পল্লিজননী কবিতার ব্যাখ্যা

পল্লিজননী কবিতার ব্যাখ্যা PDF

পল্লিজননী কবিতার ব্যাখ্যা: ‘পল্লিজননী’ কবিতাটি কবি জসীমউদ্দীনের ‘রাখালী’ (১৯২৭) কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে। রুগ্ণ পরিবেশে এক পল্লিজননীর মনে পুত্র হারানোর শঙ্কা এবং সন্তানের প্রতি অপত্যস্নেহের অনিবার্য আকর্ষণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।

‘পল্লিজননী’ কবিতায় কবি রুগ্ণ পরিবেশে অসুস্থ সন্তানের শিয়রে এক পল্লিজননীর সন্তান হারানোর শঙ্কা তুলে ধরেছেন। কবিতায় পল্লি প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গে একটি দরিদ্র পরিবারের করুণ কাহিনি স্থান পেয়েছে।

পুত্রের রোগশয্যার পাশে নিবু নিবু প্রদীপ, চারদিকে বুনো মশার ভিড়, ডোবার পচা পাতার গন্ধ, ঠান্ডা হাওয়া ইত্যাদি নানা কিছু পল্লিজননীর অসুস্থ পুত্রের ঘুম কেড়ে নেয়। মা রুণ সন্তানকে চুমো খায়, সারা গায়ে হাত বুলায়, তার বুকের সমস্ত স্নেহ ঢেলে দিয়ে ছেলেকে ঘুম পাড়াতে চায়। ছেলের সুস্থতার জন্য মানত করে। আল্লাহ রসুল, পীরের কাছে প্রার্থনা করে অশ্রুসিক্ত হয়।

বাঁশবনে কানা কুয়োর ডাক, বাদুড়ের পাখা ঝাপটানি, জোনাকির ক্ষীণ আলো, শীতের শুভ্র কুয়াশা ইত্যাদি মায়ের কাছে অশুভের ইঙ্গিত বলে মনে হয়। মা বালাই বালাই বলে সেগুলো দূর করতে চায়।

দুরন্ত ছেলে রহিম চাচার ঝাড়-ফুঁকে সুস্থ হয়েই খেলতে গেলে, মা তখন তাকে একটুও বকবে না বলে অনুমতি নেয়। ছেলের এমন কথায় পল্লিমায়ের পুত্রের নানা আবদারের কথা স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে। ছেলের ছোটখাটো বায়না না মিটানোর কথা, আড়ঙের সময় পুতুল কেনার পয়সা না দিতে পারার কথা মনে জাগে।

ছেলের পথ্য-ওষুধ কিছুই সে কিনে দিতে পারেনি। ঘরের চালে হুতুমের ডাক শুনে সে দূর দূর করে ছেলের অমঙ্গল তাড়াতে চায়। কিন্তু তার সামনের মহাকাল রাত যেন শেষ হয় না। ‘গ্রামীণ পরিবেশে এক দারিদ্র্যক্লিষ্ট মায়ের অপত্যস্নেহের অনিবার্য আকর্ষণই ‘পল্লিজননী’ কবিতার মূল বিষয়।

পিডিএফ


বাংলা ১ম পত্র সকল কবিতার ব্যখ্যা

💥💥 কবিতার ব্যাখ্যা: বঙ্গবানী
💥💥 কবিতার ব্যাখ্যা: কপোতাক্ষ নদ
💥💥 কবিতার ব্যাখ্যা: জীবন-সঙ্গীত
💥💥 কবিতার ব্যাখ্যা: মানুষ
💥💥 কবিতার ব্যাখ্যা: পল্লিজননী
💥💥 কবিতার ব্যাখ্যা:
💥💥 কবিতার ব্যাখ্যা:


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ। এছাড়াও আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে ফেসবুকে কানক্ট থাকতে পারেন।