগী রচনাসমূহের অন্তর্ভুক্ত একটি ছোটগল্প । সমাজে ভূত-প্রেতে বিশ্বাস নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচলিত কুসংস্কার যে ভিত্তিহীন সেই বিষয়টি এ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে।

লেখক এ গল্পে বিজ্ঞানবুদ্ধির জয় দেখিয়েছেন। গল্পে নগেন কলেজ পড়ুয়া কিন্তু সে ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করে। সে বড়লোক মামার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে। তবে মামার কৃপণ স্বভাবের কারণে তার প্রতি নগেনের কখনই অন্তর থেকে শ্রদ্ধাভক্তি ছিল না। যেটুকু ছিল তা নিতান্তই দায়ে পড়ে। অথচ মৃত্যুর আগে কী যেন ভেবে মামা তার নিজের ছেলেদের ভাগের সমান অংশের টাকা তার নামেও উইল করে গেছেন।

জীবিত অবস্থায় মামা তার সঙ্গে যেমন ব্যবহারই করুন না কেন, মৃত্যুর পর মামার এ রকম উদারতার কথা ভেবে পরলোকগত মামার প্রতি শ্রদ্ধাভক্তিতে তার মন ভরে ওঠে। সারাজীবন শ্রদ্ধাভক্তির ভান করে মামাকে সে ঠকিয়েছে। তাই লাইব্রেরি ঘরে মামার তৈলচিত্রের পায়ে নগেন অন্ধকারে প্রণাম করতে যায়। রূপার ফ্রেমে বাঁধানো মামার তৈলচিত্রে মাথা স্পর্শ করামাত্রই মামা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

এ রকম ঘটনা অন্ধকার রাতে অসংখ্যবার ঘটেছে। অথচ দিনের বেলা বা অন্ধকারে আলো হাতে থাকলে তা ঘটে না। দুশ্চিন্তায় নগেন শুকিয়ে যেতে থাকে। শেষমেশ পরাশর ডাক্তারের কাছে সবিস্তারে বর্ণনা করল সে। অবশেষে পরাশর ডাক্তার তৈলচিত্রটিকে ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলেন যে, তৈলচিত্রের রুপার ফ্রেমে বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকায় এ রকম ভুতুড়ে কাণ্ডটি ঘটেছে। আসলে এটা ভূতের কোনো বিষয় নয়।

এ গল্পে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নগেন চরিত্রের মধ্যে ভূত-বিশ্বাসের স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন। অন্যদিকে পরাশর ডাক্তার বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে নগেনের এ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করেছেন। মৃত ব্যক্তির আত্মা ভূতে পরিণত হয়— এ রকম বিশ্বাস সমাজে প্রচলিত থাকায় নগেন বৈদ্যুতিক শককে ভূতের কাজ বলে সহজে বিশ্বাস করেছে। আসলে ভূত বলে কিছুই নেই, তা এ গল্পে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।


৮ম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র এর সকল অধ্যায় এর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: অতিথির স্মৃতি
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: ভাব ও কাজ
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: পড়ে পাওয়া
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: তৈলচিত্রের ভূত
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: আমাদের লােকশিল্প
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: সুখী মানুষ
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: শিল্পকলার নানা দিক
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: মংডুর পথে
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: বাংলা নববর্ষ
🔅🔅 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: বাংলা ভাষার জন্মকথা


তৈলচিত্রের ভূত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। একটু থেমে পরাশর ডাক্তার আবার কী বললেন?
উত্তর: একটু থেমে পরাশর ডাক্তার আবার বললেন- ভূত বলে কিছুই নেই নগেন।

প্রশ্ন ২। ‘উইল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উইল শব্দের অর্থ হচ্ছে শেষ ইচ্ছাপত্র।

প্রশ্ন ৩। তৈলচিত্র কী?
উত্তর: ‘তৈলচিত্র’ হলো তেলরঙে আঁকা ছবি।

প্রশ্ন ৪। কিছু পয়সা বাঁচানোর জন্য পরেশ বাপের ছবিতে কী এনে ছেড়েছে?
উত্তর: কিছু পয়সা বাঁচানোর জন্য পরেশ বাপের ছবিতে ভূত এনে ছেড়েছে।

প্রশ্ন ৫। নগেনের ঘুম আসছিল না কেন?
উত্তর: মামাকে সারা জীবন ভক্তি আর ভালোবাসার ভান করে ঠকিয়েছে ভেবে অনুতপ্ত হওয়ায় নগেনের ঘুম আসছিল না।

প্রশ্ন ৬। পরাশর ডাক্তার কোথায় বসে চিঠি লিখেছিলেন?
উত্তর: পরাশর ডাক্তার নিজের প্রকাণ্ড লাইব্রেরিতে বসে চিঠি লিখেছিলেন।

প্রশ্ন ৭। ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পটি ‘মৌচাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।

প্রশ্ন ৮। লাইব্রেরির দেয়ালে কয়টি তৈলচিত্র ছিল?
উত্তর: লাইব্রেরির দেয়ালে তিনটি তৈলচিত্র ছিল।

প্রশ্ন ৯। ‘ভূত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ভূত শব্দের অর্থ হলো- প্রেতাত্মা।

প্রশ্ন ১০। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু সাল কত?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু সাল ১৯৫৬।

প্রশ্ন ১১। নগেনদের বাড়ির লাইব্রেরিটি কার আমলের?
উত্তর: নগেনদের বাড়ির লাইব্রেরিটি নগেনের দাদামশায়ের আমলের।

প্রশ্ন ১২। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশোর-উপযোগী গল্পের সংখ্যা কত?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশোর-উপযোগী গল্পের সংখ্যা ২৭।

প্রশ্ন ১৩। ‘তৈলচিত্রের ভূত’ কোন জাতীয় রচনা?
উত্তর: ‘তৈলচিত্রের ভূত’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কিশোর- উপযোগী ছোটগল্প ।

প্রশ্ন ১৪। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কত সালে?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ১৫। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাঝির ছেলে’ কী ধরনের রচনা?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাঝির ছেলে’ একটি কিশোর উপন্যাস।

প্রশ্ন ১৬। নগেনের মামার গায়ে কিসের পাঞ্জাবি ছিল?
উত্তর: নগেনের মামার গায়ে মটকার পাঞ্জাবি ছিল।

প্রশ্ন ১৭। লাইব্রেরির দেয়ালে কয়টি তৈলচিত্র ছিল?
উত্তর: লাইব্রেরির দেয়ালে তিনটি তৈলচিত্র ছিল।

প্রশ্ন ১৮। ‘মটকা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘মটকা’ শব্দের অর্থ- রেশমের মোটা কাপড়।

প্রশ্ন ১৯। উইল কী?
উত্তর: ‘উইল’ হচ্ছে- শেষ ইচ্ছাপত্র।

প্রশ্ন ২০। ‘উদ্ভ্রান্ত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘উদ্ভ্রান্ত’ শব্দের অর্থ- বিহ্বল, দিশেহারা, হতজ্ঞান ।

প্রশ্ন ২১। নগেন কোথায় থেকে কলেজে পড়ে?
উত্তর: নগেন তার মামাবাড়িতে থেকে কলেজে পড়ে।

প্রশ্ন ২২। নগেনের মামা কী রকম লোক ছিলেন?
উত্তর: নগেনের মামা কৃপণ লোক ছিলেন।

প্রশ্ন ২৩। নগেন তার মামাকে মনে মনে প্রায়ই কোথায় পাঠাত?
উত্তর: যমের বাড়ি ।

প্রশ্ন ২৪। নগেনের মামা শেষ সময়ে নগেনের জন্য কী করেছেন?
উত্তর: নগেনের নামে টাকা উইল করেছেন।

প্রশ্ন ২৫। পাগল সহজে কী টের পায় না?
উত্তর: পাগল সহজে টের পায় না যে সে পাগল হয়ে গেছে।

প্রশ্ন ২৬। নগেন মরিয়া হয়ে ডাক্তারকে কী জিজ্ঞেস করেছিল?
উত্তর: সত্যই প্রেতাত্মা আছে কিনা।

প্রশ্ন ২৭। নগেনের কাহিনি কেমন ছিল?
উত্তর: নগেনের কাহিনি ছিল অবিশ্বাস্য আর চমকপ্রদ।

প্রশ্ন ২৮। নগেন কোনোদিনও কী কল্পনা করতে পারেনি?
উত্তর: মামার অকৃত্রিম উদারতা।

প্রশ্ন ২৯। নগেন তার মামাকে কীভাবে ঠকিয়েছিল?
উত্তর: নগেন তার মামাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ভান করে ঠকিয়েছিল ।

প্রশ্ন ৩০। নগেন তার মৃত মামাকে কীভাবে ভক্তিশ্রদ্ধা করতে চেয়েছিল?
উত্তর: নগেন তার মৃত মামার তৈলচিত্রের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে ভক্তিশ্রদ্ধা করতে চেয়েছিল।

প্রশ্ন ৩১। কী সম্পর্কে নগেনের মামার বিশেষ কোনো মাথাব্যথা ছিল না?
উত্তর: লাইব্রেরি সম্পর্কে।

প্রশ্ন ৩২। তৈলচিত্রের ছবি তিনটি ছিল কার কার?
উত্তর: নগেনের দাদামশায়ের, দিদিমার আর মামার।

প্রশ্ন ৩৩। নগেন তার মামার ছবি ছুঁতেই তার কী হলো?
উত্তর: নগেনকে কে যেন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।

প্রশ্ন ৩৪। নগেনের মামার কখন ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা নেই?
উত্তর: নগেনের মামার দিনের বেলায় ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা নেই।

প্রশ্ন ৩৫। দেয়ালের ছবিতে নগেনের মামা কীভাবে দাঁড়িয়ে আছেন?
উত্তর: দেয়ালের ছবিতে নগেনের মামা মটকার পাঞ্জাবির উপর দামি শাল গায়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

প্রশ্ন ৩৬। নগেনের মামা তাকে কখন ধাক্কা দেয়?
উত্তর: অন্ধকারে ছবি স্পর্শ করলে নগেনের মামা তাকে ধাক্কা দেয়।

প্রশ্ন ৩৭। তৈলচিত্রের তেজ কখন বাড়ে?
উত্তর: তৈলচিত্রের তেজ রাত্রে বাড়ে।

ডাউনলোড পিডিএফ

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

About মেরাজুল ইসলাম

আমি মেরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাশাপাশি একজন ব্লগার। এডুকেশন এর প্রতি ভালোবাসাও অনলাইল শিক্ষার পরিসর বাড়ানোর জন্য এডুকেশন ব্লগের পথচলা। ব্লগিং এর পাশাপাশি আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কাস্টমাইজ সহ ওয়েব রিলেটেড সকল কাজ করি।

View all posts by মেরাজুল ইসলাম →