জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

[SSC] জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। পরিক্ষার আগে শেষ প্রস্তুতির সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে বিগত বছরের বোর্ড প্রশ্ন গুলোর সমাধান করা। এতে করে প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। এজন্য পিডিএফ মেলার আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে ২০১৯ সালে জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় থেকে আসা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি। জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

১। রাজশাহী বোর্ড ২০১৯

বিশ্বে প্রথমবারের মতাে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এর পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মােচন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
ক. বায়ােইনফরমেটিকস্ কাকে বলে? ০১
খ. জীবপ্রযুক্তিতে প্লাসমিড গুরুত্বপূর্ণ কেন? ০২ জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯
গ. উদ্দীপকে নমুনা জীবের নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। ০৩
ঘ. উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে “আদি কোযের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে বিশ্লেষণ কর। ০৪

ক উত্তর. কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যান্সার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞানকে বায়ােইনফরমেটিকস্ বলে।

খ উত্তর. প্লাসমিড ক্রোমােজোম বহির্ভূত একটি বৃত্তাকার DNA অণু। এই বৃত্তাকার প্লাসমিড জীবপ্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্লাসমিড এর মাধ্যমে নতুন জিন এর সন্নিবেশন এবং সন্নিবেশিত জিনকে অন্য জীবে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। জিন ক্লোনিং, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কাজে প্লাসমিড অত্যন্ত উপযােগী বাহক হিসেবে কাজ করে। জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

গ উত্তর. উদ্দীপকে নমুনা জীবটি হলাে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছের নামকরণ করতে হবে ICZN কর্তৃক স্বীকৃত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিতে। নিচে মাছটির নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলাে-
১. ইলিশের নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
২. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশ গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমন- Tenualosa ilisha. এটি ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে Tenualosa গণ এবং ilisha প্রজাতিক পদ।
৩. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হবে। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই।
৪. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলাে ছােট অক্ষর এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছােট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯
৫. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন- Tenualosa ilisha.
৬. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম হাতে লিখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন- Tenualosa ilisha.
৭. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে নামদানকারীর নাম (সাধারণত সংক্ষিপ্ত) লিখতে হয়। Tenualosa ilisha Li. (এখানে Li লিনিয়াসের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ)
৮. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী ইলিশ মাছকে বিভিন্ন বিজ্ঞানসম্মত নামকরণ করেন তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে। জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

ঘ উত্তর. উদ্দীপকের উল্লিখিত জীবটি হলাে ইলিশ মাছ যা প্রকৃতকোষী। প্রকৃতকোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে। নিচে বিশ্লেষণ করা হলাে-
সকল জীবকোষ একরকম নয়। এদের মধ্যে গঠনগত পার্থক্য যেমন আছে তেমনই আছে আকৃতি ও কাজের পার্থক্য। আদি কোষে কোনাে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এসব কোষের নিউক্লিয়াস কোনাে পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না, তাই নিউক্লিও বস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানাে থাকে। এসব কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডােপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না তবে ‘রাইবােজোম থাকে। ক্রোমােজোমে কেবল DNA থাকে। অপরদিকে ইলিশ মাছের কোষে অর্থাৎ প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে নিউক্লিও-বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত। এসব কোষে রাইবােজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। ক্রোমােজোমে DNA, হিস্টোন, প্রােটিন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে।
অতএব বলা যায় যে, উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সুস্পষ্ট ভিন্নতা রয়েছে। জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

২। কুমিল্লা বোর্ড ২০১৯

ক. হিস্টোলজি কাকে বলে? ০১ জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯
খ. কোষের কোন অঙ্গাণুটি স্পিন্ডল যন্ত্র সৃষ্টিতে অবদান রাখে? ব্যাখ্যা কর। ০২
গ. চিত্র-B এর কোষ বিভাজন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। ০৩
ঘ. চিত্র-A এবং চিত্র-C এর মধ্যে কোনটি উন্নত? বিশ্লেষণ কর।  ০৪

ক উত্তর. জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস এবং কার্যাবলি নিয়ে আলােচনা করা হয় তাকে হিস্টোলজি বলে।

খ উত্তর. কোষের যে অঙ্গাণুটি স্পিণ্ডল যন্ত্র সৃষ্টিতে অবদান রাখে তা হলাে সেন্ট্রোজোম। সেন্ট্রোজোম প্রাণিকোষের বৈশিষ্ট্য, প্রধানত প্রাণিকোষে এদের পাওয়া যায়। নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদ কোষে কদাচিৎ দেখা যায়।

গ উত্তর. উদ্দীপকের চিত্র-B হলাে ব্যাকটেরিয়া; যা একটি আদিকোষী জীব। ব্যাকটেরিয়াতে কোষ বিভাজন অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে ঘটে থাকে। নিচে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করা হলাে- জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় কোষের নিউক্লিয়াসটি প্রত্যক্ষভাবে সরাসরি দুটি অংশে বিভক্ত হয়। বিভাজনের শুরুতে নিউক্লিয়াসটি ধীরে ধীরে লম্বা হতে থাকে এবং পরে দুই প্রান্ত মােটা ও মাঝের অংশটি সরু হতে থাকে। মাঝের সরু অংশটি ক্রমশ আরও সরু হয়ে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি করে। ইতােমধ্যে কোষপ্রাচীরটির মধ্যভাগ ভিতরের দিকে প্রবেশ করে সাইটোপ্লাজমকেও দুইভাগে বিভক্ত করে ফেলে এবং দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে। ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও নীলাভ সবুজ শৈবাল, ঈস্ট প্রভৃতি জীবকোষে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন ঘটে।

ঘ উত্তর. চিত্র A হলাে পেনিসিলিয়াম এবং চিত্র-C হলাে দোয়েল পাখি। পেনিসিলিয়াম হলাে ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত এবং পাখি হলাে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। নিচে রাজ্যদ্বয়ের বৈশিষ্ট্য উল্লেখপূর্বক বিশ্লেষণ করা হলাে- জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯
ফানজাই রাজ্যের অধিকাংশ জীবই স্বলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী। দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। খাদ্যগ্রহণ শােষণ পদ্ধতিতে ঘটে। ক্লোরােপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লায়েড স্পাের দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।
অপরদিকে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবসমূহ নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট ও বহুকোষী প্রাণী। এদের কোষে কোনাে জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নেই। প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারােট্রোফিক অর্থাৎ পরভােজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে, দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে। ভূণ বিকাশকালীন সময়ে ভূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়।
উপরিউক্ত রাজ্যদ্বয়ের বৈশিষ্ট্যগুলাে পর্যালােচনা করলে দেখা যায় যে, ফানজাই রাজ্যের পেনিসিলিয়াম থেকে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের দোয়েল পাখি অধিক উন্নত।

২। বরিশাল বোর্ড ২০১৯

ক. শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে? জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯
খ. ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘D’ অন্তর্ভুক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামকরণ পদ্ধতি বর্ণনা
ঘ. উদ্দীপকের ‘B’ অন্তর্ভুক্ত জীব অপেক্ষা ‘C’ অন্তর্ভুক্ত জীব অধিক উন্নত কেন? বিশ্লেষণ কর।

ক উত্তর. পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করাকে শ্রেণিবিন্যাস বলে ।

খ উত্তর. ব্যাকটেরিয়া কোষে কোনাে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এ কোষের নিউক্লিয়াস কোনাে পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না, তাই নিউক্লিও- বস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানাে থাকে। এ কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডােপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না তবে রাইবােজোম থাকে। ব্যাকটেরিয়া কোষের ক্রোমােজোমে কেবল DNA থাকে। এ সকল কোষীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ আদিকোষী জীবের বৈশিষ্ট্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয় ।

গ উত্তর. উদ্দীপকে উল্লেখিত ‘D’ হলাে প্লানটি রাজ্য। প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালােকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ এই রাজ্যের জীব। নিম্নে প্লানটি রাজ্যের জীবের বৈজ্ঞানিক নামকরণ পদ্ধতি বর্ণনা করা হলাে- জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯
১. নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় কিংবা ল্যাটিন ভাষার মতাে করে উপস্থাপন করতে হবে।
২. বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমন- (Oryza sativa এটি ধানের বৈজ্ঞানি নাম এখানে Oryza গণ নাম এবং sativa প্রজাতিক পদ।
৩. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হবে। কারণ, একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই।
৪. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলাে ছােট অক্ষর হবে। দ্বিতীয় অংশটির নাম ছােট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন- পিঁয়াজ Allium cepa.
৫. বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন : ধান Oryza sativa.
৬. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতির নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন- Oryza sativa.
৭. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবকে বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।
৮. যিনি প্রথম কোনাে জীবের বিজ্ঞান সম্মত নাম দিবেন। তার নাম প্রকাশের সালসহ উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের শেষে সংক্ষেপে সংযােজন করতে হবে। যেমন- Oryza sativa L., 1753

ঘ উত্তর. উদ্দীপকে উল্লেখিত ‘B’ হলাে প্রােটিস্টা রাজ্য এবং C হলাে ফানজাই রাজ্য। প্রােটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব অপেক্ষা ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব অধিক উন্নত, নিয়ে তা বিশ্লেষণ করা হলাে- জীববিজ্ঞান বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯
প্রােটিস্টা রাজ্যের জীবসমূহ এককোষী বা বহুকোষী একক বা কলােনিয়াল বা ফিলামেন্টাস। এদের সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে এবং কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রােটিন থাকে। কোষে সকল ধরনের অঙ্গানু থাকে। এদের খাদ্য গ্রহণ শােষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে। ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে অর্থাৎ জৈবনিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন গঠনগতভাবে একই, এরূপ দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন জনন ঘটে। এদের কোনাে ভূণ গঠিত হয় না। অন্যদিকে ফানজাই রাজ্যের জীবদের অধিকাংশই স্বলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী। দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। এগুলাের নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। খাদ্যগ্রহণ শােষণ পদ্ধতিতে ঘটে। ক্লোরােপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পাের দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।
উপযুক্ত রাজ্যদ্বয়ের বৈশিষ্ট্য পর্যালােচনা করলে দেখা যায়, প্রােটিস্টা রাজ্যের জীবদের বৈশিষ্ট্যের তুলনায় ফানজাই রাজ্যের জীবসমূহের বৈশিষ্ট্য উন্নত ধরনের। এছাড়াও প্রােটিস্টা রাজ্যের তুলনায় ফানজাই রাজ্যের জীবসমূহের কার্যাবলি সম্পাদনের প্রক্রিয়া এবং এর নিমিত্তে অঙ্গসমূহের বিবর্তন ঘটেছে বেশি। কার্যাবলির বৃদ্ধির সাথে সাথে অঙ্গসমূহের বিকাশও ঘটেছে বেশি। এ কারণে প্রােটিস্টা ও ফানজই- এর মধ্যে ফানজাই উন্নত ধরনের।

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *