ব-ফলা উচ্চারণের নিয়ম

(উদাহরণসহ) ব-ফলা উচ্চারণের নিয়ম

ব-ফলা উচ্চারণের নিয়ম: উচ্চারণের নিয়ম ধ্বনিতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতি বছরই এইচএসসি পরিক্ষায় উচ্চারণের নিয়ম থেকে প্রশ্ন থাকে। আজকের আর্টিকেলে ব-ফলা উচ্চারণের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

ব-ফলা উচ্চারণের নিয়ম

বাংলায় ব-ফলার উচ্চারণে বিভিন্নতা দেখা যায়। তা কখনো উচ্চারিত হয়, কখনো হয় না।

অনুচ্চারিত ব-ফলা

১. শব্দের গোড়ায় থাকলে ব-ফলার উচ্চারণ হয় না। বড় জোর তাতে বাড়তি শ্বাসাঘাত পড়ে। যেমন : ধ্বনি, জ্ব, জ্বালা, ত্বক, দ্বিতীয়, দ্বেষ, শ্বাস, স্বত্ব, স্বদেশ, স্বভাব, স্বার্থ স্বীকার।

২. শব্দের মধ্যে বা শেষেও ব-ফলা অনুচ্চারিত থাকে। তবে তা আশ্রয়ী ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ ঘটায়। যেমন : অম্বু, আশ্বিন, দাসত্ব, পক্ব, বিদ্বান, বিশ্ব, বিধ্বস্ত, স্বত্ব।

৩. যুক্তব্যঞ্জনের সঙ্গে অর্থাৎ দুয়ের বেশি ব্যঞ্জনের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব অনুচ্চারিত থাকে। যেমন : উচ্ছ্বাস, উজ্জ্বল, তাত্ত্বিক, দ্বন্দ্ব, পার্শ্ব, মহত্তব, সান্ত্বনা।

ব-ফলার স্বাভাবিক উচ্চারণ

১. ব-য়ে ব-ফলার বেলায় ব-এর উচ্চারণ হয় : আব্বা, সাব্বাস, তিব্বত, নব্বই।

২. ম-য়ে ব-ফলার ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে : গম্বুজ, নিতম্ব, নীলাম্বর, সম্বল, সম্বোধন, লম্বা।

৩. শব্দের মধ্যে ও শেষে দ্ব-ফলা থাকলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে : উদ্বাস্তু, উদ্বুদ্ধ, উদ্বেগ, উদ্বিগ্ন, উদ্বোধন, নিরুদ্বেগ, ভবিষ্যদ্বাণী।

৪. গ্ব-ফলার ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে : ঋগ্বেদ (রিগ্‌বেদ), দিগ্বলয়, দিগ্বিজয়, দিগ্বিদিক।

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আমরা আমাদের সোসাল মিডিয়া ও ইউটিউবেও নিয়মিত সাজেশনের আপডেট করে থাকি। ফেসবুকে আমাদের সাথে কানেক্টেড থাকতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের ইউটিউবে সাবক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধনবাদ।

এইচএসসি ২০২২ সাজেশন