CLASS 04: পালকির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

পালকির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর 

পালকির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর: কড়া রোদে গরমের মধ্যে বেহারারা পালকি নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায়। চারদিকে কোনো সাড়াশব্দ নেই । চলার পথে পা ফেলার তালে তালে তারা গান ধরে।

এই গানের কথায় গ্রামবাংলার চলমান জীবনের ছবি ফুটে ওঠে। রোদের মধ্যে লোকজন খালি গায়ে চলাচল করছে। ময়রা মুদি দোকানের তত্তায় বসে ঘুমে ঢুলছে। দুধের শুকনো কড়াইয়ের ধারে মাছি ভনভন করছে। হাটুরেরা হাটের শেষে রুক্ষ বেশে চলছে।

কুকুরগুলো ধুঁকছে, কোনোটা বা ধুলো শুঁকছে। লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে গঙ্গাফড়িং। বাঁধের দিকে সূর্য ঢলে পড়ছে। বেহারারা পালকি বহন করে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তাদের গা টলছে। ভাবছে, আরও কতক্ষণ চলতে হবে। কত দূর যেতে হবে।


পালকির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১. দুপুরের রোদে পালকির বেহারাদের কী অবস্থা হয়েছে?
উত্তর: দুপুরের প্রচণ্ড রোদে পালকির বেহারারা পালকি কাঁধে অসহ্য গরমে হাঁপিয়ে উঠছেন। মনে হয় যেন আকাশ থেকে আগুন ঝরে পড়ছে। এর মধ্যে টলতে টলতে বেহারারা গান করতে করতে ঘেমে নেয়ে গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছেন। অসহ্য গরমে তাদের অবস্থা খুবই করুণ।

প্রশ্ন ২. পাটায় বসে ময়রা কী করছেন?
উত্তর: রোদের প্রচণ্ড তাপে মানুষজন সব হাঁপিয়ে উঠেছে। কেনাবেচা তেমন হচ্ছে না। পাটায় বসে ময়রার চোখ বুজে আসছে। ঘুমের আবেশে জোরে জোরে ঢুলছে।

প্রশ্ন ৩. হাটুরে কোথায় যাচ্ছেন?
উত্তর: কড়া রোদের তাপে মানুষ অতিষ্ঠ। তাই একেবারে প্রয়োজন না হলে কেউ ঘর-বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। হাটুরেদের বেচাকেনাও তেমনটা নেই। তাই দুপুর হতেই রুক্ষ বেশে ক্লান্ত শরীর নিয়ে তারা বাড়ির দিকে ধেয়ে চলেন।

প্রশ্ন ৪. কুকুরগুলো ধুঁকছে কেন?
উত্তর: সূর্যের প্রচণ্ড তাপে চারদিকে অসহ্য গরম। যেন আকাশ থেকে সূর্য আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখি সবাই হাঁপিয়ে উঠেছে। কুকুরগুলোও অসহ্য গরমে ক্লান্ত হয়ে ধুলো শুঁকছে আর ধুঁকছে।

পালকির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন ৫. ময়রা মুদি কী করছে? দুটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: ১. ময়রা মুদি পাটায় বসে আছে।
২. সে চোখ বন্ধ করে বসে ঢুলছে।

প্রশ্ন ৬. ময়রা মুদি পাটায় বসে ঢুলছে কেন? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: ময়রা মুদি পাটায় বসে টুলছে, কারণ:
১. তার কোনো কাজ নেই।
২. তার ঘুম আসছে।
৩.তাই সে চোখ মুদে বসে আছে।

প্রশ্ন ৭. মাছিগুলো কী করছে? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: ১. ময়রা মুদি ঘুমে ঢুলছে।
২. এই সুযোগে মাছিগুলো উড়ে এসে দুধের চাঁছির উপর বসছে।
৩. দুধের চাঁছির স্বাদ শুষে নিচ্ছে।
৪. অনেক মাছি আবার ভনভন করে উড়ছে।

প্রশ্ন ৮. পাঁচটি বাক্যে গ্রীষ্ম প্রকৃতির পরিচয় দাও।
উত্তর: নিচে পাঁচটি বাক্যে গ্রীষ্ম প্রকৃতির পরিচয় দেওয়া হলো-
১. গ্রীষ্মকালে প্রখর তাপে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যায়।
২. গ্রীষ্মকালে অসহ্য গরম পড়ে।
৩. গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপে প্রাণীরা ছটফট করে।
৪. গ্রীষ্মকালে দুপুরের রোদ আগুনের ফুলকির মতো গায়ে লাগে।
৫. গ্রীষ্মকালে পার্থক পথ চলতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, মাঠে লোক থাকে না।

প্রশ্ন ৯. পাঁচটি বাক্যে গ্রীষ্মের দুপুরে পথিকের অবস্থা তুলে ধর।
উত্তর: নিচে পাঁচটি বাক্যে গ্রীষ্মের দুপুরে পথিকের অবস্থা তুলে ধরা হলো-
১. পথিক পথ চলতে গিয়ে ক্লান্তি অনুভব করে।
২. অসহ্য গরমে সে ঘামতে থাকে।
৩. পিপাসায় তার বুকের ছাতি ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়।
৪. চারদিকে খাঁ খাঁ রোদে সে কাতর হয়ে পড়ে।
৫. রোদকে তার আগুনের ফুলকির মতো মনে হয়।

প্রশ্ন ১০. গ্রীষ্ম প্রকৃতির পাঁচটি পরিবর্তন লেখ।
উত্তর: গ্রীষ্ম প্রকৃতির পাঁচটি পরিবর্তন নিচে দেওয়া হলো-
১. খাল-বিল শুকিয়ে যায়।
২. পুকুরে জল থাকে না।
৩. মাঠ-ঘাটে লোক একেবারেই থাকে না।
৪. রোদের তাপ আগুনের ফুলকির রূপ নেয়।
৫. পথিক পথ চলতে পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ে।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।

About মেরাজুল ইসলাম

আমি মেরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাশাপাশি একজন ব্লগার। এডুকেশন এর প্রতি ভালোবাসাও অনলাইল শিক্ষার পরিসর বাড়ানোর জন্য এডুকেশন ব্লগের পথচলা। ব্লগিং এর পাশাপাশি আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কাস্টমাইজ সহ ওয়েব রিলেটেড সকল কাজ করি।

View all posts by মেরাজুল ইসলাম →