[SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়

[SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় বোর্ড প্রশ্ন ২০১৫

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। পরিক্ষার আগে শেষ প্রস্তুতির সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে বিগত বছরের বোর্ড প্রশ্ন গুলোর সমাধান করা। এতে করে প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। এজন্য পিডিএফ মেলার আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে ২০১৫ সালে [SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় থেকে আসা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি। 

কুমিল্লা বোর্ড ২০১৫

ক. ধানের বৈজ্ঞানিক নাম কী? [adfoxly place=’1582′]খ. দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বুঝায়?
গ. চিত্র: ক জীববিজ্ঞানের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত? কারণসহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্র: খ কেন অ্যানিমেলিয়া রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

ক উত্তর) ধানের বৈজ্ঞানিক নাম- Oryza sativa.

খ উত্তর) একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার গণের নাম ও দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতির নাম । যেমন- গােলআলুর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum tuberosum। এখানে Solanum গণ নাম ও tuberosum প্রজাতির নাম বুঝায়। এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম এবং নামকরণের প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি বলে।

[adfoxly place=’1582′]গ উত্তর) উদ্দীপকের চিত্র-ক হলাে পেনিসিলিয়াম। এটি সুপার কিংডম-২ এর রাজ্য-ফানজাই এর অন্তর্ভুক্ত। রাজ্য ফানজাই-এর বৈশিষ্ট্যসমূহ হলাে-

১. এদের অধিকাংশই স্বলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী।
২. দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত।
৩. এদের নিউক্লিয়াস গঠিত।
৪. কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত।
৫. খাদ্যগ্রহণ শােষণ পদ্ধতিতে ঘটে।
৬. ক্লোরােপ্লাস্ট অনুপস্থিত।
৭. হ্যাপ্লয়েড স্পাের দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।
৮. মিয়ােসিস পদ্ধতিতে কোষ বিভাজন ঘটে।

উল্লিখিত সকল বৈশিষ্ট্যই চিত্র-ক অর্থাৎ পেনিসিলিয়ামের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় পেনিসিলিয়াম ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। আর ফানজাই রাজ্য জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা মাইক্রোবায়ােলজি-এর অন্তর্ভুক্ত।

ঘ উত্তর) উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্র; খ দ্বারা ডায়াটমকে নির্দেশ করা হয়েছে। আর ডায়াটমকে কেন অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি তা নিচে যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করা হলাে- কোন জীবকে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হতে হলে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে-

[adfoxly place=’1582′]১. প্রকৃত নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট বহুকোষী জীব হতে হবে।
২. জড় কোষ প্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর থাকবে না।
৩. পরভােজী, খাদ্য গলাধঃকরণ ও হজম করতে পারবে।
৪. দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান থাকবে।

কিন্তু ডায়াটম একটি এককোষী জীব। সিলিকা নির্মিত কোষ প্রাচীর বিদ্যমান। এদের কোষে ক্লোরােফিল থাকায় এরা সালােকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের খাদ্য নিজেরা প্রস্তুত করতে পারে। এদের দেহে কোন টিস্যুতন্ত্র গঠিত হয় না।

উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বলা যায় খ-চিত্রে প্রদর্শিত জীব অর্থাৎ ডায়াটম অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এটি একটি শৈবাল যা প্রােটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।[adfoxly place=’1582′]

দিনাজপুর বাের্ড ২০১৫

জীববিজ্ঞান শিক্ষক মি. হক তার ছাত্রদের নিয়ে বিদ্যালয়ের চারপাশের। গাছগুলাে পর্যবেক্ষণ করলেন। পরবর্তীতে তিনি নানা রকম গাছ দেখিয়ে একটি বিষয় সম্পর্কে আলােচনা করলেন যার জনক বিজ্ঞানী ক্যারােলাস লিনিয়াস। অবশেষে তিনি উক্ত বিজ্ঞানীর প্রবর্তিত নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলি আলােচনা করলেন।

ক. ICZN কী? 
খ. ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন?
গ. শিক্ষকের আলােচিত মূল বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
[adfoxly place=’1582′]ঘ. মানুষের নামকরণের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উল্লেখিত বিজ্ঞানীর উদ্ভাবনকৃত পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটেছে কি-না? বিশ্লেষণ কর।

ক উত্তর) ICZN হলাে প্রাণীর নামকরণের একটি নীতিনির্ধারক দলিল। এর get a International Code of Zoological Nomenclature.

খ উত্তর) ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ এরা এককোষী, ফিলামেন্টাস এবং কলােনিয়াল। এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, কিন্তু নিউক্লিয়াস ও নিউক্লিয়ার পর্দা, প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডােপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নাই। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ আদিকোষের বৈশিষ্ট্যগুলাে বর্তমান থাকার জন্যই ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।

গ উত্তর) শিক্ষকের আলােচিত মূল বিষয়বস্তু হলাে জীবের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি। নিচে শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হলাে-

[adfoxly place=’1582′]শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলাে প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা। জীবজগতের ভিন্নতার প্রতি আলােকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা, পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা। সর্বোপরি জীবজগৎ ও মানবকল্যাণে প্রয়ােজনীয় জীবসমূহকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণে সচেতন হওয়া।

ঘ উত্তর) মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens। এক্ষেত্রে জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাসের জনক ক্যারােলাস লিনিয়াসের দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলির প্রতিফলন ঘটেছে। যেমন- লিনিয়াসের নিয়মটি হলাে দ্বিপদ নামকরণ অবশ্যই ল্যাটিন শব্দে হবে এবং নামের দুটি অংশ থাকবে। যার একটি হবে গণ ও অন্যটি হবে, প্রজাতি,নাম। তেমনি মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens যা দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। এখানে Horno গণ নাম ও sapiens হলাে প্রজাতির নাম।

[adfoxly place=’1582′] মানুষের নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় হাতের অক্ষর এবং বাকি অক্ষরগুলাে ছােট হাতের অক্ষর। Homo sapiens একটি Unique Name যা অন্য কোনাে জীবের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি। মানুষের দ্বিপদ নামটি International Code of Zoological Nomenclature (ICZN) কর্তৃক স্বীকৃত। নামকরণটি ল্যাটিন শব্দে হওয়ায় সারা বিশ্বে স্বীকৃত। নামটি মুদ্রণের সময় ইটালিক অক্ষরে লেখা হয় এবং হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দেওয়া হয়। যেমন- Homo sapiens.

উপরােক্ত আলােচনা হতে প্রতীয়মান হয় যে, মানুষের নামকরণের ক্ষেত্রে ক্যারােলাস লিনিয়াস কর্তৃক প্রবর্তিত পদ্ধতির দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটেছে।

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *