সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আপনি কি একাদশ শ্রেণিতে পড়েন? সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল খুজতেছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেল টি আপনার জন্য। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।


সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: মাইশার মা-বাবা দুজনেই চাকরিজীবী। কাজের মেয়ের তত্ত্বাবধানে সে বড় হচ্ছে। প্রায়ই তার মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া- বিবাদ হয়। অনাদরে-অবহেলায় বড় হওয়ার কারণে সে অন্য মানুষদের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারে না। শুধু তাই নয়, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিও প্রবল।

ক. সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে?
খ. খেলার সাথি কোন ধরনের সামাজিক গোষ্ঠী? ব্যাখ্যা কর।
গ. মাইশার খাপছাড়া আচরণের জন্য সামাজিকীকরণের কোন বাহনটি দায়ী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত বাহনের প্রভাবে মাইশার ভবিষ্যৎ জীবনে কী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে? বিশ্লেষণ কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। সমাজের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরকে সামাজিক পরিবর্তন বলে।

খ। পরিবারের পর খেলার সাথি হলো দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক গোষ্ঠী। সঙ্গীদলের সাথে খেলতে গিয়ে শিশু যেমন অন্যদেরকে তার আচরণ দ্বারা প্রভাবিত করে, তেমনি অন্যের আচরণ দ্বারাও নিজে প্রভাবিত হয় । সঙ্গীদের সাথে মেলামেশার ফলে পরিবারের বাইরে যে একটি জগৎ আছে সে সম্পর্কে শিশু সচেতন হয়। পারিবারিক আবহে স্নেহ-যত্নের প্রাধান্য থাকলেও বহির্জগতের পরিবেশে শিশুকে সহনশীলতা, নিয়ম-শৃঙ্খলা, দায়িত্ব-কর্তব্য ইত্যাদি শিখতে হয়। এ সময়ে অনেক শিশুর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

গ। মাইশার খাপছাড়া আচরণের জন্য সামাজিকীকরণের পরিবার বাহনটি দায়ী । শিশুর সামাজিকীকরণে পরিবার প্রাথমিক বাহন হিসেবে কাজ করে, শিশুর শিক্ষার প্রথম হাতেখড়ি হয় পরিবারেই আর শিশুরা যেহেতু অনুকরণপ্রিয় সেহেতু পারিবারিক পরিবেশে শিশু যা শেখে, ব্যক্তিত্বগঠনে তা আজীবন ভূমিকা পালন করে।

এজন্য দেখা যায়, বাবা-মা যে আদর্শ ও সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে, শিশুরাও সাধারণত সেই আদর্শ ও সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী হয়। তাই সামাজিকীকরণের বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে পরিবারই শিশুর সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে অধিক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, মাইশার বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী হওয়ার কারণে সে কাজের মেয়ের তত্ত্বাবধানে বড় হচ্ছে। প্রায়ই তার মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। অনাদরে-অবহেলায় বড় হওয়ার কারণে সে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারে না।

তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি প্রবল। এরূপ আচরণের জন্য তার পরিবারই দায়ী। কারণ পরিবারের যথার্থ ভূমিকার প্রভাব মাইশার জীবনে নেই। এর ফলে তার আচরণে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়। যদি তার বাবা-মা তাকে সময় দিত, সব সময় ঝগড়া-বিবাদ না করত, তাহলে মাইশার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দিত না। উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সুষ্ঠু সামাজিকীকরণের মাধ্যমে যেমন পরিবার শিশুর সঠিক ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে পারে আবার পরিবারের অবহেলায় বা সচেতনতার অভাবে শিশুর সঠিক ব্যক্তিত্বের বিকাশ ব্যাহত হয়।

ঘ। পরিবারের সঠিক ভূমিকার অভাবে মাইশার ভবিষ্যৎ জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। মাইশার বাবা-মার মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। এর ফলে তার মধ্যে অসুখী মনোভাব গড়ে উঠবে, যা তার ব্যক্তিত্বের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে। এছাড়া তার বাবা-মার মধ্যকার দ্বন্দ্ব বা উত্তেজনা সে নিজের মধ্যে অনুভব করবে।

এর থেকে তার মনে অসহায়বোধ জন্ম নেবে, যা পরে উগ্র ও অসামাজিক আচরণের জন্ম দেবে। এছাড়া তার বাবা-মার মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে তার মধ্যে ঈর্ষা, হঠকারিতা, স্বার্থপরতা, অপরাধপ্রবণতা ইত্যাদি আচরণের বহিঃপ্রকাশ দেখা দিতে পারে। মাইশার বাবা-মা ব্যস্ততার কারণে তাকে সময় দিতে পারে না। এর ফলে কাজের মেয়ের তত্ত্বাবধানে সে বড় হচ্ছে। কাজের মেয়ের কাছে বড় হওয়ার কারণেও তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। কারণ পিতা-মাতা যেভাবে আদর-যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করে কাজের লোক সেভাবে করে না। এর ফলে আদর-যত্নের ঘাটতির কারণে মাইশার ব্যক্তিত্ব গঠন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

অবহেলা-অনাদরের কারণে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসী মন গড়ে উঠবে না। সে কাউকে আপন মনে করবে না। কারো প্রতি তার ভালোবাসা জন্মাবে না। এর ফলে সে স্বাভাবিক পরিবেশে খাপ খাইয়ে চলতে পারবে না। বাবা-মার মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে সে সব সময় হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারে, যা তার স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে।

বাবা-মার ভালোবাসা শিশুকে আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলে। তার ব্যক্তিত্ব বিকাশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয়। কিন্তু মাইশার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা দেবে, যা তাকে সমাজজীবনে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন করবে। আলোচনার শেষে বলা যায়, পিতা-মাতার যথার্থ ভূমিকা পালনে ব্যর্থতা মাইশার জীবনকে ব্যর্থ করে দেবে। সে সমাজে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে জীবনযাপনের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।

প্রশ্ন ২: সম্প্রতি ভারতের উচ্চ আদালত হিজড়েদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে হিজড়েরা সামাজিক, মানবিক তথা নাগরিক অধিকার ভোগ করার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেল। আদালতের যুক্তি ছিল— হিজড়েরা স্বাভাবিক মানুষ হলেও তাদের অস্বাভাবিক আচরণের কারণ হলো সামাজিকভাবে তাদের স্বাভাবিক মানুষ হতে দেওয়া হয় না বরং তাদের হিজড়েকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তাই তারা মানুষের মূলস্রোত থেকে দূরে সরে যায়।

ক. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য কী?
খ. সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া কতদিন চলতে পারে বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে কোন বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? সমাজজীবনে উক্ত প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হয়-তা আলোচনা করো।
ঘ. এ প্রক্রিয়ায় বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব বর্ণনা করো।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ হলো শিক্ষার্থীকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলতে পারার জন্য প্রস্তুত করা।

খ। সামাজিকীকরণ জীবনব্যাপী একটি প্রক্রিয়া, যা জন্ম থেকে শুরু হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত চলতে থাকে। সামাজিকীকরণ ছাড়া ব্যক্তির পক্ষে সমাজে বসবাস বা টিকে থাকা কোনোটিই সম্ভব নয়। ব্যক্তি প্রতিনিয়ত সামাজিকীকরণের বিভিন্ন মাধ্যমসমূহের দ্বারা সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে কারণ সামাজিকীকরণের মাধ্যমে একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত হয়।

গ। উদ্দীপকে সামাজিকীকরণের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ সম্প্রতি ভারতের উচ্চ আদালতে হিজড়েরা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে তারা সামাজিক, মানবিক তথা নাগরিক অধিকার ভোগ করবে। স্বাভাবিক মানুষ হলেও হিড়েরা সামাজিকভাবে সমাজে বেড়ে উঠতে পারে না। অর্থাৎ তারা সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া হতে বঞ্চিত হয়।

কিন্তু আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে তারা সমাজে অন্যান্য মানুষের মতো স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। এর ফলে তাদের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সামাজিকীকরণ একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। শিশুর জন্মের পর হতে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন ও খাপ খাওয়ানোর প্রক্রিয়াই সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া।

মানবশিশু জন্মের পর প্রথমে মায়ের এবং পরবর্তী সময়ে বাবা ও অন্যান্য সদস্যদের সংস্পর্শে আসে। পরিবারের সকল সদস্যের আচরণ শিশুর আচরণকে প্রভাবিত করে। এরপর শিশু পরিবারের বাইরের পরিবেশ যেমন- খেলার সাথি, পাড়া প্রতিবেশী, বিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে। শিশু যে সমাজে বড় হচ্ছে সে সমাজের প্রথা, মূল্যবোধ, রীতিনীতি, আচার-আচরণ প্রভৃতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে শেখে এবং সামাজিক মানুষে পরিণত হয়।

ঘ। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বায়নের ফলে আজ সারা বিশ্বের মানুষ যেন একটি পরিবারের সদস্য। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সাথে ঘরে বসে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে আইসিটির বদৌলতে। মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট চ্যানেল, অনলাইন সংবাদপত্র, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন- (ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি) বিভিন্ন বিনোদন সাইট এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ সহজেই সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে।

এতে তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ চিন্তাধারা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, জীবনধারা, সমাজ, অর্থনীতি, ধর্ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানার সুযোগ হচ্ছে। পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে মানুষ নিজের অজান্তেই বিভিন্ন বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। জীবনযাত্রা, খাবার-দাবার, পোশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদির ওপর এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। পারস্পরিক এ আদান- সামাজিকীকরণে এক বড় ভূমিকা পালন করছে। সামাজিকীকরণ হয়ে উঠেছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিস্তৃত। ব্যক্তি মানুষ পরিণত হচ্ছে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্বে, ধারণ করছে বহুজাতিক বৈশিষ্ট্য।

যেমন আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে পোশাক-পরিচ্ছদে যে বৈচিত্র্য দেখা যায় তা আমাদের নিজস্ব নয়, বৈশ্বিক সংস্কৃতি দ্বারা দারুণভাবে প্রভাবিত। প্রদান সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বিশ্বায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উপাদান বিভিন্নভাবে প্রভাবিত, পরিবর্তিত বা পরিবর্ধিত উপাদান অনুরূপভাবে পরিবর্তন করতে ভূমিকা পালন করছে।

নিজে করো,

প্রশ্ন ৩: মাধুরী পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, কবিতা, দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত পড়ে। এ ব্যাপারে তার মা, বাবা, চাচা সবাই উৎসাহিত করে। সে দেশ-বিদেশের সব খবর জানতে চায়। ভবিষ্যতে সে একজন সাংবাদিক হতে চায়। কিন্তু রহিমার বেলায় ঘটনাটি পুরো উল্টো। তার গল্প, উপন্যাস পড়াকে মা-বাবা খুব খারাপ চোখে দেখে। রহিমা সব সময় মন খারাপ করে থাকে। ফলে বন্ধুদের মধ্যেও প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে না।

ক. গল্প উপন্যাস কি সামাজিকীকরণের মাধ্যম?
খ. সামাজিকীকরণে পত্র-পত্রিকার ভূমিকা কী?
গ. মাধুরীর সামাজিকীকরণে পরিবারের ভূমিকা আলোচনা করো।
ঘ. মাধুরী ও রহিমার সামাজিকীকরণের পার্থক্যগুলো তুলে ধরো।

প্রশ্ন ৪: আলিপুর এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিশেষ করে চুরি, ছিনতাই, যৌতুক বা বাল্যবিবাহের মতো অপরাধগুলো বেশ বৃদ্ধি পেয়েছিল । ফলে এলাকার শিক্ষিত যুবকেরা এর বিরুদ্ধে মাইকিং ও দেয়ালিকা বের করে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়। ফলে অনেকদিন পর এ থেকে মুক্ত হয়েছে এলাকাটি।

ক. শিশুর সবচেয়ে কাছের মানুষ কে?
খ. সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া কী?
গ. উদ্দীপকে প্রকাশিত বিষয়টির স্বরূপ উপস্থাপন করো।
ঘ. সামাজিকীকরণে উক্ত বিষয়টির ভূমিকা মূল্যায়ন করো।

প্রশ্ন ৫: এটি একটি আজীবন প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে মানুষ পূর্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেক মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে একটি মাধ্যমের সাহায্যে মুহূর্তেই সারা বিশ্বে যে কোনো ঘটনা প্রচারিত হয়, যার প্রভাব ব্যক্তি জীবনে সুদূরপ্রসারী। এর মাধ্যমে তথ্য দেয়া-নেয়া, বাঁচিয়ে রাখা, সংরক্ষণ করা, বিশ্লেষণ করা আবার নিজের কাজে ব্যবহার করা যায়।

ক. শিশু সামাজিকীকরণের প্রাথমিক ক্ষেত্র কোনটি?
খ. ‘সংঘ’ সমাজজীবনে প্রভাব সৃষ্টিকারী কোন উপাদানের অন্তর্ভুক্ত? শিশু-কিশোরের জীবনে উক্ত উপাদানের প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে প্রথম লাইনটি যে প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করছে উক্ত প্রক্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ লাইনটি কোন মাধ্যমকে নির্দেশ করছে? ‘সামাজিক জীবনে এর ভূমিকা বহুমুখী’—উক্তিটি মূল্যায়ন করো।


🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১য় অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৫ম অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৭ম অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৮ম অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১০ম অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১১ অধ্যায়


প্রশ্ন ৬: আদিয়ান সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে। সে বিভিন্ন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি এবং হাল ফ্যাশন সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানলাভ করেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাছাড়া সে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার তৈরিতে পারদর্শী বিধায় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানির সফটওয়্যার তৈরি করে অনেক টাকা আয় করে।

ক. ICT-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. সামাজিকীকরণ একটি আজীবন প্রক্রিয়া – বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে সামাজিকীকরণের কোন বাহনটির প্রভাব লক্ষণীয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টির প্রভাবের ফলে আমরা একই ছাতার নিচে বসবাস করছি? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

প্রশ্ন ৭: নান্টু ও মিতার বাবা-মা চাকরিজীবী। দিনের বেলায় অফিসের কাজকর্মের জন্য দু’জনই সন্তানদেরকে সময় দিতে পারেন না। অধিকাংশ দিনই তাদের বাবা-মা ঝগড়ায় লিপ্ত হন। মিতা নিয়মিত পড়াশোনা করলেও ষোল বছর বয়সী নান্টু পাড়ার খারাপ ছেলেদের সাথে ঘুরে বেড়ায়। স্কুলে যায় না, পড়তেও বসে না। এমনকি সে নানান বদ অভ্যাসেও আসক্ত হয়ে পড়েছে।

ক. বিশ্বায়ন কী?
খ. সামাজিকীকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা কীরূপ? ব্যাখ্যা করো।
গ. নান্টুর সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে যে মাধ্যমটি অনুপস্থিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. নান্টুকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পরিবারের কী করণীয় আছে বলে তুমি মনে কর? মতামত উপস্থাপন করো।

প্রশ্ন ৮: শুভ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। বাড়িতে তার বাবা-মা তাকে স্কুলের পড়া তৈরি করতে সাহায্য করেন। প্রতিদিন বিকেলে সে বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে যায়। এছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে সে বাড়ির কাছের মসজিদে আরবি পড়তে যায়।

ক. কাদের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সহযোগিতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, নেতৃত্ব প্রভৃতি গুণাবলি বিকশিত হয়?
খ. সামাজিকীকরণে সংঘ-সমিতির ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে সামাজিকীকরণের কোন বাহনগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উদ্দীপকে উল্লিখিত বাহনগুলো ছাড়াও সামাজিকীকরণের আরও বাহন রয়েছে? মতামত প্রদান করো।

প্রশ্ন ৯: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে CSE বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছে রোহান। সে বিভিন্ন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি এবং হাল ফ্যাশন সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানলাভ করেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাছাড়া সে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার তৈরিতে পারদর্শী বিধায় সে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানির সফটওয়্যার তৈরি করে অনেক টাকা আয় করে।

ক. বিশ্বায়ন প্রত্যয়টি কেমন?
খ. রাজনৈতিক দল সামাজিকীকরণ শিক্ষা দেয় ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে সামাজিকীকরণের কোনটির প্রভাব লক্ষণীয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে করো উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টির প্রভাবের ফলে আমরা একই ছাতার নিচে বসবাস করছি? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

প্রশ্ন ১০: নাজমা বেগম গ্রামের মাদ্রাসা হতে শিক্ষা লাভ করেন এবং এক মাওলানার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন পর এক ছেলে সন্তান লাভ করেন। তিনি তার একমাত্র ছেলে আরিফকে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দেন। ধীরে ধীরে সে তার বিবেকবোধ ও চেতনাকে জাগ্রত করে তার সামাজিক মূল্যবোধকে বিকশিত করে। এক্ষেত্রে তার মায়ের ভূমিকা মুখ্য বলে সে মনে করে সে সমাজের সকলের সাথে চলতে তার কোনো সমস্যা হয় না।

ক. কোনটি শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়?
খ. শিশুর সামাজিকীকরণে পরিবার কেন গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম?
গ. আরিফের সামাজিকীকরণে কোন বিষয়টি ভূমিকা পালন করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, নাজমা বেগমের মত মা সন্তানের সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে? মতামত দাও।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।