এ-ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম: উচ্চারণের নিয়ম ধ্বনিতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতি বছরই এইচএসসি পরিক্ষায় উচ্চারণের নিয়ম থেকে প্রশ্ন থাকে। আজকের আর্টিকেলে এ-ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।
এ-ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম
এ-ধ্বনির উচ্চারণ দুরকম : সংবৃত ও বিবৃত। যেমন— মেঘ (মেঘ— সংবৃত), খেলা (খ্যালা— বিবৃত)।
১। সংবৃত: (ক) পদের অন্তে ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন— পথে, ঘাটে, দোষে, গুণে, আসে ইত্যাদি।
(খ) তৎসম শব্দের প্রথমে ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে এ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়। যেমন- দেশ, প্রেম, শেষ ইত্যাদি।
(গ) একাক্ষর সর্বনাম পদের ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন— কে, সে, যে।
(ঘ) ‘হ’ কিংবা আকারবিহীন যুক্তধ্বনি পরে থাকলে ‘এ; সংবৃত হয়। যেমন— দেহ, কেহ, কেষ্ট।
(ঙ) ‘ই’ বা ‘উ’-কার পরে থাকলে ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন— দেখি, রেণু, বেলুন।
২। বিবৃত: (অ্যা): ‘এ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ ইংরেজি ক্যাট (cat) ও ব্যাট (bat)-এর ‘এ’ (a)-এর মত। যেমন— দেখ (দ্যাখ), একা (এ্যাকা) ইত্যাদি। এ-ধ্বনির এই বিবৃত উচ্চারণ কেবল শব্দের আদিতেই পাওয়া যায়, শব্দের মধ্যে ও অন্তে পাওয়া যায় না।
(ক) দু অক্ষর বিশিষ্ট সর্বনাম বা অব্যয় পদে, যেমন— এত, এখন, হেন, কেন ইত্যাদি। কিন্তু ব্যতিক্রম । যেথা, সেথা, হেথা।
(খ) অনুযার ও চন্দ্রবিন্দুযুক্ত ধ্বনির আগের এ ধ্বনি বিবৃত। যেমন- খেংড়া, চেংড়া, সেঁতসেঁতে, বেঁকা।
(গ) খাঁটি বাংলা শব্দে, যেমন- খেমটা, ঢেপসা, তেলাপোকা, তেনা, দেওর।
(ঘ) এক, এগারো, তেরো- এ কটি সংখ্যাবাচক শব্দে, ‘এক’ যুক্ত শব্দেও, যেমন— এক চোট, এক তলা, এক ঘরে ইত্যাদি।
(ঙ) ক্রিয়াপদের বর্তমান কালের অনুজ্ঞায়, তুচ্ছার্থে ও সাধারণ মধ্যম পুরুষের রূপে; যেমন— দেখ্ (দ্যাখ), দেখ (দ্যাখো), খেল্ (খ্যাল্), খেল (খ্যালো), ফেলু (ফ্যাহ্), ফেল (ফ্যালো) ইত্যাদি।
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আমরা আমাদের সোসাল মিডিয়া ও ইউটিউবেও নিয়মিত সাজেশনের আপডেট করে থাকি। ফেসবুকে আমাদের সাথে কানেক্টেড থাকতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের ইউটিউবে সাবক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধনবাদ।