নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন ২য় অধ্যায় এর অনুধাবণ মূলক প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। কেমন আছো তোমরা? আশাকরি সবাই ভালো আছো। পিডিএএফ মেলার আজকের পোস্টে তোমাদের স্বাগতম। আজকের পোস্টে আমি নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন ২য় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা এর সকল অনুধাবন মূলক প্রশ্ন আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

১. রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের সিলিন্ডারের মুখ খুলে দিলে ব্যাপন ও নিঃসরণ এর মধ্যে কোনটি আগে ঘটে?

উত্তর:রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের সিলিন্ডারের মুখ খুলে দিলে ব্যাপন ও নিঃসরণের মধ্যে আগে নিঃসরণ ঘটবে। কারণ সিলিন্ডারের মুখ খুলে দিলে প্রথমে সরু ছিদ্র পথে গ্যাস বেরিয়ে আসবে অর্থাৎ নিঃসরণ ঘটবে। তারপর সিলিন্ডার থেকে বেরিয়ে আসা ঐ গ্যাস ঘরের চারদিকে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে ব্যাপন ঘটে। সুতরাং রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের সিলিন্ডারের মুখ খুলে দিলে আগে নিঃসরণ ঘটে।

২. একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন হয় কেন?

উত্তর: গলনাঙ্কে কোনাে বস্তুর অণুসমূহের আন্তঃআণবিক বল ও অণুসমূহের গতিশক্তি সমান হয়। অন্যদিকে ফুটনাকে কোনাে বস্তুর অণুসমূহের আন্তঃআণবিক বল অপেক্ষা অণুসমূহের গতিশক্তি বেশি হয়। অর্থাৎ বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য বস্তুর অণুসমূহের গতিশক্তি বেশি হওয়া দরকার। আর বেশি গতিশক্তি লাভের জন্য বস্তুর অধিক তাপশক্তির প্রয়ােজন হয়। তাই স্ফুটনাঙ্ক গলনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি হয়। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, ভিন্ন পরিমাণ তাপশক্তির প্রয়ােজন বিধায় একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন হয়।

৩. ব্যাপন ও নিঃসরণ বলতে কি বুঝ?

উত্তর: ব্যাপন: উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানে কোনাে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলা হয়। পদার্থের কণাসমূহের ইতস্তত স্বতঃস্ফূর্ত চলাচলের কারণে ব্যাপন প্রক্রিয়া ঘটে। যেমন- ফুলের সুগন্ধ ব্যাপন। প্রক্রিয়ায় ছড়ায়।
নিঃসরণ: বাহ্যিক উচ্চ চাপের প্রভাবে পাত্রের সরু ছিদ্র পথে কোনাে গ্যাসের সজোরে একমুখী বের হওয়াকে নিঃসরণ বলে। কোনাে পাত্রের ভেতরে ও বাইরে চাপের পার্থক্যের কারণে নিঃসরণ প্রক্রিয়া ঘটে। যেমন- গাড়ির চাকায় টিউবের ছিদ্র পথে নিঃসরণ প্রক্রিয়ায় বায়ু বের হয়।

৪. মৌমাছি পোকার কামড়ের ক্ষতস্থানে চুন প্রয়োগ করা হয় কেন?

উত্তর: মৌমাছি পােকার কামড়ের শশ্মানে পােকার শরীর থেকে যে বিষ প্রবেশ করে তাতে অম্লীয় উপাদান থাকে। মানুষ পােকার কামড়ের জ্বালাযন্ত্রণা নিবারণ করার জন্য ক্ষতস্থানে চুন ব্যবহার করে। কারণ, চুন ক্ষারকধর্মী পদার্থ। এটা অম্লীয় উপাদানের সাথে প্রশমন বিক্রিয়া করে। তাই মৌমাছি পােকার কামড়ের ক্ষতস্থানে চুন প্রয়ােগ করা হয়।

৫. মুক্তজোড় ইলেকট্রন বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: কোনাে পরমাণুর যােজ্যতাস্তরের ইলেকট্রন জোড় য বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে না, এদেরকে মুক্তজোড় ইলেকট্রন বলে। যেমন HCl যৌগ গঠনের সময় Cl এর তিনজোড়া যােজ্যতা ইলেকট্রন বন্ধনে অংশগ্রহণ করে না। সুতরাং HCl অণুর C1 পরমাণুতে তিন জোড়া মুক্তজোড় ইলেকট্রন আছে।

৬. ধাতু বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন?

উত্তর: ধাতব কেলাসের অভ্যন্তরীণ ইলেকট্রনসমূহ স্বাধীনভাবে চলাচল করে। বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রভাবে বা ধাতব খণ্ডকে ব্যাটারির সাথে যুক্ত করে বর্তনী পূর্ণ করলে ধাতব খুণ্ডের মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ সহজেই বর্তনীর ঋণাত্মক প্রান্ত থেকে ধনাত্মক প্রান্তের দিকে চলাচল করে। এজন্য ধাতু বিদ্যুৎ পরিবহন করে।

৭. আয়োডিন কে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় কেন?

উত্তর: যেসব কঠিন পদার্থকে উত্তপ্ত করলে তরলে রূপান্তরিত না হয়ে সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয় তাদেরকে উধ্বপাতিত পদার্থ বলে। আয়ােডিন একটি উপাতিত পদার্থ; কারণ কঠিন আয়ােডিনকে তাপ দিলে তা সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়।

৮. Na+ জারক কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: যেসব বিক্রিয়ক বিক্রিয়াকালে ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাদেরকে জারক বলে। Na+ একটি জারক। কারণ বিক্রিয়াকালে এটি একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে সােডিয়াম ধাতুতে রূপান্তরিত হয়।

৯. বাষ্প ও গ্যাসের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করো?

উত্তর: গ্যাস ও বাম্পের মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়-
১. কক্ষ তাপমাত্রায় যে পদার্থের কণা বা অণুসমূহের স্থানান্তর গতি তাদের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের তুলনায় বেশি হয় তাকে গ্যাসীয় পদার্থ বলে। অন্যদিকে কোনাে গ্যাসীয় পদার্থের তাপমাত্রা যখন তার সন্ধি তাপমাত্রার নিচে থাকে তখন তাকে সাধারণত বাম্প হিসেবে গণ্য করা হয়।
২. ক্রান্তি তাপমাত্রার নিচে উপযুক্ত চাপ প্রয়ােগের মাধ্যমে গ্যাসকে তরলে পরিণত করা যায়। অন্যদিকে বাম্পকে শীতল করলেই সংশ্লিষ্ট তরলে পরিণত হয়।

১০. মিথেন ও অ্যামোনিয়ার মধ্যে কোনটির ব্যাপন হার বেশি?

উত্তর: CH4 ও NH3 গ্যাস দুটির মধ্যে CH4 এর ব্যাপন হার বেশি। কারণ আমরা জানি দুটি গ্যাসের ক্ষেত্রে যে গ্যাসটির আণবিক ভর কম তার ব্যাপন হার বেশি হয়। CH4 এর আণবিক ভর (12 + 4 = 16) অপেক্ষা NH3 এর আণবিক ভর (14 + 3 = 17) বেশি হওয়ায় CH4 গ্যাসের ব্যাপন হার বেশি হবে।

১১. গ্যাসীয় পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ও নিম্নমানের হয় কেন?

উত্তর: গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলাের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল খুবই নগণ্য থাকে। এজন্য এ বলকে অতিক্রম করতে খুবই কম শক্তির প্রয়ােজন হয়। তাই গ্যাসীয় পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক নিম্নমানের হয়।

১২. তাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থের ব্যাপন হার বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তর: তাপ প্রয়ােগে কঠিন পদার্থের ব্যাপন হার বৃদ্ধি পায়। কারণ তাপ প্রয়ােগ করলে কঠিন পদার্থের কণাগুলাে তাপ গ্রহণ করে অধিক গতিশক্তি প্রাপ্ত হয়। ফলে কণাগুলাে দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে তাপ প্রয়ােগে ব্যাপন হার বৃদ্ধি পায়।

১৩. বরফ গলনের সময় তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না কেন?

উত্তর: বরফ ও পানি একই পদার্থের দুটি ভৌত অবস্থা বরফ কঠিন এবং পানি তরল। ফলে বরফের মধ্যে পানি অপেক্ষা আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি থাকে। বরফ গলনের সময় তাপমাত্রা, বাড়ে ন’ কারণ তখন এ তাপ বরফ গলনে তথা বরফের মধ্যকার অণুসমূহের অন্তঃআণবিক বন্ধন ভাঙতে ব্যবহৃত হয়ে যায়। ফলে তাপ দিলেও থার্মোমিটারে বরফ গলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাপ অপরিবর্তিত থাকে। এজন্য বরফ গলনের সময় পর্যন্ত তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না।

১৪. নিঃসরণের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর: নিঃসরণের তিনটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হলাে-
১. এটি অধিক চাপের ফলে সংঘটিত হয় এবং দ্রুতগতিতে ঘটে।
২. এক্ষেত্রে গ্যাস পাত্রের ভেতরে ও বাইরে চাপ সমান থাকে না।
৩. এ প্রক্রিয়াটি স্বল্প স্থায়ী।

১৫. তাপ প্রয়োগে অণুসমূহের গতি শক্তি বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তর: পদার্থ যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত সে কণাগুলাে তাপ প্রয়ােগে চলাচল করে। ক্ষুদ্র কণাগুলাের চলাফেরার ফলে পদার্থ এক ধরনের শক্তি লাভ করে। পদার্থের এ শক্তিই গতিশক্তি। তাপ প্রয়ােগের ফলে ক্ষুদ্র কণাগুলাের চলাচলের গতি বৃদ্ধি পায়। এ কারণে গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

১৬. তিনটি ভৌত অবস্থায় পদার্থের গতিশীলতা ব্যাখ্যা করো?

উত্তর: পদার্থ তিনটি ভৌত অবস্থায় থাকতে পারে। এগুলাে হলাে— কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবশ্বা। তাপমাত্রার ভিন্নতার কারণে এ তিনটি ভৌত অবস্থার সৃষ্টি হয়। কঠিন অবস্থায় অণুসমূহ পরস্পর দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে। ফলে তাদের মধ্যে গতিশক্তি থাকে না অণুসমূহ কেবলমাত্র কম্পনরত অবস্থায় থাকে। তরল অবশ্বায় অণুসমূহের বন্ধন দৃঢ়তা কঠিন পদার্থ থেকে কম। তরল অবস্থায় অণুসমূহের বন্ধন দৃঢ়তা তাদের গতিশক্তির সমান থাকে। গ্যাসীয় যৌগে অণুসমূহের মধ্যে আকর্ষণ নেই বললেই চলে। ফলে অণুসমূহ অত্যন্ত গতিশীল থাকে।

১৭. তরল পদার্থকে যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারন করে কেন?

উত্তর: তরল পদার্থের কণার গতি কঠিন পদার্থের তুলনায় বেশি কণাসমূহের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল কঠিনের চেয়ে কম সে কারণে কণাসমূহ মােটামুটি দূরত্বে অবস্থান করে। মূলত তরল অবস্থায় পদার্থের আন্তঃকণা আকর্ষণশক্তি ও গতিশক্তি সাম্যাবস্থায় থাকে। ফলে অণুসমূহ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে পার। তরল পদার্থের অণুর চলাচলের কারণে এর আয়তন পরিবর্তন না করে যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের আকার ধারণ করে।

১৮. অ্যামোনিয়া গ্যাস বায়ু অপেক্ষা হালকা কেন?

উত্তর: আমরা জানি, কোনাে বস্তুর একক আয়তনের ভরকে তার ঘনত্ব বলে। হিসেব করে দেখা যায় যে, অ্যামােনিয়া (NH3) গ্যাসের ঘনত্ব বায়ুর ঘনত্ব অপেক্ষা কম হয়। যেহেতু যে গ্যাসের ঘনত্ব যত কম হয় তা তত হালকা হয়। এজন্য NH3 গ্যাস বায়ু অপেক্ষা হালকা হয়।

১৯. অবস্থানভেদে পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: পদার্থের অণুসমূহের বিদ্যমান আকর্ষণকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলে। কঠিন অবস্থায় পদার্থের অণুসমূহ কাছাকাছি অবস্থান করে বলে আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে বেশি থাকে। গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের অণুগুলাের মধ্যে দূরত্ব সবচেয়ে বেশি বলে আন্তঃআণবিক শক্তিও সবচেয়ে কম থাকে। তরল অবস্থায় আন্তঃআণবিক শক্তি কঠিন ও বায়বীয় অবস্থার মাঝামাঝি থাকে।

২০. গাঢ় সালফিউরিক এসিড একটি জারক – ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোনাে বিক্রিয়ায় ধনাত্মক মৌল বা মূলকের সংযােজনকে বিজারণ বলে এবং যার বিজারণ ঘটে তাকে জারক বলা হয়। উত্তপ্ত ও গাঢ় সালফিউরিক এসিড একটি জারক পদার্থ। উত্তপ্ত অবস্থায় গাঢ় H2SO4 সালফারকে জারিত করে SO2 গ্যাসে পরিণত করে এবং নিজে বিজারিত হয়ে পানিতে পরিণত হয়।

২১. সিলভারকে মুদ্রা ধাতু বলা হয় কেন?

উত্তর: সিলভারকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়। কারণ সিলভার গ্রুপ-11 তেঅবস্থিত এবং আগের দিনের রাজা বাদশা বা শাসকগণ উত্তরg দ্বারা মুদ্রা তৈরি করে কেনা-বেচার এবং অন্যান্য প্রয়ােজনের বিনিময় মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করতেন।

২২. HDPE বলতে কি বুঝ?

উত্তর: HDPE হলাে High Density Poly Ethene বা উচ্চ ঘনত্বের পলিথিন। প্রভাবকের উপম্পিতিতে 60°C তাপমাত্রা ও 1 atm চাপে ইথিলিনের পলিমার পলিথিন প্রস্তুত করা হয়। একে উচ্চ ঘনত্বের পলিথিন (HDPE) বলে। এই পলিথিনে শাখার সংখ্যা কম থাকে, এতে পলিমারের ঘনত্ব, গলনাঙ্ক তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। সামান্য শাখা যুক্ত থাকায় পলিথিনের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।

২৩. রাদারফোর্ড ও বোর পরমাণু মডেলের মধ্যে কোনটি বেশি গ্রহণযোগ্য?

উত্তর: রাদারফোর্ড ও বােরের পরমাণু মডেলের মধ্যে বােরের পরমাণু মডেল বেশি গ্রহণযােগ্য। কারণ, পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ নিউক্লিয়াসের চারদিকে বৃত্তাকার কতকগুলাে স্থির কক্ষপথে অবস্থান করে ঘুরতে থাকে। বােরের এ তত্ত্বটি পরমাণুর মডেলকে একটি এহণযােগ্য স্থানে উপস্থাপন করেছে। তাছাড়া রাদারফোর্ড পরমাণুর মডেলে অনেক তত্ত্বই বােরের মতবাদ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় বলে বােরের পরমাণু মডেল বেশি গ্রহণযােগ্য।

২৪. ব্যাপন ও নিঃসরণের তুলনা করো?

উত্তর: কোন মাধ্যমে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফূর্ত সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলা হয়। অপরদিকে সরু ছিদ্রপথে কোনাে গ্যাসের অণুসমূহের উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে। অর্থাৎ ব্যাপন ও নিঃসরণের মধ্যে মূল পার্থক্য হলাে চাপ! নিঃসরণে চাপের পার্থক্য থাকলেও ব্যাপনে থাকে না।

২৫. ট্রিফয়েল বলতে কি বুঝ?

উত্তর: ট্রিফযেল হচ্ছে তেজষ্ক্রিয় রশি চিহ্ন যা দ্বারা অতিরিক্ত ক্ষতিকর আলােকরশ্মিকে (শক্তি) বুঝানাে হয়। আন্তর্জাতিক রশ্মি চিহ্নটি ১৯৪৬ সালে আমেরিকাতে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এ ধরনের রশ্মি মানবদেহকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে এবং শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

২৬. কঠিন পদার্থে কি কি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়?

উত্তর: কঠিন পদার্থের অণুসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ অত্যন্ত বেশি থাকে। তাই কঠিন পদার্থের কণাগুলাে পাশাপাশি অবস্থান করে। কঠিন পদার্থের সুনির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে। কঠিন রুনাই সবসময় নির্দিষ্ট আয়তন দখল করে থাকে।

২৭. ঘরে পাকা কাঁঠাল রাখলে তার সুগন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে কেন?

উত্তর: পাকা কাঁঠালের বাইরের আবরণ বা ত্বক অসংখ্য ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত। পাকা কাঁঠালের অভ্যন্তরে সুগন্ধ ধারণকারী গ্যাস চাপের প্রভাবে নিঃসরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ত্বকের ছিদ্রপথ দিয়ে সজোরে বের হয়ে আসে। অতঃপর এ গ্যাস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘরময় ছড়িয়ে পড়ে।

২৮. আয়োডিন কে ঊর্ধ্বমুখী পদার্থ বলা হয় কেন?

উত্তর: যেসব পদার্থে তাপ দিলে কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয় বা তাপ সরিয়ে নিলে গ্যাসীয় অবশ্ব থেকে কঠিনে পরিণত হয় তাদেরকে উদ্বায়ী পদার্থ বলে। এসব পদার্থে তরল, দশা অনুপস্থিত। আয়ােডিনে তাপ দিলে তা কঠিন থেকে সরাসরি বাপে পরিণত হয়। এজন্য আয়ােডিনকে উদ্বায়ী পদার্থ বলা হয়।

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন ২য় অধ্যায়

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুগন, এই ছিলো নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন ২য় অধ্যায় এর সকল অনুধাবন মূলক প্রশ্ন। আশাকরি ২য় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসলে এগুলোর মধ্যেই তোমরা কমন পাবা। তোমাদের জন্য শুভ কামণা রইলো, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *