ইশরাক নামাজ পড়ার নিয়ম 

ইশরাক নামাজ পড়ার নিয়ম ও ফজিলাত

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। পিডিএফ মেলার আজকের আর্টিকেলে ইশরাক নামাজ পড়ার নিয়ম ও ফজিলাত বর্ণনা করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

ইশরাক শব্দের অর্থ হলো আলোকিত হওয়া। সূর্য উঠার পর জগত আলোকিত হয় বলে এ সময় হাদিসে যে নামাজের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, মুহাদ্দিসিনে কেরামগণ তাকে সালাতুল ইশরাক বলেছেন।

প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এ নামাজ পড়তেন না বরং একটু সময় নিয়ে আদায় করতেন। এ নফল নামাজের ফজিলত বর্ণনায় একাধিক হাদিসে এসেছে-

– হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাতে আদায় করার পর সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত ওখানে বসে বসেই আল্লাহর জিকির করে। অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে। তার জন্য পূর্ণাঙ্গ হজ ও ওমরার সমান সাওয়াব রয়েছে।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

– হজরত আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক নামাজের পর (ধারাবাহিক) আর এক নামাজ; যার মাঝখানে কোনো গোনাহ হয়নি, তা ইল্লিয়্যুন (উচ্চ মর্যাদায়) লেখা হয়।’ (আবু দাউদ)

সালাতুল ইশরাকের সময়

ফজর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সূর্য উঠার পর এ নামাজ আদায় করতে হয়। কেউ কেউ বলেছেন সূর্য উঠার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর;
আবার কেউ কেউ বলেছেন ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর এ নামাজ পড়তে হয়। আর সূর্য এক বর্শা পরিমাণ (দেড় মিটারের মতো) মধ্যাকাশের দিকে উঠা পর্যন্ত এ নামাজের ওয়াক্ত থাকে।

ইশরাক নামাজের ফজিলত

এ নফল নামাজের ফজিলত বর্ণনায় একাধিক হাদিসে এসেছে- – হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাআতে আদায় করার পর সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত ওখানে বসে বসেই আল্লাহর জিকির করে। তারপর দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে। তার জন্য পূর্ণাঙ্গ হজ ও ওমরার সমান সাওয়াব রয়েছে। ’ (তিরমিজি, মিশকাত)

– হজরত আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এক নামাজের পর (ধারাবাহিক) আর এক নামাজ; যার মাঝখানে কোনো গোনাহ হয়নি, তা ইল্লিয়্যুন (উচ্চ মর্যাদায়) লেখা হয়। ’ (আবু দাউদ)

– রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাআতের সঙ্গে ফজরের নামাজ পড়ল। অতপর সূর্য উঠা পর্যন্ত সেখানে বসে আল্লাহর জিকির করল; অতপর দাঁড়িয়ে দুই রাকাআত নামাজ পড়ল; সে একটি হজ ও ওমরাহ করার সাওয়াব নিয়ে ফিরে গেল। ’ (তাবারানি, আত-তারগিব)

– অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সূর্য উঠার আগে আল্লাহর জিকির, তাকবির, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা আমার কাছে ইসমাঈল বংশের দুইজন গোলাম আজাদ করার চেয়েও অধিক প্রিয়। ’ (মুসনাদে আহামদ)

ইশরাক নামাজ পড়ার নিয়ম

ইশরাক নফল নামাজ। এটি অন্যান্য নামাজের মতোই দুই রাকাত করে আদায় করতে হয়। ইশরাকের নামাজের জন্য সুস্পষ্ট আলাদা কোনো নিয়ম ও নিয়ত নেই। শুধু ‘আল্লাহু আকবার’ বলে শুরু করা। আর দুই দুই রাকাত করে ৪ রাকাত নামাজ পড়া।

ইশরাকের নামাজের সুনির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যার উল্লেখ না থাকলেও কেউ কেউ দুই রাকাত থেকে শুরু করে আট রাকাত পর্যন্ত পড়ে থাকে। আবার কিছু সংখ্যক ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, ইশরাকের নামাজ দুই রাকাত করে ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।

তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই দুই রাকাত করে ৪ রাকাত পড়তেন। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল দ্বারা প্রমাণিত।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার ১৫ থেকে ২৫ মিনিট পর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দুই দুই রাকাত করে ৪ রাকাত নামাজ আদায় করা। প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অনুসরণ ও ঘোষিত ফজিলত পেতে এ নফল নামাজের আমল অব্যাহত রাখা।

ইয়া আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত ইশরাকের নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। এবং ইশরাকের নামাজের মাধ্যমে হজ ও ওমরার সাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।


1️⃣ You Can Also Read: তারাবীর নামাজের নিয়ম, ফজিলাত ও গুরুত্ব
2️⃣ You Can Also Read: তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও আদায়ের ফজিলত
3️⃣ You Can Also Read: তারাবীর নামাজের নিয়ম, ফজিলাত ও গুরুত্ব


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

[এই আর্টিকেল টির সম্পূর্ণ অনলাইনের বিভিন্ন সোর্স থেকে কালেক্ট করা, তাই এর আর্টিকেলের কপিরাইট ওনার পিডিএফ মেলা নয়]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *