ভাব ও কাজ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

গল্প: ভাব ও কাজ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর (PDF)

ভাব ও কাজ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর: ভাব ও কাজের মধ্যে পার্থক্য অনেক। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভাবের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু শুধু ভাব দিয়ে মহৎ কিছু অর্জন করা যায় না। তার জন্য কর্মশক্তি এবং সঠিক উদ্যোগের দরকার হয়। ভাবের দ্বারা মানুষকে জাগিয়ে তােলা যায় কিন্তু যথাযথ পরিকল্পনা ও কাজের স্পৃহা ছাড়া যেকোনাে ভালাে উদ্যোগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ রচনাটিতে লেখক দেশের উন্নতি ও মুক্তি এবং মানুষের কল্যাণের জন্য ভাবের সঙ্গে বাস্তবধর্মী কর্মে তৎপর হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

💠💠 গল্প অতিথির স্মৃতি : সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

ভাব ও কাজ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল ০১. প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ অনূর্ধ্ব-১৬ এর ফাইনাল খেলা আর কিছুক্ষণ পর শুরু হবে। জাগরণী ক্রিকেট ক্লাবের কোচ আমিনুল তার দলবল নিয়ে মাঠে হাজির। শুধু অনুপস্থিত দলের অধিনায়ক ও ওপেনিং ব্যাটসম্যান আনিস। এদিকে খেলার সময়ও ঘনিয়ে আসছে, ওদিকে আনিসও আসছে না দেখে কোচ আমিনুল দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। খেলা শুরু হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট। কোচের দুশ্চিন্তা ক্রমে বেড়েই চলছে। তিনি পরিকল্পনা করছেন আনিসের পরিবর্তে দলের দ্বাদশ খেলােয়াড়কে মাঠে নামাবেন। এমন সময় আনিস গায়ে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে মাঠে হাজির হয়। তখন কোচ আমিনুল বললেন, তােমার গায়ে অনেক জ্বর! এ জ্বর নিয়ে তুমি খেলবে কী করে?

ক. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের লেখক গবের সঙ্গে বাস্তবধর্মী কর্মে তৎপর হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন কেন?
খ. ‘দশচক্রে ভগবান ভূত’- বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে কোচ আমিনুলের দুশ্চিন্তার সঙ্গে ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের তুলনীয় দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে আনিসের কাজের সঙ্গে ভাব ও কাজ প্রবন্ধে লেখকের চাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে কর? তােমার মতামত দাও।

সৃজনশীল ০১ এর উত্তর:

ক. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক ভাবের সঙ্গে বাস্তবধর্মী কর্মে তৎপর হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন দেশের উন্নতি, মুক্তি ও মানুষের কল্যাণের জন্য।

খ. ‘দশচক্রে ভগবান ভূত’ কথাটির মধ্য দিয়ে বােঝানাে হয়েছে, দশজনের চক্রান্তে সাধুও অসাধু প্রতিপন্ন হতে পারে।
‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক মানবজীবনে ভাব ও কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন। আমাদের সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছেন যারা সত্যিকার দেশকর্মী ও ত্যাগী। কিন্তু সমাজের অসৎ লােকদের করণে তারা দেশের কোনাে কল্যাণ কর্মে অংশগ্রহণ করেন না। এনকি তাদের দানকে অসৎ লােকেরা নিজেদের কাজে ব্যবহার করে। যারা সত্যিকার দেশকর্মী তারা এসব অসৎ লােকের কারচুপিতে পুয়াল চাপা পড়ে। উল্টো এসব অসৎ ব্যক্তি সৎ লােকদের মিথ্যাবাদী ও দোষী প্রমাণ করে দেয়। সহজ-সরল সাধারণ মানুষজন এসব বুঝতে না পেরে মহৎপ্রাণ মানুষদেরই ভুল বােঝে। বহু অসৎ লােকের ষড়যন্ত্রে সৎ অসতে পরিণত হন। এ কথাটি আলােচ্য চরণের মধ্য দিয়ে লেখক বােঝাতে চেয়েছেন।

গ. উদ্দীপকের কোচ আমিনুলের দুশ্চিন্তার সঙ্গে ভাব ও, কাজ প্রবন্ধের তুলনীয় দিকটি হলাে ভাবে মেতে বাস্তবধর্মী কর্মে তৎপর হতে না পারা।
পরিশ্রমের মাধ্যমেই কাজে সফলতা আসো সফলতার জন্য মানুষকে ভাব সাধনার মধ্য দিয়ে বাস্তবধর্মী কাজে তৎপর হতে হয়। কারণ সঠিক উদ্যোগ, কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবধর্মী কাজ ছাড়া মানুষের উন্নতি সম্ভব নয়।
ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভাবের সাধনা অপরিসীম। কিন্তু শুধু ভাব দিয়ে মহৎ কিছু অর্জন করা যায় না। প্রাবন্ধিক মানুষের কল্যাণ, দেশের উন্নতি ও মুক্তির জন্য বাস্তবধর্মী কর্মে তৎপর হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে দেখা যায় জাগরণী ক্রিকেট ক্লাবের কোচ আমিনুল তার দল নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কারণ তার দলের অধিনায়ক ও ওপেনিং ব্যাটসম্যান আনিস অনুপস্থিত। এদিকে খেলার সময়ও ঘনিয়ে আসছে। ফলে তিনি বাস্তবধর্মী কর্মে তৎপর হতে পারবেন না ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাই আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকের কোচ আমিনুলের দুশ্চিন্তার সঙ্গে আলােচ্য প্রবন্ধের তুলনীয় দিকটি হলাে ভাবে মেতে বাস্তবধর্মী কর্মে তৎপর হতে না পারা। ঘ. উদ্দীপকের আনিসের কাজের সঙ্গে ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের লেখকের চাওয়া অনেকাংশেই যুক্তিযুক্ত।
একটি দেশের সার্বিক কল্যাণ সাধনে তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের মুক্তি, উন্নতি ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে তরুণরাই সামনে এগিয়ে যায়। তারাই কাজের সঙ্গে ভাবের সঠিক সমন্বয় সাধন করতে পারে।
উদ্দীপকের আনিস একজন সত্যিকার কর্মী। সে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও ওপেনিং ব্যাটসম্যান। সে জানে তার দলে থাকা দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে সে বাস্তব কর্মে তৎপর হয়েছে। জ্বরের কাছে হার মানেনি। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে সে মাঠে হাজির হয়। সে নিজের স্পিরিট বা আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তুলেছে এবং কর্মকে ধরে রেখেছে। ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক এমন মানুষই প্রত্যাশা করেছেন। প্রাবন্ধিকের মতে, ভাবকে নিজের দাসে পরিণত করতে হবে। নিজের বুদ্ধি দিয়ে কর্মশক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। অন্যের কথায় প্ররােচিত হয় আত্মার শক্তি নষ্ট করা যাবে না।
ভাব ও কাজ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের যে প্রত্যাশা বা আকাক্ষা প্রকাশ পেয়েছে তার অনেক কিছুই উদ্দীপকের আনিসের চিন্তা ও কাজের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পায়। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের আনিসের কাজের সঙ্গে আলােচ্য প্রবন্ধের লেখকের চাওয়া অনেকাংশেই যুক্তিযুক্ত।

সৃজনশীল ০২. জেএসসি পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ হওয়ায় সামিহা প্রতিজ্ঞা করেছিল, এসএসসি পরীক্ষায় ভালাে ফলাফল করবেই। কিন্তু সে অনুযায়ী লেখাপড়া করে না সামিহা । ফেসবুক নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকে সে।

ক. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে কোনটিকে ‘মহাপাপ বলা হয়েছে?
খ. ‘ভাবের সুরা পান করাে ভাই, কিন্তু জ্ঞান হারাইও না বলতে প্রাবন্ধিক কী বােঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের সামিহার কর্মকাণ্ড ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের কোন দিককে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সামিহাকে প্রাবন্ধিকের বক্তব্য বাস্তবায়ন করতে হলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে? ‘ভাব ও কাজ প্রবন্ধের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ০২ এর উত্তর:

ক. ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে অন্যের প্ররােচনায় নিজের ‘ম্পিরিট’ বা আত্মার শক্তি নষ্ট করাকে মহাপাপ বলা হয়েছে।

খ. ‘ভাবের সুরা পান করাে ভাই, কিন্তু জ্ঞান হারাইও না বলতে প্রাবন্ধিক ভাবের আবেগে অতিমাত্রায় বিহ্বল হয়ে “কাণ্ডকাণ্ড ভালাে- মন্দ জ্ঞান না হারিয়ে ফেলাকে বােঝাতে চেয়েছে।
‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক ভাবের আবেগে অতিমাত্রায় বিল হতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের ভাবের দাস না হয়ে ভাবকে কাজের দাস করতে বলেছেন। কারণ ভাবের মাত্রা বেশি হলে কাজের প্রতি অনীহা জন্মে, উন্নতি ও মুক্তির পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। কাজ অপেক্ষা ভাব যেন বড় না হয় এ ব্যাপারে লেখক আমাদের সতর্ক করেছেন। কারণ কাজ অপেক্ষা ভাব বড় হলে সেই ভাব মূল্যহীন হয়ে পড়ে। এ কারণেই ভাব ও কাজের সমন্বয় সাধন করতে হয়। তা না করতে পারলে দেশের কল্যাণ, উন্নতি ও আমাদের মুক্তি সম্ভব নয়। এ কারণেই বলা হয়েছে, ভাবের সুরা পান কর ভাই, কিন্তু জ্ঞান হারাইও না।

গ. উদ্দীপকের সামিহার কর্মকাণ্ড ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের ভাবের সাথে বাস্তবধর্মী কাজের সমন্বয় সাধন করতে না পারার দিকটিকে নির্দেশ করে।
কোনাে কাজে সফলতা অর্জনের জন্য ঐ কাজ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা একান্ত জরুরি। এক্ষেত্রে ভাব ও কাজ উভয়ের সমন্বয় না ঘটলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। কাজেই ইচ্ছা থাকলেই হয় না, ইচ্ছানুযায়ী কর্মে আত্মনিয়ােগ করতে হয়।
উদ্দীপকে সামিহার কর্মকাণ্ডে ভাব ও কাজের সমন্বয়হীনতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। সামিহা জেএসসি পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করে এসএসসিতে ভালাে করার প্রতিজ্ঞা করে। অথচ সেই প্রতিজ্ঞা বা ভাব বাস্তবায়নের জন্য সে কাজ করে না। সে তার লেখাপড়া অপক্ষা ফেসবুকে বেশি মনােযােগী।
উদ্দীপকের সানির এ কী কাৰে বিষয়টি ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের ভাল ও কাজের সময়হীনতার বিষয়টিকে তুলে ধরে। সামিহা এখানে কাজ অপেক্ষা ভাবকে বড় করে তুলেছে, সে ভাবের মাসে পরিণত হয়েছে । পাবলিকের মতে শুধু গুৰি দিয়ে যে মহৎ কিছু অর্জন করা যায় না, তার জন্য কাগঞ্জির শণাগ প্রয়ােগের প্রয়ােজন রয়েছে এই বিষয়টি সাসি ভুলে গিয়েছে। তাই বলা যায় যে উদ্দীপকের সামির কর্মকাণ্ড আলােচ্য প্রবলে তালে সাথে বাস্তবধর্মী কাজের সমন্বয় সাধন না করতে পারার দিকটিকে নির্দেশ করে।

ঘ. উদ্দীপকে সামিহাকে প্রালাকের নব্য বাস্তবায়ন করতে হলে ভাব ও কাজের সমন্বয় সাধন করতে এলে।
ভাব ও কাজের মধ্যে পার্থক্য অনেক। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভাবের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু শুধু ভাব দিয়ে মহৎ কিছু অর্জন করা যায় না। তার জন্য কর্মশক্তি এবং সঠিক উদ্যোগের দরকার হয়।
উদ্দীপকে সামিহা জেএসসি পরীক্ষায় ভালাে করতে না পারায় এসএসসি পরীক্ষায় ভালাে করার প্রতিজ্ঞা করে। কিন্তু সেই অনুসারে সে কাজ করে না। পরীক্ষায় ভালাে করার ইচ্ছা থাকলেও সামিহ্যর মধ্যে তা বাস্তবায়নের তৎপরতা নেই। এই বিষয়টি ভাব ও কাজ প্রবন্ধের ভাব ও কাজের সমন্বয়হীনতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ “ভাৰ ও কাজ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক ভাবের দাস হতে নিষেধ করেছেন। ভাবের সাথে বাস্তবধর্মী কাজের সমন্বয় সাধন করতে বলেছেন। কাজেই আলােচ্য প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের বক্তব্য বাস্তবায়ন করাতে হলে সামিহাকে ভাব ও কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। অর্থাৎ শুধু ভাব নিয়ে বসে থাকলে হবে না, ভাব অনুসারে তাকে কর্মে আত্মনিয়ােগ করতে হবে। এসএসসি পরীক্ষায় ভালাে করতে হলে তাকে নিয়মিত পড়াশুনা করতে হবে। তা না করলে সামিহর আশ্য আশাই থেকে যাবে, সে আর সফলতা অর্জন করতে পারবে না।
‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন- কাজহীন ভাবের কোনাে মূল্য নেই। কারণ কাজহীন ভাব ব্যক্তি, পরিবার, দেশ ও জাতি কারও জন্যই কোনাে কল্যাণ বয়ে আনে না। কাজহীন ভাব কপূরের মতােই উবে যায়। নিজের বুদ্ধি, নিজের কর্মশক্তিকে জাগিয়ে তুলে, কর্ম সাধনা দিয়ে তা বাস্তবায়নে উদ্দীপকের সামিহাকে এগিয়ে আসতে হবে। ভাবের আবেগ পরিহার করে কাজে মনােযােগী হতে হবে। নিজেকে সত্যিকার কর্মী হিসেবে গড়ে তুলে ভাব ও কাজের সমন্বয় ঘটাতে পারলেই সামিহার পক্ষে প্রাবন্ধিকের বক্তব্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

সৃজনশীল ০৩. হাশেম সারাদিন নানা ধরনের কাজের শুধু পরিকল্পনাই করে, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারে না। আর কাশেম পরিকল্পনা কম করলেও সবটুকুকেই সে কর্মে রূপ দেয় । কাশেমের জীবনের সাফল্য হাশেমের চেয়ে অনেক বেশি।

ক. লােকের কোমল অনুভূতিতে ঘা দেওয়া কী?
খ. সত্যের সাধনা বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের কাশেমের বৈশিষ্ট্য ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের হাশেম আত্মার শক্তিকে নষ্ট করছে।” “ভাৰ ও কাজ’ প্রবন্ধের আলােকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল ০৩ এর উত্তর:

ক. লােকের কোমল অনুভূতিতে ঘা দেওয়া পাপ।

খ.সত্যের সাধনা বলতে লেখক দেশের উন্নতি, মুক্তি ও কল্যাণের জন্য ভাবের সঙ্গে বাস্তবধর্মী কর্মে তৎপর হওয়াকে বুঝিয়েছেন।
‘ভাব’ মানুষের জাগরণের উপকরণ। মানুষের মনকে জাগিয়ে তুলতে ভাবের প্রয়ােজন। আর সেই মানুষকে তার নিজের পরিবারের, সমাজে, রাষ্ট্রের ও জাতির জনা যথাযথভাবে গড়ে তুলতে হলে তাকে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হয়। শুধু ভাব দিয়ে কখনাে কারও উন্নতি হয় না। মানুষ পরাধীনতা থেকে মুক্ত করে উন্নত জীবন-মান নিশ্চিত করতে ভাব ও কাজের সুসমন্বয় সাধন করাতে হয়। কারণ কেউ যদি তার আত্মস্বার্থে সাধারণ মানুষকে জাগাতে চায়, তাহলে তারা হয়তাে জাগে, কিন্তু বৃহতের কল্যাণ সাধিত হয় না। মানব কল্যাণে ভাবসহকারে এই কর্মসাধনাকেই লেখক সত্যের সাধনা বলেছেন।

গ. উদ্দীপকের কাশেমের বৈশিষ্ট্য ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের সঙ্গে পরিকল্পিত কর্মশক্তি ও বাস্তব উদ্যোগের প্রয়ােজনের দিকটি সম্পর্কযুক্ত।
একটি সম্পূর্ণ কাজের জন্য ভাবের প্রয়ােজন। কিন্তু শুধু ভাবের কোনাে মূল্য নেই। ভাবকে কাজের সঙ্গে সঠিকভাবে মিশাতে হয়, তবেই লক্ষ্য অর্জিত হয়। কারণ কাজের মাধ্যমে ভাব রূপায়িত হয়।
উদ্দীপকে দুজন ব্যক্তির ভাব পরিকল্পনা ও কর্ম তৎপরতার বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। এদের একজন হাশেম, সে কাজের পরিকল্পনা করে অনেক, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারে না। অন্যজন কাশেম, সে যতটুকু পরিকল্পনা করে ততটুকুই ভালােভাবে সম্পন্ন করে। এই দ্বিতীয় ব্যক্তি কাশেমের মধ্যে ভাব ও কাজের সমন্বয় লক্ষ করা যায় । তার বৈশিষ্ট্য ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত লেখকের বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার মধ্যে সত্য সাধনা প্রকাশ পেয়েছে এবং দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তি, উন্নতি ও কল্যাণের দিকটি নিহিত রয়েছে।

ঘ. “উদ্দীপকের হাশেম আত্মার শক্তিকে নষ্ট করেছে।” ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের আলােকে মন্তব্যটি যথার্থ।
যেকোনাে কাজের সফলতার জন্য কর্মদক্ষতা ও অধ্যবসায় প্রয়ােজন। পরিপূর্ণ জ্ঞান ও দক্ষতা না নিয়ে কোনাে কাজে অগ্রসর হওয়া উচিত নয়। কোনাে কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হলে ঐ কাজের জন্য নিয়ােজিত ব্যক্তিকে উপযুক্ত জ্ঞানবুদ্ধি ও দক্ষতার অধিকারী হতে হয়।
উদ্দীপকে হাশেম ও কাশেম দুই ব্যক্তির স্বভাব বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। এদের মধ্যে হাশেম কেবল পরিকল্পনা করে, কিন্তু কোনাে কাজ সম্পন্ন করতে পারে না। তার ভাব আছে, কিন্তু ভাবের সমন্বয় ঘটানাের জন্য কাজ নেই। ফলে তা হাশেমকে লক্ষ্যে পৌছতে সাহায্য করে না। ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে লেখক এ বিষয়টিকে স্পিরিট বা আত্মার শক্তির পবিত্রতা নন্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ মানুষের মনের ভাব জাগানাের সঙ্গে সঙ্গে তা কর্মে রূপদান করতে হয় । ভাবের পাস হলে চলে না, কর্মের প্রতি মনােযােগী হতে হয়।
‘ভাৰ ও কাজ’ এলম্বে লেখক ভাৰ ও কাজের সমন্বয়সাধন করতে বলেছেন মানবকল্যাণ নিশ্চিত করতে। যারা তা না করে আত্মস্বার্থ চিন্তা করে তারা তাদের আত্মার শক্তিকে নষ্ট করে। উদ্দীপকের হাশেম ভাবকে কাজে না লাগিয়ে আত্মশক্তিকে নষ্ট করেছে। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সকল প্রশ্নের উত্তর দিলে আর্টিকেল টি অনেক বড় হয়ে যেতো। তাই আমরা সকল প্রশ্নোত্তর নিয়ে পিডিএএফ তৈরি করেছি। আর্টিকেল এর শেষে পিডিএফ ডাউনলোড লিংক রয়েছে।

সৃজনশীল ০৪. মহাজ্ঞানী সাধক নন্দলালের মতে ভব সংসার থেকে মানুষ কর্মের মাধ্যমে মুক্তি লাভ করতে পারে। কারণ ভাব সাধনায় জীবন আধ্যাত্মিক স্তরে পৌছায় বটে, কিন্তু কর্ম না করলে মানুষের আত্মার মুক্তি ঘটে না। তাই কর্মসম্পাদনেই রয়েছে প্রকৃত মুক্তির পথ ।

ক. ‘পাল’ শব্দের অর্থ কী?
খ. দশচক্রে ভগবান ভূত’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের নন্দলালের মন্তব্য ‘ভাৰ ও কাজ’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে প্রতিফলিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কর্মসম্পাদনেই রয়েছে মুক্তির পথ’- উক্তিটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ০৫. অসাধ্য সাধন করেছেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি মানুষকে ভালাে বেসেছেন বলেই তার কথায় সবাই কাজ করেছিলেন। তার কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে বলেই মানুষ তাকে ভালােবেসে আগলে রেখেছেন।

ক. “বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে?
খ. ‘সােনার কাঠি’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “তার কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে বলেই মানুষ তাকে ভালােবেসে আগলে রেখেছেন”- মন্তব্যটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ০৬. বিলেতের এক পণ্ডিত দেশভ্রমণ দ্বারা অগাধ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। গ্রিক দেশ থেকে ফিরে এসে তিনি আরম্ভ করলেন মালির কাজ, যা তুমি আমি করতে লজ্জাবােধ করব। তাতে কি তার জাত গিয়েছিল? যার মধ্যে জ্ঞান ও গুণ আছে, সে কয়দিন নিচে পড়ে থাকে? লােকে তাকে সম্মান করে উপরে টেনে তােলেই।

ক. কপূর শব্দের অর্থ কী?
খ. লেখক ‘স্পিরিট’ বা আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে? বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের যে দিকটি নির্দেশ করে তা বর্ণনা কর।
ঘ. যার মধ্যে জ্ঞান ও গুণ আছে, লােকে তাকে সম্মান করে উপরে টেনে তােলেই’- উক্তিটি ‘ভাব ও কাজ প্রবন্ধের আলােকে মূল্যায়ন কর।

ডাউনলোড পিডিএফ

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

ssc suggestion 2022