লালসালু উপন্যাসের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র প্রথম উপন্যাস ‘লালসালু’। রচনাটিকে একজন প্রতিভাবান লেখকের দুঃসাহসী প্রচেষ্টার সার্থক ফসল বলে বিবেচনা করা হয়। ঢাকা ও কলকাতার মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবন তখন নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অস্থির ও চঞ্চল।
ব্রিটিশ শাসনবিরোধী আন্দোলন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তেতাল্লিশের মন্বন্তর, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগ, উদ্বাস্তু সমস্যা, আবার নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তান গড়ে তোলার উদ্দীপনা ইত্যাদি নানা রকম সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আবর্তে মধ্যবিত্তের জীবন তখন বিচিত্রমুখী জটিলতায় বিপর্যস্ত ও উজ্জীবিত। নবীন লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্, এই চেনা জগৎকে বাদ দিয়ে তাঁর প্রথম উপন্যাসের জন্য গ্রামীণ পটভূমি ও সমাজ-পরিবেশ বেছে নিলেন।
আমাদের দেশ ও সমাজ মূলত গ্রামপ্রধান। এদেশের বেশির ভাগ লোকই গ্রামে বাস করে। এই বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন দীর্ঘকাল ধরে অতিবাহিত হচ্ছে নানা অপরিবর্তনশীল তথাকথিত অনাধুনিক বৈশিষ্ট্যকে আশ্রয় করে।
এই সমাজ থেকেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ বেছে নিলেন তাঁর উপন্যাসের পটভূমি, বিষয় এবং চরিত্র। তাঁর উপন্যাসের পটভূমি গ্রামীণ সমাজ; বিষয় সামাজিক রীতি-নীতি, ও প্রচলিত ধারণা বিশ্বাস; চরিত্রসমূহ একদিকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মভীরু, শোষিত, দরিদ্র গ্রামবাসী, অন্যদিকে শঠ, প্রতারক, ধর্মব্যবসায়ী এবং শোষক-ভূস্বামী।
‘লালসালু’ একটি সামাজিক সমস্যামূলক উপন্যাস। এর বিষয় : যুগ-যুগ ধরে শেকড়গাড়া কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ভীতির সঙ্গে সুস্থ জীবনাকাঙ্ক্ষার দ্বন্দ্ব। গ্রামবাসীর সরলতা ও ধর্মবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ী মজিদ প্রতারণাজাল বিস্তারের মাধ্যমে কীভাবে নিজের শাসন ও শোষণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে তারই বিবরণে সমৃদ্ধ ‘লালসালু’ উপন্যাস।
কাহিনিটি ছোট, সাধারণ ও সামান্য; কিন্তু এর গ্রন্থনা ও বিন্যাস অত্যন্ত মজবুত। লেখক সাধারণ একটি ঘটনাকে অসামান্য নৈপুণ্যে বিশ্লেষণী আলো ফেলে তাৎপর্য-মণ্ডিত করে তুলেছেন।
লালসালু উপন্যাসের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. রহিমা মাজারে আমেনা বিবির দৃশ্যগুলো কিভাবে দেখেছেন?
উত্তর: বেড়ার ফুটো দিয়ে।
২. আমেনা বিবি মাজারের মধ্যে কেন মূর্ছা গিয়েছিল?
উত্তর: শারীরিক দুর্বলতায়।
৩. খালেক ব্যাপারীর গলায় শিশুর ভাব আসে কেন?
উত্তর: সন্দেহে।
৪. আমেনা বিবি কেমন প্রকৃতির মানুষ?
উত্তর: স্বামী ভীরু।
৫. কোন গাছ গাছ দেখে আমেনা বিবি বুঝত যে স্বামীর বাড়িতে পৌঁছেছে?
উত্তর: তালগাছ।
৬. মোদাব্বের মিয়ার ছেলের নাম কি?
উত্তর: আক্কাস।
৭. মজিদ আক্কাসকে দমাতে চাওয়ায় তার চরিত্রে কি উম্মোচিত হয়েছে?
উত্তর: শোষণ।
৮. ‘পুলক’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: আনন্দ।
৯. “বেত্তমিজ এর মতো কথা কইস না” উক্তিটি কার সম্পর্কে করা হয়েছিল?
উত্তর: আক্কাস।
১০. মহব্বতনগর গ্রামের বড় মসজিদ নির্মাণে বারো আনা ব্যয় কে বহন করতে চেয়েছিল?
উত্তর: খালেক ব্যাপারী।
১১. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কোন ইংরেজি পত্রিকার সাব- এডিটর ছিলেন?
উত্তর: ‘দি স্টেটস্ম্যান’।
১২. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত সালে বাংলাদেশ বেতারের বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে।
১৩. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর মৃত্যু তারিখ কত?
উত্তর: ১০/১০/১৯৭১ সালে।
১৪. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর গল্পগ্রন্থগুলোর নাম কি কি?
উত্তর: নয়নচারা (১৯৪৬) এবং দুই তীর ও অন্যান্য গল্প (১৯৬৫)।
১৫. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর উপন্যাসগুলোর নাম কি কি?
উত্তর: লালসালু (১৯৪৮) চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪) ও কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮)।
১৬. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর নাটকগুলোর নাম কি কি?
উত্তর: বহিপীর, তরঙ্গভঙ্গ, উজানে মৃত্যু ও সুড়ঙ্গ।
১৭. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর সাহিত্যের মূল বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তর: ব্যক্তি ও সমাজের ভেতর ও বাইরের সূক্ষ ও গভীর রহস্য উন্মোচন।
১৮. উপন্যাসের আক্ষরিক অর্থ কী?
উত্তর: উপযুক্ত বা বিশেষ রূপে স্থাপন।
১৯. ‘উপন্যাস’এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর: ‘উপন্যাস’এর ইংরেজি প্রতিশব্দ : ‘Novel’.
২০. ‘Novel” শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর: “Novel” শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো: a fictitious prose narrative or tale presenting a picture of real-life of the men and women portrayed.
লালসালু উপন্যাসের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
২১. কোন শতকে বাংলা উপন্যাস লেখার সূচনা ঘটে?
উত্তর: উনিশ শতকে।
২২. প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্ম নাম কী ছিল?
উত্তর: টেকচাঁদ ঠাকুর।
২৩. প্যারীচাঁদ মিত্রের উপন্যাস ধর্মী রচনা ‘আলালের ঘরের দুলাল’ কত সালে প্রকাশিত হয়েছিলো?
উত্তর: ১৮৫৮ সালে।
১৪. বঙ্কিমচন্দ্র রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ কত সালে প্রকাশিত হয়েছিলো?
উত্তর: ১৮৬৫ সালে।
২৫. ‘লালসালু’ উপন্যাস কত সালে প্রকাশিত হয়েছিলো?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো।
২৬. ‘লালসালু’ উপন্যাস কোথা থেকে কে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন?
উত্তর: কমরেড পাবলিশার্স-এর সত্তাধিকারী আতাউল্লাহ ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন।
২৭. ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ কী নামে প্রকাশিত হয়েছিলো?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ Lal Shalu নামে প্রকাশিত হয়েছিলো।
২৮. ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ কোথা থেকে কবে প্রকাশিত হয়েছিলো?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ ১৯৬০ সালে করাচি থেকে প্রকাশিত হয়েছিলো।
২৯. ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ কে প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ করেছেন কলিমুল্লাহ।
৩০. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ কোথা থেকে কবে প্রকাশিত হয়েছিলো?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ প্যারিস থেকে ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো।
৩১. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ কে করেছেন?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ করেছেন: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ-র সহধর্মিণী অ্যান-মারি-থিবো।
৩২. মহব্বতনগর গ্রামে মসজিদ নির্মাণে তদারকিতে কে 32 ছিল?
উত্তর: মজিদ।
৩৩. সচ্ছলতায় শিকড়গড়া বৃক্ষ ছিল কার?
উত্তর: মজিদ।
৩৪. মজিদের যশ, খ্যাতির উৎস কি?
উত্তর: পুরনো কবরটি।
৩৫. মজিদের নিঃসঙ্গ বোধের কারণ কি ছিল?
উত্তর: নিঃসন্তান হওয়ায়।
৩৬. কার বিলাপে জমিলার মন খারাপ হয়েছিল?
উত্তর: খ্যাংটা বুড়ির।
৩৭. রহিমা কাকে পোষ্য রাখতে চায়?
উত্তর: হাসুনিকে।
৩৮. “মজিদের মনে কিন্তু অন্য কথা ঘোরে” এখানে অন্য কথা বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: দ্বিতীয় বিয়ে।
৩৯. ‘লালসালু’ উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু কি?
উত্তর: গ্রামীণ জীবন, কুসংস্কার ও গোঁড়ামি।
৪০. ‘লালসালু’ উপন্যাসে আক্কাসের বাবার নাম কী?
উত্তর: মোদাব্বের মিয়া।
৪১. ‘লালসালু’ উপন্যাসে সমস্ত আস্ফালনের মুখে চুন দিল কে?
উত্তর: আমেনা।
৪২. আমেনা বিবি কে তালাক দেয়ার প্রকৃত কারণ কী?
উত্তর: মজিদের অহমিকায় ঘা পড়ায়।
৪৩. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কয়টি মক্তবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: দুইটি।
৪৪. ‘লালসালু’ উপন্যাসে জন্মবেদনার তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা অনুভব করে কে?
উত্তর: মজিদ।
৪৫. ‘লালসালু’ উপন্যাসে জন্মবেদনার তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা অনুভব করে কে?
উত্তর: মজিদ।
৪৬. রহিমা মজিদের দ্বিতীয় বিয়েতে প্রতিবাদ করে না কেন?
উত্তর: স্বামী ভক্তি ও ধর্মনিষ্ঠা।
৪৭. “তার আনুগত্য ধ্রুব তারার মতো অনড়”- কার?
উত্তর: রহিমা।
৪৮. মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছিল কোন মাসে?
উত্তর: ফাল্গুন।
৪৯. কত বছর বয়সে আমেনা বিবির বিয়ে হয়েছিল?
উত্তর: তেরো।
৫০. ‘লালসালু’ উপন্যাসে সুন্দর সকালটাকে খান খান করে দিয়েছিল কে?
উত্তর: খ্যাংটা বুড়ি।
৫১. মজিদের বাড়ির অন্দরে বাহিরে আসা-যাওয়া করে কে?
উত্তর: বুড়ো আওলাদ।
৫২. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সর্বশেষ কর্মস্থল কোনটি?
উত্তর: প্যারিস।
৫৩. জমিলাকে নিয়ে রহিমার মনে কোন ভাব জাগে?
উত্তর: শাশুড়ির।
৫৪. ‘তা এই বদ মতলব কেন হইল?’- এখানে ‘বদ মতলব বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: স্কুল প্রতিষ্ঠা।
৫৫. মজিদ হাসুনির মায়ের জন্য কী রঙের শাড়ি কিনে আনে?
উত্তর: বেগুনি।
৫৬. মজিদের মুখে জমিলার থুথু দেওয়ার মধ্য দিয়ে জমিলা চরিত্রের কোন দিক ফুটে উঠেছে?
উত্তর: প্রতিবাদী দেতনা ও প্রথাবিরোধী মনোভাব।
৫৭. গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল কে?
উত্তর: আক্কাস।
৫৮. মজিদের প্রস্তাবিত মসজিদের কত আনা খরচ খালেক ব্যাপারী বহন করতে চায়?
উত্তর: বারো আনা।
৫৯. কত দিন পর পর মাজারের সংস্কার হয়?
উত্তর: দুই- তিন বছর।
৬০. ‘মোদাচ্ছের’-কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: নাম না-জানা।
৬১. “ওটা ছিল নিশানা, আনন্দের আর সুখের”- কোনটা?
উত্তর: তালগাছ।
৬২. “কও বিবি কী করলাম? আমার বুদ্ধিতে জানি কুলায় না।”- এখানে মজিদ চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর: অসহায়ত্ব।
৬৩. “ধান দিয়া কী হইব, মানুষের জান যদি না থাকে”- উক্তিটি কার?
উত্তর: রহিমার।
৬৪. “সে যেন খাঁচায় ধরা পড়েছে”- কে?
উত্তর: জমিলা।
৬৫. ‘লালসালু’ কী ধরনের উপন্যাস?
উত্তর: সমাজ- সমস্যামূলক।
৬৬. ‘লালসালু” উপন্যাসে সিদ্ধ ধানের ভাঁপের শব্দকে ঔপন্যাসিক কীসের সাথে তুলনা করেছেন?
উত্তর: সাপের শিস।
৬৭. ‘লালসালু’ উপন্যাসে “মহাসমুদ্রের ডাককে অবহেলা করে বালুতীরে কী যেন খোঁজে।”-এ বাক্যে প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: অসীমকে ছেড়ে দৃশ্যমানের প্রতি আগ্রহ।
৬৮. ‘তোমার দাড়ি কই মিঞা’- উক্তিটি কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে?
উত্তর: আক্কাস।
৬৯. মরা মানুষ জিন্দা হয় কেমনে?উক্তিটি কার?
উত্তর: মজিদের।
৭০. মজিদ কাকে শাড়ি কিনে দিয়েছিল?
উত্তর: হাসুনির মা কে।
৭১. দুদু মিঞার মুখে কেন লজ্জার হাসি আসলো?
উত্তর: কলমা জানে না তাই।
৭২. মজিদের শক্তির মূল উৎস কি?
উত্তর: মাজার।
৭৩. ঢেঙা বুড়োর হাতে মার খেয়ে হাসুনির মা কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর: মজিদের বাড়িতে।
৭৪. ঝড় এলে হাসুনির মায়ের কি করার অভ্যাস ছিল?
উত্তর: হৈ চৈ করা।
৭৫. মজিদ হাসুনির মার কাছ থেকে কি চেয়েছিল?
উত্তর: তামাক।
৭৬. মজিদ হাসুনির মাকে কি রঙ্গের শাড়ি কিনে দিয়েছিল?
উত্তর: বেগুনি রঙ্গের।
৭৭. মজিদের গড়া মাজারে কেন লোকজনের আসা কমে যায়?
উত্তর: অন্য পীরের আধিপত্য।
৭৮. ‘পাথর এবার হঠাৎ নড়ে’ পাথর বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: মজিদকে।
৭৯. আমেনা বিবি তার স্বামীকে কেন পানি পড়া আনতে বলেছিল?
উত্তর: মা হওয়ার আশায়।
৮০. মজিদের মহব্বতনগর গ্রামে প্রবেশটা কেমন ছিল?
উত্তর: নাটকীয়।
৮১. জমিলা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কোন অসংগতির শিকার?
উত্তর: বাল্যবিবাহ।
৮২. খোদার অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাজারে খ্যাংটা বুড়ি কেন নালিশ করেছিল?
উত্তর: ছেলের মৃত্যুতে।
৮৩. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কোন পাড়ার উৎসবের কথা বর্ণিত আছে?
উত্তর: ডোমপাড়া।
৮৪. কার বিলাপ শুনে জমিলার মন খারাপ হয়েছিল?
উত্তর: খ্যাংটা বুড়ির।
৮৫. মজিদের বাড়িতে জিকিরের জন্য যে শিরনি রান্না চলছিল তার তদারকির দায়িত্ব কার উপর ছিল?
উত্তর: রহিমা ও জমিলার।
৮৬. জিকির করতে করতে কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল?
উত্তর: আমেনা বিবি।
৮৭. এশার নামাজ পড়ে মজিদ মাজারে কিসের আওয়াজ শুনেছিল বলে প্রকাশ করেছিলেন?
উত্তর: সিংহের আওয়াজ।
৮৮. মজিদের মুখে কে থুথু ফেলেছিল?
উত্তর: জমিলা।
৮৯. ‘লালসালু’ উপন্যাসে চৌকাঠে বসলে ঘরে কি আছে বলে উল্লেখ রয়েছে?
উত্তর: বালা।
৯০. সহজ প্রাণধর্মের উজ্জ্বল প্রতীক কে?
উত্তর: জমিলা।
৯০. কেন গ্রামবাসীর অন্তর জর্জরিত হয়ে ওঠে?
উত্তর: অনুশোচনায়।
৯১. মজিদের শক্তি কোথায় প্রতিফলিত হয়?
উত্তর: গ্রামবাসীর ওপর।
৯২. বুড়ো, হাসুনির মাকে কেন বেধড়ক প্রহার করে?
উত্তর: ঘরের কথা মজিদকে বলায়।
৯৩. কি মজিদকে শিকড়গড়া বৃক্ষ করতে সক্রিয় ছিল?
উত্তর: ধর্ম।
৯৪. মজিদ কোথায় মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছিল?
উত্তর: মতিগঞ্জের সড়কের ওপর।
৯৫. আমেনা বিবির প্রতি মজিদের কোন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: লালসা।
৯৬. খালেক ব্যাপারীর কার সামনে বসে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করে?
উত্তর: ধলা মিঞা।
৯৭. কার চোখ শত্রুর আভাস পাওয়া হরিণের চোখের মতো সতর্ক হয়ে ওঠে?
উত্তর: জমিলার চোখ।
৯৮. ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের মুখে জমিলার থুথু নিক্ষেপে কি প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: ক্রোধ।
৯৯. মজিদ পূর্বে কোথায় বাস করত?
উত্তর: মধুপুর গড়ে।
১০০. মজিদের দুদু মিয়াকে শাসনের মধ্যে কি নিহিত ছিল?
উত্তর: আধিপত্য বিস্তার।
১০১. রহিমার কাছে নিজের মৃত্যু কামনা করলেন কে?
উত্তর: জমিলা।
১০২. প্রথম যৌবনে মজিদ কেমন বৌ এর স্বপ্ন দেখতো?
উত্তর: জমিলার মতো।
১০৩. ঢেঙ্গা বুড়োর বিচারে মজিদ কোন সূরা পাঠ করেছিল?
উত্তর: সূরা আন-নূর।
১০৪.‘বতর’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: ফসল কাটার উপযুক্ত সময়।
১০৫. ‘ওনারে কইবেন, আমার যেন মওত হয়।’ কে আৰ্জি করেছিল?
উত্তর: হাসুনির মা।
১০৬. কখন মাঠের ধান নষ্ট হয়ে যায়?
উত্তর: শিলা বৃষ্টি হলে।
১০৭. ‘শস্যের চেয়ে টুটি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ধর্মীয় গোঁড়ামী।
১০৮. গ্রামের লোকেরা কার অন্য সংস্করণ?
উত্তর: রহিমার সংস্করণ।
১০৯. বিশ্বাসের পাথরে কি?
উত্তর: খোদাই করা চোখ।
১১০. ঘরের ম্লান আলোয় কবরের সেই অনাবৃত অংশ কেমন দেখায়?
উত্তর: মৃত মানুষের খোলা চোখের মতো দেখায়।
১১১. আমেনা বিবির বিয়ে হয়েছিল কত বছর বয়সে?
উত্তর: ১৩ বছর বয়সে।
১১২. মোনাজাত শেষে মজিদ কোথায় পা ফেলেছিল?
উত্তর: উত্তর দিকে।
১১৩. আমেনা বিবি ও রহিমার মধ্যে কোন দিকটা মিল রয়েছে?
উত্তর: নিঃসন্তানের দিকটা।
১১৪. কে ঘুমকাতুরে?
উত্তর: জমিলা।
১১৫. খালেক ব্যাপারীর মতে আক্কাস কেন দাড়ি রাখেনি?
উত্তর: ইংরেজি পড়েছে বলে।
১১৬. কেন গ্রামে হিড়িক পড়েছে?
উত্তর: মসজিদ স্থাপনের জন্য।
১১৭. আমেনা বিবির আনন্দ আর সুখের নিশানা অর্থ কি?
উত্তর: থোতা মুখের তালগাছ।
১১৮. আওয়ালপুরের পীরের মধ্যে কি প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: ধর্মব্যবসা।
১১৯. আওয়ালপুরের পীর আছরের সময় কোন নামাজ পেয়েছে?
উত্তর: জোহর।
১২০. মজিদ কেন হাসপাতালে গিয়েছিল?
উত্তর: সমবেদনা প্রকাশ করতে।
১২১. আওয়ালপুরের পীরের প্রতি আমেনার কি প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: অন্ধবিশ্বাস।
১২২. খালেক ব্যাপারি সঙ্গে ধলা মিয়ার কেমন সম্পর্ক ছিল?
উত্তর: শ্যালক।
১২৩. ধলা মিয়াকে ব্যাপারী কেন আওয়ালপুরে যেতে বলেছিল?
উত্তর: পানিপড়া আনতে।
১২৪. ধলা মিয়ার দেবংশি তেঁতুল গাছকে ভয় পাওয়ার মধ্যে কি প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: কুসংস্কার বিশ্বাস।
১২৫. মজিদ বারবার ধলা মিয়াকে আওয়ালপুরে যেতে বলায় কি প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: দৃঢ়তা।
১২৬. আওয়ালপুরের পীরকে মজিদ কি আখ্যা দিয়েছে?
উত্তর: ইবলিশ।
১২৭. খালেক ব্যাপারী মজিদকে কেন ভয় পায়?
উত্তর: ধর্মভীতি কারণে।
১২৮. ‘আমেনা’ ক্ষেত্রে কি প্রযোজ্য?
উত্তর: নিঃসন্তান।
১২৯. ঢেঙা বুড়োর স্ত্রীর জানাজা কার পড়ানোর কথা ছিল?
উত্তর: মোল্লা শেখের।
১৩০. “তানি যে খোদার মানুষ” উক্তিটির অর্থ হল?
উত্তর: রহিমার।
১৩১. উঠানোর পথটুকু পাড়ি দিতে আমেনা বিবি কেন পরিশ্রান্ত বোধ করে?
উত্তর: অসুস্থতায়।
১৩২. আমেনা বিবি মজিদের কাছে কিসে চড়ে গিয়েছিল?
উত্তর: পালকি।
১৩৩. আমেনা বিবিকে পালকি থেকে নামিয়ে মজিদ কোথায় যেতে বলেছিলেন?
উত্তর: মাজারে।
১৩৪. মজিদ বার বার আমেনা বিবির দিকে আড়চোখে কেন তাকাচ্ছে?
উত্তর: রূপের মোহে।
১৩৫. মজিদের সামনে খালেক ব্যাপারী কেন অসহায়?
উত্তর: ধর্ম ভীতির কারণে।
১৩৬. আমেনা বিবি মাজারে পাক কোনদিক থেকে শুরু করেছিল?
উত্তর: ডান দিক থেকে।
১৩৭. ‘সালু’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘সালু’ শব্দের অর্থ লাল রঙের কাপড়।
১৩৮. লালসালুর কেন্দ্রীয় চরিত্র কে?
উত্তর: মজিদ।
১৩৯. মহব্বতনগর গ্রাম কোন দিকে?
উত্তর: মতিগঞ্জের উত্তরদিকে।
১৪০. মহব্বতনগর গ্রামের মাতব্বর এর নাম কি?
উত্তর: রেহান আলী।
১৪১. লালসালু উপন্যাসে অশীতিপরায়ন কে?
উত্তর: বৃদ্ধ সলেমনের বাপ।
১৪২. মজিদের বসবাস কোথায় ছিল?
উত্তর: গারো পাহাড়ে যা মধুপুর গড় থেকে ৩ দিনের পথ।
১৪৩. রহিমা কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন?
উত্তর: ঠান্ডা,ভীতু প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।
১৪৪. গ্রামের লোকরা কার অন্য সংস্করণ?
উত্তর: রহিমার।
১৪৫. কার চোখে ভয় দেখেছিলো মজিদ?
উত্তর: রহিমার।
১৪৬. ঝিম ধরা রেলগাড়ি কিভাবে চলে?
উত্তর: সর্পিল গতিতে।
১৪৭. মজিদের শক্তির মূল উৎস কি?
উত্তর: সালুকাপড়ে আবৃত মাজারটি।
১৪৮. তাহের,কাদের ও রতনের বোন কে?
উত্তর: হাসুনির মা।
১৪৯. বিচারের শূরুতে মজিদ পড়েন?
উত্তর: সূরা।
১৫০. ঝড় এলে কার হই চই করার অভ্যাস?
উত্তর: হাসুনির মার।
১৫১. সকলকে মিঞা বলে সম্বোধন কে করেন?
উত্তর: মজিদ।
১৫২. মহব্বতনগর থেকে ৩ গ্রাম পরে কোন গ্রাম?
উত্তর: আওয়ালপুর গ্রাম।
১৫৩. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট কে?
উত্তর: মতলুব খা।
১৫৪. আওয়ালপুরে পীরের আগমন ঘটে কখন?
উত্তর: মাঘ মাসের শেষ দিকে।
১৫৫. কে আহত হয়ে করিমগঞ্জ হাসপাতালে যায়?
উত্তর: মজিদের মুরিদরা।
১৫৬. কাকে ইবলিশ শয়তান ঘোষণা করে মজিদ?
উত্তর: পির সাহেব।
১৫৭. আওয়ালপুর ও মহব্বতনগর গ্রামের মাঝে কি গাছ আছে?
উত্তর: এক মস্ত তেতুল গাছ।
১৫৮. কে শুক্রবার রোজা রাখে? উত্তর: আমেনা বিবি।
১৫৯. কে আড়াই পাক এর পরেই মূর্ছা যায়?
উত্তর: আমেনা বিবি।
১৬০. হাসুনির মায়ের নাম কি?
উত্তর: তহু।
১৬১. আমেনা বিবির স্বামীর বাড়ির নিশানা কি?
উত্তর: তালগাছটি।
১৬২. গ্রামে স্কুল করতে চায় কে?
উত্তর: আক্কাস।
১৬৩. কার সন্ধ্যার মধ্যেই ঘুমের অভ্যাস?
উত্তর: জমিলার।
১৬৪. কার দৃষ্টি মানে শিকারি পাখির মতো দৃষ্টি?
উত্তর: শ্যেন।
১৬৫. কার মাজারটি পুকুর পাড়ে ছিলো?
উত্তর: মোদাচ্ছের পীরের।
১৬৬. গারো পাহাড়ের লোকজন কেমন ছিলো?
উত্তর: অশিক্ষিত,বর্বর।
১৬৭. মহব্বতনগরের কৃষকেরা কখন বুক ফাটিয়ে গান করে?
উত্তর: ধান কাটার সময়।
১৬৮. কিসের রসনা বিষাক্ত সাপের রসনা থেকেও মারাত্মক?
উত্তর: মানুষের।
১৬৯. হাসপাতালের কম্পাউন্ডার কে কে ডাক্তার ভেবেছিলো?
উত্তর:মজিদ।
১৭০. ধলা মিঞা কে ছিলেন?
উত্তর: তানু বিবির ভাই।
১৭১. আমেনা বিবি কিভাবে মাজারে গিয়েছিলো?
উত্তর: পালকিতে করে।
১৭২. মাজারের খরচ দেয় কে?
উত্তর: খালেক ব্যাপারী।
১৭৩. খালেক ব্যাপারী কে ছিলেন?
উত্তর: মহব্বতনগরের জোতদার।
১৭৪. কার মনে ভাবান্তর আনে ফাগুনের দমকা হাওয়া?
উত্তর: মজিদের মনে।
১৭৫. মজিদের ঘরে কখন প্রচুর ধান আসে?
উত্তর: পৌষ মাসে।
১৭৬. কার আগমনে মহব্বতনগর গ্রামে চমকে দেয়?
উত্তর: মজিদের।
১৭৭. ঢোলক কোথায় বেজে চলেছে?
উত্তর: ডোমপাড়ায়।
১৭৮. কিসের আওয়াজে জমিলা বিচলিত হয়?
উত্তর: জিকিরের।
১৭৯. কে নিজেকে কল্পিত মাজারের খাদেম হিসেবে পরিচয় দেয়?
উত্তর: মজিদ।
১৮০. কার গলার আওয়াজ মাঠ থেকেও শোনা যায়?
উত্তর: রহিমার।
১৮১. লালসালু কেমন উপন্যাস?
উত্তর: সামাজিক।
১৮২. জমিলাকে নাজুক শিশু কে বলেছে?
উত্তর: মজিদ।
১৮৩. মহব্বতনগর গ্রামের লোকেরা কোথায় নৌকা নিয়ে বেড়ায়?
উত্তর: ধান ক্ষেতে।
১৮৪. লালসালু কত সালে প্রকাশ পায়?
উত্তর: ১৯৪৮।
১৮৫. সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ জন্মগ্রহন করেন?
উত্তর: চট্টগ্রামে।
১৮৬. সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর কোন উপন্যাসটি ফরাসি ও ইংরেজী ভাষায় অনুদিত হয়?
উত্তর: লালসালু।
১৮৭. কি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ?
উত্তর: সাংবাদিক হিসেবে।
১৮৮. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কখন মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ।
১৮৯. বাংলাদেশের কথাসাহিত্যকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পথিকৃৎ কে ছিলেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।
১৯০. ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৯৬৮ সালে।
১৯১. ‘লালসালু’ উপন্যাস অনুযায়ী কী না হলে বিদেশে এক পাও চলে না?
উত্তর: বদনা।
১৯২. নোয়াখালি অঞ্চলে শস্যের চেয়ে বেশি কি?
উত্তর: টুপি।
১৯৩. ‘কিন্তু দেশটা কেমন মরার দেশ’ কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: শস্যহীন বলে।
১৯৪. মজিদের শারীরিক গড়ন কেমন?
উত্তর: শীর্ণকায়।
১৯৫. মোদাচ্ছের পীরের কবর আবিষ্কার করায় মজিদ এর কি উম্মোচিত হয়েছে?
উত্তর: মিথ্যাচার চরিত্রে।
১৯৬. বিভিন্ন গ্রাম থেকে মহব্বতনগরে মানুেষ কেন আসতে লাগলো?
উত্তর: মাজারে মানত করতে।
১৯৭. ধলা মিয়া কে?
উত্তর: খালেক ব্যাপারীর ২য় স্ত্রী তানু বিবির বড় ভাই।
১৯৮. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কি?
উত্তর: মতলুব খাঁ।
১৯৯. লালসালু উপন্যাসে সাত ছেলের বাপ কে?
উত্তর: দুদু মিয়া।
২০০. ডোম পাড়া থেকে কিসের শব্দ ভেসে আসলো?
উত্তর: ঢোলকের।
২০১. আমেনা বিবি কোন দিন রোজা রাখে?
উত্তর: শুক্রবারে।
২০২. লালসালু কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে।
২০৩. মজিদের বড় বউয়ের নাম কি?
উত্তর: রহিমা।
২০৪. মজিদ কে দেখে প্রথমে জমিলার কি মনে হয়েছিল?
উত্তর: বরের বাপ।
২০৫. ধান দিয়া কি হইবো মানুষের জান যদি নাথাকে! উক্তি টি কার?
উত্তর: রহিমার।
২০৬. রহিমার পেটে কয়টি প্যাচ?
উত্তর: চৌদ্দটি।
২০৭. কার উক্তিটি দুই দিকে কাটে?
উত্তর: মজিদের।
২০৮. তোমার বাড়ি কই মিয়া?উক্তিটি কার?
উত্তর: মজিদের।
২০৯. আমেনা বিবি কে?
উত্তর: খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রী।
২১০. আক্কাসের বাবার নাম কি?
উত্তর: মোদাব্বের মিঞা।
২১১. গারো পাহাড় মধুপুর গড় থেকে কত দিনের পথ?
উত্তর: তিন দিনের।
২১২. মজিদ কে প্রথমে কারা দেখেছিলো?
উত্তর: তাহের ও কাদের।
২১৩. বাহে মুলুক কোথায়?
উত্তর: উত্তর বঙ্গে।
২১৪. আসরের সময় কোন নামাজ পড়া হয়েছিলো?
উত্তর: জোহরের।
২১৫. “দিলে চায়না বুবু”-উক্তিটি কার?
উত্তর: হাসুনির মার।
২১৬. হাড় সম্বল কালো কঠিন পা কার?
উত্তর: মজিদের।
২১৭. নতুন পীর সাহেব কোন গ্রামে এসেছিলেন?
উত্তর: আওয়ালপুরে।
২১৮. সময়-অসময়ে মিথ্যা কথা না বললে নয়- এটা কে ভাবে?
উত্তর: মজিদ।
২১৯. ‘কথাটা অবশ্য মিথ্যে; এবং সজ্ঞানে সুস্থ দেহে মিথ্যে কথা কয় বলে মনে মনে তওবা কাটে।’- এখানে ‘কথাটা কী?
উত্তর: এখানে কথাটা এর হলো: করিমগঞ্জ হাসপাতালের বড় ডাক্তার মজিদের মুরিদ।
২২০. ‘দুনিয়াটা বড় বিচিত্রি জায়গা। সময়ে-অসময়ে মিথ্যে কথা না বললে নয়।’- এটি কার উপলব্ধি?
উত্তর: মজিদের।
২২১. কুত্তা যদি তোমাকে কামড়ালে তুমিও কি উলটো তাকে কামড়ে দেবে?’- এটি কার উক্তি?
উত্তর: এটি আওয়াল পুরের পীর সাহেবের উক্তি।
২২২. আমেনা বিবি কত বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল?
উত্তর: ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল।
২২৩. ‘সজ্ঞানে না জানলেও তারা একাট্টা, পথ তাদের এক। এখানে ‘তারা’ কারা?
উত্তর: এখানে তারা হলো: মজিদ ও খালেক ব্যাপারি।
২২৪. খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর ভাইয়ের নাম কী?
উত্তর: ধলা মিয়া।
২২৫. আওয়ালপুর ও মহব্বত নগর গ্রামের মাঝখানে কোন গাছ আছে?
উত্তর: দেবংশি তেঁতুল গাছ।
২২৬. দলিল-দস্তাবেজ জাল হয়, কিন্তু খোদাতালার কালাম জাল হয় না।’-এটা কার উক্তি?
উত্তর: এটি মজিদের উক্তি।
২২৭. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কার উক্তি দুই দিকে কাটে?
উত্তর: মজিদের উক্তি দুই দিকে কাটে।
২২৮. ব্যাপারটা ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাবার মতো।’- কোন ব্যাপারটা?
উত্তর: আওয়ালপুরের পীরের কাছে পানি পড়া আনতে পাঠানো।
২২৯.’ঠগ-পীরের পানি পড়ায় কি কোন কাম হয়?’-এটি কার উক্তি? টগ পিরটি কে?
উত্তর: এটি খালেক ব্যাপারির উক্তি, টগ পিরটি আওয়ালপুরের পির।
২৩০. আমার থিকা ঠগ-পির বেশি হইল, আমার মুখে কি জোর নাই?’ এটি কার উক্তি?
উত্তর: এটি মজিদের উক্তি।
২৩১. মজিদের মতে মেয়েলোকের সন্তান হয় না কেন?
উত্তর: মেয়েলোকের পেটে বেড়ি পড়লে সন্তান হয় না।
২৩২. মজিদের মতে মেয়ে লোকের পেটে কত কত প্যাচের বেড়ি পড়ে?
উত্তর: সাত, চৌদ্দ কিংবা একুশ প্যাচের বেড়ি পড়ে।
২৩৩. কত প্যাঁচের বেড়ি পড়লে ছাড়ানো যায় না বলে মজিদ জানায়?
উত্তর: সাতের উপরে বেড়ি পড়লে আর ছাড়ানো যায় না।
২৩৪. আমেনা বিবি কী বারে রোজ রাখে?
উত্তর: শুক্রবারে।
২৩৫. রহিমার পেটে কত প্যাচের বেড়ি পড়েছে বলে মজিদ জানায়?
উত্তর: চৌদ্দ প্যাঁচের বেড়ি পড়েছে বলে।
২৩৬. বেড়ি খোলার জন্য আমেনা বিবিকে মাজারের চার পাশে কত পাক দিতে হবে?
উত্তর: সাত পাক দিতে হবে।
২৩৭. তাহেরের মায়ের মৃত্যু সংবাদ মজিদ কার কাছে শুনতে পায়?
উত্তর: হাসুনির মায়ের কাছে।
২৩৮. তাহেরের ছোট ভাই কী হতে চায়?
উত্তর: কেরায়া নায়ের মাঝি।
২৩৯. তাহেরের মাকে কোথায় কবর দেয়া হবে?
উত্তর: কদম গাছের তলে।
২৪০. তাহেরের মায়ের জানাজা কে পড়াবে?
উত্তর: মোল্লা শেখ।
২৪১. তাহেরের ছোট ভাই কী হতে চায়?
উত্তর: কেরায়া নায়ের মাঝি।
২৪২. তাহেরের মাকে কোথায় কবর দেয়া হবে?
উত্তর: কদম গাছের তলে।
২৪৩. আমেনা বিবি কি বারে রোযা রাখে?
উত্তর: শুক্রবারে।
২৪৪. মজিদের পানি পড়া নিয়ে রহিমা কখন খালেক ব্যাপারির বাড়ি আসে?
উত্তর: দুপুরের কিছু আগে।
২৪৫. তানি যে খোদার মানুষ’- এই খোদার মানুষটি কে?
উত্তর: মজিদ।
২৪৬. আমেনা বিবিকে নেয়ার জন্য কয়জন বেহারা পালকি নিয়ে আসে?
উত্তর: দুইজন।
২৪৭. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: চট্টগ্রামের।
২৪৮. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত সালে জন্ম গ্রহণ করেন? উত্তর: ১৯২২ সালে।
২৪৯. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কোন মাসের কত তারিখে জন্ম গ্রহণ করেন?
উত্তর: আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ।
২৫০. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বাবার নাম কী?
উত্তর: সৈয়দ আহমদ উল্লাহ।
২৫১. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন?
উত্তর: ১৯৪১ সালে।
২৫২. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত সালে বিএ পাস করেন?
উত্তর: ১৯৪৩ সালে।
২৫৩. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কোন বিষয়ে এমএ পড়ার জন্য কলকতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন?
উত্তর: অর্থনীতি।
২৫৪. মজিদের সঙ্গে গ্রামবাসীর যোগসূত্রকারী চরিত্র হিসেবে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন চরিত্র?
উত্তর: রহিমার চরিত্রটি।
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।