নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়

নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় এর অনুধাবণ মূলক প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। কেমন আছো তোমরা? আশাকরি সবাই ভালো আছো। পিডিএএফ মেলার আজকের পোস্টে তোমাদের স্বাগতম। আজকের পোস্টে আমি নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় জীবন পাঠ এর সকল অনুধাবন মূলক প্রশ্ন আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

১. জীবপ্রযুক্তিতে প্লাসমিড গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর: প্লাসমিড ক্রোমােজোম বহির্ভূত একটি বৃত্তাকার DNউত্তর অণু। এই বৃত্তাকার প্লাসমিড জীবপ্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্লাসমিড এর মাধ্যমে নতুন জিন এর সন্নিবেশন এবং সন্নিবেশিত জিনকে অন্য জীবে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। জিন ক্লোনিং, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কাজে প্লাসমিড অত্যন্ত উপযােগী বাহক হিসেবে কাজ করে।

২. কোষের কোন অঙ্গানু টির স্পিন্ডল যন্ত্র সৃষ্টিতে অবদান রাখে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোষের যে অঙ্গাণুটি স্পিণ্ডল যন্ত্র সৃষ্টিতে অবদান রাখে তা হলাে সেন্ট্রোজোম। সেন্ট্রোজোম প্রাণিকোষের বৈশিষ্ট্য, প্রধানত প্রাণিকোষে এদের পাওয়া যায়। নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদ কোষে কদাচিৎ দেখা যায়।

৩. ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয় কেন?

উত্তর: ব্যাকটেরিয়া কোষে কোনাে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এ কোষের নিউক্লিয়াস কোনাে পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না, তাই নিউক্লিও- বস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানাে থাকে। এ কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডােপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না তবে রাইবােজোম থাকে। ব্যাকটেরিয়া কোষের ক্রোমােজোমে কেবল DNউত্তর থাকে। এ সকল কোষীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ আদিকোষী জীবের বৈশিষ্ট্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয়।

৪. প্রকৃত কোষ বলতে কি বুঝ?

উত্তর: যেসব কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ঝিল্লী দ্বারা নিউক্লিও বস্তু সুগঠিত ও সুসংগঠিত তাদেরকে প্রকৃত কোষ বলে। প্রকৃত কোষের ক্রোমােজোমে DNউত্তর, প্রােটিন, হিস্টোন ও অন্যান্য উপাদান থাকে। অধিকাংশ উচ্চ শ্রেণির জীবকোষ এ ধরনের হয়।

৫. অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত? কেন?

উত্তর: প্রােটিস্টা রাজ্যের কিছু বৈশিষ্ট্য ধারণ করায় অ্যামিবা প্রােটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব। কারণ—
১. অ্যামিবা এককোষী, কিন্তু সুগঠিত নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট
২. খাদ্য গ্রহণ শােষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতি ঘটে
৩. কোনাে ভূণ গঠিত হয় না।

৬. নিষ্ক্রিয় ও সক্রিয় শোষণ বলতে কি বোঝায়?

উত্তর: যে শােষণ প্রক্রিয়ায় আয়ন শশাষণের জন্য কোনাে বিপাকীয় শক্তির প্রত্যক্ষ প্রয়ােগের প্রয়ােজন হয় না তাকে নিষ্ক্রিয় শােষণ বলে। উদ্ভিদ এ প্রক্রিয়ায় মূলরােম ইমবাইবিশন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় লবণ শােষণ করে। আবার, যে শােষণ প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ পরিবহনের জন্য কোষে উৎপন্ন বিপাকীয় শক্তির প্রয়ােজন হয় তাকে সক্রিয় শােষণ বলে।

৭. কমেনসেলিজম বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: কমেনসেলিজম এক ধরনের ধনাত্মক আন্তঃক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে সহযােগীদের মধ্যে একজন মাত্র উপকৃত হয়। অন্য সহযােগী সদস্য উপকৃত না হলেও কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। যেমন- রােহিনী উদ্ভিদ মূলের সাহায্যে নিজেকে মাটিতে আবদ্ধ করে এবং অন্য বড় উদ্ভিদকে আরােহণ করে উপরে উঠে। এরূপে অন্য বৃক্ষের উপর প্রসারিত হয়ে বেশি পরিমাণে আলাে গ্রহণ করে। কাষ্ঠল লতা খাদ্যের জন্য আশ্রয়দানকারী উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে না এবং তার কোনাে ক্ষতিও করে না। পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ বায়ু থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। দ্ভুি আশ্রয়দাতার কোনাে ক্ষতি করে না। কিছু শৈবাল অন্য উদ্ভিদদেহের মধ্যে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করে। কিন্তু আশ্রয়দাতার কোনাে ক্ষতি করে। সহযােগীদের মধ্যে এ ধরনের আন্তঃক্রিয়াই হচ্ছে কমেনসেলিজম।

৮. অনৈচ্ছিক পেশি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: যে সকল পেশি টিস্যুর সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছাধীন নয় তাদেরকে অনৈচ্ছিক পেশি টিস্যু বলে। এ পেশি কোষগুলাে মাকু আকৃতির। এদের গায়ে আড়াআড়ি দাগ থাকে না। এজন্য এ পেশিকে মসৃণ পেশিও বলা হয়। মেরুদন্ডী প্রাণীদের রক্তনালি, পৌষ্টিকনালীর প্রাচীরে অনৈচ্ছিক পেশি থাকে।

৯. দ্বিপদ নামকরণ বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার গণের নাম ও দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতির নাম। যেমন- মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens। এখানে Homo গণ নাম ও sapiens প্রজাতির নাম বুঝায়। এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম এবং নামকরণের প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি বলে।

১০. ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন?

উত্তর: ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ এরা এককোষী, ফিলামেন্টাস এবং কলােনিয়াল। এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, কিন্তু নিউক্লিয়াস ও নিউক্লিয়ার পর্দা, প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডােপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নাই। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ আদিকোষের বৈশিষ্ট্যগুলাে বর্তমান থাকার জন্যই ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।

১১. শ্বাসক্রিয়া বলতে কী বোঝো?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ার দ্বারা অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্কাশন করা হয় তাকে শ্বাসক্রিয়া বলে। বক্ষগহ্বরের আয়তন বেড়ে গেলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ প্রশ্বাস বায়ু ভিতরে প্রবেশ করে। বক্ষগহ্বরের আয়তন কমে গেলে কার্বন ডাইঅক্সাইড সমৃদ্ধ নিঃশ্বাস বায়ু দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। এভাবে প্রতিনিয়ত শ্বাসক্রিয়া চলতে থাকে।

১২. হিস্টোলজি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস এবং কার্যাবলি নিয়ে আলােচনা করা হয় তাকে হিস্টোলজি বা টিস্যুবিদ্যা বলে। এটি জীববিজ্ঞানের একটি ভৌত শাখা।

১৩. শ্রেণীবিন্যাস জীবের জন্য কেন প্রয়োজন?

উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে একটি জীবরে গঠন, জনন, বাসস্থান, খাদ্য গ্রহণ, উৎপত্তি, বিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া একই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি জীবের মাধ্যমে ঐ প্রজাতির অসংখ্য জীব সম্পর্কে প্রায় পরিপূর্ণ সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। ফলে জীবজগতে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কে সহজে ও অনায়াসে জানা যায়। তাই জীবের জন্য শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়ােজন।

১৪. একটি নিউরনের ডেনড্রন থেকে এক্সন ভিন্ন কেন?

উত্তর: একটি নিউরনের কোষদেহের চারদিকের শাখাযুক্ত ক্ষুদ্ৰক্ষুদ্র প্রলম্বিত অংশ হলাে ডেনড্রন। আর কোষদেহ থেকে লম্বা স্নায়ুতন্তু হলাে অ্যাক্সন। ডেনড্রন থেকে যে শাখা বের হয় তাকে বলে ডেনড্রাইট। ডেনড্রাইটের সংখ্যা এক বা একাধিক হতে পারে। আর একটি নিউরনের একটি মাত্র অ্যাক্সন থাকে। সুতরাং একটি নিউরনের ডেনড্রন থেকে অ্যাক্সন ভিন্নতর।

১৫. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে কোন রাজ্যের অনুজীব ব্যবহার করা হয়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে মনেরা রাজ্যের অণুজীব ব্যবহার করা হয়। নিচে ব্যাখ্যা করা হলাে- এ রাজ্যের অণুজীব এককোষী, ফিলামেন্টাস, কলােনিয়াল। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডােপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবােজোম আছে। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। প্রধানত শােষণ পৃদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে। তবে কেউ কেউ ফটোসিনথেসিস বা সালােসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে।

১৬. কোন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে R.H Whittaker জীবজগৎ কে পাঁচটি রাজ্যে বিভক্ত করার প্রস্তাব করেন?

উত্তর: বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় বর্তমানে কোষের DNউত্তর এবং RNউত্তর- এর প্রকারভেদ, জীবদেহে কোষের। বৈশিষ্ট্য, কোষের সংখ্যা ও খাদ্যাভাসের তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে আর. এইচ. হুইটেকার ১৯৬৯ সালে জীবজগৎকে ৫টি রাজ্যে ভাগ করার প্রস্তাব করেন।

১৭. চিকিৎসা বিজ্ঞান কে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন?

উত্তর: ফলিত জীববিজ্ঞান শাখায় রয়েছে জীবন-সংশ্লিষ্ট প্রয়ােগিক বিষয়গুলাে। চিকিৎসাবিজ্ঞান হলাে মানবদেহ, রােগ, চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান যা প্রয়ােগিক বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রায়ােগিক বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

১৮. মারগুলিস এর সুপার কিংডম গুলো কি কি?

উত্তর: মারগুলিস এর সুপার কিংডমগুলাে হলাে—
১. প্রােক্যারিওটা : এরা আদিকোষ (নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়) বিশিষ্ট এককোষী, আণুবীক্ষণিক জীব।
২. ইউক্যারিওটা : এরা প্রকৃতকোষ (সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট) বিশিষ্ট এককোষী বা বহুকোষী জীব এককভাবে অথবা কলােনী আকারে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে।

১৯. ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?

উত্তর: বংশগতির প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্রোমােজোম। ক্রোমােজোমে অসংখ্য অতি সূক্ষ্ম জিন থাকে যা জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রোমােজোম এসব বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী জিন মাতাপিতা থেকে সন্তান- সন্ততিতে বহন করে নিয়ে যায়। মানুষের চোখের রং, চুলের আকৃতি, চামড়ার গঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য ক্রোমােজোম কর্তৃক বাহিত হয়ে বংশগতির ধারা অক্ষুন্ন রাখে। এ কারণে ক্রোমােজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয়।

২০. নীলাভ সবুজ শৈবালের কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয় কেন?

উত্তর: নীলাভ সবুজ শৈবালের ক্ষেত্রে অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষবিভাজন ঘটে। এই প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম কানাে জটিল মাধ্যমিক পর্যায় ছাড়াই সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে তাই এই কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলে।

২১. কোন ধরনের কোষ বিভাজন জীবের টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়? এর কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: মিয়ােসিস কোষবিভাজন জীবের টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। নিচে এর কারণ ব্যাখ্যা করা হলাে- মিয়ােসিস জেনেটিক বস্তুর সমতা রক্ষা করা ছাড়াও জীনগত বৈচিত্র্য বজায় রাখে। যৌন জননের মাধ্যমে সকল জীবে মিয়ােসিসের জিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়। কোনাে প্রজাতির টিকে থাকা বা না থাকা নির্ভর করে জীবদের মধ্যে কতটা বৈচিত্র্য আছে তার উপর। তাই মিয়ােসিস কোনাে জীবের জিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে প্রজাতির টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

২২. নেস্টেড হায়ারার্কি বলতে কী বোঝো?

উত্তর: একটি জীবকে প্রজাতি পর্যায়ে বিন্যাসে সাতটি ধাপ আছে। এই ধাপগুলাের উপরের ধাপ বড় সেট এবং তার নিচের ধাপ হলাে তার উপসেট। যেমন : রাজ্যের উপসেট পর্ব, পর্বের উপসেট শ্রেণি, শ্রেণির উপসেট বর্গ ইত্যাদি। শ্রেণিবিন্যাসের এই পদ্ধতিকে বলে নেস্টেড হায়ারার্কি।

২৩. কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: জীববিজ্ঞানের কীটতত্ত্ব শাখায় কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কে আলােচনা করা হয়। যেহেতু কীটতত্ত্বে তত্ত্বীয় বিষয় আলােচনা না করে কীটপতঙ্গ সম্পর্কিত প্রায়ােগিক বিষয় আলােচনা করা হয়, সেহেতু কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয়।

২৪. প্লান্টি রাজ্যের জীবদের হেটারোট্রফিক বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: প্লান্টি রাজ্যের জীবদের হেটেরােট্রফিক বলা হয় না কারণ এদের কোষে কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড এবং কোষগহ্বর আছে। প্লাস্টিড থাকার কারণে এরা স্বভােজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে না। তাই প্লান্টি রাজ্যের জীবদের হেটেরােট্রফিক বলা হয় না।

২৫. বংশগতিবিদ্যা জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় অন্তর্ভুক্ত ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: বংশগতিবিদ্যা জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখায় অন্তর্ভুক্ত। কেননা জীববিজ্ঞারে যে শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয় তাকে ভৌত জীববিজ্ঞান বলে। বংশগতিবিদ্যায় জীবের বংশগত গুণাবলি কীভাবে এক বংশ থেকে অন্য বংশে সঞ্চারিত হয় তার রীতি-নীতি সংকর প্রজনন, পরিব্যক্তি, প্রকরণ সৃষ্টির কারণ ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলাে আললাচিত হয়। এ প্রক্রিয়াগুলাে প্রতিটি জীবের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলাে সবই বংশগতিবিদ্যার তত্ত্বীয় বিষয়াবলী।

২৬. ভাইরাসকে অকোষীয় বলা হয় কেন?

উত্তর: ভাইরাসকে অকোষীয় বলা হয় কারণ ভাইরাস শুধুমাত্র প্রােটিন ও নিউকিয়িক এসিডের সমন্বয়ে গঠিত এবং এর কোষীয় কোনাে অঙ্গাণু নেই। শুধুমাত্র জীবন্ত পােষক কোষে এরা সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। জীবদেহের বাইরে এরা নিজীব। এজন্য এরা আন্তঃকোষীয় বাধ্যতামূলক পরজীবী হিসেবে কাজ করে।

২৭. কমেনসেলিজম বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: কমেনসেলিজম এক ধরনের ধনাত্মক আন্তঃক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে সহযােগীদের মধ্যে একজন মাত্র উপকৃত হয়। অন্য সহযােগী সদস্য উপকৃত না হলেও কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। যেমন- রােহিনী উদ্ভিদ মূলের সাহায্যে নিজেকে মাটিতে আবদ্ধ করে এবং অন্য বড় উদ্ভিদকে আরােহণ করে উপরে উঠে। এরূপে অন্য বৃক্ষের উপর প্রসারিত হয়ে বেশি পরিমাণে আলাে গ্রহণ করে। কাষ্ঠল লতা খাদ্যের জন্য আশ্রয়দানকারী উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে না এবং তার কোনাে ক্ষতিও করে না। পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ বায়ু থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। কিন্তু আশ্রয়দাতার কোনাে ক্ষতি করে না। কিছু শৈবাল অন্য উদ্ভিদদেহের মধ্যে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করে। কিন্তু আশ্রয়দাতার কোনাে ক্ষতি করে। সহযােগীদের মধ্যে এ ধরনের আন্তঃক্রিয়াই হচ্ছে কমেনসেলিজম।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুগন, এই ছিলো নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় এর সকল অনুধাবন মূলক প্রশ্ন। আশাকরি ১য় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসলে এগুলোর মধ্যেই তোমরা কমন পাবা। তোমাদের জন্য শুভ কামণা রইলো, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *