ভূগোল ও পরিবেশ ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল

SSC: ভূগোল ও পরিবেশ ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ভূগোল ও পরিবেশ ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল: করোনা মহামারীর কারণে ২০২২ সালের এসএসসি পরিক্ষা শর্ট সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর গুলো বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত শর্ট সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে সাজানো। আশা রাখছি আপনাদের পরিক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে অনেকটা কাজে লাগবে।


ভূগোল ও পরিবেশ সকল অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ১ম অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ২য় অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল


ভূগোল ও পরিবেশ ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল

সৃজনশীল ০১: লামিয়া টেলিভিশনে সমুদ্র তলদেশের উপর নির্মিত একটি প্রতিবেদন দেখছিল। প্রতিবেদনের প্রথম অংশে দেখলো সমুদ্রের তীরবর্তী স্থলভাগ কিছুটা ঢালু হয়ে পানির মধ্যে নেমে গেছে। প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে দেখা গেল শৈলশিরা, গভীর সমুদ্রের সমভূমি নামক ভূমিরূপগুলোও সমুদ্রের তলদেশে আছে।

ক. হ্রদ কাকে বলে?
খ. নিয়ত বায়ুপ্রবাহকে সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ বলা হয় কেন?
গ. লামিয়ার দেখা ঢালু অংশটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে দেখা ভূমিরূপগুলোর কোনটিতে খাত পরিলক্ষিত হবে? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।

১ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত জলভাগকে হ্রদ বলে। যেমন: রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ।

খ. সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ নিয়ত বায়ুপ্রবাহ। বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রের উপরিভাগের পানির সঙ্গে ঘর্ষণ তৈরি করে এবং এ ঘর্ষণের ফলে পানিতে ঘূর্ণন তৈরি হয়। এভাবে বায়ুপ্রবাহের দিক ও গতির সাথে সমুদ্রস্রোতের দিক ও গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। নিয়ত বায়ুপ্রবাহ পৃথিবীব্যাপী সারাবছর একই দিক থেকে প্রবাহিত হয়। আর সমুদ্রস্রোত এ প্রবাহের দিক অনুসরণ করে। তাই বলা যায়, সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ নিয়ত বায়ুপ্রবাহ।

গ. লামিয়ার দেখা ঢালু অংশটি সমুদ্র তলদেশের মহীসোপান অঞ্চলকে নির্দেশ করে। পৃথিবীর মহাদেশসমূহের চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরূপে সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে তলদেশে ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে মহীসোপান বলে। মহীসোপানে সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। এটি ১ ডিগ্রি কোণে সমুদ্র তলদেশে নিমজ্জিত থাকে।

মহীসোপানের গড় প্রশস্ততা ৭০ কিলোমিটার। মহীসোপানের সবচেয়ে উপরের অংশকে উপকূলীয় ঢাল বলে। মহীসোপানের বিস্তৃতি সর্বত্র সমান নয়। উপকূলভাগের বন্ধুরতার ওপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে। উপকূল যদি বিস্তৃত সমভূমি হয়, তবে মহীসোপান অধিক প্রশস্ত হয়। মহাদেশের উপকূলে পর্বত বা মালভূমি থাকলে মহীসোপান সংকীর্ণ হয়। স্থলভাগের উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ার ফলে অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ার কারণে মহীসোপানের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গ ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসোপান গঠনে সহায়তা করে থাকে।

ঘ. প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে দেখা গভীর সমুদ্রের সমভূমি ভূমিরূপটিতে খাত পরিলক্ষিত হয়। গভীর সমুদ্রের সমভূমি অঞ্চলের মাঝে মাঝে গভীর খাত দেখা যায়। এ সকল খাতকে গভীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্লেট সীমানায় অবস্থিত হয়।

এ সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এসব খাতের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্ট। এগুলোর গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৫৪০০ মিটারের অধিক। প্রশান্ত মহাসাগরেই গভীর সমুদ্রখাতের সংখ্যা অধিক। এ সকল গভীর সমুদ্রখাতের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ম্যারিয়ানা খাত সর্বাপেক্ষা গভীর। এর গভীরতা প্রায় ১০,৮৭০ মিটার।

সৃজনশীল ০২: রাজু ভূগোল ক্লাসে এক ভিডিও চিত্রে দেখল, সমুদ্রের তীরবর্তী স্থলভাগ হঠাৎ খাড়া ঢাল হয়ে নিচের দিকে নেমে গিয়েছে, আবার সমুদ্রের তলদেশে বেশ কিছু গভীর খাতও রয়েছে।

ক. পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর কোনটি?
খ. সমুদ্রে কীভাবে অগভীর মগ্নচড়ার সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা কর।
গ. রাজুর দেখা খাড়া ঢালের বর্ণনা দাও।
ঘ. রাজুর দেখা খাতগুলো সমুদ্র তলদেশের কোন অংশে পরিলক্ষিত হয়? বিশ্লেষণ করো।

২ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর হলো প্রশান্ত।

খ. উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলনস্থলে শীতল স্রোতের সঙ্গে বাহিত বড় বড় হিমশৈল উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে গলে যায়। ফলে হিমশৈলের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন নুড়ি, কাঁকড়, বালি প্রভৃতি সমুদ্রতলে সঞ্চিত হয় এবং একসময় মগ্নচড়ার সৃষ্টি করে। নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে গ্র্যান্ড ব্যাঙ্ক, সেবল ব্যাঙ্ক, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে ডগার্স ব্যাঙ্ক মগ্নচড়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

গ. রাজুর দেখা খাড়া ঢাল হচ্ছে মহীঢাল। ভূপৃষ্ঠের উপরের ভূমিরূপ যেমন উঁচুনিচু তেমনি সমুদ্র তলদেশও অসমান। সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে মহীঢাল একটি। মহীসোপানের শেষ সীমা হতে ভূভাগ হঠাৎ খাড়াভাবে নেমে সমুদ্রের গভীর তলদেশে মিশে গেছে। এ ঢালু অংশকে মহীঢাল বলে। সমুদ্রে এর গভীরতা ২০০ হতে ৩০০ মিটার।

এটা অধিক খাড়া হওয়ার কারণে খুব প্রশস্ত নয়। এটি গড়ে প্রায় ১৬ হতে ৩২ কি.মি. প্রশস্ত। মহীঢালের উপরিভাগ সমান নয়। অসংখ্য আন্তঃসাগরীয় খাত অবস্থান করায় তা খুবই বন্ধুর প্রকৃতির। এর ঢাল মৃদু বলে জীবজন্তুর দেহাবশেষ, পলি প্রভৃতির অবক্ষেপণ দেখা যায়। পরিশেষে বলা যায়, সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপ খুবই বৈচিত্র্যময়। মহীঢালের ভূমিরূপ বৈচিত্র্যতা এর প্রমাণ।

ঘ. রাজুর দেখা খাতগুলো হচ্ছে গভীর সমুদ্রখাত। গভীর সমুদ্রের সমভূমি অঞ্চলের মাঝে মাঝে গভীর খাত দেখা যায়। এ সকল খাতকে গভীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্লেট সীমানায় অবস্থিত হয়। এ সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এসব খাতের সৃষ্টি হয়েছে।

এগুলো অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্ট। এগুলোর গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৫৪০০ মিটারের অধিক। প্রশান্ত মহাসাগরেই গভীর সমুদ্রখাতের সংখ্যা অধিক। এ সকল গভীর সমুদ্রখাতের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ম্যারিয়ানা খাত সর্বাপেক্ষা গভীর। এর গভীরতা প্রায় ১০,৮৭০ মিটার।

সৃজনশীল ০৩: জনাব মাহমুদ নরওয়ের উপকূলে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি দেখলেন ঐ উপকূল এলাকা প্রচণ্ড শীতে বরফমুক্ত থাকে। তিনি গত জুনে জাহাজে করে সুইডেন আসলেন, তখন দেখলেন সমুদ্রের পানি প্রচণ্ড গতিতে জাহাজ চলাচলে বাধা দিচ্ছে। তিনি আরও জানলেন সমুদ্রের পানি সমগ্র পৃথিবীতে এভাবে গতিতে চলে।

ক. মহীঢাল কাকে বলে?

খ. “পৃথিবীর উপর সূর্য অপেক্ষা চন্দ্রের আকর্ষণ বল বেশি”- ব্যাখ্যা করো।

গ. জনাব মাহমুদ সাহেবের বসবাসরত এলাকা বরফমুক্ত থাকার কারণগুলোর বর্ণনা দাও।

ঘ. জনাব মাহমুদ সাহেবের যাতায়াতে “বাধা প্রদানকারীর” বিভিন্ন প্রভাব বিশ্লেষণ করো।

৩ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. মহীসোপানের শেষ সীমা থেকে ভূভাগ হঠাৎ খাড়াভাবে নেমে সমুদ্রের গভীর তলদেশের সঙ্গে মিশে যাওয়া ঢালু অংশকে মহীঢাল বলে।

খ. মহাকর্ষ সূত্র অনুসারে সূর্য ও চাঁদ পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। মহাকর্ষ সূত্র অনুযায়ী মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতি প্রতিটি জ্যোতিষ্ক পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এর প্রভাবে সূর্য ও চাঁদ পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। সূর্যের ভর অপেক্ষা চাঁদের ভর অনেক কম হলেও চাঁদ সূর্য অপেক্ষা পৃথিবীর অনেক নিকটে অবস্থিত। এ কারণে পৃথিবীর উপর সূর্য অপেক্ষা চাঁদের আকর্ষণ বল বেশি হয়।

গ. জনাব মাহমুদ সাহেব নরওয়ের উপকূল এলাকায় বসবাস করেন। এ এলাকায় উষ্ণ সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয়। উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের প্রভাবে কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। নাতিশীতোষ্ণ ও হিমমণ্ডলের অনেক সমুদ্রে শীতকালে পানি বরফে পরিণত হয়। এরূপ শীতল অঞ্চলের উপর দিয়ে উষ্ণস্রোত প্রবাহিত হলে শীতকালেও বরফ জমতে পারে না। এরূপ উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের কারণেই নরওয়ের উত্তর উপকূলে শীতকালেও বরফ জমতে পারে না।

ঘ. উদ্দীপকে সমুদ্রস্রোেত জনাব মাহমুদের যাতায়াতে “বাধা প্রদানকারি” ছিল। অর্থাৎ এখানে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব সম্পর্কে বলা হয়েছে। নিচে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো—

i. উষ্ণ ও শীতল সমুদ্রস্রোতের মিলনস্থলে তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে ঘন কুয়াশা ও প্রবল ঝড়ের সৃষ্টি হয় যার ফলে জাহাজ ও বিমান চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়। যেমন- উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত ও উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের মিলনের ফলে এরূপ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়।
ii. শীতল সমুদ্রস্রোতের গতিপথে হিমশৈল ভেসে আসে যার কারণে জাহাজ চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। যেমন- ১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল।
iii. উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। শীতল স্রোতের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয় না। শীতল মরুভূমির সৃষ্টি হয়। যেমন: আমেরিকার আতাকামা মরুভূমি।
iv. উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলনস্থলে কুয়াশা ও ঝড় সৃষ্টি হয়। যেমন: এশিয়ার পূর্ব উপকূল জাপান সাগরে এ অবস্থা দেখা যায়।
v. নাতিশীতোষ্ণ ও হিমমণ্ডলের অনেক অঞ্চলে উষ্ণ স্রোত প্রবাহের কারণে সমুদ্রের পানি বরফ হতে পারে না। যেমন—উপসাগরীয় উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে নরওয়ের উত্তর উপকূলীয় অঞ্চলে শীতকালেও বরফ জমে না। এ কারণে বন্দরগুলোর পথ বন্ধ থাকে না এবং সারাবছর ব্যবসা বাণিজ্য চলে।
vi. উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলনস্থলে শীতল স্রোতে ভেসে আসে হিমশৈল গলে বালি, কাঁকর, নুড়ি প্রভৃতি সমুদ্রের তলদেশে সজ্জিত হয় এবং মগ্নচড়ার সৃষ্টি করে। এরূপ মগ্নচড়ায় প্রচুর মৎস্যের সমাগম হয় এবং সেখানে মৎস্য শিকার ও মৎস্য ব্যবসা গড়ে ওঠে। ফলে ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার ঘটে।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।

ssc suggestion 2022