রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে

রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে – মোমের দহনে পরিবর্তন

রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে: পদার্থে সধারণত ২ ধরণের পরিবর্তন সংঘটিত হয়। একটি ভৌত পরিবর্তন আর অপরটি রাসায়নিক পরিবর্তন। আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।

পিডিএফ মেলার আজকের আর্টিকেলে ভৌত পরিবর্তন কাকে বলে, রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে, ও মোমের দহনে পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।


ভৌত পরিবর্তন কাকে বলে

যে পরিবর্তনে পদার্থের অবস্থার (কঠিন পদার্থ তরল ব্যা গ্যাসে, তরল পদার্থ কঠিন বা গ্যাসে, ও গ্যাসিয় পদার্থ কঠিন বা তরল) পরিবর্তন হয় তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। উদাহরণ: পানি কে তাপ দিলে বাষ্পে এবং পানিকে ঠান্ডা করলে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। আবার মোমের দহনে মোম কঠিন থেকে তরল মোমে পরিবর্তন হয়। এটাই ভৌত পরিবর্তন।

রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে

যে পরিবর্তনে কোন পদার্থ তার নিজস্ব ধর্ম সম্পূর্ণ হারিয়ে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট অন্য কোন পদার্থে পরিণত হয় হওয়াকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। অর্থাৎ, রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে যে পরিবর্তন সংঘটিত হয়, সেই পরিবর্তন ই রাসায়নিক পরিবর্তন।

উদাহরণ: হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন বিক্রিয়া করে পানির তৈরি করে। এডিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবন ও পানি তৈরি করে। যা বিক্রিয়ক পদার্থ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা নতুন পদার্থ।

মোমের দহনে পরিবর্তন

মোমবাতির প্রধান উপাদান হাইড্রোকার্বন অ্যালকেন। মোমবাতির দহন করলে ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন উভয়ই ঘটে।

মোমের সলতে আগুন দিলে তাপের প্রভাবে সলতের নিচের অংশে কঠিন মোম গলে তরল মোমে পরিণত হয়। আবার এই তরল মোম, মোমের গা বেয়ে নিচের দিকে পড়লে তরল মোম আবার কঠিন মোমে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ ভৌত পরিবর্তন সংঘটিত হয়।

মোম + O2(g) → CO2(g) + তাপ + আলো

পর্যাপ্ত বাতাসের উপস্থিতিতে মোমের দহনের ফলে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জলীয়বাষ্প উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ রাসায়নিক পরিবর্তন সংগঠিত হয়।


🔆🔆 আরও দেখুন: রচনা – জাতীয় শোক দিবস
🔆🔆 আরও দেখুন: রচনা – অধ্যবসায়
🔆🔆 আরও দেখুন: রচনা – কৃষি কাজে বিজ্ঞান
🔆🔆 আরও দেখুন: রচনা – সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম


ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের পার্থক্য

ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিচে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের পার্থক্য গুলো উল্লেখ করা হলো।

ভৌত পরিবর্তনরাসায়নিক পরিবর্তন
ভৌত পরিবর্তনের মাধ্যমে কোন নতুন বস্তুর সৃষ্টি হয় না।রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক বস্তুর সৃষ্টি হয়।
ভৌত পরিবর্তনের মাধ্যমে বস্তুর শুধু ভৌত ধর্মের পরিবর্তন হয়।রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে বস্তুর ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন হয়।
ভৌত পরিবর্তনে বস্তুর অণু গঠনের কোন পরিবর্তন হয় না। রাসায়নিক পরিবর্তনে বস্তুর অণু গঠনের পরিবর্তন হয়ে সম্পূর্ণ নতুন অণুর সৃষ্টি হয়।
ভৌত পরিবর্তনে বস্তুর রাসায়নিক সংযুতির পরিবর্তন হয় না।রাসায়নিক পরিবর্তন হলে সমানু ছাড়া বস্তুর রাসায়নিক সংযুতির পরিবর্তন হয়।
ভৌত পরিবর্তনে তাপ শক্তির শোষণ বা উদগীরণ ঘটতে পারে, নাও পারে।রাসায়নিক পরিবর্তনে তাপ শক্তির শোষণ বা উদগীরণ অবশ্যই ঘটে।
ভৌত পরিবর্তন অস্থায়ী।রাসায়নিক পরিবর্তন স্থায়ী হয়।

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।