আপনাকে স্বাগতম জানাই পিডিএফ মেলার নতুন শিক্ষণীয় ব্লগ পোষ্টে। আপনি যদি আপনার পাঠ্যবই অবলম্বনে ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে থাকেন সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২২ সম্পর্কে তবে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে সঠিক জায়গায় এসেছেন। চলুন তবে শুরু করা যাক।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: ‘সুভা’ গল্পে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী সুভার প্রতি লেখকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও মমতার প্রকাশ ঘটেছে। সুভা কথা বলতে পারে না। তাই সে মনের ভাব সবার মতো করে প্রকাশ করতে পারে না।
বাবা-মা ও আপনজনেরা তাকে নিয়ে যে দুশ্চিন্তা করেন, তা সে বুঝতে পারে। তাই সে নিজেকে সবার কাছ থেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে। মা এমন মেয়ের জন্য লজ্জা ও বিরক্তি বোধ করেন, কিন্তু বাবা তাকে খুব ভালোবাসেন। সমবয়সী ছেলেমেয়েরা সুভাকে ভয় পায়। তাই সে বন্ধুত্ব পাতায় গোয়ালের দুটি গাভী সর্বশী ও পাঙ্গুলির সঙ্গে। ছাগল বিড়াল তার বন্ধু।
যারা কথা বলতে পারে না সেই পোষা প্রাণীদের কাছে সুভা মুখর। আর বিপুল নির্বাক প্রকৃতির কাছে সে পায় মুক্তির আনন্দ। আরেকজন ছিল— গোঁসাইদের ছোট ছেলে প্রতাপ। নিতান্ত অকর্মণ্য এই ছেলেটির শখ ছিল- নদীতে ছিপ ফেলে মাছ ধরা। বাক্যহীন সঙ্গী হিসেবে সে সুভার মর্যাদা বুঝত। সুভা তেঁতুলতলায় বসে কখনো জলের দিকে, কখনো ছিপের দিকে তাকিয়ে থেকে প্রতাপের কোনো কাজ করে দেওয়ার কথা ভাবত।
সুভা প্রতাপের জন্য পান সাজিয়ে আনত। জগৎ-সংসারে সে আশ্রয় খুঁজে ফেরে প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘মূলত প্রতিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য একটি জগৎ তৈরি করেছেন এবং তাদের প্রতি আমাদের মনে স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা জাগাতে চেয়েছেন।
এসএসসি বাংলা ১ম পত্রের সকল গদ্যের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সুভা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বইপড়া
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আম আঁটির ভেঁপু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ মুহাম্মদ (সাঃ)
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: নিমগাছ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: প্রবাস বন্ধু
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মমতাদি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: সাহিত্যের রুপ ও রীতি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: একাত্তরের দিনগুলি
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: বঙ্গবানী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: কপোতাক্ষ নদ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: জীবন-সঙ্গীত
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: মানুষ
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: পল্লিজননী
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: রানার
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: আমার পরিচয়
🔆🔆 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: স্বাধীনতা এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১: সুদীপ্ত ও তনয়ার একমাত্র সন্তান মৌনতা। নিটোল চোখের শান্ত মৌনতা কথা বলতে পারে না। তার প্রতি মাঝে মাঝে মায়ের বিরূপ আচরণ মনে খুব দুঃখ দেয়, কিন্তু বাবার আদর ও ভালােবাসায় সে সব দুঃখ ভুলে যায়। সুদীপ্ত কখনােই মেয়েকে বােঝা মনে করেন না বরং তার কাছে মৌনতা সৃষ্টিকর্তার এক বিশেষ উদাহরণস্বরূপ। তাই, মৌনতার সব না বলা ভাষার চাহনি তার কাছে এক গল্পগাথা।
ক. ‘সুভা’ গল্পে কাকে অকর্মণ্য বলা হয়েছে?
খ. “বাক্যহীন মনুষ্যের মধ্যে বৃহৎ প্রকৃতির মতাে একটা বিজন মহত্ত্ব আছে।”- সুভা’ গল্পের লেখকের এই উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সুদীপ্ত চরিত্রটি ‘সুভা’ গল্পের কোন চরিত্রকে প্রতিফলিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মৌনতার বাবা সুভা’ গল্পের সুভার বাবারই প্রতিচ্ছবি ।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক। ‘সুভা’ গল্পে প্রতাপকে অকর্মণ্য বলা হয়েছে।
খ। “বাক্যহীন মনুষ্যের মধ্যে বৃহৎ প্রকৃতির মতাে একটা বিজন মহত্ত্ব আছে।”- সুভা’ গল্পের লেখকের এই উক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ।
‘সুভা’ গল্পে সুভা বাকপ্রতিবন্ধী। জন্ম থেকেই সে কথা বলতে পারে না। ফলে সুভার বয়সী ছেলে-মেয়েরা তার সঙ্গে মেশে না। তাই ; সে নিজেকে পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। সে প্রকৃতির কাছে নিজেকে মেলে ধরে। নদীর কলধ্বনি, পাখির ডাক, মাঝির গান, লােকের কোলাহল ইত্যাদি দিয়ে প্রকৃতি সুভার ভাষার অভাব পূরণ করে দেয়।
সুভা যখন নদীর পাড়ে এসে বসে তখন প্রকৃতির নানা উপাদান নিজের সমস্ত ভাষা দিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতাে সুভার হৃদয়ে আছড়ে পড়ে। নির্জন দ্বিপ্রহরের মতাে শব্দহীন সুভার চোখের ভাষা ছিল অসীম, উদার ও অতলস্পর্শ- অনেকটা গভীর স্বচ্ছ আকাশের মতাে, উদয়াস্ত এবং ছায়ালােকের নিস্তব্ধ রঙ্গভূমি। সেই চোখের ভাষা তার বয়সী ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারত না। এই কারণেই লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
সারকথা : সুভা গভীর উজ্জ্বল দৃষ্টি মেলে তার ভাব প্রকাশ করত। তাতে প্রকৃতির মতাে একটি বিজন মহত্ত্ব প্রকাশ পেত। প্রকৃতিই তার ভাষার অভাব পূরণ করে দিত।
গ। উদ্দীপকের সুদীপ্ত চরিত্রটি সুভা’ গল্পের সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ চরিত্রকে প্রতিফলিত করে। সে রিলিজ বাবা-মায়ের কাছে সব সন্তানই সমান। তা সত্ত্বেও শারীরিক প্রতিবন্ধিতার কারণে অনেকেই পরিবার ও সমাজে অবহেলার শিকার হয়। তারা অন্য সবার মতােই সুবিধা লাভের অধিকার রাখে। তাই সবার উচিত প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করা।
উদ্দীপকে একজন বাকপ্রতিবন্ধী বালিকার প্রতি তার বাবা-মায়ের আচরণের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এখানে সুদীপ্ত ও তনয়ার একমাত্র সন্তান মৌনতা কথা বলতে পারে না। কথা বলতে না পারার যে কষ্ট তা সে বাবার স্নেহ-ভালােবাসায় ভুলে যায়। বাবা সুদীপ্ত মৌনতাকে কখনাে বােঝা মনে করেন না। মৌনতাকে তিনি স্রষ্টার উপহার মনে করেন। উদ্দীপকে মেয়ের বাবা সুদীপ্তর এই আচরণ ‘সুভা’ গল্পে সুভার প্রতি তার বাবা বাণীকণ্ঠর আচরণের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এই গল্পে, বাণীকণ্ঠও সুভাকে অন্য মেয়েদের অপেক্ষা বেশি ভালােবাসেন।
সুভার মা সুভাকে তার গর্ভের কলঙ্ক মনে করলেও বাণীকণ্ঠ সুভাকে স্নেহ ও যত্ন করতেন। উদ্দীপকেও মৌনতাকে তার মা তনয়া সহ্য করতে না পারলেও বাবা তাকে অতি স্নেহে বড় করে তুলেছে। এভাবে উদ্দীপকের সুদীপ্ত চরিত্রটির প্রতিফলন লক্ষ করা যায় ‘সুভা’ গল্পের বাণীকণ্ঠ চরিত্রের মধ্যে।
সারকথা : বাম্প্রতিবন্ধী মেয়ের প্রতি গভীর স্নেহ-মমতার দিক থেকে উদ্দীপকের সুদীপ্ত এবং সুভা’ গল্পের বাণীকণ্ঠ পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র।
ঘ। “উদ্দীপকের মৌনতার বাবা সুভা’ গল্পের সুভার বাবারই প্রতিচ্ছবি।”_ মন্তব্যটি যথার্থ।
এক সময় ও প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা আমাদের মতােই মানুষ। তাদেরও সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার আছে। অথচ আমাদের সমাজে তারা সেই সুযােগ পায় না। পরিবার ও সমাজে তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করতে দেখা যায়।
‘সুভা’ গল্পে সুভা বাক্প্রতিবন্ধী; সে কথা বলতে পারে না। এ কারণে শৈশব থেকেই সে অবহেলার শিকার । সমবয়সীরা তাকে খেলায় নেয় না, তার সঙ্গে খেলে না। মা তাকে গর্ভের কলঙ্ক মনে করেন। সেই অবস্থায় সুভার প্রধান দুই আশ্রয় তার বাবা বাণীকণ্ঠ এবং নির্বাক প্রকৃতি। সুভা তার বাবার স্নেহ-মমতায় প্রতিবন্ধিতার দুঃখ ভুলে থাকে আর প্রকৃতির কাছে মুক্তির আনন্দ খুঁজে পায়।
উদ্দীপকের মৌনতার বাবা সুদীপ্তও তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে অনেক স্নেহ-মমতায় আগলে রাখেন। মেয়েকে বােঝা মনে না করে স্রষ্টার আশীর্বাদ মনে করেন। মৌনতার চোখের দিকে তাকিয়ে তিনি তার মনের ভাষা বুঝতে পারেন। মায়ের বিরূপ আচরণের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট মৌনতা বাবার আদরে ভুলে যায়।
উদ্দীপকের বাক্প্রতিবন্ধী মেয়ে মৌনতার প্রতি বাবা সুদীপ্তের আচরণ এবং ‘সুভা’ গল্পে সুভার প্রতি তার বাবার আচরণ একসূত্রে গাথা। উভয় ক্ষেত্রেই বাকশক্তিহীন মেয়েরা বাবার স্নেহাশ্রয় লাভ করেছে এবং মায়ের অবহেলার শিকার হয়েছে। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।
সারকথা : সুভা’ গল্পে সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ বাক্প্রতিবন্ধী মেয়ে সুভাকে অন্য মেয়েদের তুলনায় বেশি ভালােবাসেন। উদ্দীপকের মৌনতার | বাবা সুদীপ্তও তার মেয়েকে অনেক স্নেহ করেন। তারা উভয়েই অভিন্ন স্নেহ-মমতার অধিকারী বাবা। এই দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সৃজনশীল ০২: মেঘনার তীরবর্তী গ্রামে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুনায়েদ দশম শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও অসম সাহসী এ কিশোর। সবকিছুতে তার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি কোনো কিছুতে সে পিছিয়ে নেই। হঠাৎ একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় সে তার একটি পা হারায়। এতে সে মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না। তার সর্বদা মনে হতে লাগল * এখন আর পড়ালেখা করে কী লাভ হবে? কিন্তু তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে আবার প্রাণচঞ্চল করে তোলে। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। সকলে তার সফলতায় খুশি হয়।
ক. সুভা কার কাছে মুক্তির আনন্দ পায়?
খ. মা সুভাষিণীকে নিজের ত্রুটিম্বরূপ দেখতেন কেন?
গ. উদ্দীপকের জুনায়েদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার দিকটি ‘সুভা’ গল্পের সুভার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সহপাঠীদের মতো মানসিকতা থাকলে ‘সুভা’ গল্পের সুভার পরিবারকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো-না— মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক। সুভা বিপুল নির্বাক প্রকৃতির কাছে মুক্তির আনন্দ পায়।
খ। একজন মা ছেলে অপেক্ষা মেয়েকে নিজের অংশরূপে দেখেন বলে মা সুভাষিণীকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন। ‘সুভা’ গল্পে সুভা বাপ্রতিবন্ধী। জন্ম থেকেই সে কথা বলতে পারে না। এ জন্য তার মা তাকে নিজের একটি ত্রুটিম্বরূপ দেখতেন। কারণ সমাজে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী একজন মা ছেলে অপেক্ষা তার মেয়েকে নিজের অংশরূপে দেখেন। এ জন্য মেয়ের কোনো অসম্পূর্ণতা দেখলে মা সেটিকে নিজের লজ্জার কারণ বলে মনে করেন।
গ। উদ্দীপকের জুনায়েদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার দিকটি ‘সুভা’ গল্পের সুভার নিজেকে গোপন করার চেষ্টার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের সমাজ অবহেলার চোখে দেখে। এই কারণে তারা পরিজনদের মাঝে থেকেও অসহায়ের মতো জীবনযাপন করে। আমাদের উচিত তাদের দিকে সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
উদ্দীপকে দুরন্ত কিশোর জুনায়েদ সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। লেখাপড়ায় মন দিতে পারে না। ফলে সে হতাশায় নিমজ্জিত হয়। তার এই ভেঙে পড়ার সঙ্গে ‘সুভা’ গল্পের সুভার মনের অবস্থার সাদৃশ্য রয়েছে। সুভা বাপ্রতিবন্ধী। সে যে বিধাতার অভিশাপরূপে তার বাবার ঘরে এসে জন্মগ্রহণ করেছিল তা শিশুকাল থেকেই বুঝেছিল। এ জন্য সে নিজেকে সাধারণের দৃষ্টিপথ থেকে সবসময় গোপন করে রাখার চেষ্টা করত। এভাবে সুভার এই মানসিকতার সঙ্গে উদ্দীপকের জুনায়েদের মানসিকতা সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ। উদ্দীপকের সহপাঠীদের মতো মানসিকতা থাকলে ‘সুভা’ গল্পের সুভার পরিবারকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না— মন্তব্যটি যথার্থ।
শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ। অথচ তাদের প্রতি স্বাভাবিক আচরণ করি না। আমরা বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করি। এতে করে তাদের জীবন হতাশা ও দুঃখময় হয়ে ওঠে। আমাদের উচিত তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।
উদ্দীপকের জুনায়েদ দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে আবার প্রাণচঞ্চল করে তোলে। সে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তার কৃতিত্বে সবাই খুশি। ‘সুভা’ গল্পের সুভাও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক বালিকা। সে জন্ম থেকেই কথা বলতে পারে না। ফলে তাকে তার পরিবারের লোকজনের মনঃকষ্টের কারণ হয়ে বেঁচে থাকতে হয়। নিজেকে সে অসহায় ভাবে। কারণ উদ্দীপকের সহপাঠীদের মতো তাকে কেউ সাহস-সহানুভূতি জোগায়নি।উদ্দীপকের জুনায়েদকে তার সহপাঠীরা সাহস দিয়ে, মানসিক সমর্থন দিয়ে তাকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছে। সেক্ষেত্রে সুভা কোনো সহায়তা বা সহমর্মিতা পায়নি। সুভা যদি জুনায়াদেরে মতো সহযোগিতা ও পরিবেশ পেত তাহলে তার পরিবারকে এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না। এই বিবেচনায় তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সৃজনশীল ০৩: জাবিদ, জহির ও খালিদ তিন বন্ধু একই স্কুলে একই শ্রেণিতে পড়ে এবং একসাথে স্কুলে যায়। জাবিদের মাঝেমধ্যে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে কষ্ট হয়। পা অবশ হয়ে আসে। পথ চলতে গিয়ে কখনো কখনো বসে পড়ে সে। জহির ও খালিদ তাকে সঙ্গ দেয়। এতে তাদের মাঝেমধ্যে স্কুলে পৌছাতে দেরি হয়ে যায়। জাবিদের মায়ের কাছ থেকে জানা যায়, ছোটবেলায় তার ভীষণ অসুখ হওয়ার পর থেকে তার এ সমস্যাটি দেখা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে জামিল স্যার জাবিদকে সহযোগিতার জন্য খালিদ ও জহিরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ক. ‘কিশলয়’ অর্থ কী?
খ. ‘তুমি আমাকে যাইতে দিয়ো না, মা’- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের জাবিদ আর ‘সুভা’ গল্পের সুভার মিল কোথায়? বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের জামিল স্যার ও জাবিদের বন্ধুদের ভূমিকা ‘সুভা’ গল্পের লেখকের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন— বিশ্লেষণ কর।
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক। ‘কিশলয়’ অর্থ গাছের নতুন পাতা।
খ। নিজের চিরচেনা জগৎকে আঁকড়ে ধরে সুভা প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে। বাকপ্রতিবন্ধী শুভাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার পিতা তাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে চায়। কলকাতা যাওয়ার আগের দিন সুভা তার চিরপরিচিত জগৎ নদীতীরে এসে লুটিয়ে পড়ে। দুই বাহু প্রসারিত করে সে যেন ধরণিকে আঁকড়ে ধরতে চায়। কারণ সে তার এই চিরচেনা প্রকৃতি ও পরিবেশ ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চায় না। সে চায় ধরণিও তাকে যেন জড়িয়ে ধরে রাখে। তাকে যেন যেতে না দেয়। প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে সুভার এই মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে।
গ। শারীরিক প্রতিবন্ধিতার দিক দিয়ে উদ্দীপকের জাবিদ আর ‘সুভা’ গল্পের সুভার মিল রয়েছে। পৃথিবীতে সব মানুষই সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে জন্মায় না। বিভিন্ন কারণে কিছু মানুষ নানা রকম শারীরিক ত্রুটি নিয়েও জন্মে। আবার অনেকে নানান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শরীরের অঙ্গ হারিয়ে পঙ্গু হয়ে যায়। তাই এ ধরনের মানুষের প্রতি আমাদের সদয় দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
উদ্দীপকের জাবিদ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তার দুটি পা থাকলেও তাতে কোনো শক্তি নেই। হাঁটলে পা অবশ হয়ে আসে। চলতে চলতে বসে পড়তে হয়। ছোটবেলায় অসুখ হওয়ার পর থেকে তার এ সমস্যা দেখা দেয়। ‘সুভা’ গল্পের সুভাও জন্ম থেকে বোবা। তার সবকিছু দেখা ও বোঝার ক্ষমতা থাকলেও নিজের ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই। তবে সে চোখ দিয়ে মনের ভাব অনেকটাই প্রকাশ করতে পারে। তাই বলা যায় যে, শারীরিক প্রতিবন্ধিতার দিক দিয়ে উদ্দীপকের জাবিদ আর ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ। উদ্দীপকের জামিল স্যার ও জাবিদের বন্ধুদের ভূমিকা ‘সুভা’ গল্পের লেখকের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন— মন্তব্যটি যথার্থ। শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন একটু সহানুভূতি ও ভালোবাসা।
মানুষের মমত্ববোধ ও ভালোবাসা তাদের কষ্ট দূর করতে পারে। তাদের জীবনকে সুন্দর করতে পারে। উদ্দীপকের জামিল স্যার ও জাবিদের বন্ধু জহির ও খালিদ মানবিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ। জাবিদের শারীরিক প্রতিবন্ধিতার কারণে বিদ্যালয়ে যেতে কষ্ট হয়। কিন্তু জহির ও খালিদ তাকে সঙ্গ দেয়। বিষয়টি জামিল স্যার জানতে পেরে জাবিদের বন্ধুদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তাদের সহযোগিতার কারণে জাবিদ বিদ্যালয়ে যেতে পারে। ‘সুভা’ গল্পের লেখক মূলত এই গল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য একটি জগৎ তৈরি করেছেন।
সেই সঙ্গে তাদের প্রতি আমাদের মমত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতে চেয়েছেন। ‘সুভা’ গল্পের লেখক কিশোরী সুভার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও মমত্ববোধের প্রকাশ ঘাটিয়েছেন। তিনি মূলত বলতে চেয়েছেন প্রতিবন্ধীরাও মানুষ। সবার মতো তাদেরও ভালো কিছু করার এবং সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। উদ্দীপকের জামিল স্যার ও জাবিদের বন্ধুরা জাবিদকে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে লেখকের সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
নিজে করো,
সৃজনশীল ০৪: মেয়েটির নাম আঁখি। চোখে না দেখলেও বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। বন্ধুদের অন্যতম ‘তিতু’ জন্মদিনের উপহার হিসেবে আঁখিকে একটি ঝুনঝুন বল উপহার দেয়। এই বলের সাহায্যে ক্রিকেট খেলার ছক্কা মেরে আঁখি তার দলকে বিজয় এনে দেয়।
ক. সুভা দুই বাহুতে কাকে ধরে রাখতে চায়?
খ. সুভা পিতামাতার মনে সর্বদাই জাগরূক ছিল কেন? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের যে বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “সুভা’ গল্পের ‘প্রতাপ’ যদি উদ্দীপকের ‘তিতু’ হতো, তাহলে ‘সুভা’ গল্পের পরিণতি অন্য রকম হতে পারত।”- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল ০৫: সুদীপ্ত ও তনয়ার একমাত্র সন্তান মৌনতা। নিটোল চোখের শান্ত মৌনতা কথা বলতে পারে না। তার প্রতি মাঝে মাঝে মায়ের বিরূপ আচরণ মনে খুব দুঃখ দেয়, কিন্তু বাবার আদর ও ভালোবাসায় সে সব দুঃখ ভুলে যায়। সুদীপ্ত কখনোই মেয়েকে বোঝা মনে করেন না বরং তার কাছে মৌনতা সৃষ্টিকর্তার এক বিশেষ উদাহরণস্বরূপ। তাই, মৌনতার সব না বলা ভাষার চাহনি তার কাছে এক গল্পগাথা।
ক. ‘সুভা’ গল্পে কাকে অকর্মণ্য বলা হয়েছে?
খ. “বাক্যহীন মনুষ্যের মধ্যে বৃহৎ প্রকৃতির মতো একটা বিজন মহত্ত্ব আছে।”- ‘সুডা’ গল্পের লেখকের এই উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সুদীপ্ত চরিত্রটি ‘সুভা’ গল্পের কোন চরিত্রকে প্রতিফলিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মৌনতার বাবা ‘সুভা’ গল্পের সুভার বাবারই প্রতিচ্ছবি।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল ০৬: বাবা-মা হারা রেজা তার চাচা আমজাদ সাহেবের কাছে থাকে। রেজার একটি হাত ও একটি পা নেই। তবু সে থেমে থাকে না। ক্লাসে ভালো ফলাফল করায় শিক্ষকগণ তাকে স্নেহ করেন। সহপাঠীরা তাকে সহযোগিতা করে। তবে কেউ কেউ তাকে নিয়ে তামাশা করে। ফলে অনেক সময় মন খারাপ হয়। চাচা তাকে বলে, “মন খারাপ করো না, এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে তুমি সবাইকে দেখিয়ে দাও যে তুমিও পার।”
ক. সুভার মা সুভার প্রতি বিরক্ত ছিলেন কেন?
খ. সুভা মনে মনে বিধাতার কাছে অলৌকিক ক্ষমতা প্রার্থনা করত কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রেজার সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুভার বাবা-মায়ের মানসিকতা যদি রেজার চাচার মতো হতো তবে সুভার পরিণতি অন্য রকম হতে পারত- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল ০৭: পারমিতা জন্মান্ধ। খেলার সাথি না জুটলেও সে নিঃসঙ্গ নয়। বিকেল বেলায় সে বাড়ির দিঘির শান বাঁধানো ঘাটে গিয়ে বসে। স্নিগ্ধ শীতল জলের সঙ্গে তার দরদ ভরা আলাপ চলে। এ সবের মাঝে সে মুক্তির আনন্দ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে পারমিতাকে পাত্রস্থ করার জন্য তার পিতা-মাতাকে বেশি ভাবতে হয়নি। প্রতিবেশী আলম সাহেব পারমিতাকে তার পুত্রবধূ হিসেবে বরণ করে নেয়।
ক. প্রতাপের প্রধান শখ কী?
খ. সুভার সমস্ত হৃদয় অবাষ্পে ভরে গেল কেন? বুঝিয়ে গেল।
গ. উদ্দীপকের পারমিতার মুক্তির আনন্দের সাথে সুভার চরিত্রের যে দিকের মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর?
ঘ. “উদ্দীপকের পারমিতার জীবনের পরিণতির বিপরীত চিত্র সুভার জীবনে মর্মবেদনার কারণ।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল ০৮: রিয়ার বয়স সতেরো পেরিয়ে আঠারোয় পড়েছে। ওর সমবয়সী অনেকেই বিয়ে-থা করে রীতিমতো সংসারী। কিন্তু রিয়ার জন্ম থেকেই হাত দুটো অসাড় হওয়ায় অন্যদের মতো তার সংসার করা হয়নি। রিয়ার বিধবা মা সেলিনা বেগম এতে বিচলিত নন। ছোট ছেলে পনেরো বছরের রাতুলের চেয়ে কোনো অংশে রিয়ার আদর-যত্ন তিনি কম করেন না। পাড়ার দু’একজন অবশ্য রিয়ার বিকাশের পথে জিন-ভূতের আছরকে দায়ী করে। কিন্তু ওসবকে পাত্তা দেন না সেলিনা বেগম।
ক. সুভা জলকুমারী হলে কী করত?
খ. প্রতাপকে নিতান্ত অকর্মণ্য লোক কেন বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সেলিনা বেগম এবং ‘সুভা’ গল্পের সুভার মায়ের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রিয়া কি ‘সুভা’ গল্পের সুভা? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও।
সৃজনশীল ০৯: দুই পা আছে কিন্তু উঠে দাঁড়াবার শক্তি নেই। তাতে কী? আত্মবিশ্বাস তো আছে। তাই তো জীবনযুদ্ধে দমে যাননি আলমগীর হোসেন। ছোটবেলায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন তিনি। তারপর থেকে হাঁটা-চলা ও কাজকর্ম করার কথা কখনো চিন্তা করতে পারেননি আলমগীর । কিন্তু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও জীবিকার তাগিদে রিকশাকে বেছে নিয়েছেন হাতিয়ার হিসেবে।
ক. সুভা জলকুমারী হলে কী করত?
খ. “তাহার মর্ম তাহারা ভাষার অপেক্ষা সহজে বুঝিত”— কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের আলমগীর হোসেনের সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের আলমগীর হোসেনের পরিস্থিতি ও পরিণতি সুভার পরিণতি থেকে ভিন্ন।”- মতামত দাও।
সৃজনশীল ১০: বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে বেশ উপর থেকে পড়ে যান শিমুল। অনেক চেষ্টার পরও তার দুটি হাত কেটে ফেলা হয়। রোজগেরে শিমুল পরিবারের বোঝা হয়ে ওঠে। সকলের অবহেলা, বঞ্চনায় তার জীবন হয়ে ওঠে মৃত্যুর শামিল। দুপায়ের সাহায্যে কাজ করার চেষ্টায় শুরু হয় তার কঠোর সংগ্রাম। অবলম্বন হিসেবে বেছে নেয় রং ও তুলি। আর বিষয় হয় প্রকৃতি। সাদা ইজেলে রং-তুলির সাহায্যে প্রকৃতিকে বিভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমেই খুঁজে পায় জীবনের অর্থ ও সুখ। ছবির প্রকৃতিই হয়ে ওঠে শিমুলের আনন্দের নিরাপদ আশ্রয়।
ক. ‘সুভা’ গল্পের গাভী দুটির নাম কী?
খ. ‘সুভা’ গল্পে “চিরনিস্তব্ধ হৃদয়-উপকূল” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপক ও ‘সুভা’ গল্পের মধ্যে সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. প্রদত্ত উদ্দীপক ‘সুভা’ গল্পের বিষয়কে পুরোপুরি ধারণ করে কি? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।
ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধানের জন্য। আশাকরি যে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২২ এর উপরোক্ত ১টি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর পেয়ে আপনার ভালো লাগছে।