ভূগোল ও পরিবেশ ১ম অধ্যায় সৃজনশীল 

SSC: ভূগোল ও পরিবেশ ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ভূগোল ও পরিবেশ ১ম অধ্যায় সৃজনশীল: করোনা মহামারীর কারণে ২০২২ সালের এসএসসি পরিক্ষা শর্ট সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর গুলো বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত শর্ট সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে সাজানো। আশা রাখছি আপনাদের পরিক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে অনেকটা কাজে লাগবে।


ভূগোল ও পরিবেশ সকল অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ১ম অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ২য় অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল
🔅🔅 ভূগোল ও পরিবেশ: ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল


ভূগোল ও পরিবেশ ১ম অধ্যায় সৃজনশীল

সৃজনশীল ০১: সাদিয়া ভূগোল ও পরিবেশ’ বইটি দেখছিল। বইটিতে মহাবিশ্ব, জনসংখ্যা, বায়মুণ্ডল, বাংলাদেশের সম্পদ প্রভৃতি আলোচনা করা হয়েছে। বইটি পড়ে সে জানতে পারলো- ‘প্রকৃতি, পরিবেশ ও সমাজ সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান হলো ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।

ক. ভূগোল সম্পর্কিত কার্লরিটারের সংজ্ঞাটি লেখো।
খ. আধুনিক ভূগোলের পরিধি ব্যাখ্যা করো।
গ. উক্ত বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের বক্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো।

১ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. জার্মান ভূগোলবিদ অধ্যাপক কার্লরিটার প্রদত্ত ভূগোলের সংজ্ঞাটি হলো—’ভূগোল হচ্ছে পৃথিবীর বিজ্ঞান’।

খ. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ, নতুন নতুন আবিষ্কার, উদ্ভাবন, চিন্তা ধারণার বিকাশ, সমাজের মূল্যবোধের পরিবর্তন ভূগোলের পরিধিকে অনেক বিস্তৃত করেছে। বর্তমানে ভূমিরূপবিদ্যা, আবহাওয়াবিদ্যা, সমুদ্রবিদ্যা, মৃত্তিকাবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, সমাজবিদ্যা, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি ভূগোল বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর এসব নিয়েই ভূগোলের পরিধি সম্প্রসারিত হয়েছে।

গ. উদ্দীপকে আলোচিত বিষয়টি ভূগোল। পৃথিবীর ভূমিরূপ, এর গঠন প্রক্রিয়া, বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, জলবায়ু প্রভৃতি বিষয়গুলো সম্পর্কে নিখুঁতভাবে ধারণা দেয় ভূগোল । আবার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ যেসব কাজ করে (যেমন- কৃষিকাজ, পশুপালন, বনজসম্পদ ও খনিজ সম্পদ সংগ্রহ, ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা ইত্যাদি) তার সুস্পষ্ট ধারণাও ভূগোল প্রদান করে থাকে।

পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পরিবেশে মানুষ কীভাবে বসবাস করছে, কীভাবে জীবনযাপন করছে, কেন এভাবে জীবনযাপন করছে এ সম্বন্ধে বিশদভাবে বর্ণনা করে থাকে ভূগোল। অন্যদিকে পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, বায়ুমণ্ডল, পাহাড়, পর্বত, নদীনালা, গাছপালা, প্রাণিজগৎ এ সবকিছুর সম্মিলিত অবয়বই হচ্ছে পরিবেশ। এ প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বর্ণনা করে থাকে ভূগোল।

ঘ. ‘প্রকৃতি, পরিবেশ ও সমাজ সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান হলো ভূগোলের আলোচ্য বিষয়’— বক্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।

ভূগোল মানুষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। ভূগোল একদিকে যেমন প্রকৃতির বিজ্ঞান আবার অন্যদিকে পরিবেশ ও সমাজের বিজ্ঞান। পৃথিবীর জলবায়ু, ভূপ্রকৃতি, উদ্ভিদ, প্রাণী, নদনদী, সাগর, খনিজ সম্পদ মানুষের জীবনযাত্রাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। আবার মানুষের ক্রিয়াকলাপ যেমন- ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শহর-বন্দর নির্মাণ প্রকৃতি ও পরিবেশে নানারকম পরিবর্তন ঘটায়।

তাই বলা যায়, মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে একটি মিথস্ক্রিয়ার (Interaction) সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কের মূলে আছে কার্যকারণের (Cause and effect) খেলা। ভূগোলের প্রধান কাজ হলো এই কার্যকারণ উদ্ঘাটন করা। পৃথিবীর পরিবেশের মধ্যে মানুষের বেঁচে থাকার যে সংগ্রাম চলছে সে সম্পর্কে যুক্তিযুক্ত আলোচনাই ভূগোল। তাই বলা যায়, মানুষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক তথা প্রকৃতি, পরিবেশ ও সমাজ সম্পর্কে আলোচনা করাই ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।

সৃজনশীল ০২: গণি মিয়া একজন ভূমিহীন কৃষক। নিজের জমি না থাকায় তিনি অন্যের জমি বর্গাচাষ করেন। তিনি গাভীও পালন করেন। তিনি গাভীর দুধ বাজারে বিক্রি করে সংসারের খরচ চালান। তিনি মৌসুমি সবজির ব্যবসাও করেন।

ক. ‘Geography’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
খ. আধুনিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয় ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ভূগোলের কোন শাখার অন্তর্গত তা বুঝিয়ে দাও।
ঘ. ভূগোলের উত্ত শাখার সাথে প্রাকৃতিক ভূগোলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো।

২ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘Geography’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে।

খ. মানুষ ও পরিবেশ হলো আধুনিক ভূগোলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের নানা রকম পরিবেশ ও প্রকৃতি এবং মানুষ ও তার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো আধুনিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।

গ. উদ্দীপকের আলোচ্য বিষয় অর্থনৈতিক ভূগোলের বিষয়বস্তু। প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ যেসব অর্থনৈতিক কাজ করে তা অর্থনৈতিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।

অর্থনৈতিক ভূগোলের কাজগুলো হলো কৃষিকাজ, পশুপালন, বনজ সম্পদ সংগ্রহ, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ইত্যাদি। গণি মিয়া অন্যের জমিতে ভাগে কৃষিকাজ করেন। তিনি গাভী লালন-পালন করে যে দুধ পান তা বাজারে বিক্রি করেন। তাছাড়া তিনি সবজির ব্যবসাও করেন। এই সমস্ত কাজ করে তিনি অর্থ উপার্জন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন। এ অর্থ দ্বারা তার পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে গণি মিয়ার কর্মকাণ্ড অর্থনৈতিক ভূগোলের বিষয়বস্তু।

ঘ। উদ্দীপকে আলোচিত ভূগোলের শাখা অর্থনৈতিক ভূগোলের সাথে প্রাকৃতিক ভূগোলের সম্পর্ক রয়েছে। নিচে এঁদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো: প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ যেসব অর্থনৈতিক কাজ করে তাই অর্থনৈতিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়। যেমন: কৃষিকাজ, পশুপালন, বনজ ও খনিজ সম্পদ সংগ্রহ, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ইত্যাদি। ভূগোলের যে শাখায় ভৌত পরিবেশ ও এর মধ্যে কার্যরত বিভিন্ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকে তাকে প্রাকৃতিক ভূগোল বলে।

প্রাকৃতিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো- পৃথিবীর ভূমিরূপ, এর গঠন প্রক্রিয়া, বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল ও জলবায়ু ইত্যাদি। অর্থনৈতিক ভূগোলের আওতা প্রাকৃতিক ভূগোলের বিষয়াদির উপর নির্ভরশীল। যেমন- কৃষিকাজ মানুষের প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কাজ। অর্থনৈতিক ভূগোলের এ বিষয়টি প্রাকৃতিক ভূগোলের ভৌত উপাদান ভূমির উপর নির্ভর করে। তাই বলা যায়, প্রাকৃতিক ভূগোলের সাথে অর্থনৈতিক ভূগোলের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।

সৃজনশীল ০৩: আজ চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দিবা-রাত্রির প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কয়েকদিন থেকে চট্টগ্রামে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, চট্টগ্রামে আজ সকালে আবহাওয়া ঠিক থাকলেও বিকালের দিকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ক. প্রাকৃতিক ভূগোল কী?
খ. জড় পরিবেশ বলতে কী বোঝায়?
গ. আবহাওয়াবিদদের ধারণাকৃত বিষয়টি প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখায় আলোচনা করা হয় ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত শাখাটি পাঠের মাধ্যমে আমরা কোন কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে পারি- বিশ্লেষণ করো।

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ভূগোলের যে শাখায় ভৌত পরিবেশ ও এর মধ্যে কার্যরত বিভিন্ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকে তাই প্রাকৃতিক ভূগোল।

খ.জড় উপাদান নিয়ে যে পরিবেশ গঠিত হয় তাকে জড় পরিবেশ বলে। যেমন: মাটি, পানি, বায়ু, পাহাড়, পর্বত, নদী, সাগর, আলো, উষ্ণতা, আর্দ্রতা।

গ. উদ্দীপকে দেখা যায়, আবহাওয়াবিদরা মনে করেন চট্টগ্রামে সকালে আবহাওয়া ঠিক থাকলেও বিকেলের দিকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়টি প্রাকৃতিক ভূগোলের জলবায়ুবিদ্যা শাখায় আলোচনা করা হয়।

কোনো স্থানের দৈনন্দিন আবহাওয়া পর্যালোচনা করে বায়ুমণ্ডলের ভৌত উপাদানগুলোর যে সাধারণ অবস্থা দেখা যায় তাকে ঐ স্থানের জলবায়ু বলে। বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার ধরন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবীর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করে জলবায়ুবিদ্যা। সুতরাং চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা জলবায়ুবিদ্যার বিষয়বস্তু ।

ঘ. উদ্দীপকে জলবায়ুবিদ্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জলবায়ুবিদ্যা পাঠে আমরা বায়ুমণ্ডলের গভীরতা বায়ুর স্তর বিন্যাস, বায়ুর উপাদান, বায়ুর তাপ ও চাপ প্রভৃতি বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারি।

আবার বায়ু প্রবাহের কারণ, দিক, বায়ুর শ্রেণিবিভাগ ইত্যাদি বিষয়ও জলবায়ুবিদ্যার মাধ্যমে জানা যায়। এমনকি বায়ুমণ্ডলের জলীয়বাষ্প, বায়ুর আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাতের কারণ, বৃষ্টিপাতের প্রকারভেদ প্রভৃতি বিষয়ও জানা যায়। এছাড়া আবহাওয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রকার জলবায়ু বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা যায়। এ কারণে জলবায়ুবিদ্যা পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

ssc suggestion 2022