মুখের ব্রণ কেন হয়

মুখের ব্রণ কেন হয় (৮ টি কারণ)

মুখের ব্রণ কেন হয়: তরূণ বয়সে ব্রণ বা বয়সন্ধি কালে ব্রণ হয় এই কথা গুলোর সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। ব্রণ কেন হয় এই প্রশ্ন অনেকেরই মনো। বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণ হয়নি এমন মানুষ খুবই কম। কিন্তু পরিনত বয়সে ব্রণ কেন হয়?

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকের আর্টিকেলে যে ৮ টি কারণে মুখে ব্রণ হয় সেই ৮ টি বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কথা না বড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।


ব্রণ কেন হয়?

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে নানা কারণে ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা হয়।

ময়লা, ঘাম, দূষণে গ্রন্থির মুখে আটকে গেলে সিস্ট জমে এই সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমে ফুসকুড়ি। তারপর ব্রণ।

শেষে তা বড় আকার নেয়। ব্যথাও হয়। অনেকেরই মুখে তারপর দাগ থেকে যায়। এছাড়াও আছে অন্যান্য কারণ।


🔆🔆 আরও দেখুন: জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান করা (মাত্র ১ মিনিটে)
🔆🔆 আরও দেখুন: পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান – পদ্মা সেতু a to z


মুখের ব্রণ কেন হয়

সাধারণত ৮ টি কারণে মুখে ব্রণ হয়। আজকের আর্টিকেল টি ভালোভাবে পড়লে “মুখের ব্রণ কেন হয়” এর পুরোপুরি ধারণা পেয়ে যাবেন। কারণ গুলো হলো-

  • ত্বকের অযত্ন: দূষণ, ময়লা, মেকআপ এবং অন্যান্য টক্সিন থেকে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে সহজেই ত্বকের ছিদ্র আটকে যায়। তাই রোজ ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে ফেশওয়াশ বা স্ক্রাবার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হয় নিয়মিত।
  • জীবাণু সংক্রমণ: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করতে কেবল ফেসওয়াশ বা শাওয়ার জেল যথেষ্ট নয়। আপনার ত্বকে সংক্রমণ হলে তা কমাতে যেমন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় তেমনি স্ক্রাবার দিয়ে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হয়। এতে জীবাণুর হামলা কমে।
  • হরমোনের পরিবর্তন: হরমোন ক্ষরণের তারতম্য ঘটলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দেখা গিলে তখন দরকার ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। হরমোনের কমবেশি শ্ক্ষরণ রক্তের পাশাপাশি ছাপ ফেলে ত্বকেও।
  • অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড: চিজি পিজ্জা, মাংসের বার্গার বা পকোড়া, সিঙাড়া, ভাজাভুজি, মিষ্টি, ক্যাডবেরি, কোল্ড ড্রিংকস যত খাবেন ততই ব্রণের হামলা বাড়বে। তারণ, এই ধরনের ভাজাভুজি হজমের সমস্যার কারণ। যার থেকে ব্রণর উৎপাত নতুন কিছু নয়। এর থেকে হওয়া ওবেসিটিও হয়। সেটিও ব্রণের অন্যতম কারণ।
  • টেনশন: অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক এবং অবসাদ, টেনশন-তিনে মিলে জন্ম দেয় মুখ ভর্তি ব্রণের। তাই সবসময় টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করুন।
  • কম ঘুম: কম ঘুম ব্রণর জন্য দায়ী। চিকিৎসকেরা তাই বলেন রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো দরকার। এতে ত্বকে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ত্বক থাকে আয়নার মতোই ঝকঝকে।
  • অতিরিক্ত ঘাম: অত্যধিক ঘাম থেকেও অনেকের ব্রণ হয়। তাই যাঁরা নিয়মিত ওয়ার্কআউট করেন বা রোদে ঘোরেন তাঁদের মাঝেমধ্যেই ত্বক ধুয়ে নেবেন। অতিরিক্ত ঘামের হাত থেকে বাঁচতে। কারণ, বেশি ঘাম মানেই জীবাণু, ময়লা, দূষণ আটকে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। জন্ম ন্যায় ত্বকের নানা সমস্যা।
  • মেকআপ প্রোডাক্ট: ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী মেকআপ ব্যবহার করবেন। সালফেটস, প্যারাবেন্স সমৃদ্ধ মেকআপ ট্রেন্ড হলেও এড়িয়ে চলুন ত্বকের কথা ভেবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলবেন। না হলে সারারাত ওই মেকআপ বসে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর থেকেও ব্রণ হয়। সারা রাত মেকআপ থাকা মানে ত্বক শ্বাস নিতে না পারা।

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।