[SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়

[SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় (বোর্ড প্রশ্নোত্তর, সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর)

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন? পিডিএফ মেলের আরেকটি নতুন আর্টিকেলে আপনাদের স্বাগতম।

জীববিজ্ঞান এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আবশ্যিক বিষয়। আজকের আর্টিকেল টি [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় নিয়ে। জীববিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়টির নাম “জীবন পাঠ”। আজকের আর্টিকেল বিগত বছর গুলোতে “জীবন পাঠ” অধ্যায় থেকে আসা বোর্ড প্রশ্নোত্তর, সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

দিনাজপুর বাের্ড ২০১৫

জীববিজ্ঞান শিক্ষক মি. হক তার ছাত্রদের নিয়ে বিদ্যালয়ের চারপাশের। গাছগুলাে পর্যবেক্ষণ করলেন। পরবর্তীতে তিনি নানা রকম গাছ দেখিয়ে একটি বিষয় সম্পর্কে আলােচনা করলেন যার জনক বিজ্ঞানী ক্যারােলাস লিনিয়াস। অবশেষে তিনি উক্ত বিজ্ঞানীর প্রবর্তিত নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলি আলােচনা করলেন।

ক. ICZN কী?
খ. ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন?
গ. শিক্ষকের আলােচিত মূল বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. মানুষের নামকরণের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উল্লেখিত বিজ্ঞানীর উদ্ভাবনকৃত পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটেছে কি-না? বিশ্লেষণ কর।

ক উত্তর) ICZN হলাে প্রাণীর নামকরণের একটি নীতিনির্ধারক দলিল। এর get a International Code of Zoological Nomenclature.

খ উত্তর) ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ এরা এককোষী, ফিলামেন্টাস এবং কলােনিয়াল। এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, কিন্তু নিউক্লিয়াস ও নিউক্লিয়ার পর্দা, প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডােপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নাই। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ আদিকোষের বৈশিষ্ট্যগুলাে বর্তমান থাকার জন্যই ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।

গ উত্তর) শিক্ষকের আলােচিত মূল বিষয়বস্তু হলাে জীবের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি। নিচে শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হলাে-

শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলাে প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা। জীবজগতের ভিন্নতার প্রতি আলােকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা, পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা। সর্বোপরি জীবজগৎ ও মানবকল্যাণে প্রয়ােজনীয় জীবসমূহকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণে সচেতন হওয়া।

ঘ উত্তর) মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens। এক্ষেত্রে জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাসের জনক ক্যারােলাস লিনিয়াসের দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলির প্রতিফলন ঘটেছে। যেমন- লিনিয়াসের নিয়মটি হলাে দ্বিপদ নামকরণ অবশ্যই ল্যাটিন শব্দে হবে এবং নামের দুটি অংশ থাকবে। যার একটি হবে গণ ও অন্যটি হবে, প্রজাতি,নাম। তেমনি মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens যা দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। এখানে Horno গণ নাম ও sapiens হলাে প্রজাতির নাম।

মানুষের নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় হাতের অক্ষর এবং বাকি অক্ষরগুলাে ছােট হাতের অক্ষর। Homo sapiens একটি Unique Name যা অন্য কোনাে জীবের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি। মানুষের দ্বিপদ নামটি International Code of Zoological Nomenclature (ICZN) কর্তৃক স্বীকৃত। নামকরণটি ল্যাটিন শব্দে হওয়ায় সারা বিশ্বে স্বীকৃত। নামটি মুদ্রণের সময় ইটালিক অক্ষরে লেখা হয় এবং হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দেওয়া হয়। যেমন- Homo sapiens.

🔰🔰 আরও দেখুন: সাইন্স এর সাবজেক্ট কি কি | science er subject ki ki

উপরােক্ত আলােচনা হতে প্রতীয়মান হয় যে, মানুষের নামকরণের ক্ষেত্রে ক্যারােলাস লিনিয়াস কর্তৃক প্রবর্তিত পদ্ধতির দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটেছে।

২০১৫ সালে [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় থেকে আসা সকল বোর্ড প্রশ্ন দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 

বরিশাল বোর্ড ২০১৬

জীবজগত কে ৫ টি রাজ্যে ভাগ করা যায়, যেমন:
মনোরা→ 2️⃣ → 3️⃣ → 4️⃣ →অ্যানিমেলিয়া

  • ক. দেহকোষ কাকে বলে?
    খ. অনৈচ্ছিক পেশি বলতে কী বােঝায়?
    গ. উদ্দীপকের কোন রাজ্যে পেনিসেলিয়াম এর অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
    ঘ. উদ্দীপকের রাজ্যসমূহের ক্রম উন্নতির যৌক্তিক কারণ বিশ্লেষণ কর।

ক উত্তর) জীবের দেহগঠনে অংশ গ্রহণকারী কোষকে দেহকোষ বলে।

খ উত্তর) যে সকল পেশি টিস্যুর সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছাধীন নয় তাদেরকে অনৈচ্ছিক পেশি টিস্যু বলে। এ পেশি কোষগুলাে মাকু আকৃতির। এদের গায়ে আড়াআড়ি দাগ থাকে না। এজন্য এ পেশিকে মসৃণ পেশিও বলা হয়। মেরুদন্ডী প্রাণীদের রক্তনালি, পৌষ্টিকনালীর প্রাচীরে অনৈচ্ছিক পেশি থাকে।

গ উত্তর) উদ্দীপকে প্রদত্ত জীবজগতের পাঁচটি রাজ্যকে ক্রমানুসারে সাজালে তা দাড়ায়- মনেরা → প্রােটিস্টা » ফানজাই > প্লানটি » অ্যানিমেলিয়া;

পেনিসিলিয়ামের বৈশিষ্ট্যগুলাে বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার রাজ্যগত অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলাে- পেনিসিলিয়াম প্রধানত মৃতজীবী স্বভাবের। বেশির ভাগ প্রজাতি নানাবিধ পচনশীল শাকসবজি, ফলফলাদি, জ্যাম, জেলি, পনির, ঔষধ, সংরক্ষিত খাদ্য দ্রব্য এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীর পচা ও গলিত দেহের উপর জন্মায়। এর দেহ শাখা-প্রশাখা যুক্ত মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কোষে একটি মাত্র নিউক্লিয়াস থাকে। খাদ্য গ্রহণ শােষণ পদ্ধতিতে ঘটে। ক্লোরােপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পােরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায়।

উপরােক্ত বৈশিষ্ট্যাবলির রাজ্য-৩: অর্থাৎ ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় পেনিসিলিয়ামকে জীবজগতের রাজ্য-৩ অর্থাৎ ফানজাই বা ছত্রাক রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।

ঘ উত্তর) উদ্দীপকের প্রবাহ চিত্রের ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ রাজ্য যথাক্রমে প্রােটিস্টা, ফানজাই এবং প্লানটি। রাজ্য-১ অর্থাৎ মনেরা থেকে শুরু করে পরবর্তী রাজ্যসমূহের মধ্যে ক্রম উন্নতি হচ্ছে। নিচে তার যৌক্তিক কারণ বিশ্লেষণ করা হলাে-

উদ্দীপকের রাজ্য-১ : মনেরার নিউক্লিয়াস সগুঠিত নয়। কোষে ক্রোমাটিন থাকলেও নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের খাদ্যগ্রহণ শােষণ এবং কোষ বিভাজন হয় দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায়।

কিন্তু রাজ্য-২: প্রােটিস্টায় দেখা যায় নিউক্লিয়াস সুগঠিত। এদের ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রােটিন থাকে। এদের খাদ্যগ্রহণ শােষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে। আবার এদের কোষ বিভাজন যৌন ও অযৌন উপায়ে হয়ে থাকে। তবে কোনাে ভূণ সৃষ্টি হয় না।

রাজ্য-৩ : ফানজাইতেও মনেরা ও প্রােটিস্টা থেকে উন্নততর বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং খাদ্যগ্রহণ শশাষণ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। এদের দেহে ক্লোরােপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পাের দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

রাজ্য-৪ : প্লানটিতে উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এদের ভূণ সৃষ্টি হয় এবং তা ডিপ্লয়েড পর্যায় থেকে শুরু হয়। এদের যৌন জনন অ্যানাইসােগ্যামাস প্রকৃতির। এরা প্রধানত স্থলজ তবে অসংখ্য জলজ প্রজাতিও আছে। আবার প্লানটি রাজ্য থেকে উন্নততর বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় অ্যানিমেলিয়া রাজ্যে।

রাজ্য-৫ : অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণীদেহে জটিল টিস্যু বিদ্যমান। এদের কোষে কোনাে বড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নেই। এরা খাদ্যগ্রহণ করে গলাধঃকরণ প্রক্রিয়ায়। এদের যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি হয়। ভূণ বিকাশকালীন সময়ে এদের ভূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়। এরা চলাফেরা করতে পারে। কিন্তু পূর্ববর্তী অন্যকোনাে রাজ্যের জীব চলাফেরা করতে পারে না।

উপযুক্ত বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, মনেরা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ রাজ্য অ্যানিমেলিয়া পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে উন্নততর বৈশিষ্ট্যের কারণে পূর্ববর্তী রাজ্য থেকে পরবর্তী রাজ্য উন্নত।

২০১৬ সালে [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় থেকে আসা সকল বোর্ড প্রশ্ন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

বরিশাল বাের্ড ২০১৭

নীলু একটি টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন উন্নত উদ্ভিদ এবং বাঘসহ এ জাতীয় প্রাণী দেখছিল। সে একজন অলস ও আয়েশী তরুণ। সে সর্বদা বিরিয়ানী, বার্গার ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। তার রক্তে LDL এর পরিমাণ ৫.৬৮ গ্রাম/ডেসিলিটার।

  • ক. ধমনি কী? 
    খ. নিষ্ক্রিয় ও সক্রিয় শশাষণ বলতে কী বােঝায়?
    গ. নীলু সম্ভাব্য যে রােগে আক্রান্ত হতে পারে তার লক্ষণ বর্ণনা কর।
    ঘ. উদ্দীপকের উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলাে একই সুপার কিংডমের অন্তর্ভুক্ত হলেও এদের রাজ্য আলাদা – বিশ্লেষণ কর।

ক উত্তর. অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বহনকারি রক্তনালিই হলাে ধমনি।

খ উত্তর. যে শশাষণ প্রক্রিয়ায় আয়ন শােষণের জন্য কোনাে বিপাকীয় শক্তির প্রত্যক্ষ প্রয়ােগের প্রয়ােজন হয় না তাকে নিষ্ক্রিয় শশাষণ বলে। উদ্ভিদ এ প্রক্রিয়ায় মূলরােম ইমবাইবিশন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় লবণ শােষণ করে। আবার, যে শােষণ প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ পরিবহনের জন্য কোষে উৎপন্ন বিপাকীয় শক্তির প্রয়ােজন হয় তাকে সক্রিয় শশাষণ, বলে।

গ উত্তর. উদ্দীপকে উল্লেখিত বর্ণনা অনুসারে নীলু হার্ট অ্যাটাক রােগে আক্রান্ত হতে পারে। কারণ অধিক তেলযুক্ত খাবার (বিরানী, তেহারি ইত্যাদি)। ফাস্টফুড (বার্গার, বিফ বা চিকেন প্যাটিস ইত্যাদি) খাওয়া, অলস জীবনযাপন এবং শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে এ রােগ দেখা যায়। নিচে হার্ট অ্যাটাক রােগের লক্ষণ বর্ণনা করা হলাে- হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষ করে বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয় যা প্রাথমিকভাবে এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেলেও কমবে না। ব্যথা বা দিকে বা সারা বুকে ছড়িয়ে যেতে পারে। ব্যথা অনেক সময় গলা ও বাম হাতে ছড়িয়ে যায় । রােগী প্রচণ্ডভাবে ঘামতে থাকে ও বুকে ভারি চাপ অনুভব করছে বলে মত প্রকাশ করে।

ঘ উত্তর. উদ্দীপকে উল্লেখিত উদ্ভিদগুলাে প্লানটি এবং প্রাণীগুলাে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্লানটি ও অ্যানিমেলিয়া উভয় রাজ্য সুপার কিংডম ইউক্যারিওটার অন্তর্গত। অর্থাৎ উদ্দীপকের উদ্ভিদ এবং প্রাণীগুলাে একই সুপার কিংডমের অন্তর্ভুক্ত হলেও এদের রাজ্য আলাদা। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলাে-

উন্নত উদ্ভিদ সালােকসংশ্লেষণকারী, প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত, স্বভােজী উদ্ভিদ। এদের উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এদের ভূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। এদের যৌন জনন অ্যানাইসােগ্যামাস অর্থাৎ আকার, আকৃতি অথবা শারীরবৃত্তীয় পার্থক্য বিশিষ্ট ভিন্নধর্মী ২টি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন জনন সম্পন্ন হয়। এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় উদ্দীপকের উন্নত উদ্ভিদগুলাে সুপার কিংডম ইউক্যারিওটার প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। আবার, বাঘসহ সকল মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী (প্রােটোজোয়া ব্যতীত) নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট বহুকোষী প্রাণী। এদের কোষে কোনাে জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড, কোষগহ্বর নেই। প্লাস্টিড না থাকায় এরা পরভােজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ ও হজম করে। দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় বাঘসহ এ জাতীয় প্রাণী সুপার কিংডম ইউক্যারিওটার অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

অতএব, উপযুক্ত আলােচনা থেকে একথা স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, উদ্দীপকের উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলাের সুপার কিংডম অভিন্ন কিন্তু রাজ্য ভিন্ন ভিন্ন।

২০১৭ সালে [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় থেকে আসা সকল বোর্ড প্রশ্ন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

রাজশাহী বোর্ড ২০১৯

বিশ্বে প্রথমবারের মতাে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এর পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মােচন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
ক. বায়ােইনফরমেটিকস্ কাকে বলে? ০১
খ. জীবপ্রযুক্তিতে প্লাসমিড গুরুত্বপূর্ণ কেন? ০২
গ. উদ্দীপকে নমুনা জীবের নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। ০৩
ঘ. উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে “আদি কোযের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে বিশ্লেষণ কর। ০৪

ক উত্তর. কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যান্সার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞানকে বায়ােইনফরমেটিকস্ বলে।

খ উত্তর. প্লাসমিড ক্রোমােজোম বহির্ভূত একটি বৃত্তাকার DNA অণু। এই বৃত্তাকার প্লাসমিড জীবপ্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্লাসমিড এর মাধ্যমে নতুন জিন এর সন্নিবেশন এবং সন্নিবেশিত জিনকে অন্য জীবে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। জিন ক্লোনিং, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কাজে প্লাসমিড অত্যন্ত উপযােগী বাহক হিসেবে কাজ করে।

গ উত্তর. উদ্দীপকে নমুনা জীবটি হলাে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছের নামকরণ করতে হবে ICZN কর্তৃক স্বীকৃত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিতে। নিচে মাছটির নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলাে-

১. ইলিশের নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
২. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশ গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমন- Tenualosa ilisha. এটি ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে Tenualosa গণ এবং ilisha প্রজাতিক পদ।
৩. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হবে। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই।
৪. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলাে ছােট অক্ষর এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছােট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে।
৫. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন- Tenualosa ilisha.
৬. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম হাতে লিখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন- Tenualosa ilisha.
৭. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে নামদানকারীর নাম (সাধারণত সংক্ষিপ্ত) লিখতে হয়। Tenualosa ilisha Li. (এখানে Li লিনিয়াসের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ)
৮. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী ইলিশ মাছকে বিভিন্ন বিজ্ঞানসম্মত নামকরণ করেন তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।

ঘ উত্তর. উদ্দীপকের উল্লিখিত জীবটি হলাে ইলিশ মাছ যা প্রকৃতকোষী। প্রকৃতকোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে। নিচে বিশ্লেষণ করা হলাে-

সকল জীবকোষ একরকম নয়। এদের মধ্যে গঠনগত পার্থক্য যেমন আছে তেমনই আছে আকৃতি ও কাজের পার্থক্য। আদি কোষে কোনাে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এসব কোষের নিউক্লিয়াস কোনাে পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না, তাই নিউক্লিও বস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানাে থাকে। এসব কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডােপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না তবে ‘রাইবােজোম থাকে। ক্রোমােজোমে কেবল DNA থাকে। অপরদিকে ইলিশ মাছের কোষে অর্থাৎ প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে নিউক্লিও-বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত। এসব কোষে রাইবােজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। ক্রোমােজোমে DNA, হিস্টোন, প্রােটিন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে।

অতএব বলা যায় যে, উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সুস্পষ্ট ভিন্নতা রয়েছে।

২০১৯ সালে [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় থেকে আসা সকল বোর্ড প্রশ্ন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।


1️⃣ আপনারা চাইলে আরও দেখতে পারেনঃ [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
2️⃣ আপনারা চাইলে আরও দেখতে পারেনঃ [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় এর অনুধাবণ মূলক প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *