অনুচ্ছেদ রচনা ই-লার্নিং
অনুচ্ছেদ রচনা ই-লার্নিং
ই-লার্নিং শব্দটি ই ও লার্নিং এই দুটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। মূলত ই-অক্ষরটি এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে ইংরেজি ইলেকট্রনিক শব্দের, যার আভিধানিক অর্থ ইলেকট্রন সংক্রান্ত বা ইলেকট্রন চালিত। এর বাহ্যিক অর্থ যান্ত্রিক বা ইলেকট্রিক্যাল। এখানে কম্পিউটার বা এর সহযােগী যন্ত্রকে বােঝানাে হয়েছে। আর লার্নিং শব্দের অর্থ শেখা। অর্থাৎ কম্পিউটার বা এর সহযােগী কোনাে যন্ত্র ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কোনাে একটি বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান আহরণ করাই ই-লার্নিং। এটি একটি অত্যন্ত কার্যকরি দূরশিক্ষণ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে বিশ্বে গড়ে উঠেছে অনেক ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটি। যারা ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্সসহ উচ্চতর ডিগ্রিও দিয়ে থাকেন। ই-লার্নিং ব্যাপকভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযােগ করে দেয়। ভারত ও মালয়েশিয়ায় ইতােমধ্যে ই-লার্নিং-এর বেশ প্রসার ঘটেছে। বাংলাদেশে ই-লার্নিং-এর এখনাে তেমন বিকাশ ও প্রসার ঘটেনি। বর্তমানে ইউরােপ আমেরিকার অনেক দেশে ই-লার্নিং-এর মাধ্যমে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা কোর্সসমূহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদান করছে। কোনাে কোনাে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ডিগ্রি কোর্সেরও প্রস্তাব দিচ্ছে এর মাধ্যমে। বর্তমানে ঘরে বসেই, এর মাধ্যমে জ্ঞান ও ডিগ্রি অর্জনের সম্ভাবনা সূচিত হয়েছে। আফ্রিকার ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৭ থেকে তাদের এ কার্যক্রম শুরু করেছে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহযােগিতায় তাদের শিক্ষা বিষয়ক প্রােগাম ভিডিও টেপের মাধ্যমে ধারণ করে সারা বিশ্বে সম্প্রচার করছে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলােতেও ভিডিও টেপের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলতে পারে। ক্লাসরুম লেকচারের পাশাপাশি এই শিখন প্রক্রিয়া বেশ সহায়ক বটে। তাছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেটের সাহায্যে যে-কোনাে জ্ঞানের বিষয় বিস্তরণও সহজতর হয়েছে। ই-লার্নিং-এর ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জনশক্তির ব্যবহারও দিন দিন কমে আসছে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। বর্তমানে কানাডিয় নরটেল নেটওয়ার্ক তাদের অনেক ট্রেনিং কোর্স জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে ২০৫০ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন লােক অন লাইন লার্নিং-এ অংশগ্রহণ করবে।