পিঠে ব্রণ দূর করার উপায়

পিঠে ব্রণ দূর করার উপায় (ঘরোয়া পদ্দতিতে)

পিঠে ব্রণ দূর করার উপায়: ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্বকে উৎপাদিত অতিরিক্ত তেল, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণসহ নানা কারণে পিঠে ব্রণ হতে পারে। অবশ্য পরিবেশগত কারণেও হতে পারে, যেমন—ময়লা ও দূষণ।

আমাদের পূর্বের আর্টিকেলে আমরা মুখের ব্রণ কেন হয় (৮ টি কারণ) সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। আজকের আর্টিকেলে আমরা পিঠে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমাদের আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ ভাবে পড়লে আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতেই পিঠে ব্রণ দূর করার উপায় করার পদ্ধতি জানতে পারবেন। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন পিঠে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করি।


পিঠে ব্রণ দূর করার উপায়

মধু ও দারুচিনি গুঁড়ো

মধু ও দারুচিনি দুটোতেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বককে ফ্রি রেডিক্যালস থেকে মুক্ত রাখে। এ দুই উপাদান ত্বকের প্রদাহ ও জ্বালা কমায়। চার টেবিলচামচ মধু ও দুই টেবিলচামচ দারুচিনি পাউডার নিন। একটি পাত্রে এ দুটি উপাদান ভালোভাবে মেশান। তারপর ব্রণের ওপর লাগান। এবার মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকনো হয়ে এলে আলতোভাবে তুলে ফেলুন। কয়েক দিন নিয়মিত এটি করলে ব্রণ দূর হবে।

কাঁচা হলুদ

এ সমস্যা সমাধানে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। তাই পিঠের ব্রণ সারাতে প্রথমেই এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কাঁচা হলুদ বেটে বেশ ভালো করে সারা পিঠে লাগিয়ে রাখুন বিশ মিনিট। এরপরে হালকা গরম পানি দিয়ে গা ধুয়ে ফেলুন। হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দ্রুত একনে সারায়। এটি প্রতিদিন একবার করে করুন। টানা দুই সপ্তাহ করলে বেশ উপকার পাবেন।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

এক কাপ পানিতে, এক টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিয়ে, তুলোর বলের সাহায্যে পিঠের যেসব জায়গায় একনে রয়েছে, সেসব জায়গা মুছে নিতে হবে ভালো করে। এটা প্রতিদিন তিন থেকে চারবার করতে পারেন।


🔆🔆 আরও দেখুন: মুখের ব্রণ কেন হয় (৮ টি কারণ)


লেবুর রস

সেবামের উৎপাদন কমিয়ে ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে লেবুর রস। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ প্রতিরোধে কার্যকর। একটি পাত্রে লেবুর রস নিন। তাতে কটন বল ডুবিয়ে সেটি ব্রণস্থলে রাখুন। কটন বলটি ৩০ মিনিট রেখে দিন। একদিন পরপর এটি করুন। ভালো ফল মিলবে।

টক দই

একটি বাটিতে টক দই নিন। তা ফেটিয়ে নিয়ে পিঠে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। কী শুনতে অদ্ভুত লাগছে? অদ্ভুত হলেও এটা ঠিক যে, দইতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক যেগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো এবং একনি সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করে।

টি ট্রি অয়েল

টি ট্রি অয়েল একনে দূর করতে বেশ ভালো কাজ দেয়। সাত ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যেকোন একটা ক্যারিআর অয়েল যেমনঃ এক চা চামচ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিয়ে পিঠে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটা সপ্তাহে কমপক্ষে একবার করতে হবে।

চিনি ও নারকেল তেল

চিনি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে, ময়লা দূর করে এবং ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে। এভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে চিনি। আর নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বকের স্ফীতি রোধ করে। আধা কাপ চিনি ও আধা কাপ নারকেল তেল নিন। একটি পাত্রে এ দুটি উপাদান মেশান। এবার মিশ্রণটি আপনার পিঠে কয়েক মিনিট লাগান। কারও সাহায্যে এটি করলে ভালো। এরপর গোসল সেরে নিন। একদিন পরপর এটি করলে দ্রুত ফল মিলবে।

অ্যালোভেরা জেল

ব্রণ থেকে সুরক্ষায় অ্যালোভেরার জেলের জুড়ি নেই। তাজা অ্যালোভেরা নিন। তা থেকে জেল বের করে একটি পাত্রে রাখুন। ব্রণস্থলে এবার জেল লাগান। দিনে কয়েক বার অ্যালোভেরার জেল লাগালে ব্রণ কমে আসবে।

রসুন

রসুনে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ ও ব্যথা দূর করে। কয়েক কোয়া রসুন নিন। এবার রসুনের কোয়া পিষুন। এরপর তা ব্রণস্থলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে আলতোভাবে তুলে ফেলুন। প্রতিদিন এটি করুন। ব্রণ কমে আসবে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করে তুলোর বলের সাহায্যে পিম্পলের ওপর লাগান দিনে দুই-তিন বার। গ্রিন টি সরাসরি পিঠে লাগানোর পাশাপাশি প্রতিদিন গ্রিন টি পান করুন। এর মধ্যে থাকা পলিফেনল (polyphenol) সেবাম নিঃসরণ কমিয়ে একনে প্রতিরোধে সাহায্য করে।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।