[SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল

[SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। পরিক্ষার আগে শেষ প্রস্তুতির সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে বিগত বছরের প্রশ্ন গুলোর সমাধান করা। এতে করে প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। এজন্য পিডিএফ মেলার আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় থেকে আসা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

 i) Mangifera indica
ii) MANGIFERA INDICA
iii) Mangifera 

ক. ফলিত জীববিজ্ঞান কী? 
খ. শ্রেণিবিন্যাস জীবের জন্য কেন প্রয়ােজন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলাের মধ্যে থেকে কোন পদ্ধতি অনুসরণে তুমি কীভাবে আমাদের জাতীয় ফুল এবং জাতীয় পাখির নাম লিখবে?
ঘ. উল্লেখিত পদ্ধতিগুলাের মধ্যে থেকে জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে কোন পদ্ধতিটি তুমি কেন গ্রহণ করলে যুক্তিসহ তােমার মতামত ব্যক্ত কর।

ক উত্তর) জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবন সংশ্লিষ্ট প্রায়ােগিক বিষয়গুলাে আলােচনা করা হয় তাই ফলিত জীববিজ্ঞান।

খ উত্তর) শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে একটি জীবরে গঠন, জনন, বাসস্থান, খাদ্য গ্রহণ, উৎপত্তি, বিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া একই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি জীবের মাধ্যমে ঐ প্রজাতির অসংখ্য জীব সম্পর্কে প্রায় পরিপূর্ণ সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। ফলে জীবজগতে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কে সহজে ও অনায়াসে জানা যায়। তাই জীবের জন্য শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়ােজন।

গ উত্তর) উদ্দীপকে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলাের মধ্যে (i) নং পদ্ধতিতে দ্বিপদ নামকরণ অনুসরণ করা হয়েছে। তাই আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা ও জাতীয় পাখি দোয়েলের নাম আমি এই পদ্ধতি অনুসারেই লিখব। নিচে পদ্ধতিটি অনুসারে এদের নামদ্বয় লেখার প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলাে।

১. এদের নাম হবে দ্বিপদী। প্রথমটি গণ ও দ্বিতীয়টি প্রজাতি।
২. নামের ভাষা হবে ল্যাটিন।
৩. গণ নামে প্রথম অক্ষর বড় হাতের হবে, প্রজাতিক পদের সব অক্ষরই ছােট হাতের হবে।
৪. নামকরণ ছাপা অক্ষরে ইটালিক হরফে হবে। হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করতে হবে এবং অংশ দুটির নিচে আলাদা আলাদাভাবে দাগ টানতে হবে।
৫. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে নামদানকারীর নাম (সংক্ষিপ্ত) লিখতে হয়।

তাই দ্বিপদ নামকরণের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের জাতীয় ফুল শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম হলাে- Nymphaea nouchali এবং দোয়েলের বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis.

ঘ উত্তর) উদ্দীপকে উল্লিখিত আমের বৈজ্ঞানিক নামকরণ পদ্ধতিগুলো RT- (i) Mangifera indica, (ii) MANGIFERA INDICA B (iii) Mangifera, এ পদ্ধতিগুলাের মধ্যে (ii) ও (iii) নং নামকরণ পদ্ধতি গ্রহণযােগ্য নয়। কারণ (ii) ও (iii) নং পদ্ধতি দুটিতে দ্বিপদ নামকরণের সঠিক নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয় নি। কিন্তু (i) Mangifera indica পদ্ধতিতেই আমের সঠিক দ্বিপদ নামকরণের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আমের এ ধরনের নামকরণ পদ্ধতি গ্রহণের কারণ উপস্থাপন করা হলাে-

১. জীবের দ্বিপদ নামকরণ হাতে লিখতে গেলে গণ ও প্রজাতির নামের নিচে দাগ দিতে হয়। যা কিনা (i) Mangifera indica পদ্ধতিতে অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে আমের কোনটি গণ নাম ও কোনটি প্রজাতি নাম তা সহজেই বুঝা যাচ্ছে।
২. এ ধরনের দ্বিপদ নামকরণের মাধ্যমে পৃথিবীর কোনাে বিশেষ জীব বা জীবকূলকে একটি নির্দিষ্ট নামে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়।
৩. এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনাে জীবের দ্বিপদ নাম প্রদানকারীর নাম জানা যায়। যেমন- Mangifera indica Li. এখানে Li হচ্ছে। ক্যারােলাস লিনিয়াসে এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
৪. দ্বিপদ নামকরণে ভাষা হবে ল্যাটিন। এর বর্ণনা একই ভাষায় হওয়ায় সকলের ক্ষেত্রে বুঝতে সুবিধা হয়।
৫. কোন জীব কোন গণের অন্তর্গত তা সহজেই জানা যায়।
৬. জীবের গণের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়।

সুতরাং দ্বিপদ নামকরণের উপরােক্ত সুবিধাগুলাের কারণেই জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি আমের দ্বিপদ নামকরণের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের (i) Mangitera indica নামকরণ পদ্ধতিটি গ্রহণ করলাম।

Click Here to Download

সবগুলো প্রশ্নোত্তর দেখতে উপরের পিডিএফ টি ডাউনলোড করুন। আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *