সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 

সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আপনি কি একাদশ শ্রেণিতে পড়েন? সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল খুজতেছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেল টি আপনার জন্য। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।


সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: জনাব হাসান দীর্ঘদিন পর তার গ্রামে গিয়ে দেখলেন- গ্রামের চেহারা আগের মতো নেই। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, টেলিভিশন এবং লোকজনের হাতে হাতে মোবাইল, যা গ্রামীণ জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে।

ক. জ্ঞাতিসম্পর্ক কী?
খ. বংশগতির প্রভাব বুঝিয়ে বলো।
গ. উদ্দীপকের জনাব হাসানের গ্রামের পরিবর্তনে সমাজজীবনে প্রভাববিস্তারকারী কোন উপাদানের ভূমিকা রয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. উক্ত উপাদানটি সামাজিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি- বিশ্লেষণ করো।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। জ্ঞাতি সম্পর্ক হলো এমন এক সামাজিক সম্পর্ক যাতে সমাজের প্রতিটি সদস্য বিভিন্ন সূত্রের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ও অনুমিতভাবে রক্ত সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে।

খ। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠন ও পরিচালনায় প্রতিভা ও দক্ষতা, আচার-ব্যবহার ও মানবিক অবস্থা, দৈহিক আকার-আকৃতিতে বংশগতির প্রভাব রয়েছে। সমাজ সভ্যতার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে মানুষের বংশগতি প্রভাব বিস্তার করে। জৈবিক উপাদানের প্রভাবে উত্তরাধিকারদের আচার-ব্যবহার, গুণাগুণ, স্বভাব, স্বাস্থ্য, মেজাজ, বুদ্ধির অধিকার হয়। সামাজিক ক্ষ্যাতি ও মর্যাদা লাভেও বংশগতির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।

গ। উদ্দীপকের জনাব হাসানের গ্রামের পরিবর্তনে সমাজজীবনে প্রভাববিস্তারকারী সাংস্কৃতিক উপাদানের ভূমিকা রয়েছে। সংস্কৃতি প্রত্যয়টিকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেন। সাহিত্যিকগণ সংস্কৃতি বলতে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, আশা- আকাঙ্ক্ষা, কামনা-বাসনা, কল্পনা ইত্যাদিতে বুঝিয়ে থাকেন। অন্যদিকে নৃবিজ্ঞানীরা যেকোনো নতুন উদ্ভাবনাকেই সংস্কৃতিরূপে গণ্য করেন।

আর সমাজবিজ্ঞানীরা সংস্কৃতিকে জীবনপ্রণালি হিসেবে দেখেন। অর্থাৎ ব্যক্তি তার জীবনে যা কিছু করে সবই সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, জনাব হাসান দীর্ঘদিন পর তার গ্রামে গিয়ে দেখেন গ্রামের চেহারা আগের মতো নেই। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, টেলিভিশন এবং লোকজনের হাতে হাতে মোবাইল। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে।

পাঠ্যবইয়ের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এ পরিবর্তনে সংস্কৃতির প্রভাবের কথা বলতে পারি, কারণ মানুষের যেকোনো নতুন উদ্ভাবনই হলো সংস্কৃতি সেদিক থেকে বিদ্যুৎ, টেলিভিশন ও মোবাইল সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। আর এগুলোর ব্যবহারই মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। এছাড়া মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধও সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর পরিবর্তনের কারণে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, সংস্কৃতির প্রভাবেই জনাব হাসানের গ্রামে পরিবর্তন এসেছে।

ঘ। উদ্দীপক দ্বারা নির্দেশকৃত উপাদান তথা সংস্কৃতি সামাজিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি। সামাজিক উন্নয়নে সাংস্কৃতিক উপাদানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংস্কৃতিক উপাদানের প্রত্যক্ষ প্রভাবে মানুষের চিন্তা- চেতনা, ধ্যান-ধারণায় পরিবর্তন সূচিত হয়। তাছাড়া প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে মানুষের মধ্যে আধুনিক চিন্তা ও চেতনার প্রবণতা লক্ষ করা যায়, যা মূলত সাংস্কৃতিক উপাদানেরই ফল। যেমন— একসময় লাঙল দিয়ে চাষ করা হলেও বর্তমানে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে অধিক উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।

আবার হাতের চেয়ে যন্ত্রের সাহায্যে উৎপাদন অধিক ফলপ্রসূ এবং এতে সময় কম ও উৎপাদন বেশি হয়। আবার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দ্রুত যাতায়াতের জন্য বাস, ট্রাক, রেলগাড়ির চেয়ে প্লেন বা হেলিকপ্টার বেশি সক্রিয়। এসকল বিষয়গুলো সাংস্কৃতিক উপাদানের প্রত্যক্ষ ফল। তাই দেখা যাচ্ছে, সামাজিক উন্নয়নকে সাংস্কৃতিক উপাদান প্রভাবিত করে। উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, সাংস্কৃতিক উপাদান সামাজিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন ২: কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে হাওরাঞ্চল। মানুষের পেশা প্রধানত কৃষি আর মাছ ধরা। হাওর এলাকার কৃষি মূলত মৌসুমি বায়ুর ওপর নির্ভরশীল। সময়মতো মৌসুমি বৃষ্টিপাত হলে ফসল ভালো হয়। কিন্তু বৃষ্টিপাত না হলে ফসল ভালো হয় না। আবার প্রায়ই অকাল বন্যায় ফসল তলিয়ে যায়। এতে হাওরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ।

ক. সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের স্বভাব কেমন হয়?
খ. বংশগতি বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে সমাজজীবনের কোন উপাদানের প্রভাব ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে উক্ত উপাদানের প্রভাব বিশ্লেষণ করো।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ পরিশ্রমী হয়।

খ। বংশগতি বা জৈবিক প্রভাব বলতে বোঝায় এমন কিছু জৈবিক ও মানবিক গুণ যা মানুষ পূর্ববর্তী বংশ বা পিতামাতা থেকে জন্মসূত্রে লাভ করে। মানুষ যেসব দৈহিক ও মানবিক বৈশিষ্ট্য পিতামাতা থেকে জন্মসূত্রে লাভ করে। সেগুলো হলো লিঙ্গ, চোখ, চুলের রং, গায়ের রং, চুলের ধরন, হাত-পায়ের গড়ন, দেহের উচ্চতা, রক্তের শ্রেণি, জ্ঞান, মেধা, পারদর্শিতা ইত্যাদি। সুতরাং, প্রাকৃতিক নিয়মে পূর্ববর্তী বংশধরদের দৈহিক ও মানসিক গড়ন পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। আর এই স্থানান্তরিত জটিল বৈশিষ্ট্যাবলি ‘বংশগতি’ নামে পরিচিত।

গ। উদ্দীপকে সমাজজীবনের ভৌগোলিক উপাদানের প্রভাব ফুটে উঠেছে। সমাজজীবনে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভৌগোলিক পরিবেশ। প্রকৃতি, আবহাওয়া, জলবায়ু, তাপমাত্রা, মৃত্তিকা, জলের অবস্থান ও গতিধারা, বনভূমি, পশু-পাখি, ঋতু, মধ্যাকর্ষণ শক্তি, ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিকম্প, সমুদ্রস্রোত ইত্যাদি মানুষের অস্তিত্ব ও তৎপরতার সাথে যোগ না রেখে স্বকীয় ধারায় পরিবর্তিত হয়। এগুলোকে ভৌগোলিক উপাদান বলা হয়।

সমাজজীবনের সর্বক্ষেত্রেই ভৌগোলিক উপাদানের প্রভাব রয়েছে। এ প্রভাব কোথাও নিবিড় আবার কোথাও বা অস্পষ্ট। এমনকি এ প্রভাব প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ এবং কম-বেশি স্থায়ী হতে পারে। উপযুক্ত ভৌগোলিক পরিবেশকে মানবজীবন তথা মানবসমাজেরও অপরিহার্য শর্ত বলা যেতে পারে। উদ্দীপকে হাওড়াঞ্চলের বর্ণনার মাধ্যমে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের পেশা কৃষির ওপর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। সময়মতো মৌসুমি বৃষ্টিপাত হলে ফসল ভালো হয়। কিন্তু বৃষ্টি না হলে ফসল ভালো হয় না।

আবার অকালে বন্যা হলেও ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এসব কিছুই ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে ঘটে থাকে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাবের চিত্র ফুটে উঠেছে।

ঘ। ব্যক্তি ও সমাজজীবনের সর্বত্রই রয়েছে উদ্দীপকে উল্লিখিত ভৌগোলিক উপাদানের ব্যাপক প্রভাব। মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর সার্বিক দিক থেকে নির্ভরশীল যার কারণে এই উপাদানকে মানুষ কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারে না। ভৌগোলিক উপাদানের প্রভাব লক্ষ করে ‘ম্যাকাইভার ও পেজ’ বলেছেন, “মানবজীবনের ওপর ভৌগোলিক পরিবেশের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে।”

মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভৌগোলিক উপাদান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কারণ ফসল উৎপাদনের জন্য চাই উপযোগী জলবায়ু, আবহাওয়া তথা পরিমিত বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা। আবার মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদে ভৌগোলিক উপাদানের প্রভাব রয়েছে। শীতপ্রধান অঞ্চলে পশমি কাপড়ের ব্যবহার বেশি এবং গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে সুতি কাপড়ের ব্যবহার বেশি। এছাড়াও নৃগোষ্ঠীর ওপর ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব অনেকটা ক্রিয়াশীল। তাই শীতপ্রধান অঞ্চলে মানুষ শ্বেতকায় এবং গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের মানুষ কৃষ্ণবর্ণের হয়ে থাকে।

আবার দেখা যায়, গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলে অত্যধিক উষ্ণ তাপে মানুষ অস্বস্তিবোধ করে। এতে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে যায়। অপরদিকে একই কারণে শীতপ্রধান অঞ্চলের মানুষ পরিশ্রমে সহজে ক্লান্ত হয় না। ফলে তারা কঠোর পরিশ্রম করতে পারে। ভৌগোলিক পরিবেশ বিবাহ ও পারিবারিক জীবনকেও প্রভাবিত করে। যেমন— গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা তুলনামূলকভাবে অল্প বয়সেই যৌবনপ্রাপ্ত হয়। আবার অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির পেছনেও ভৌগোলিক উপাদানের প্রভাব রয়েছে। যেমন— সমতল অঞ্চলের চেয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়।

তাছাড়া পাহাড়ি দুর্গম ও বন্য অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন সুযোগ নেই বলে সেখানে আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহজে ও দ্রুত পৌছাতে পারে না। এছাড়া ধর্ম, রাজনৈতিক সংগঠন, প্রশাসন, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, নীতিবোধ ও সাহিত্যকর্মে ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব লক্ষণীয় । উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাই বলা যায় উপরের ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে ভৌগোলিক উপাদানের প্রভাব অনস্বীকার্য।

নিজে করো,

প্রশ্ন ৩: দৃশ্যপট-১: মুক্তা মুগ্ধ হয়ে তার ঘুমন্ত স্বামী ও সন্তানকে দেখছে। দুজন একই ভঙ্গিতে ঘুমিয়ে আছে। দেখতেও তারা অবিকল এক রকম। কোঁকড়ানো বাদামী চুল, ফর্সা গায়ের রং এমনকি নাকটাও একই রকম। সে চট করে ছবি তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিল ‘Need no DNA Test.
দৃশ্যপট -২ : কেয়া রাঙামাটি বেড়াতে গিয়ে লক্ষ করলো সেখানে বেশির ভাগ ঘরবাড়ি কাঠ, ছন, বাঁশ ও মাটির তৈরি। স্থানীয়রা ‘জুমচাষ’ করে এবং লেকের মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় এখানে কোনো রিকশা নেই।

ক. “The Division of Labour in Society’ গ্রন্থটি কার?
খ. অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির পেছনে ভৌগোলিক উপাদানকে দায়ী করা হয় কেন?
গ. দৃশ্যপট-১-এ সমাজ জীবনে প্রভাব বিস্তারকারী কোন উপাদানের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো
ঘ. তুমি কি মনে কর, দৃশ্যপট-২, এ উল্লিখিত উপাদানটির প্রভাব সমাজজীবনে সবচেয়ে বেশি? যুক্তি দেখাও।


🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১য় অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৫ম অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৬ষ্ঠ অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৭ম অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ৮ম অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১০ম অধ্যায়
🔰🔰 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১১ অধ্যায়


প্রশ্ন ৪: শিমুল দশ বছরের শিশু। সে প্রতিদিন বিকেলে মাঠে খেলতে যায়। খেলার মাঠে সে দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। বাড়িতে তার বাবা-মা তাকে সামাজিক আদর্শ, মূল্যবোধ, আচার-আচরণ ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষাদান করে।

ক. সাধারণত কোন অঞ্চলের মানুষ কৃষ্ণবর্ণের হয়ে থাকে?
খ. জনসংখ্যার বণ্টন ও সভ্যতার উৎপত্তিতে ভৌগোলিক উপাদানের প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে সামাজিক গোষ্ঠীর কোন কোন উপাদানের প্রভাব ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত উপাদানগুলো ছাড়া সামাজিক গোষ্ঠীর অন্যান্য উপাদানগুলোর প্রভাব বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্ন ৫: জাপান ও ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। তাই এসব অঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়ি সাধারণত ইট-পাথরের না হয়ে হালকা উপকরণের হয়ে থাকে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এ অঞ্চলে প্রচুর খেঁজুর গাছ জন্মে, পোশাক- পরিচ্ছদ এবং খাদ্যাভ্যাসেও রয়েছে ভিন্নতা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও আঞ্চলিক তারতম্যের কারণে আমরা পরিবর্তনশীলতার প্রভাব লক্ষ করে থাকি।

ক. কত ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা মানসিক দক্ষতার অনুকূল?
খ. মানুষের জীবনে খেলার মাঠ কীভাবে ভূমিকা রাখে?
গ. উদ্দীপকে সমাজজীবনের উপাদানসমূহের মধ্যে যে উপাদানটি সম্পর্কে বলা হয়েছে সেটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সমাজজীবনের ওপর উল্লিখিত উপাদানটির প্রভাব পর্যালোচনা করো।

প্রশ্ন ৬: বাংলাদেশ থেকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমায় নাদিম। বর্তমানে সেখানে সে একটি সিরামিক কারখানার ম্যানেজার। তার প্রতিষ্ঠান ছয় মাসের একটি প্রশিক্ষণে তাকে জাপান পাঠায় সেখানে গিয়ে নাদিমের তার নিত্য ব্যবহার্য পোশাকগুলোকে অকেজো মনে হয়। এছাড়াও সে তার কর্মদক্ষতার ব্যাপারেও পার্থক্য অনুভব করে।

ক. প্রাথমিক গোষ্ঠী কাকে বলে?
খ. শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে সঙ্গীদলের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে সমাজজীবনের কোন উপাদানটির প্রভাব দেখা যায়? নিরূপণ করো।
ঘ. উল্লিখিত বিষয় ছাড়া উপাদানটি অন্যান্য ক্ষেত্রের প্রভাবসমূহ পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্ন ৭: ড. রহমান একজন সমাজ গবেষক। তিনি লক্ষ করেছেন বাংলাদেশে সকল অঞ্চল একই বৈশিষ্ট্যের নয়। কোনো অঞ্চলে ধান ভালো জন্মে। আবার কোনো অঞ্চলে তামাক ভালো জন্মে। কোনো এলাকার ঘরবাড়ি মাটির তৈরি আবার কোনো অঞ্চলের ঘরবাড়ি মাটি ও টিনের তৈরি এবং তাদের খাদ্যাভ্যাসেও রয়েছে তারতম্য। এছাড়াও পোশাক-পরিচ্ছেদ ও যানবাহনের ক্ষেত্রেও অঞ্চলভেদে ভিন্নতা লক্ষ করেছেন।

ক. ‘নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর’- কে বলেছেন?
খ. “পরিবেশ ও মানবজীবন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।”— ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে সমাজজীবনে প্রভাববিস্তারকারী কোন উপাদানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? উপাদানটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সমাজজীবনের ওপর উদ্দীপকে উল্লিখিত উপাদানটির প্রভাব পর্যালোচনা করো।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।