আমার পথ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 

আমার পথ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৩

আমার পথ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের সুবিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রুদ্র-মঙ্গল’ থেকে সংকলিত হয়েছে। “আমার পথ” প্রবন্ধে নজরুল এমন এক ‘আমি’র আবাহন প্রত্যাশা করেছেন যার পথ সত্যের পথ; সত্য প্রকাশে তিনি নির্ভীক অসংকোচ। তাঁর এই ‘আমি’-ভাবনা বিন্দুতে সিন্ধুর উচ্ছাস জাগায়।

নজরুল প্রতিটি মানুষকে পূর্ণ এক ‘আমি’র সীমায় ব্যাপ্ত করতে চেয়েছেন; একইসঙ্গে, এক মানুষকে আরেক মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে ‘আমরা’ হয়ে উঠতে চেয়েছেন। স্বনির্ধারিত এই জীবন-সংকল্পকে তিনি তাঁর মতাে আরও যারা সত্যপথের পথিক হতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশে ছড়িয়ে দিতে চান। এই সত্যের উপলব্ধি কবির প্রাণপ্রাচুর্যের উৎসবিন্দু। 

তিনি তাই অনায়াসে বলতে পারেন, ‘আমার কর্ণধার আমি। আমার পথ দেখাবে আমার সত্য।’ রুদ্র-তেজে মিথ্যার ভয়কে জয় করে সত্যের আলােয় নিজেকে চিনে নিতে সাহায্য করে নজরুলের এই ‘আমি’ সত্তা। তাঁর পথনির্দেশক সত্য অবিনয়কে মেনে নিতে পারে কিন্তু অন্যায়কে সহ্য করে না। সমাজ ও সমকাল পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রাবন্ধিক দেখেছেন যে, সুস্পষ্টভাবে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে তৈরি হয় পরনির্ভরতা, আহত হয় আমাদের ব্যক্তিত্ব।


এইচএসসি বাংলা সৃজনশীল প্রশ্ন

🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন: বায়ান্নর দিনগুলো
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন: অপরিচিতা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন: মাসি-পিসি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন: আমার পথ


আমার পথ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল ০১: নিজেকে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সক্রেটিস বলেছেন, নিজেকে জানো।’ একথা সকলেই জানে যে, আত্মোপলব্ধির মধ্যে দিয়ে নির্মিত হয় ব্যক্তিত্ববোধ। আর প্রবল ইচ্ছাশক্তিই পরাধীনতার জাল থেকে বের করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। সুতরাং, ইচ্ছাশক্তি ও সত্য পথকে ধারণ করে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

ক) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক কাকে সালাম জানিয়েছেন?
খ) “যার ভেতরে ভয়, সে-ই বাইরে ভয় পায়।” — ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) উদ্দীপকের ‘নিজেকে জানো এই কথাটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুকে নির্দেশ করে কিনা তা নিজের ভাষায় তুলে ধর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক নিজের সত্যকে সালাম জানিয়েছেন। 

খ) যার অন্তরে মিথ্যার ভয় সে-ই বাইরের জগৎকে ভয় পায়। নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে তৈরি হয় পরনির্ভরতা, আহত হয় ব্যক্তিত্ব। তখন মিথ্যার জল সত্যের অগ্নিশিখাকে এমনভাবে নিভিয়ে দেয় যে, ব্যক্তি আর নিজের কর্ণধার থাকে না হয়ে পড়ে অন্যের দাস। এই পরাবলম্বনই তার অন্তরে গোলামির ভাব তৈরি করে, যার ফলে সে বাইরের গোলামি থেকে মুক্ত থাকতে পারে না।

গ) উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে ঘোষিত আত্মাকে চেনার মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা অর্জন করার আহ্বানের দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক নিজের আত্মাকে চেনার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজেকে চিনলে এবং সত্যকে প্রকাশ করতে পারলেই ব্যক্তির পরনির্ভরতা দূর হবে। কেননা, নিজেকে চেনার অভাব হেতু সৃষ্ট নিষ্ক্রিয়তা ব্যক্তিকে পরাবলম্বী করে তোলে।

ফলে ক্ষুণ্ন হয় ব্যক্তিত্ববোধ এবং বিসর্জিত হয় স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা। উদ্দীপকে স্বাধীন ও ব্যক্তিত্বপূর্ণ জীবন গঠনের পথনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আত্মোপলব্ধির মধ্যে দিয়ে যে ব্যক্তিত্ববোধ সৃষ্টি হয়, তা-ই নির্মাণ করে ইচ্ছাশক্তি। আর কেবল প্রবল ইচ্ছাশক্তিই পারে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে। এজন্য ইচ্ছাশক্তি ও সত্য, পথকে ধারণ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে বাঁচার আহ্বান জানানো হয়েছে।

অনুরূপ আহ্বান ‘আমার পথ’ প্রবন্ধেরও একটি বিশেষ দিক। সেখানে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার নানা পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে। নিজেকে চেনার বিষয়ে, সত্যকে প্রকাশে সকল সংকোচ দূর করার বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন প্রাবন্ধিক। এই দিকগুলো চর্চা করলে মানুষ সহজেই পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হতে পারবে। আর এই বিষয়টি উদ্দীপকে জীবনের পাথেয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। 

ঘ) উদ্দীপকের ‘নিজেকে জানো’ এই কথাটি ‘আমার পথ” প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুকে নির্দেশ করে। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে ভারতবর্ষীয় জনমানসের অন্ধকারগুলোকে নির্মোহ মনোভাব নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিটিশরা দীর্ঘকাল ভারতে রাজত্ব করতে পেরেছে, কারণ, আমাদের মনে ছিল গোলামির ভাব।

‘আত্মা’কে চিনেছে এমন মানুষ যখন উদ্বোধিত ‘আমি’ নিয়ে সত্যের পথে এগিয়ে গিয়েছে –আত্মাকে সারথি করে তখন মতবাদীরা তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেছে। ‘গান্ধিজি আছেন’ বলে নিজেরা নিষ্ক্রিয় থেকেছে। স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নে ‘আমি সত্তার’ জাগরণ ঘটেনি বলেই জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির পথ সুদূরপরাহত থেকেছে। উদ্দীপকেও এই ‘আমি সত্তার’ মহত্ত্ব ও শক্তি প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্দীপকে সক্রেটিসের বরাত দিয়ে নিজেকে জানার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আত্মোপলব্ধি ব্যক্তিসত্তা ও স্বাধীনতার সোপান নির্মাণ করে। তাই নিজেকে জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক স্বাধীনতা ও মানবমুক্তির অনুষঙ্গে আমিত্বের শক্তিকে জোরালো যুক্তি দিয়ে নিঃসঙ্কোচে প্রকাশ করেছেন। প্রাবন্ধিক মানুষের ভেতরকার ঐশ্বরিক শক্তি বা অলৌকিক ক্ষমতাকে জাগাতে চেয়েছেন। মানুষ জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তিতে ভরপুর। নিজেকে চিনে নিয়ে এই শক্তিকে আবিষ্কার করতে হবে মানুষকে। নিজেকে চিনলে, নিজের সত্য দ্বারা পরিচালিত হতে পারলে আপনা-আপনি নিজের ভেতর একটা জোর আসে। এই জোর তাকে আত্মনির্ভর করে।

পরিশেষে বলা যায়, আলোচ্য প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক প্রতিটি মানুষকে পূর্ণ এক ‘আমি’র সীমায় ব্যাপ্ত করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে এক মানুষকে আরেক মানুষের সাথে মিলিয়ে ‘আমরা’ হয়ে উঠতে চেয়েছেন। আর তার জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন নিজের সত্যকে চিনে, তার পথ নির্দেশ মেনে জীবন পরিচালনার ওপর। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, সত্যকে চেনা এবং সত্য পথে চলতে নিজেকে জানার মাঝেই ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকের মূল চেতনা নিহিত। 

সৃজনশীল ০২: যাকে অপদার্থ, অকর্মণ্য বলে উপহাস করা হচ্ছে, তাকে যদি কেউ সাহস দেয়, এগিয়ে যাবার পরামর্শ এবং সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তবে সেই মানুষটির মানসিক ও আত্মিক বিবর্তন ঘটবে। এতে অলস পরিশ্রমী হতে পারে, অপ্রতিভ সপ্রতিভ হবে, ভীরু সাহসী হবে, মূর্খ বিদ্বান হবে, দুর্বল বলবান হতে পারে। এর অন্যতম কারণ, সেই মানুষটির অন্তর্নিহিত সত্যের বিকাশ।

ক) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কোন প্রবন্ধ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
খ) কাজী নজরুল ইসলাম ‘আমার সত্য’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
গ) উদ্দীপকের ভাবনা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সঙ্গে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
ঘ) “আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে” –উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিচার কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক)‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের সুবিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রুদ্র-মঙ্গল’ থেকে নেওয়া হয়েছে।

খ) কাজী নজরুল ইসলাম ‘আমার সত্য’ বলতে বিবেক বা আত্মাকে বুঝিয়েছেন। আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে। যে নিজেকে চেনে, নিজের শক্তির ওপর তার অটুট বিশ্বাস তৈরি হয়। এই আত্মপরিচয় জ্ঞান বা আত্মেপলব্ধিই ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী করে তোলে। তাকে পথ দেখায় তার নিজের সত্য। এই সত্য হলো উন্মোচিত ‘আত্মা’ অর্থাৎ আত্মদর্পণ। সত্যে ধৌত আত্মা দ্বারা তিনি সত্যকে সত্য বলে, মিথ্যাকে মিথ্যা বলে চিনতে পারেন। কাজী নজরুল ইসলাম ‘আমার সত্য’ কথাটি দ্বারা সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয়ে সক্ষম এই আত্মার কথাই বুঝিয়েছেন।

গ) একমাত্র আত্মশক্তির উদ্বোধনই পারে মানুষকে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি দিতে –এ ভাবনা উপস্থাপনের মাধ্যমে উদ্দীপকটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে রয়েছে অমিত সম্ভাবনার দ্বার। যে নিজেকে চিনতে পারে সে হয় পরিশ্রমী, সাহসী আর বলবান।

আর যার আত্মজ্ঞান নেই, সে হয় অলস, ভীরু আর দুর্বল। তবে তাই বলে অপদার্থ, অকর্মণ্য বলে কাউকে উপহাস করাটা কাম্য নয়। বরং তার ‘ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে পারলে সে-ই হয়তো স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির বিকাশ ঘটিয়ে অনুকরণীয় আদর্শ সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য প্রয়োজন শুধু আত্মশক্তির উন্মোচন, যা মানুষটির মানসিক ও আত্মিক বিবর্তন ঘটিয়ে দেবে।

উদ্দীপকের এই ভাবনা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধেরই অন্তর্গত চেতনা, প্রেরণার উৎসবিন্দু। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মূলসুর ‘আমি’ সত্তাকে কেন্দ্র করে। যে নিজের আমিত্বকে চিনেছে সে নিজের সত্যকেই নিজের কর্ণধার হিসেবে জেনেছে। কেননা, নিজের সত্যকে চিনলেই স্বীয় অস্তিত্বের মহিমা প্রকাশিত হয়। তাই উদ্দীপকটি যেন আত্মশক্তির রূপগত তাৎপর্য বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধেরই স্মারক কিদু হয়ে উঠেছে।

ঘ) “আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে” —মন্তব্যটি যথার্থ। উদ্দীপকের বক্তব্যে আত্মশক্তির চিরঞ্জীব মহিমা প্রকাশিত হয়েছে। সমাজের চোখে যে অপদার্থ, তার মধ্যেও রয়েছে সম্ভাবনার বীজ। শুধু প্রয়োজন তার নিজের আত্মাকে চিনিয়ে দেওয়া। একবার যে নিজের আত্মাকে চিনেছে, নিজের অন্তর্নিহিত সত্যের সন্ধান পেয়েছে, সে-ই মুক্তি পেয়েছে পরনির্ভরশীলতার গ্লানি থেকে। এই আত্মশক্তিই সেই পরশমণি, যার পরশে অলস পরিশ্রমী হয়, ভীরু সাহসী হয়, মূর্খ বিদ্বান হয়, দুর্বল বলবান হয়।

এই পরিবর্তনের সূচনা আত্মাকে চেনার মধ্য দিয়েই ঘটে। ” ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্যও এই সত্যের উপলব্ধিতেই ভাম্বর। সেখানে ব্যক্তির স্বনির্ধারিত সংকল্পে অটুট থাকার কথা বলা হয়েছে। নিজেকে চিনে, নিজের শক্তির উপর অবিচল আস্থা রেখে নিজকে নিজের কর্ণধার রূপে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ, প্রাবন্ধিকের বিশ্বাস এই যে, নিজে নিষ্ক্রিয় থেকে কোনো মহাপুরুষকে প্রাণপণে ভক্তি করলেই কেউ বড় হয়ে ওঠে না।

বরং অন্ধ পরানুকরণ ব্যক্তিসত্তাকে এমনভাবে ধ্বংস করে দেয় যে, সে আর নিজের কর্ণধার থাকে না, হয়ে পড়ে অন্যের দাস। প্রাবন্ধিকের মতে, নিজেকে চিনলে, নিজের সত্য দ্বারা পরিচালিত হতে পারলে আপনা-আপনি নিজের ভেতর একটা জোর আসে। এই জোর তাকে আত্মনির্ভরশীল করে। আত্মনির্ভরশীলতা না থাকলে অন্তরে জেঁকে বসা গোলামির ভাব দূর করা যায় না।

তাই তিনি নিজের আত্ম তথা আপন সত্যকে চিনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই আমি-সত্তার শক্তিময়তায় জ্বলে উঠলেই সৃষ্টি হবে আত্মনির্ভরতা, নিশ্চিত হবে জাতির স্বাধীনতা অর্জনের পথ। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ উভয় ক্ষেত্রেই আত্মনির্ভরতা সৃষ্টির একমাত্র উপায় হিসেবে নিজের আত্মাকে চিনে নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির যথার্থতা নিঃসন্দেহে প্রতীয়মান হয়।

নিজে করো,

সৃজনশীল ০৩: আমি জীবনে অনেক আত্মপ্রবঞ্চনা করে করে অন্তরে অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করেছি। কত রাত্রি অনুশোচনায় ঘুম হয় নাই। এখন ভুল বুঝতে পেরেছি। এখন সোজা এই বুঝেছি যে, আমি যা ভালো বুঝি, যা সত্য বুঝি, শুধু সেটুকু প্রকাশ করব, বলে বেড়াব। তাতে লোকে যতই নিন্দা করুক, আমি আমার কাছে ছোট হয়ে থাকব না, আত্মপ্রবঞ্চনা করে আর আত্মনির্যাতন ভোগ করব না।

ক) কত সালে কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি পল্টনে যোগ দেন?
খ) ‘মানুষ-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম’-বুঝিয়ে লেখ।
গ) উদ্দীপকের ভাবার্থের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখকের মনের যে সাদৃশ্যপূর্ণ ভাবের পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা কর।
ঘ) উদ্দীপকটিতে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটির আশিক দিক প্রতিফলিত হয়েছে।- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল ০৪: স্বপ্নচূড়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মি. রহমান রাশভারি মানুষ। কর্মচারীরা আনুগত্যের ভাব প্রকাশে তাঁর সব কথাতেই হ্যা স্যার, জি স্যার করেন। কেবল মতিন সাহেব তা করেন না। যেটি ঠিক সেখানে হ্যাঁ, যেটি ঠিক নয় সেখানে না বলেন। সহকর্মীরা মতিন সাহেবকে গোঁয়ার ও বেয়াদব ভাবেন। চেয়ারম্যান সাহেবও মাঝে মধ্যে মতিন সাহেবের গোঁয়ারতুমিতে বিরক্ত হন। হঠাৎ কোষাধ্যক্ষের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হলে লোভনীয় এ পদে পদায়ন পেতে সহকর্মীরা চেয়ারম্যানকে তোয়াজ করতে থাকে। অবশেষে চেয়ারম্যান যেদিন উক্ত পদের নিয়োগপত্র ইস্যু করেন তা দেখে সবার চোখ ছানাবড়া। কারণ সেই পদের নিয়োগপত্র পান মতিন সাহেব।

ক) কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন?
খ) মানুষ ধর্মকে সবচেয়ে বড় ধর্ম বলা হয় কেন?
গ) উদ্দীপকে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) মতিন সাহেবের আমিত্ব তাঁকে উক্ত পদে সম্মানে ভূষিত করে’— উদ্দীপক ও প্রবন্ধের আলোকে আমিত্বের স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ০৫: রফিকুল ইসলাম একজন সাদা মনের মানুষ। শিক্ষকতা পেশায় থেকে গড়েছেন আলোকিত মানুষ। নিজের নেতৃত্বে পরিচালনা করেছেন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান “কালান্তর”। জনকল্যাণের পাশাপাশি তিনি এলাকার মাতব্বরদের ভণ্ডামির প্রতিবাদ করেন। মিথ্যা ও নতজানুতার বিরুদ্ধে তিনি সদা সোচ্চার। ফলে অনেকেরই শত্রুতে পরিণত হন তিনি। তবে তিনি দমে যান না, তিনি বিশ্বাস করেন ‘সত্য ও ন্যায়ের পথই সহজ পথ।’

ক) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাকে লেখক সালাম জানিয়েছেন?
খ) সবচেয়ে বড় দাসত্ব’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ) উদ্দীপকের রফিকুল ইসলামের বিশ্বাসের সঙ্গে আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের যে দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত নয়, তা আলোচনা কর।

সৃজনশীল ০৬: শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানচর্চা ও মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধন। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার আগ্রহ কম। আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য তারা নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলে না। তাই আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য তাদের খুঁটির জোরের আশ্রয় নিতে হয়। ফলে জ্ঞানার্জনের আনন্দ থেকে তারা দূরে সরে পড়ে। এভাবে তারা নিজেদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলে। পরিণতিতে তাদের মধ্যে জন্ম নেয় হতাশা ও পরনির্ভরশীলতা।

ক) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে ‘আমার পথ’ আমাকে কী দেখাবে?
খ) আগুনের সম্মার্জনা’ বলতে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কী বোঝানো হয়েছে?
গ)উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মিলসমূহ চিহ্নিত কর।
ঘ) “নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে তৈরি হয় পরনির্ভরতা”-উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার কর।

সৃজনশীল ০৭: ‘ভোরের কথা’ নামক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক তৌহিদ হাসান। প্রভাবশালী মহলের তোষামোদকারী হিসেবে তার এবং তার পত্রিকার পরিচিতি সবারই জানা। তৌহিদ হাসানের তোষামোদের সম্পাদকীয় কলামকে অনেকে বিনয় বলে মনে করে। কিন্তু এই বিনয় প্রকাশ করতে গিয়ে সত্য প্রকাশকে তিনি অস্বীকার করছেন বলে অনেকের অভিমত।

ক) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কাকে কর্ণধার বলেছেন?
খ) মিথ্যাকে স্বীকার করে সত্যকে গ্রহণ করতে হবে’- ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকের তৌহিদ হাসান কি প্রাবন্ধিকের উল্লিখিত ‘আমি’ ভাবনায় উপনীত হতে পেরেছেন? প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ) সম্পাদক তৌহিদ হাসান এবং প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলামের উদ্দেশ্য ও আদর্শের মধ্যে পার্থক্য কোথায় বুলে তুমি মনে কর?

সৃজনশীল ০৮: ছেলেটা আর আগের মতো দুরম্ভপনা করে না, ভিন্ন বিশ্বাসভুক্ত মানুষকে ঘৃণা করে না কিংবা কারও কোনো অন্যায় প্রস্তাবকে নত মস্তকে মেনে নেয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সে নাকি কী একটা স্লোগানের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিল। মা জানতে চেয়েছিল “কোন সে স্লোগান?” ও বলেছিল মন্দ কিছু নয়। বাবা বলেছিলেন – ‘এই যে বলো আমিই আমার অভিভাবক, এসব কেমন যেন অন্য রকম শোনায়। আমার তো ভয় করে। তোমার ভয় করে না?’ ও বলেছিল- ‘যার ভিতরে ভয়, সেই বাইরে ভয় পায়। শোনো বাবা, শোনো মা- যে স্লোগানের সাথে আমি নিজেকে জড়িয়েছি- সেটা হলো : আলোকিত মানুষ চাই। আমি আলোকিত হওয়ার চেষ্টা করছি, অন্যকেও চাইছি- আলোকিত হোক।’

ক) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধানুসারে মিথ্যাকে ভয় করে কে?
খ) ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে ‘আমার কর্ণধার আমি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ) উদ্দীপকের ছেলেটির মনোদর্শন ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের লেখকের কোন বক্তব্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) উদ্দীপকের ছেলেটির আলোকিত হওয়ার পথ ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে বিবৃত এক আমির বিকশিত হওয়ার পথেরই অনুরূপ- ‘আমার পথ’ ও উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক, গল্পের বই সহ যে কোন পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের যে কোন আপডেট মিস করতে না চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবে সাবক্রাইব করে আমাদেস দাথে কানেক্ট থাকতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।